রাত ৩:২৪
সোমবার
১৮ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২ রা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

জানেন কত টাকা খরচ করে অবিকল এক রকম দেখতে হচ্ছেন এই দুই বোন?

জানেন কত টাকা

লুসি আর অ্যানা ডিসনকে৷ তারা আইডেন্টিক্যাল টুইন৷ শুধু তাই নয়, তারাই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে এক রকম দেখতে যমজ৷ তাতেও খুশি ছিলেন না দুই বোন৷ তাই লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করে দিন দিন আরও অবিকল দেখতে হয়ে উঠছেন তারা৷

আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করে মোট ১৪টি সার্জারি করিয়েছেন পার্থের বাসিন্দা ৩৩ বছরের যমজ বোনেরা৷

এখনও পর্যন্ত লিপ ফিলার, ফেসিয়াল ট্যাটুইং, ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট, স্কিন নিডলিং, হেয়ার এক্সটেনশন, লেজার ট্রিটমেন্ট করিয়েছেন একেবারে অবিকল দেখতে হয়ে উঠতে৷

যতই তারা এক রকম দেখতে হয়েছেন ততই ট্রোলড হয়েছেন দুই বোন৷ কখনও শুনতে হয়েছে প্লাস্টিক বার্বি, কখনও শুনতে হয়েছে ফিশ লিপড৷ কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না তাদের৷ বরং মনে করেন, আরও একটু প্ল্যান করে তারা সার্জারি করাতে পারতেন৷

দেখতেই শুধু এক নয়, তারা চান জীবনটাও এক খাতে চলুক৷ তাই দুজনেই একই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে এনগেজড তারা৷ চান একসঙ্গে মা হতে৷

লুসি আর অ্যানা চান না কখনই তাদের দেখতে অন্য রকম লাগুক৷ তাই তারা চান একসঙ্গে প্রেগন্যান্ট হতে৷ যাতে তখনও তাদের দুজনের শরীরে কোনও পার্থক্যই না থাকে৷

আরএম-০৫/০৫/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

কে এই সুপার সুন্দরী ব্লগার? ZOOM করে ছবিগুলো দেখলে…

সুন্দরী ব্লগার

এখনও ততটা খ্যাতি না পেলেও এই পোলিশ সুন্দরী রূপ-গুণের বদৌলতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেট দুনিয়ার উঠতি সেলিব্রেটিদের মধ্যে তিনি অগ্রগণ্য। বলা হচ্ছে পোল্যান্ডের পোজনানের অধিবাসী সুন্দরী ব্লগার এবং ফটোগ্রাফার আরিয়াদনা মায়েস্কা’র কথা।

প্রতিদিন নিজের ওয়েবসাইট, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার এবং ইন্সটাগ্রামে মায়েস্কা তার চিন্তাশীল লেখনী এবং নয়নাভিরাম ছবি পোস্ট করে নিজের আকাঙ্খা-অনুভূতি প্রকাশ করেন। কখনওবা ফুটিয়ে তোলেন নিজের মোহনীয় সৌন্দর্যকে। পাশাপাশি, এসবের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষের সাথে তিনি গড়ে তুলেছেন দীর্ঘস্থায়ী এবং অর্থবহ সম্পর্ক।

পোলিশ এই সুন্দরী ব্লগার-ফটোগ্রাফারের সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানলে আপনি অবাক হবেন –

তিনি বলেন, জীবন একটাই। আর তাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে জানেন মায়েস্কা। আর তাই খুব মনোযোগ দিয়ে বই পড়েন তিনি। আর বইয়ের পাতা থেকে টুকে রাখেন পছন্দসই উক্তিগুলো। বইয়ের ভাল কোনো লাইন কিংবা সুন্দর কোনো লেখা পড়লে সেগুলো নিজে লিখে রাখেন তিনি- যাতে পরে কখনও মন চাইলে সহজেই চোখ বোলানো যায়।

মায়েস্কা বলেন, ‘ছোটবেলায় আমার স্বপ্ন ছিল কবি এবং লেখক হওয়ার। প্রাইমারি স্কুলে থাকতেই আমি গল্প লেখার চেষ্টা করতাম, বইও লিখেছি ছোটবেলায়। যার বেশিরভাগই আমি রেখে দিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় হাইস্কুলে পড়ার সময় আমি বিভিন্ন জায়গায় রচনা এবং কলাম লেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। পাশাপাশি, ছদ্মনামে আমি একটা ব্লগও চালাই যেখানে আমি নিজের লেখাগুলো প্রকাশ করি। শব্দ নিয়ে খেলা করতে আমার ভাল লাগে। নিজের চিন্তাগুলোকে কাগজে ফুটিয়ে তুলতে আমি ভালোবাসি।‘

এক সময় মায়েস্কার শখ হলো আইটি বিশেষজ্ঞ হওয়ার। তাই বছর দু’য়েক আগে কম্পিউটার সায়েন্সে দুই বছর মেয়াদি একটি কোর্সও করে ফেলেন তিনি।

ক্যামেরা হাতেও বেশ সিদ্ধহস্ত তিনি। এক দশক আগে ছবি তোলায় তার হাতেখড়ি হয়। ছবির বিষয়বস্তুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সিদ্ধহস্ত এবং আত্মবিশ্বাসী। শখের বশে ছবি তোলার পাশাপাশি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য যেমন- ওয়েডিং ফটোগ্রাফিও করে থাকেন আরিয়াদনা মায়েস্কা।

জীবনে কখনও ধুমপান করেন নি এই সুন্দরী। তবে কখনও-সখনও অ্যালকোহলের স্বাদ নিয়েছেন বলে সাক্ষাৎকারে জানান মায়েস্কা।

খাবারের ব্যাপারে তিনি খুবই সচেতন। আরিয়ান্দা’র টেবিলে থাকা খাবারের ৯০ ভাগই শাক-সবজি বা ফলমূল জাতীয় খাবার। প্রাকৃতিক, লো-প্রসেসড এবং ভাল উপাদানে তৈরি খাবারই তার রূপের প্রধান রহস্য।

নিজেকে ফিট রাখতে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন মিষ্টি, চিপস আর ফাস্টফুডের মোহ।

হাসতে এবং হাসাতে ভালোবাসেন আরিয়াদনা মায়েস্কা। বন্ধুবান্ধবদের বিভিন্নভাবে হাসিয়ে আনন্দ পান তিনি। তবে টেলিভিশন আর সিনেমা থেকে একটু দূরে থাকতেই পছন্দ করেন এই উঠতি লেখক। পছন্দ করেন ক্ল্যাসিকাল ঘরানার মিউজিক।

২৬ বছর বয়সী গুণবতী এই তরুণী ভালোবাসেন স্বপ্ন দেখতে। তবে সেগুলো অবশ্যই বাস্তবকে ঘিরে। উপভোগ করতে জানেন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে। আর তাই তার লেখায় ফুটে ওঠে মাধুর্য, কথা বলে তার তোলা ছবি, দ্যুতি ছড়ায় তার সৌন্দর্য।

সেইসঙ্গে নিজের ভক্তদের প্রতিও কৃতজ্ঞ আরিয়ান্দা মায়েস্কা। তাদের পাঠানো ই-মেইল কিংবা অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠানো মেসেজের জবাব দেওয়ার সাধ্যমত চেষ্টা করেন তিনি। নিজের ব্লগের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া মানুষজনের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন এই ব্লগার।

আরএম-০৪/০৫/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

বিনা পয়সায় অন্যের বাচ্চা জন্ম দিচ্ছেন এখানকার মেয়েরা! কিন্তু কেন?

বিনা পয়সায় অন্যের
মারিসা মুজেল একটি কন্যা সন্তান উপহার দিয়েছেন মাদ্রিদের সমকামী দম্পতি জেসাস আর জুলিও-কে। ছবি :বিবিসি

মারিসা মুজেল কন্যা সন্তানের জন্ম দেবার জন্য ১৬ ঘন্টা প্রসব বেদনা সহ্য করেছেন।

তার আরো কিছু গর্ভকালীন সমস্যা ছিল – যার জন্য তাকে দুবার হাসপাতালে থাকতে হয়, প্রতি মাসে হর্মোন ইনজেকশন নিতে হয়। কারণ এর আগে তার চার বার গর্ভপাত হয়েছিল।

তিনি এ কষ্ট সহ্য করেছেন এমন এক শিশুর জন্ম দেবার জন্য – যে তার নিজের সন্তান নয়।

এই সন্তানটির অভিভাবক হবেন স্পেনের একটি পুরুষ সমকামী দম্পতি। এই দম্পতির একজন পুরুষের শুক্রাণু এবং এবং একজন দাতা নারীর ডিম্বাণু থেকে কন্যাশিশুটির জন্ম হয়েছে।

৩২ বছর বয়স্ক মারিসা কানাডায় একজন সারোগেট মা । এখানে শত শত এরকম নারী আছেন যারা আত্মীয় নন এমন লোকেদের সন্তান জন্মের জন্য নিজের গর্ভ ব্যবহার করতে দেন।

“আমি অন্য কারও জন্য পরিবার গড়ে দিচ্ছি” বলছেন মারিসা।

বিশ্বে এখন সারোগেট মা, বিশেষ করে কানাডিয়ান মায়ের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। যারা এভাবে সন্তান চাইছেন – তাদের অনেকের গন্তব্য এখন কানাডা।

প্রগতিমুখী এই দেশটিতে গত এক দশকে সারোগেট মায়ের সংখ্যা ৪০০ গুণ বেড়েছে। তবে এখানে যে নারীরা সারোগেট মা হন – তারা এ থেকে কোন অর্থনৈতিক লাভ করতে পারেন না। তা ছাড়া কানাডার আইন এমন যে – কানাডায় অনেক সহজে সারোগেট শিশুদের আইনী অভিভাবকত্ব পাওয়া যায়, এবং সমকামী দম্পতি বা একজন নারী বা একজন পুরুষও এই সুযোগ পেতে পারেন।

যেসব দেশে বাণিজ্যিকভাবে গর্ভ-ভাড়া দেয়া হয় – সেখানকার চাইতে কানাডার খরচও কম।

“আমি দেখেছি অনেক আমেরিকান সারোগেট মা আছে যাদেরকে গর্ভবতী হবার সাথে সাথেই হাজার হাজার ডলার দিতে হয়। কানাডায় আমরা এরকম করি না” – বলছেন মারিসা।

কানাডায় সারোগেট মায়েরা শুধু গর্ভাবস্থা-সংক্রান্ত খরচ মেটানোর অর্থ পান – কিন্তু তার একটা নির্দিষ্ট সীমা আছে। এর মধ্যে ওষুধপত্র, কাপড়চোপড়, বাজার-সওদা, যাতায়াত ইত্যাদি খরচ থাকে। তা ছাড়া কেউ যদি কাজে যেতে না পারেন, তাহলে তার হারানো বেতনও তিনি পেতে পারেন।

প্রতিটি খরচের জন্য তাকে দলিলপত্র দিতে হয়।

“এটা এমন কোন আয় নয় যা থেকে আপনি সঞ্চয় করতে পারেন । আমার সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র নই। আপনি এ কাজ করছেন মমত্ববোধ থেকে, চাকরি হিসেবে নয়” – বলছিলেন মারিসা, যিনি পেশায় একজন যুব কর্মী।

অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন যে সারোগেট মা বিষয়টা আধুনিককালের একটা জিনিস। কিন্তু আসলে তা নয়।

এক দম্পতির সন্তান ধারণের জন্য অন্য এক মহিলাকে ব্যবহার করা – প্রাচীন ব্যাবিলনেও ছিল। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি একেবারে অন্য স্তরে নিয়ে গেছে।

এ ক্ষেত্রে যা হয় তাহলো: সারোগেট মা কখনো তার নিজের ডিম্বাণু থেকে সৃষ্ট শিশু ধারণ করেন না। ডিম্বাণু আসে অন্য এক নারীর দেহ থেকে।

অভিভাবক হতে ইচ্ছুক পুরুষের শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর নিষিক্তকরণ ঘটে ল্যাবরেটরিতে । আর সেই নিষিক্ত ভ্রুণটি স্থাপন করা হয় সারোগেট মহিলার জরায়ুতে।

কানাডায় সারোগেট মায়েদের ক্লাব আছে, যেখানে তারা একসাথে হতে পারেন, অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারেন।

ধারণা করা হয় যে কানাডায় আছেন কমপক্ষে ৯০০ সক্রিয় সারোগেট মা।

একটি সারোগেসি এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা লেইয়া সোয়ানবার্গ বলছেন, এগারো বছর আগে এই কোম্পানি শুরুর সময় আমাদের ৮টি শিশুর জন্ম হয়। এখন শুধু গত এক মাসেই আমরা ৩০টি শিশুর জন্ম দিয়েছি।

এটা অনেকটা অনলাইন ডেটিংএর মত। সারোগেট মায়েরা নিজস্ব প্রোফাইল জমা দেন। অভিভাবক হতে ইচ্ছুক যারা তারাও প্রোফাইল পাঠান। তার পর পরস্পরের যোগাযোগ এবং পছন্দের ভিত্তিতে ব্যাপারটা চূড়ান্ত হয়।

শিশুর জন্মকে কেন্দ্র করে তারা অচেনা লোক হিসেবে শুরু করেন – কিন্তু পরে পরস্পরের বন্ধু হয়ে ওঠেন ।

তবে এ পথ কঠিন। অনেক সময় একাধিকবার আইভিএফ করাতে হয়, গর্ভপাতও ঘটে প্রায়ই।

এর অনেক সমালোচকও আছেন। অনেকে একে নারীর শোষণ এবং বেশ্যাবৃত্তির সাথে তুলনা করেছেন, এটা নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলেছেন।

কিন্তু কানাডায় যেহেতু এটা থেকে সারোগেট মা অর্থ আয় করতে পারেন না – তাই এ সমালোচনাকে সঠিক মনে করেন না এর সমর্থকরা।

সারোগেট মায়েদের শুধু গর্ভধারণের খরচটাই দেয়া হয়। এর সাথে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি, ডাক্তার, আইনজীবী ও ক্লিনিক – তারা তাদের ফি পান। এই খরচ কম নয়। এতে একজন সন্তানকামী দম্পতির ৫৭ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত লাগতে পারে।

এতে কোন ক্ষতিপূরণ দেয়াও নিষিদ্ধ। সারোগেট মা-কে এমন কি ফুল পাঠালেও তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন আইন ভাঙা হলে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং দশ বছরের কারাদন্ড হতে পারে। অবশ্য এসব আইন শিথিল করার দাবিও তুলছেন অনেকে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো : সারোগেট মায়েরা গর্ভে অন্যের সন্তান ধারণ করে তাহলে কি পান?

অনেকে এটা করেন সন্তান পেতে অক্ষম কোন পরিবারকে সাহায্য করার মানসিকতা থেকে। কারো কাছে এটা এক ধরণের এ্যাকটিভিজম – তারা এলজিবিটি অর্থাৎ পুরুষ ও নারী সমকামী, উভকামী, এবং লিঙ্গপরিবর্তনকারীরা যাতে সন্তান পেতে পারে সে জন্য কাজ করছেন বলে মনে করেন।

এরা মনে করেন, সারোগেট মা হওয়া এবং কোন অভিভাবককে সন্তান উপহার দিতে পারা একটা গর্বের বিষয়।

আরএম-০৩/০৫/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা)

মহানবী (সা.) যেসব খাবার পছন্দ করতেন

খাবার পছন্দ করতেন

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যেসব খাবার গ্রহণ করেছেন, তা ছিল সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আজকের বিজ্ঞানের গবেষণা-এষণায় বিমূর্ত হচ্ছে রাসুল (সা.)-এর খাবারগুলোর গুণাগুণ ও মানবদেহের জন্য সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা।

নিম্নে সংক্ষেপে রাসুল (সা.)-এর কিছু খাবারের আলোচনা বিধৃত হলো।

পনির : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তাবুকের যুদ্ধে রাসুল (সা.)-এর কাছে কিছু পনির উপস্থাপন করা হয়। রাসুল (সা.) বিসমিল্লাহ পড়ে একটি চাকু দিয়ে সেগুলো কাটেন এবং কিছু আহার করেন। (আবু দাউদ : ৩৮১৯)

মাখন : হজরত ইবনাই বিসর আল মুসলিমাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা উভয়ে বলেন, ‘একবার আমাদের ঘরে রাসুল (সা.) আগমন করেন। আমরা তাঁর সম্মুখে মাখন ও খেজুর পরিবেশন করি। তিনি মাখন ও খেজুর পছন্দ করতেন। ’ (তিরমিজি : ১৮৪৩)

মিঠাই ও মধু : হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) মিষ্টান্ন ও মধু পছন্দ করতেন। ’ (বুখারি, ৫১১৫; মুসলিম, ২৬৯৫) বুখারি শরিফের আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মধু হলো উত্তম ওষুধ। ’ (৫৩৫৯)

ঘি মাখা রুটি : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একদিন বলেন, ‘যদি আমাদের কাছে বাদামি গমে তৈরি ও ঘিয়ে সিক্ত সাদা রুটি থাকত, তাহলে সেগুলো আহার করতাম।

’ আনসারি এক সাহাবি এই কথা শুনে এ ধরনের রুটি নিয়ে আসেন…। (ইবনে মাজাহ : ৩৩৪০)

দুধ : হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘মিরাজের রাতে বায়তুল মাকদিসে আমি দুই রাকাত নামাজ পড়ে বের হলে জিবরাইল (আ.) আমার সম্মুখে শরাব ও দুধের আলাদা দুটি পাত্র রাখেন। আমি দুধের পাত্রটি নির্বাচন করি। জিবরাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি প্রকৃত ও স্বভাবজাত জিনিস নির্বাচন করেছেন। ’ (বুখারি : ৩১৬৪, তিরমিজি, ২১৩)

খেজুর : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বার্লির এক টুকরো রুটির ওপর একটি খেজুর রাখতে দেখেছি। তারপর বলেছেন, ‘এটিই সালন-মসলা। ’ (আবু দাউদ : ৩৮৩০)

অন্য হাদিসে আছে, প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে বাড়িতে খেজুর নেই, সে বাড়িতে কোনো খাবার নেই। ’ এমনকি প্রিয় নবী (সা.) সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মাকেও খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

কিশমিশ : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.)-এর জন্য কিশমিশ ভিজিয়ে রাখা হতো এবং তিনি সেগুলো পান করতেন। ’ (মুসলিম)

সারিদ : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর কাছে রুটির সারিদ ও হায়সের সারিদ অত্যন্ত প্রিয় ছিল। ’ (আবু দাউদ : ৩৭৮৩)

সারিদ হলো গোশতের ঝোলে ভেজানো টুকরো টুকরো রুটি দিয়ে তৈরি বিশেষ খাদ্য। আর হায়স হলো মাখন, ঘি ও খেজুর দিয়ে যৌথভাবে বানানো খাবার।

সিরকা : হজরত জাবের (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) তাঁর পরিবারের কাছে সালন কামনা করেন। তাঁরা বলেন, আমাদের কাছে তো সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। মহানবী (সা.)-এর কাছে সেগুলো নিয়ে আসা হলে তিনি তা থেকে খেতে শুরু করেন। তারপর বলেন, ‘সিরকা কতই না উত্তম সালন! সিরকা কতই না উত্তম সালন!’ হজরত জাবের (রা.) বলেন, ‘সেদিন থেকে আমি সিরকা পছন্দ করতে শুরু করি। ’ (মুসলিম : ২০৫১)

তরমুজ ও শসা : হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) তরমুজের সঙ্গে ‘রাতাব’ বা (পাকা-তাজা) খেজুর খেতেন। (বুখারি : ৫১৩৪, তিরমিজি : ১৮৪৪)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে শসার সঙ্গে ‘রাতাব’ খেতে দেখেছি। (মুসলিম : ৩৮০৬)

খরগোশের গোশত : হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, মাররুজ জাহরান নামক স্থানে আমাদের পাশ দিয়ে একটি খরগোশ লাফিয়ে পড়ে। দৃশ্য দেখে আমাদের সঙ্গীরা খরগোশটিকে ধাওয়া করে, কিন্তু তারা সেটিকে পাকড়াও করতে না পেরে ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। তবে আমি ধাওয়া করে এর নাগাল পাই এবং ধরে হজরত আবু তালহার কাছে নিয়ে আসি। তিনি মারওয়া নামক স্থানে সেটি জবাই করেন। এরপর খরগোশটির ঊরু ও নিতম্ব আমাকে দিয়ে রাসুল (সা.)-এর কাছে পাঠান। রাসুল (সা.) সেগুলো ভক্ষণ করেন। ’ তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, রাসুল কি তা খেয়েছিলেন? তিনি বলেন, গ্রহণ করেছিলেন। (বুখারি : ২৪৩৩)

খাসির পায়া : হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা ছোট খাসির পায়া রান্না করতাম। রাসুল (সা.) কোরবানির ১৫ দিন পরও সেগুলো খেতেন। ’ (বুখারি : ৫১২২)

মোরগ : হজরত জাহদাম (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন আবু মুসা একটি মোরগ নিয়ে আসেন। ফলে উপস্থিত একজন গলার স্বর ভিন্ন করে আওয়াজ করল। হজরত আবু মুসা জিজ্ঞেস করলেন, কী হলো তোমার? লোকটি বলল, মোরগকে আমি বিভিন্ন খাবার খেতে দেখে আমার অপছন্দ হওয়ায় শপথ করেছি, কোনো দিন মোরগ খাব না। হজরত আবু মুসা তাকে বললেন, ‘কাছে আসো। খাওয়ায় অংশগ্রহণ করো। কারণ আমি রাসুল (সা.)-কে মোরগ খেতে দেখেছি। আর তুমি তোমার শপথ ভঙ্গের কাফফারা আদায় করে দেবে। (বুখারি : ৫১৯৮, ৪৬৬২; মুসলিম : ১৬৪৯)

লাউ : হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার একজন দর্জি রসুল (সা.)-কে খাবারের দাওয়াত করে। আমিও মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সেই খাবারে অংশগ্রহণ করি। রাসুল (সা.)-এর সামনে বার্লির রুটি এবং গোশতের টুকরা ও কদু মেশানো ঝোল পরিবেশন করে। আমি দেখেছি, রাসুল (সা.) প্লেট থেকে খুঁজে খুঁজে কদু নিয়ে খাচ্ছেন। আর আমিও সেদিন থেকে কদুর প্রতি আসক্ত হয়ে উঠি। (মুসলিম, ২০৬১; বুখারি, ৫০৬৪)

জলপাই : রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা জয়তুন খাও এবং জয়তুনের তেল গায়ে মাখো। কেননা এটি একটি মোবারক বৃক্ষ থেকে তৈরি। (সুনানে ইবনে মাজাহ : ১০০৩, তিরমিজি : ১৮৫১)

সামুদ্রিক মাছ : মহানবী (সা.) সাগরের মাছ পছন্দ করতেন। এ বিষয়ে আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা.)-এর একটি দীর্ঘ হাদিস আছে। হাদিসটি বুখারি (৪৩৬১) ও মুসলিম (১৯৩৫) শরীফে বর্ণিত হয়েছে।

বিভিন্ন বর্ণনায় রয়েছে, রাসুল (সা.) মরুভূমির এক প্রকার পাখির গোশত, মাশরুম, বার্লি, গাজর-ডুমুর, আঙুর, ভিনেগার, ডালিম ইত্যাদি পছন্দ করতেন।

আরএম-০২/০৫/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

মাকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিল ছেলে!

মাকে প্রেমিকের

শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন থেকে বাঁচাতে মাকে তার রূপান্তরিত (সার্জারির মাধ্যমে মেয়ে থেকে ছেলে হওয়া) প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়েছে ১১ বছরের ছেলে। ঘটনাটি ভারতের বর্ধমান শহরের।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ১১ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দা ওই নারী। অপেক্ষা করছিলেন তার প্রেমিক টালিগঞ্জের বাসিন্দা জো দত্ত। সেক্স রি-অ্যাসাইনমেন্ট সার্জারির পর নাম বদলে তাপসী দত্ত থেকে জো হয়েছেন তিনি।

ওই নারী বলেন, ‘‘১১ বছরের ছেলেই আমাকে জোয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তারপর কলকাতা আসি।’’
সেদিন রাতেই ভবানীপুর থানায় লিখিতভাবে তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কারণে বাধ্য হয়ে তিনি বাড়ি ছেড়েছেন। আপাতত জো এবং মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিতা সিনহার ‘ছত্রছায়ায়’ তিনি থাকছেন।

রঞ্জিতা বলেন, ‘“সমস্ত ঘটনাই পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে। ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ি খুব প্রভাবশালী।”

প্রেমিকের ফোন থেকে গণমাধ্যমকে ওই মহিলা বলেন, ‘‘দিনের পর দিন শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত হয়েছি। বাপের বাড়িতে বলার পর তারা মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বছরখানেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আমার সঙ্গে জোয়ের পরিচয় হয়। দুর্দিনে ও আমার পাশে ছিল। ডিভোর্স পাওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে জোয়ের সঙ্গেই থাকব।”

জেসপ ভবনে কৃষি দফতরের কার্যালয়ে অস্থায়ী পদে চাকরি করেন জো। তার কথায়, “ছেলেকে স্কুলে দিতে আসার সময় ও আমার সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা করত। ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমাদের সম্পর্কের কথা জেনে ফেলে। শনিবার ওরা আমার টালিগঞ্জের বাড়িতে আসে। আমার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেছে। প্রাণ সংশয় থাকায় আমিও বাড়িতে থাকছি না।”

ভবানীপুরের একটি মানবাধিকার সংগঠনের সাহায্যে তারা আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

আরএম-০১/০৫/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

বিয়ে বাড়িতে সবার চোখ বেঁধে দিল বর

অস্ট্রেলিয়ার মালেনিতে রোবি ক্যাম্পবেল বিয়ে করছেন স্টিফানি অ্যাগ্নিউকে। বিয়ে বাড়িতে আসা ৫৪ জন অতিথির প্রত্যেকের চোখ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেনে অনেকেই অবাক হবেন। পরক্ষণেই জানা গেল কারণ।

রোবির সঙ্গে আলাপের সময়ই ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা। কোন-রড ডিসট্রফির কারণে স্টিফানি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন ১৯ বছর বয়সেই। কখনও ভালোবাসার মানুষটিকে চোখে দেখেননি। তখনই রোবি ভেবেছিলেন অন্য কোনও ভাবে ভালোবাসা উদযাপনের কথা।

জেমস ডে নামে যে আলোকচিত্রী বিয়ের ছবি তুলেছেন, তিনি জানান, রোবি বলেছেন, একটা ইন্দ্রিয় হারালে অন্য ইন্দ্রিয় যে আরও জোরাল হয়ে ওঠে, তা অনুভব করতে চেয়েছিলেন।

অতিথিদের প্রত্যেকের হাতে ফুলের বদলে তুলে দেওয়া হয় ব্লাইন্ডফোল্ড। স্টিফানির মাও দৃষ্টিশক্তিহীন। তিনিও অভিভূত জামাইয়ের এই আচরণে।

স্টিফানি বলেন, এই মুহূর্ত ভোলার নয়। তবে ভালোবাসার মানুষটি যে খুব লম্বা তা তিনি জানেন। রোবি ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা আর স্টিফানি ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।

রোবির চওড়া কাঁধ রয়েছে, আর মুখটাও বেশ বুদ্ধিদীপ্ত, সংবাদ সংস্থাকে স্পষ্টই বলেছেন স্টিফানি।

জীবনে প্রত্যেকটি মানুষের কিছু না কিছু না পাওয়ার রয়েছে। তাই ভেঙে পড়ার কিছু নেই। স্টিফানি রোবের হাতে হাত রেখে এমনটাই জানিয়েছেন। আলোকচিত্রীর তোলা এই ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।

এসএইচ-০৩/০৫/১২(অনলাইন ডেস্ক)

মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার দিকে ফিরতে থাকেন

বিজয়ের মাসের আজ পঞ্চম দিন। বিজয় তো ছিল আনন্দ, উল্লাস ও গৌরবের। সঙ্গে আপনজনকে হারানোর বেদনা, কান্নার। তবে বিজয়ের ৪৭ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে। যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীরা এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে। অতীত ঘৃণ্য নরহত্যাসহ ঘৃণ্য কৃতকর্মের কারণে বাঘা বাঘা কয়েক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছে। আরও ক’জনের সামনে ঝুলছে ফাঁসির দড়ি। দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জেগে উঠেছে দেশপ্রেম, গণতান্ত্রিক চেতনা। দীর্ঘ বছর পর দেশ পরিপূর্ণভাবে ধাবিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায়।

৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১। সে এক উন্মাদনার সময়। হত্যা ও ধ্বংসের বিভীষিকায় বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে মুক্তিপাগল বাঙালী। চারদিকে বিজয়ের রণধ্বনি। রক্তক্ষরা ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার আকাশ পুরোপুরি মিত্রবাহিনীর দখলে। পাকবাহিনীর সব জঙ্গী বিমান নিঃশ্বেষ হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দখলমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার দিকে আসতে থাকেন। সম্মুখযুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধেও হারতে থাকে পাকিস্তান।

এ সময় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চোখে রাজনীতির এক নতুন প্রেক্ষাপট হয়ে ওঠে যুদ্ধরত বাংলাদেশ। কামান-গোলাসহ মারণাস্ত্রের সামনে যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে বাংলার মুক্তিসেনাদের সম্মুখযুদ্ধ দেখে বিস্মিত হয়ে যায় গোটা পৃথিবী। বিশ্ব রাজনীতির খেলায় ধীরে ধীরে বন্ধুহীন হয়ে পড়ে বর্বর রাষ্ট্র পাকিস্তান। জাতিসংঘে উত্থাপিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবও নাকচ হয়ে যায়।

ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাঙালীর সম্মুখযুদ্ধে একের পর এক পরাজয়ে পায়ের তলা থেকে মাটিও সরে যেতে থাকে পাক হানাদারদের। তার ওপর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর শাণিত আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা। ইয়াহিয়া বুঝতে পারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এখন সময়ের ব্যাপারে মাত্র। পাকিস্তান পরাজয়ের বিষয়টি বুঝতে পেরে নতুন কূটকৌশলে কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু করে।

পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করে। পাকিস্তানকে রক্ষায় নগ্ন উদ্যোগ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একাত্তরের এই দিনে পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পেশ করে। এ প্রস্তাবের পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহারসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করে।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পোল্যান্ড এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে, তবে ১০টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে মত দেয়। ব্রিটেন ও ফ্রান্স ভোটদানে বিরত থাকে। এমনই পরিস্থিতিতে প্রস্তাবটি যাতে পাস হতে না পারে সেজন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো প্রদান করায় প্রস্তাবের মৃত্যু ঘটে। পাকিস্তানের শেষ প্রত্যাশাটুকুও নিঃশ্বেস হয়ে যায়। সম্মুখযুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধেও হারতে থাকে পাকিস্তান।

অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তানের গবর্নর ভারতীয় হামলা প্রতিরোধে প্রতিরক্ষা তহবিলে মুক্ত হস্তে সবাইকে দান করার আহ্বান জানান। পাকিস্তানী সেনাপ্রধান অন্য এক ঘোষণায় অবসরপ্রাপ্ত ৫৫ বছরের কম বয়সী মেজর পর্যন্ত সব সৈনিককে নিকটস্থ রিক্রুটিং অফিসে হাজির হওয়ার জন্য আবার নির্দেশ দেন। বাঙালীর জন্মভূমি আদায়ের লড়াইকে আড়াল করতে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে বেতারে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।

কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই বাঙালীকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। মাতৃভূমিকে হানাদারমুক্ত করতে তারা মরণপণ লড়াই চালিয়েই যান। একদিকে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ যুদ্ধ, অন্যদিকে মিত্রবাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণ। প্রাণ বাঁচাতে পাক হানাদাররা বীর বাঙালীর কাছে আত্মসমর্পণের পথ খুঁজতে থাকে। মিত্রবাহিনীর যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন। মিত্রবাহিনী পুরোপুরি দখলে নেয় ঢাকার আকাশ। ভারতীয় বিমানবাহিনীর লাগাতার আক্রমণে দিশেহারা পাকবাহিনী। তেজগাঁও ও কুর্মিটোলায় পঞ্চাশ টনেরও বেশি বোমা ফেলে। রানওয়েতে ২০ ফুট চওড়া গর্তের সৃষ্টি হয়।

জামালপুর ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার, ঝিনাইদহ, সান্তাহার, ময়মনসিংহ ইয়ার্ড মিত্রবাহিনীর আক্রমণে ধ্বংস হয়ে যায়। ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল এবং ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখল করে নেয় মিত্রবাহিনী। বাংলার উন্মুক্ত আকাশে মিত্র বাহিনীর বিমান অবাধে বিচরণ করে। জামালপুরে বিমান হামলায় কয়েকশ’ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়। মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের চারদিক থেকে বিজয় দেখে এগিয়ে যায়। মিত্রবাহিনীর বিজয় দেখে জেনারেল নিয়াজী পাকিবাহিনীকে পেছনের দিকে সরে আসার নির্দেশ দেন। ভারতের অকৃত্রিম সাহায্য সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক সফলতা বাংলাদেশকে দ্রুত মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।

উৎসাহ-উদ্দীপনায় এবং নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষরা পালন করছে বিজয়ের ৪৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচী। একমাত্র স্বাধীনতার শত্রুরা ছাড়া প্রতিদিনই নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে স্মরণ করছে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, ঘৃণা-ধিক্কার জানাচ্ছে স্বাধীনতার শত্রু এদেশীয় রাজাকার, আলবদর ও মানবতার শত্রু যুদ্ধাপরাধীদের।

এসএইচ-০১/০৫/১২ (অনলা্ইন ডেস্ক)

নওগাঁয় আ’লীগ নেতা ছুরিকাঘাতে নিহত

ওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসাহাক হোসেনকে (৭৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দৃর্বত্তরা। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন তার গাড়ি চালাক দুলাল রায়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানান পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র। ঘটনার সময় তিনি বাড়ির সামনে প্রাইভেটকার থেকে নামছিলেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে বাসায় ফিরছিলেন ইসাহাক হোসেন। বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামার পর দূর্বৃত্তরা তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত তার গাড়ি চালাকের দুলাল রায় এর অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানান । তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ইসাহাক হোসেনের বাড়ি উপজেলাটির নজিরপুর পৌরসভার মামুদপুর গ্রামে। তিনি নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র।

এসময় পূর্বে ওৎ পেতে থাকা ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এতে তার প্রাইভেটকার চালকও আহত হন।

তিনি জানান, এসময় আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাংবাদিক বুলবুল আরো জানান, পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ইসাহাক। কার্যালয় থেকে তার বাড়ির দূরত্ব দেড় কিলোমিটার হবে।

এসএইচ-২৬/০৪/১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

আমি খারাপ মানুষের আতঙ্ক: এসপি হারুন

নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আলোচিত এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমি খারাপ মানুষের জন্য আতঙ্ক। আমি যতদিন থাকব ততদিন কোনো মাদক ব্যবসায়ী, মাস্তানকে ছাড় দেব না।

তিনি বলেন, আমি কোনো নেতাকে মারধর করিনি। যারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নাম ছড়ায় তারা মিথ্যা বলে। যারা আকাম করে আমি তাদের আতঙ্ক। কোনো অপরাধীকে আমি ছাড় দেই না।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন এসপি হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আগামী ২৪ দিন আমরা সবাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য রাত-দিন কাজ করব। আমরা নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দেব। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা নারায়ণগঞ্জের কোনো ভোটকেন্দ্রে হতে দেব না।

সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে এসপি হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আমি মনে করি সাংবাদিকরা হচ্ছেন আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আপনারা সবসময় আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে। মাদক ব্যবসা করে এবং আড়ালে সমাজে নেতৃত্ব দেবে এমন মানুষকে আমি কোনো রকম ছাড় দেব না। মাদক ব্যবসার সঙ্গে যদি কোনো পুলিশ কর্মকর্তাও জড়িত থাকে তাহলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

নারায়ণগঞ্জ একটি চ্যালেঞ্জিং জেলা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, আমি জানি নারায়ণগঞ্জ একটি চ্যালেঞ্জিং জেলা। তবে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যের কারণে আমি এখানে বদলি হয়ে আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। চাকরির সুবাদে না হলেও আমি এর আগেও বিভিন্ন আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছি। নারায়ণগঞ্জ আমার প্রিয় এলাকা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আবদুল আলীম, দিলিপ কুমার মণ্ডল, রাজু আহমেদ, তাপস সাহা, মেহেদী হাসান সজিব, শরীফ সুমন, আলামিন প্রধান, সনদ সাহা সানী, শহিদুল্লাহ রাসেল, টিটু, মামুন মিয়া প্রমুখ।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন– জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. ফারুক হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী প্রমুখ।

বিএ-২৪/০৮-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

যশোরে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করায় প্রধান শিক্ষক আটক

যশোরের চৌগাছায় অফিস কক্ষে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাসের উদ্দীন (৫৫) নামের এক প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে স্কুল কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

তাসের উদ্দীন উপজেলার সুখপুকুরিয়ার দক্ষিণ বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষককে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিফাত খান রাজিব বলেন, ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা একটি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হবে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ও মা জানিয়েছেন, মেয়েটি চলমান চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সোমবার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা চলছিল। এসময় একটি প্রশ্ন বুঝতে না পারায় মেয়েটি প্রধান শিক্ষকের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের কক্ষে কেউ না থাকার সুযোগে তিনি ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতহানি করেন।

ওই ছাত্রী বাড়ি এসে বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়। পরে স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হলে ঘটনার পরের দিন ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক তাসের উদ্দিনকে এলাকাবাসী অবরুদ্ধ করে রাখে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফুল আলম পুলিশ পাঠিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে। পরে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে থানায় আটক রাখা হয়।

প্রধান শিক্ষক তাসের উদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের কমিটি ও একটি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কোনো সুযোগ না পেয়ে একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাকে অপদস্থ করছে প্রতিপক্ষরা।

তবে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমি কোনো নেতৃত্ব দেইনি। আমার সাথে তার কোনো দ্বন্দ্বও নেই। এলাকার উত্তেজিত জনগণই প্রধান শিক্ষককে অফিস রুমে অবরুদ্ধ করলে বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে জানাই।

বিএ-২৩/০৮-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)