সন্ধ্যা ৬:৫৭
বৃহস্পতিবার
৭ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২৩ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১২ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

‘এ আদেশ রাজনীতিবিদদের জন্য একটি মেসেজ’

‘দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিতরা নির্বাচন করতে পারবেন না- চেম্বার আদালতের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল থাকা জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের জন্য একটি মেসেজ’ বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন করবেন, রাজনীতি করবেন, তারা নিজেদের কলুষমুক্ত রাখবেন। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে যাতে দণ্ডপ্রাপ্ত না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। এ আদেশে এমন একটি মেসেজ যাবে।’

রোববার দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে দুই বছরের বেশি যারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা নির্বাচন করতে পারবেন না। ‘আজকের আদেশ আপনি কীভাবে দেখছেন’- জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘এ আদেশ অবশ্যই মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘অপরাধ করে তারপর আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন- এটা আমাদের সংবিধান প্রণেতারা চাননি। যে কারণে ১৯৭২ সালে আমাদের সংবিধানে আইনটি সন্নিবেশিত হয়েছে।’

‘আপনি যে সংবিধান প্রণেতাদের কথা বললেন সেই সংবিধান প্রণেতার একজন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন। তাহলে কি তিনি ভুল বলেছেন’- জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তিনি সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে একজন। ষোড়শ সংশোধনীতে তিনি যে ডিগবাজি খেয়েছেন ওনার পক্ষে সব রকম কথা বলা সম্ভব।’

‘সরকার বিচার বিভাগের মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন’- বিএনপির আইনজীবীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় যদি কোনো ব্যক্তি দোষী-সাব্যস্ত হন, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা বিশেষ কোনো দলের বিষয় নয়। সর্বজনীনভাবে সব লোকের জন্য প্রযোজ্য।’

‘তবে এটা খুব শক্তভাবে ধরার ফলে এখন থেকে যারা নির্বাচন করবেন, রাজনীতি করবেন, তারা নিজেদের কলুষমুক্ত রাখবেন। তাদের কাছে একটা মেসেজ যাবে, জনপ্রতিনিধি হতে হলে তাকে সৎ হতে হবে, মামলা-মোকদ্দমায় যাতে দণ্ডপ্রাপ্ত না হন; এমন কাজ তারা করবেন না।’

‘আজকের এ আদেশ একটি সতর্কবার্তা’ উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধি হতে হলে নিজকে নিষ্কলঙ্ক হতে হবে। কোনো রকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে না। এতে তারা নিজেরাই এখন হুঁশিয়ার হয়ে যাবেন।’

‘দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের নির্বাচনে সুযোগ দেয়া সংবিধানের অবমাননা’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সংসদ সদস্য পদে থাকা অবস্থায় দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্য পদ চলে যাবে। এ বিষয়ে এরশাদের মামলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আছে বলেও উল্লেখ করেন মাহবুবে আলম।

অপরদিকে, যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতিপূর্বে অনেকেই সাজাপ্রাপ্ত হয়েও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সে সময়ে আদালত ও অ্যাটর্নি জেনারেল তাতে কোনো হস্তক্ষেপ করেননি। অথচ আমার মক্কেল তার পক্ষে আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাটর্নি জেনারেল গতকাল অস্বাভাবিকভাবে চেম্বার আদালত বসান। সেখানে তারা আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে যান।’

তিনি বলেন, ‘সরকার একদিকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যবস্থার কথা বলছেন অন্যদিকে আদালতকে ব্যবহার করে একতরফা একটি নির্বাচনের পাঁয়তারা করছেন।’ বিএনপির জনপ্রিয় প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নানা কৌশলে সরকার এগোচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এ আইনজীবী।

তিনি আরও বলেন, যশোর ঝিকরগাছার আমাদের এই প্রার্থীর মামলার উদাহরণটিকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সরকারের এ অপকৌশলের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি লড়াই চালাতে সিনিয়র আইনজীবীদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গত ২৯ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে বিচারপতি মোহাম্মদ রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আজ চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন।

বিএ-২১/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ)

সিলেটে ধানের শীষ কার, মা না ছেলের?

উৎকণ্ঠা ছিল মনোনয়নপত্র বাতিল নিয়ে। তাই সিলেটের প্রতিটি আসনে দেয়া হয়েছিল ২৩ দলীয় জোটের একাধিক প্রার্থী। ব্যতিক্রম যায়নি আলোচিত সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনও।

বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ‘নিখোঁজ’ এম. ইলিয়াস আলীর এই আসনেও এবার দেয়া হয়েছিল দুইজনকে দলীয় মনোনয়ন। তবে এই মনোনয়ন ছিল ইলিয়াস পরিবারেই সীমাবদ্ধ।

স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্ণবের হাতেই তুলে দেয়া হয় দলীয় মনোনয়ন। কোনো কারণে একজনের মনোনয়ন বাতিল হলে যাতে অন্যজন নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন মূলত এই কৌশল থেকেই তাদেরকে দেয়া হয়েছিল মনোনয়ন।

কিন্তু শঙ্কা কাটিয়ে আজ জেলা রিটার্নি অফিসার এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তাহসিনা রুশদীর লুনা ও আবরার ইলিয়াস দু’জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন। তাই এখন প্রশ্ন ওঠেছে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ইলিয়াসের এই আসনে কে হচ্ছেন ধানের শীষের কান্ডারি। শেষ পর্যন্ত মা না ছেলে কে হাল ধরবেন এ আসনের?

তবে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম মনে করেন এ আসন থেকে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাই নির্বাচন করবেন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর থেকে তিনি এ আসনে বিএনপির রাজনীতি দেখাভাল করছেন।

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুনা সিলেট সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা ও জনমত গঠনে কাজ করেছেন। দলীয় কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিয়েও তিনি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজের জনপ্রিয়তা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

বিএ-২০/০২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

মোবাইল বিস্ফোরণে কলেজছাত্র নিহত

ফেনীর বিসিক শিল্প নগরীর চাড়িপুর এলাকায় মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে স্বপ্নীল মজুমদার (১৭) নামে এক কলেজছাত্র দগ্ধ হয়েছে।

রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পাঁচগাছিয়া বাজারের ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু মিয়া জানান, স্বপ্নিল মোবাইলফোনে চার্জ দিয়ে সুইচ অন করার পর মোবাইলটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে স্বপ্নীল গুরুত্বর আহত হয়।

প্রথমে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নেয়া হয় পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহত স্বপ্নীলের বাবা সুমন মজুমদারের। সে পাঁচগাছিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদারের নাতি।

বিএ-১৯/০২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমানউল্লাহসহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ আমানসহ ১৬২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

সেই সঙ্গে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় নাশকতার মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু আমানসহ ১৬২ জন আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন দাখিল করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১৬৯। এর মধ্যে ৭ জনের অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন। সেই বিষয়ে আদেশ এখনও দেয়নি আদালত।

২০১৭ সালের ২ জুন ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার অন্যতম আসামি হলেন আমানউল্লাহ আমান, নাজিমুউদ্দিন, শহীদ, ইকবাল হোসনসহ প্রমুখ।

বিএ-১৮/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ইভাঙ্কা

ভাগ্যের জোরেই রক্ষা পেলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস৷ ট্রাম্পকন্যার সফরের কয়েকঘণ্টা আগেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মেক্সিকোয় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস৷

রোববার সকালে মেক্সিকোর গুয়াডালাজারা শহরের মার্কিন দূতাবাসের সামনে গ্রেনেড হামলা চালায় একজন আততায়ী৷ বিস্ফোরণে তীব্রতায় ভেঙে পড়ে দূতাবাসের সামনের দেওয়াল৷ তবে কেউ হতাহত হননি৷ কিন্তু আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়৷

মুহূর্তের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন নিরাপত্তারক্ষীরা৷ কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা৷

জানা গেছে, হামলাকারীর ছবি ধরা পড়েছে দূতাবাসের গোপন ক্যামেরায়৷ সেই সূত্র ধরেই তার খোঁজে শুরু করেছে পুলিশ৷ ঘটনার সঙ্গে মেক্সিকোর পাচারকারী সংগঠনগুলি যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷

সূত্রের খবর, মার্কিন দূতাবাসের বাইরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে আততায়ীর ছবি৷ দেখা গেছে যে, এক ব্যক্তি বাইরে থেকে দূতাবাসের দিকে গ্রেনেড ছুঁড়ে পালিয়ে যায়৷ আর তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে৷ ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবির সূত্র ধরেই ওই ব্যক্তির খোঁজে নেমেছে পুলিশ৷

এসএইচ-২২/০২/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ইসির প্রত্যাহারের পর নারায়নগঞ্জের নতুন এসপি হারুন

আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের (এসপি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ইসির যুগ্ম সচিব কামরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

হারুন অর রশীদ সর্বশেষ গাজীপুর জেলার এসপি ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) সংযুক্ত করা হয়।

এর আগে ২৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের এসপি আনিসুর রহমানকে প্রত্যাহার করে ইসি।

তার বিরুদ্ধে ২০ দলীয় জোট আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছিল।

এসপি হারুন অর রশীদ ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট পুলিশ সুপার হিসেবে গাজীপুরে যোগদান করেছিলেন। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২১ এপ্রিল এসপি হারুন অর রশিদকে গাজীপুর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর প্রত্যাহারের আদেশ তুলে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ওই বছর ৩ মে গাজীপুরের পুলিশ সুপার পদে পুনর্বহাল করেন। দুই দফা মিলিয়ে ৪ বছর গাজীপুরে ছিলেন তিনি।

এসপি হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করে ২০তম বিসিএস-এর মাধ্যমে ২০০১ সালে এএসপি হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ডিএমপিতে থাকাকালীন সময় বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুককে মারধরের ঘটনায় আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।

এছাড়াও সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ইসিতে বিএনপির দেয়া ৯২ জন ‘দলবাজ’ কর্মকর্তার মধ্যে হারুনেরও নাম ছিল।

বিএ-১৭/০২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ৪০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে ওই ৪০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এর মধ্যে বিএনপির কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের প্রার্থী মো. মঞ্জু মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের একজন নিয়ম অনুযায়ী এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় ত্রুটি এবং আরেকজন আয়কর রিটার্ন জমা না দেয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন আটজন প্রার্থী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিমুখ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুর রহমান, সৈয়দ তানভীর হোসেন, শাহজাহান আলম সাজু, মো. সফিউল্লাহ্, আশরাফ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, তাদের দাখিল করা এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় ত্রুটির কারণে। এছাড়া হলফনামা ও আয়কর রিটার্নে গড়মিলের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখলেছুর রহমান ও আয়কর না দেয়ায় মো. গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

আর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে করা পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা- তার কোনো প্রমাণ দিতে না পারায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণ খেলাপী হওয়ায় বিএনপির আরেক প্রার্থী আখতার হোসেনের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন মোল্লা তার হলফনামায় চলমান মামলার বিবরণ না দেয়ায় এবং গণফোরামের প্রার্থী শাহ্ মফিজের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে হলফনামা ও আয়করের তথ্যে মিল না থাকায়। এ আসনে ২৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ১৬ জনের মধ্যে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। পৌরকর পরিশোধ না করায় জাতীয় পার্টির আবদুল্লাহ আল হেলাল, হলফনামায় মামলার তথ্য না থাকায় এবং এক শতাংশ ভাটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় ত্রুটির কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল রানা, ভোটার তালিকায় ত্রুটি ও আয়কর রিটার্ন না দেয়ায় মো. আবু হানিফ, মো. বশির উল্লাহ জুরু এবং আয়কর রিটার্ন না দেয়ায় মো. ওমর ইউসুফ খান ও মো. মাঈন উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এছাড়া আয়কর রিটার্ন না দেয়ায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ, কর প্রদান না করায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, আয়কর রিটার্ন দাখিলের তথ্য সঠিক না হওয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ আনোয়ার আহম্মদ লিটন, পৌরকর পরিশোধ না করায় এবং হলফনামায় আয়ের উৎস না থাকায় গণফোরামের তারিকুল রৌফের মনোনয়পত্রটি বাতিল করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তার দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ফরম নম্বর ২১ পূরণ না করায় মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই ফরমে সম্পদ ও দায় এবং বাৎসরিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব লিপিবদ্ধ করতে হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বিপরীতে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তিনি ছাড়াও বিএনপির আরেক প্রার্থী ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। মুসলিম উদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে যে পদত্যাগ করেছেন তা গৃহীত হয়েছে কি-না সেই মর্মে কোনো কাগজ দেখাতে না পারায় বাতিল করা হয় তার মনোনয়নপত্র।

ঋণ খেলাপী হওয়ায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন, এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় ত্রুটির কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদুছ আক্তার এবং ঋণ খেলাপী হওয়ায় আহমেদ শাহ মোর্শেদ শাহীনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ আসনে ১০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নের সুপারিশপত্র না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ, ঋণ খেলাপী হওয়ায় বিএনপির প্রার্থী কাজী নাজমুল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী কাজী মো. মামুনুর রশিদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে মামলার বিবরণীতে তথ্য সঠিক না হওয়ার কারণে।

নরসিংদীর একটি মামলার তথ্য দেননি তিনি। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ভূইয়া ও সায়েদুল হক সাঈদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সাক্ষরযুক্ত তালিকায় তালিকায় ত্রুটির কারণে। এছাড়া হলফনামায় আয়ের উৎস না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা মেহেদী হাসানের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে হলফনামায় মামলার কথ্য না থাকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ আবদুল খালেক, দলীয় সুপারিশপত্রের স্বাক্ষরে ঘষামাজা থাকায় বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, আয়কর রিটার্ন না দেয়ায় বিএনপির আরেক প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সিকদার, ক্রটিপূর্ণ হলফনামা ও নোটারী না করায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী জেসমিন নূর বেবী, আয়কর রিটার্নের সনদ সত্যায়ন না করায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী কে.এম জাবির এবং এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সাক্ষরযুক্ত তালিকায় ত্রুটি থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কবির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া এসব প্রার্থী আগামী তিনদিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন। এরপর ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিএ-১৬/০২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

খালেদা জিয়ার বিগত নির্বাচনের ফলাফল কি বলে?

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না – বিষয়টি এখন অনেকটাই নিশ্চিত।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এ প্রথমবারের মতো তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হলেন।

বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে আসার পর থেকে খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি।

খালেদা জিয়া নিজ দলের নেতৃত্বে যেমন দিয়েছেন, তেমনি নির্বাচনের মাঠেও তাঁর সাফল্য শতভাগ।

বাংলাদেশে ১৯৯১ সাল থেকে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি ।

গত প্রায় তিন দশক ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।

নির্বাচনে খালেদা জিয়া কখনোই পরাজিত হননি।

গত ২৮ বছরের মধ্যে এ প্রথমবারের মতো খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন।

খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই বিতর্ক চলছিল।

কিন্তু তারপরেও বিএনপির তরফ থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সাজা হলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনটি সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রতিবারই পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন এবং সবগুলো আসনে তিনি জয়লাভ করেছেন।

এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত একতরফা নির্বাচনেও খালেদা জিয়া প্রার্থী ছিলেন।

এরপর ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করে তিনটিতে জয়ী হন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছিল বিএনপি।

সে নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পেলেও খালেদা জিয়া নির্বাচনে জয়লাভ করতে কোন অসুবিধা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনেও খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন।

এসব আসন হচ্ছে – ফেনী ১. বগুড়া ৬ ও বগুড়া ৭। কিন্তু দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হবার কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়েন তিনি।

খালেদা জিয়ার অতীত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা দেখা যায়, তিনি বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং চট্টগ্রামের আসন থেকে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এছাড়া ১৯৯১ সালে ঢাকার একটি আসন থেকে এবং ২০০১ সালে খুলনার একটি আসন থেকে ভোটে লড়েছেন তিনি।

নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুধু জয়লাভ করাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে খালেদা জিয়ার ভোটের ব্যবধানও ছিল বেশি।

এসএইচ-২১/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিবিসি)

পটুয়াখালীতে জাপা মহাসচিবসহ ১১ জনের মনোনয়ন বাতিল

পটুয়াখালীতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও বিএনপিতে যোগ দেওয়া গোলাম মাওলা রনিসহ ১১ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জেলার চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. মতিউল আলম চৌধুরী।

পটুয়াখালী-১(সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী): ঋণ খেলাপি হওয়ায় পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে এনপিপির সমুন সন্নামত, জাকের পার্টির আবদুর রশীদ, স্বতন্ত্র আবুল কালাম আজাদ, খবির উদ্দীন ও রেজা হাওলাদারের মনোননয়ও বাতিল করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) : এ আসনে বিএনপির শহিদুল আলম তালুকদার, স্বতন্ত্র ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মিজানুর রহমান খান ও আবু নাঈম মল্লিকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) : এ আসনে আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া গোলাম মাওলা রনি ও বিএনপির শাহজাহান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) : এই আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি।

পটুয়াখালীর চারটি আসনে ৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন।

বিএ-১৫/০২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এনটিভি)

আ.লীগের বিদ্রোহীসহ ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে ২৫ জনের মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুই প্রার্থীও রয়েছেন।

রোববার সকাল ১০টা থেকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন।

প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা জমা না দেয়া ও স্বাক্ষর ত্রুটির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নবাব মো. শামসুল হুদা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও খুরশিদ আলম বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়ব আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত) ইয়াহিয়া খালেদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক জানান, দলীয় চিঠি দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আওয়ামী লীগের মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও খুরশিদ আলম বাচ্চুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সময় নিলেও দলীয় চিঠি দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বাছাইকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ. কে. এম তাজকির-উজ-জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাশরুবা ফেরদৌস, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আরিফুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কায়ছার মোহাম্মদসহ সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে ২৫ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে সাতজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ১০ জন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আটজন।

বিএ-১৪/০২-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)