রাত ১২:৫৮
বৃহস্পতিবার
৭ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২২ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১২ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

জামায়াত সেক্রেটারির বৈধ, ঋণখেলাপিতে বাতিল কায়সার হামিদ

ঢাকা-১৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আলোচনায় আসেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল।

রোববার ঢাকা জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ের যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনিসহ এই আসনে ১৩ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হেমায়েত উল্লাহ, আওয়ামী লীগের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি)আহমেদ সাজিদুল হক, জেএসডির শামসুল ইসলাম, পিডিপির শামসুল আলম, বিএনপির প্রার্থী ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মামুন হাসান (১৬৪টি মামলা আছে) ও জামায়াত সেক্রেটারি ডা. শফিকুর রহমান, বিকল্পধারার এইচএম গোলাম কায়সার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির আব্দুল মান্নান মিয়া ও শামসুল হক এবং বিএনএফের এসএম ইসলাম।

আর তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির মো. মুকুল আমিন (ঋণখেলাপি), স্বতন্ত্র মো. সলিমুদ্দিন (ভোটারদের ভুয়া স্বাক্ষর) ও আব্দুর রহিম (ভোটারদের ভুয়া স্বাক্ষর)।

ঢাকা-১৪ আসনে ৮ জনকে বৈধ এবং ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

বৈধ ঘোষণা করা প্রার্থীরা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবু ইউসুফ, সিপিবির রিয়াজউদ্দিন, জেএসডির কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগের এমপি আসলামুল হক, জাপার মুস্তাকুর রহমান, বিএনপির সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক ও মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জু এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. আনোয়ার হোসেন।

আর বাতিল ৫ জন হলেন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টেরশাহাজাদা সাইফুদ্দিন (হলফনামায় স্বাক্ষর), আজমীরা সুলতানা (জামানত দেননি), বিএনপির সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক (ঋণখেলাপি) এবং জাকের পার্টির সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ (ঋণখেলাপি)।

বিএ-১৩/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

অ্যাপলকে টপকিয়ে মাইক্রোসফট শীর্ষে

প্রযুক্তি বিশ্বে অ্যাপল কোম্পানিকে টপকিয়ে আবার শীর্ষে উঠে এসেছে মাইক্রোসফট।

জে গোল্ড অ্যাসোসিয়েটস’র প্রযুক্তি বিশ্লেষক জ্যাক গোল্ড বলেন, এই মুহূর্তে মাইক্রোসফট সকল প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।

মাইক্রোসফট তার ব্যবসা বহুমুখী করাসহ সফটওয়ার, উইন্ডোজ ও পিসি থেকে বিপুল আয় করছে।

২০১০ সালের পরে এই প্রথম অ্যাপলকে ছাড়িয়ে গেল মাইক্রোসফট ।

শুক্রবার ক্যাপিটাল মার্কেটে মাইক্রোসফট এর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৫১.২ বিলিয়ন ডলার, অ্যাপলের সম্পদ ৮৪৭.৪ বিলিয়ন ডলার,আমাজানের সম্পদ ৮২৬ বিলিয়ন ডলার এবং গুগল প্যারেন্ট অ্যালফাবেট’র সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬৩ বিলিয়ন ডলার।

এসএইচ-২০/০২/১২ (প্রযুক্তি ডেস্ক)

গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার মনোনয়নপত্র বৈধ, বিএনপির বাতিল

একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ এবং বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার।

রোববার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এই যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বিএনপির প্রার্থী সেলিমুজ্জামান সেলিম, এফ. ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ অন্যপ্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জ জেলার ৩টি আসনেরই মনোনয়নপত্র বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।

গোপালগঞ্জ-১ আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল আলম খান চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। গোপালগঞ্জ-২ আসনে ৫ জন প্রার্থীর সবারই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জিলানী ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী এ জেড অপু শেখে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরদার জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল আলম খান চৌধুরীর মনোনয়নপত্রে দাখিল করা ভোটারদের স্বাক্ষর ঠিক না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জিলানীর মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না থাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং একই আসনে এ জেড অপু শেখের প্রস্তাবক ও সমর্থনকারী এ জেলার ভোটার না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ৩ জন, বিএনপির ৬ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন, বাসদের ১ জন, এলডিপির ১ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩ জন।

বিএ-১২/০২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

যৌনকর্মীর কষ্টের কথা শুনে বিল গেটসের চোখে পানি

প্রাণঘাতী রোগ এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতে একাধিকবার ভারতে এসেছিলেন মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রধান বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। এইডসের আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকা যৌনকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন তারা। শোনেন তাদের জীবনের দুঃখগাঁথা। এক যৌনকর্মী বলেছিলেন, কেন তার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। সেকথা শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বিল গেটস।

বিল গেটসের এইডস প্রতিরোধ প্রকল্প আবাহনের সাবেক প্রধান অশোক আলেকজান্ডারের লেখা এক বইয়ে উঠে এসেছে এসব তথ্য। অশোক আলেকজান্ডার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আবাহনের প্রধান ছিলেন।

তিনি ‘এ স্ট্রেনজার ট্রুথ : লেসনস ইন লাভ, লিডারশিপ অ্যান্ড কারেজ ফ্রম ইন্ডিয়াস সেক্স ওয়ার্কারস’ বইয়ে ভারতের যৌনকর্মীদের জীবনের নানা কাহিনী, কীভাবে তাদের মধ্যে এইডস মহামারী রোধ করা সম্ভব হয়েছে, তাদের জীবন থেকে তিনি নিজে কী শিখেছেন সেসব তথ্য তুলে এনেছেন।

অশোক আলেকজান্ডার লিখেছেন, ভারত সফরের সময় বিল গেটস বাইরের কোনো বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। কেবল যৌনকর্মীদের সমস্যার কথা শুনতেন। তাদের বাড়িতে গিয়ে, ঘরের মধ্যে হাঁটু মুড়ে বসতেন।

যৌনকর্মীরা শোনাত, কীভাবে জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যানের শিকার হয়েছে, কী ভীষণ দারিদ্রের মধ্যে তারা জীবন কাটায় এবং তার মধ্যেও কেন আশা ছাড়ে না। অশোক আলেকজান্ডারের সিদ্ধান্ত, তাদের কথাগুলো নিষ্ঠুর সত্য; এতে সভ্যতার ছোঁয়া নেই।

২০০০ সালে ভারতে এসেছিলেন বিল গেটস। এসময় এক যৌনকর্মী বিল গেটসকে বলেন, তিনি মেয়ের কাছে লুকিয়ে রেখেছেন তার আয়ের কথা। মেয়ে স্কুলে পড়ত। কিন্তু হাইস্কুলে সহপাঠীরা একদিন জেনে যায় সে যৌনকর্মীর মেয়ে।

প্রত্যেকদিন স্কুলে তাকে নিয়ে ঠাট্টা করতো সহপাঠীরা। কেউ তাকে খেলতে নিতো না। একদিন ওই যৌনকর্মী বাড়িতে ফিরে দেখেন, মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। সে চিঠিতে লিখে গেছে, সহপাঠীদের বিদ্রুপ আর সহ্য হচ্ছে না।

অশোক আলেকজান্ডার লিখেছেন, ওই যৌনকর্মী যখন মেয়ের গল্প বলছে, তখন আমি দেখলাম, বিল গেটস মাথা নামিয়ে নিঃশব্দে কাঁদছেন। ২০০৩ সালে খুব দামি চাকরি ছেড়ে আবাহনে যোগ দেন আলেকজান্ডার। এরপরে নতুন এক জগতের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।

তিনি লিখেছেন, এটা হলো এমন এক জগৎ যেখানে ৫০ টাকায় নারী শরীর বিক্রি হয়। ১৪ বছরের কিশোরীরা মাদক ইঞ্জেকশন নেয়। এখানে ট্রান্সজেন্ডার ও তরুণ সমকামীরা আসা যাওয়া করে। আর আসে ট্রাক-ড্রাইভাররা। এখানে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত সাহসের সঙ্গে লড়াই করতে হয়।

এসএইচ-১৯/০২/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

চাঁদের উল্টো পিঠে মানুষ পাঠাচ্ছে চীন

চীন এবার চাঁদের উল্টো পিঠে মানুষ পাঠাচ্ছে। সেখানের মাটি, বরফের পুরু স্তর ইত্যাদি সম্পর্কে জানতেই এই অভিযান।

শীঘ্রই চীনা ল্যান্ডার ‘শাঙ্গে-৪’-এ করে মহাকাশে যাবেন গবেষকেরা। এর সঙ্গে যাবে একটি রোভারও।

চাঁদের যে দিকটি আমরা দেখতে পাই না, সেদিকের একটি কক্ষপথে ঘুরছে একটি চীনা উপগ্রহ। যার নাম- ‘শেকিয়াও’। কক্ষপথ থেকে এই উপগ্রহই নজর রাখবে ‘শাঙ্গে-৪’র ওপর।

চীনের ‘ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’র (সিএনএসএ) গ্রাউন্ড স্টেশন আর ‘শাঙ্গে-৪’র মধ্যে বার্তা বিনিময় করবে।

উপগ্রহটির নাম রাখা হয়েছে চীনা দেবী ‘শেকিয়াও’র নামে।

এসএইচ-১৮/০২/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

সোমবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর রাখবে ইসি

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজরদারি শুরু করছে নির্বাচন কমিশনও (ইসি)।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক বৈঠক শেষে রোববার এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া যেন নির্বাচনককেন্দ্রিক ব্যবহার না হয়। কোনও প্রোপাগান্ডা যেন কেউ না চালাতে পারে, এজন্য প্রশাসন ইতোমধ্যে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং শুরু করেছে। আমরাও সোমবার থেকে মনিটরিং করবো।

তিনি বলেন, এজন্য ইসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শাখার (আইসিটি) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি নিজস্ব মনিটরিং টিম করা হবে। এই টিম প্রশাসনের টিমের পাশপাশি কাজ করবে; গোয়েন্দা নজরদারিও থাকবে।

ইসি সচিব আরও বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেউ যেন নির্বাচন নিয়ে কোনও ফেক নিউজ না করতে পারে, তা প্রচার করা হবে। জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে কেউ যেন ফেক নিউজ না করে। ফেক নিউজের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেবো।

লালুদ্দীন আহমদ বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও অন্যান্য আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপপ্রচার রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য আমরা বিজ্ঞাপনও প্রচার করব।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে; ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার শুরু করবেন প্রার্থীরা আর ভোটগ্রহণ হবে ৩০ ডিসেম্বর।

বিএ-১১/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

প্রার্থীরা ইসিতে আপিল করতে পারবেন ৩ দিন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।

আপিলের ওপর শুনানি হবে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর।

নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, নির্বাচন কমিশন যদি আপিল বাতিল করে তবে সেই প্রার্থী আদালতেও যেতে পারবেন।

৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল ২৮ নভেম্বর।

আর রোববার ছিল মনোনয়ন যাচাই–বাছাই।

বিএ-১০/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সাকিবের কোন কথায় হাসলেন সবাই

সাকিবকে দলে পেয়ে পুরো দলের চেহারা যেনো বদলে যায়।সাকিবের সংবাদ সম্মেলন মানেই প্রশ্ন আর উত্তরের মাঝেই সব বিদ্যমান থাকে। উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পরেও একই ধারা বিদ্যমান থাকল। তবে শেষ মুহূর্তে হাসির রোল ফেললেন টাইগার দলপতি। অধিকাংশ সময় জুড়েই সাকিবের সামনে প্রশ্ন ছিল আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কেমন করবে তার দল।

ক্যারিবিয়ান সফরের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সাকিব জানান, পেসারদেরই মূল ভূমিকা নিতে হবে। আমরা ওখানে কোনো বিভাগেই জিততে পারিনি। সামনের সিরিজে প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলবো। তবে বাস্তবতা চিন্তা করলে যদি একটা টেস্ট ড্রও করতে পারি তবে তা অনেক বড় অর্জন হবে।

উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের অনুভূতি বলতে গিয়ে সাকিব বলেন, যত বড় ম্যাচই জিতি সে সব আসলে ততটা অনুভূতি দেয় না। একটা টেস্ট জেতার পর তার অনুভূতি সম্পূর্ণ আলাদা। পাশে থাকা মিরাজকে দেখিয়ে বলেন, গতকালই ওদের বলছিলাম, টেস্ট জয়ের চেয়ে বড় অনুভূতি হয় না। আর টেস্টের কথা চিন্তা করলেই একটা ভয় ভয় হয়। পাঁচ দিনের ম্যাচ। অনেক কষ্ট। তাছাড়া বয়সও বাড়ছে (হাসি)।৩১ বছর বয়সে নিজেকে বয়স্ক বলার পর নিজে তো হেসে দিয়েছেনই সেই সঙ্গে পুরো সংবাদ সম্মেলনে এসময় হাসির রোল পড়ে যায়।

তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে এবং অধিনায়কত্বে ১-০ তে সিরিজে এগিয়ে যায়। এরপর ঢাকা টেস্টে আবারো সেই চেনা সাকিব। যার বাঁহাতের ঘূর্ণি আর ব্যাটে ভর করে শক্ত ভিত্তি স্থাপন করে টাইগাররা।যার ফলে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেলো টিম টাইগার।

এসব বিষয় নিয়ে এবং নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খোলামেলা ভাবে সাকিব জানান, সত্যি কথা বলতে কি প্রথম টেস্টটা আমি খলতে চায়নি। এক মাত্র কোচের কারণেই আমি খেলেছি। তা না হলে আমি কখনোই খেলতাম না। আমাকে যতবার বলেছে, আমি ততোবার না করেছি। আমি পারবো না। কারণ আমার ঐ বিশ্বাসই ছিলো না।আপনারা যদি চট্টগ্রামে আমার বোলিং দেখেন আমি ওই সময় তিন কি চার ওভার বোলিং করেছি। কিন্তু কোচ আমাকে বলেছে তুমি ম্যাচ খেললেই ফিট হতে পারবা।

এরপর একটু হেসে আরো বললেন, পৃথিবীতে আমিই মনে হয় একমাত্র খেলোয়াড় যে ম্যাচ খেলার জন্য ম্যাচ খেলেই ফিট হই।কিন্তু একটা জিনিস ভালো হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ দলের জন্য যে ছোট ছোট কট্রিবেশন করতে পেরেছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।

প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-০তে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

এসএইচ-১৭/০২/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

‘আমার বোন সরকারে থাকা পর্যন্ত আমাকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না’

আমার বোন সরকারে

ঋণখেলাপের ঘটনায় টাঙ্গাইল ৪ ও ৮ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, তার বোন ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত তাকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।

২ ডিসেম্বর, রবিবার দুপুরে যাচাই-বাছাই শেষে টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি ইলেকশন কমিশনে আপিল করব। আমরা যখন ইলেকশন কমিশনে গিয়েছিলাম, তখন তারা বলেছিল, ইলেকশন কমিশন কখনো কোর্টে বাদী হবে না। আমি এটি দেখার জন্যই ইলেকশন কমিশনে যাব।’

বোন হিসেবে কারো নাম উল্লেখ না করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমার বোন সরকারে থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাকে মনে হয় ইলেকশন করতে দেওয়া হবে না। আমি চাই নির্বাচনটা ভালো হোক।’

‘আমার সংগ্রাম হচ্ছে ভোটার যেন ভোট দিতে পারে। দেশে যেন গণতন্ত্র অব্যাহত থাকে, দেশে যেন সুশাসন থাকে। এখন যে কুশাসন চলছে এই শাসন ভালো না। আমার নির্বাচনে দাঁড়ানো আর না দাঁড়ানো কোনো বড় কথা না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘যদি আমার দেশ প্রেম সত্য হয়, তাহলে বর্তমান সরকার ১৯ থেকে ২০টি সিট পাবে।’

আরএম-৩৫/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

জাকির নায়েক এ কি দাবি করছেন?

‘আমি ভারতের কোনো আইন ভঙ্গ করিনি। আমি ইসলামের শত্রুদের লক্ষ্য ছিলাম। আর এ কারণেই আমাকে বিতাড়িত করা হয়েছে’। কথাগুলো বলেছেন ইসলামী বক্তা, শিক্ষক ও ধর্ম প্রচারক ডাক্তার জাকির নায়েক। শনিবার উত্তর মালয়েশিয়ার পেরিলরাজ্যের কাঙ্গারে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

৫৩ বছর বয়সী এ ধর্মপ্রচারক বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। মুসলিম মহলে ইসলামের অনন্য সৈনিক হিসেবে পরিচিত ধর্ম প্রচারক জাকর নায়েক ভারতীয় নাগরিক। ‘পিস টিভি’র মাধ্যমে তিনি বিশ্বব্যাপী ইসলামী বক্তা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। অর্থপাচারসহ নানা অভিযোগে তাঁর টিভি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

জাকির নায়েক মালয়েশিয়ার পেরিলরাজ্যের কাঙ্গারের বক্তব্যে আরও বলেন, আমি কোনো ভারতীয় আইন ভঙ্গ করিনি। আমার অপরাধ ছিল-আমি ইসলাম ও শান্তির কথা প্রচার করছিলাম। আমি মানবজাতির বিভিন্ন সমস্যা ও প্রশ্নের সমাধান দিচ্ছিলাম।

তবে যারা চায় না যে, মানুষ শান্তিতে থাক, তারা আমাকে পছন্দ করত না। আর সেসব মানুষেরই লক্ষ্য ছিলাম আমি। যে কারণে আমাকে সেখান থেকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাড়ানো হয়েছে।

কাঙ্গারে বক্তব্যকালে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা অনুসরণ করার জন্য নায়েক নিজেকে মৌলবাদী বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি একজন মুসলিম হিসেবে নিজেকে মৌলবাদী বলে গর্ব করি।

এসএইচ-১৬/০২/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)