সকাল ৯:৩০
মঙ্গলবার
৫ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২১ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১০ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

যে কারনে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল

দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফেনী-১ আসনের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ফেনীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এই খবর নিশ্চিত করেছেন। ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, “খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ক প্রতিবেদন এসেছে আমাদের হাতে। তার ভিত্তিতেই খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।”

“পুলিশ আমাদের কাছে যে তথ্য দিয়েছে তা অনুযায়ী, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দশ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত এবং জিয়া চ্যারিটেবল মামলা হিসেবে পরিচিত মামলায় তিনি ৭ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত।”

“সেকারণে ১৯৭২ সালের গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ এর অনুচ্ছেদ ১৪ এর বিধান মোতাবেক খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে”, নিশ্চিতদ করেন মি. ওয়াহিদুজ্জামান। খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

বিএনপির নেতারা আশা করছিলেন যে, তাদের নেত্রী ‘নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন’ এবং সেজন্যে তাকে পাঁচটি আসনে মনোনয়নও দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একক একটি বেঞ্চ দুটি দুর্নীতির মামলায় সাবিরা সুলতানা নামে একজন বিএনপি নেত্রীকে নিম্ন আদালতের দেয়া মোট ছ’বছরের কারাদন্ডের সাজা স্থগিত করেছিলেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মতে, হাইকোর্টের রায়ে সাজা স্থগিত হবার পর দন্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিতও হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন – এমন দৃষ্টান্ত আছে। তাই বৃহস্পতিবারের রায়ের ফলে ‘খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য সাজাপ্রাপ্ত রাজনীতিকরা হয়তো নির্বাচন করতে পারবেন’ এমন সম্ভাবনা তৈরি হয় ।

কিন্তু শনিবারই সরকারের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।

কয়েকদিন আগে বিএনপির পাঁচজন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে তাদের সাজা ও দণ্ড স্থগিত করার জন্যে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন।

তখন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ তাদের আবেদন খারিজ করে রায় দিয়েছিল যে কারো দু’বছরের বেশি দণ্ড বা সাজা হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলছেন, “সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে নৈতিক স্খলনের কারণে কেউ যদি দুই বছর কিম্বা তারও বেশি সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।”

এসএইচ-০৪/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

কোর্টনি ওয়ালশ জুমার নামাজ পড়েছিলেন!

খেলার মাঠে নামায পড়া এটা নতুন কোনো দৃশ্য নয়। এর আগে খেলার মাঠে মুসলিম ক্রিকেটারদের নামায আদায় করার এমন দৃশ্য ক্রিকেট মহল অনেকবারই দেখেছেন। বিশেষ করে আফগান বা পাকিস্তান ক্রিকেটাঙ্গণে সচরাচর দেখা যাচ্ছে খেলা বন্ধু করে আল্লাহ তালায়ার এই হুকুমটা পালন করে। আল্লাহ তায়ালার ফরজ করা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজগুলো। কিছুতেই মিস করেছেন না বিশ্বক্রিকেটাঙ্গনে কোনো মুসলিম ক্রিকেটার।

আত্মশুদ্ধির জন্য নামাজ বেশ বড় ব্যাপার। শুধু তাই নয়, যে কোনো কাজে মনোযোগ বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। খোদাভীরু কিংবা নামাজী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের রয়েছে বেশ সুনাম। পারতপক্ষে কেউই সময়ের নামাজ মিস করেন না। এমনকি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকলেও বিরতির ফাঁকে ঠিকই সময় বের করে নামাজ আদায় করে নেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

এর ব্যতিক্রম নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি সিরিজেও। ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি শুরুই হয়েছে শুক্রবার তথা জুমার দিন। স্বভাবতই ম্যাচের চা বিরতির সময় খেলোয়াড়রা সময় করে আদায় করেছেন জুমার নামাজ। কিন্তু এই শুক্রবারের জুমায় ঘটেছে আশ্চর্যজনক এক ঘটনা।

বাংলাদেশ দলের সাথে এদিন জুমার নামাজ আদায় করেছেন দলের পেস বোলিং কোচ, ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী কোর্টনি ওয়ালশও। দলের অন্যদের দেখাদেখি তিনিও নিয়ম মেনেই ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে আদায় করেছেন জুমার নামাজ। শনিবার বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন এ তথ্য।

সাধারণত খেলা কিংবা অনুশীলন থাকলে শুক্রবারের জুমা পড়তে বিসিবির একাডেমী লাউঞ্জে চলে যান ক্রিকেটাররা। সেখানে প্রায় ২০০ জন একত্রে নামাজ পড়তে পারেন। বিসিবির নিয়োগ করা নিজস্ব ইমামই ইমামতি করেন ওই জামাতের।

আগের নিয়ম মেনে এই শুক্রবারও ঠিক করা হয়েছিল দিনের চা বিরতির সময় (বেলা ২টা ১০ মিনিট) একাডেমি লাউঞ্জে জুমার নামাজের সময়; কিন্তু ওই সময়ের কিছুক্ষণ আগে স্থান পরিবর্তন করে ফেলা হয় দল থেকে।

একাডেমি লাউঞ্জের পরিবর্তে জুমার নামাজের ব্যবস্থা করা হয় বিসিবির মূল ভবনেই। ভবনের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হাতের ডানদিকে তুলনামূলক ছোট একটি জায়গায় একসঙ্গে ৩৫-৪০ জনের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।

সেখানেই চিরাচরিত প্রথা ভেঙ্গে, দলের সাথে জুমার নামাজ আদায় করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন জ্যামাইকান কিংবদন্তী ও বাংলাদেশ দলের বর্তমান বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। কেন তিনি এমন কাজ করলেন এর কোনো কারণ জানা যায়নি। হয়তো বা কৌতুহল বশতই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে জুমার নামাজে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

এসএইচ-০৩/০২/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বিয়ের জন্য ঘর পালানোর সিদ্ধান্ত কোনালের!

বিয়ের জন্য ঘর

কণ্ঠশিল্পী কোনাল পালিয়ে বিয়ে করেছেন কিংবা আবারও বিয়ের জন্য ঘর পালানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, বিষয়টি আসলে কী? কেন সে ঘর পালানোর কথা ভাবছেন? এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলো সুরেলা কণ্ঠের এই গায়িকার কাছেই।

কোনাল জানান, ঘর পালিয়ে কিছু করছি না। ঘরের মধ্যে থেকেই কাজ করছি। ঘর পালানোর বিষয়টি হচ্ছে আমার নতুন গান। যার শিরোনাম ‘ঘর পালানোর গান’।

সম্প্রতি কোনালের নতুন গান ‘ঘর পালানোর গান’ ইউটিউবে প্রকাশ হয়েছে। ‘বৃষ্টি এলো নুপুর পায়ে, মনে উঠল বান/ বাজল প্রাণে পাগল পাড়া, ঘর পালানোর গান’ কথার গানটি লিখেছেন ও সুর-সঙ্গীত করেছেন আহমেদ রাজিব।

এদিকে, নতুন গানের পাশাপাশি নিয়মিত প্লেব্যাক করে যাচ্ছেন কণ্ঠশিল্পী কোনাল। আজ ইমন সাহার সুর-সঙ্গীতে চলচ্চিত্রের একটি গানে কণ্ঠ দেবেন বলে জানান এ শিল্পী।

কোনাল বলেন, ‘আজ একটু পরে ইমন সাহা দাদার স্টুডিওতে যাব। সেখানে চলচ্চিত্রের একটি গানে কণ্ঠ দেব।’

আরএম-০১/০২/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

মৃত্যুর পরও মানুষ চারপাশের কথা শুনতে পায়!

হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, তা হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘মৃত’ মানুষটির মস্তিষ্ক সজাগ থাকে।

নিউ ইয়র্কের ‘স্টোনি ব্রুক ইউনিভারসিটি স্কুল অফ মেডিসিন’ এর গবেষকরা জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রটি বন্ধ হয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু ‘মৃত’ ব্যক্তি আর কিছুক্ষণ বুঝতে ও শুনতে পান চারপাশের কথাবার্তা-আওয়াজ। কেননা, মৃত ব্যক্তির মস্তিষ্ক তখনও সজাগ। মৃত্যুর পর এমনই হয় জানান গবেষকরা।

সাধারণত, যখন কোন মানুষের হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখনই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এবং হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, তা হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘মৃত’ মানুষটির মস্তিষ্ক সজাগ থাকে। তার পাশের মানুষজন কি কথা বলছে, সবই গ্রহণ করে তার মস্তিষ্ক।

কিন্তু, কতক্ষণ পর্যন্ত মস্তিষ্ক কাজ চালিয়ে যায় তা নিয়ে দুইটি মত পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মত দেন এটি ৭ মিনিট। আরেকটি দল বলছেন এটি ১০ মিনিট। এই দলের সবাই একমত হয়েছেন যে ১০ মিনিটের বেশি মস্তিষ্ক সজাগ থাকে না।

এদিকে বলা হয়ে থাকে, কোন মানুষ যদি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন, তাহলে সেই কথোপকথন পুরোটাই তার মনে থেকে যায়।

আর চিকিৎসাশাস্ত্রে এই ফিরে আসাকে বলা হয় ‘নিয়ার ডেথ এক্সপিরিয়েন্স’ (এনডিই)। এটার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ অনিতা মুর্জানি। যিনি ৩০ দিন কোমায় থাকার পরে ফিরে এসেছিলেন সুস্থ জীবনে। তার সেই অনুভূতি ব্যক্ত হয়েছিল ‘ডাইং টু বি মি’ বইটিতে।

নিউ ইয়র্কের গবেষক দলের প্রধান স্যাম পার্নিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মৃত্যুর এত কাছ থেকে ফিরে আসা মানুষজনের মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তারা ব্যক্তিজীবনে অনেক বেশি পজেটিভ হয়ে যায়। অন্য মানুষের প্রতি অনেক বেশি সংবেদনশীলও হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। বলে জানিয়েছেন ওই গবেষকরা।

এসএইচ-০২/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় এগিয়ে আসতে থাকে

বছর ঘুরে আবার এসেছে বাঙালীর অহংকার বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালী তার আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও স্বাধীন পতাকা পেয়েছিল যে মাসে, তার নাম ডিসেম্বর। বিজয়ের ৪৭ বছর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের এ বিজয় শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এর পেছনে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের রক্ত ও মহান আত্মত্যাগ।

মুক্তিপাগল বাঙালী জাতি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই ডিসেম্বরেই ছিনিয়ে আনে হাজারো বছরের লালিত স্বপ্ন প্রিয় স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পায় লাল-সবুজের রক্তস্নাত স্বাধীন পতাকা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাই ডিসেম্বর হচ্ছে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নতুন জাতি ও ভূখন্ডের স্বীকৃতি আদায়ের মাস। ২৪ বছরের পাকিস্তানী শাসন-শোষণকে পদানত করে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলার দামাল সন্তানরা ছিনিয়ে আনা বীরত্বগাথা বিজয় অর্জনের মাস।

৪৭ বছর আগের ২ ডিসেম্বর। একাত্তরে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর যতই এগিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় যেন ততই এগিয়ে আসতে থাকে। কিন্তু পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে চরম নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতায় মেতে ওঠে হিংস্র পাকহানাদার বাহিনীরা। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের দিকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জেনারেল নিয়াজি তার রাজাকার, আলবদর ও সেনাবাহিনীকে দেশের চারদিকে ছড়িয়ে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালাতে। কিন্তু তখনও হানাদার বাহিনী বুঝতে পারেনি তাদের পতন অত্যাসন্ন।

একাত্তরের রক্তক্ষরা এই দিনে গেরিলা আক্রমণ থেকে সম্মুখযুদ্ধের গতি বাড়ে। অপ্রতিরোধ্য বাঙালীর বিজয়রথে পাকবাহিনীর নিষ্ঠুর সব পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে থাকে। পরাজয়ের আভাস পেয়ে তৎকালীন পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন মরিয়া হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে একটি চিঠি পাঠান। ইয়াহিয়া তার চিঠিতে যুদ্ধকালীন সাহায্যের আশায় ১৯৫৯ সালের পাক-মার্কিন দ্বিপক্ষীয় চুক্তির এক অনুচ্ছেদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। সীমান্ত এলাকায় পাক জান্তারা সমরসজ্জা বৃদ্ধি করায় ভারতও তা মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়।

ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই ত্রিমুখী যুদ্ধের আশঙ্কা ক্রমেই প্রবল হয়ে উঠতে থাকে। এসব দেখেশুনে ভারত সরকার বুঝেছিল, পাকিস্তান যুদ্ধ করবেই। ভারত তখন যে রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা বা আশা একেবারে ছেড়ে দিয়েছে তা নয়। কিন্তু রাজনৈতিক সমাধানের সঙ্গে সঙ্গে ভারত সামরিক প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছিল। পশ্চিমের প্রস্তুতি দেখে এবং নাশকতামূলক কাজের লোক ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত মোটামুটি পরিষ্কার বুঝে ফেলে পাকিস্তান রাজনৈতিক সমাধানের দিকে যাবে না, বরং লড়াই-ই করবে। তাই তখন থেকে ভারতের প্রস্তুতিও জোরদার হয়েছিল।

অন্যদিকে বীর বাঙালীর গেরিলা আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে পাক সৈন্যরা। যতই সময় গড়াচ্ছিল গেরিলা আক্রমণ ততই প্রবল হতে থাকে। পাক সেন্যদের হাতে তখনও আধুনিক অস্ত্র-গোলাবারুদ মজুদ থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল গেরিলা আক্রমণের মাধ্যমে পরাস্ত করতে থাকে। মুক্তিপাগল বাঙালীর অকুতোভয় লড়াইয়ে পাক হানাদারদের রাতে চলাফেরাও কঠিন হয়ে পড়ে। নিয়াজি বুঝতে পারে, এবার বড় ধরনের কিছু করতে না পারলেই নয়। তাই মার্কিন সাহায্য নিশ্চিত, নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি, রাজাকার-আলবদর-আলশামসসহ এ দেশীয় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে নিয়ে ব্যাপক নিধনযজ্ঞ চালানোর জঘন্য পরিকল্পনা আঁটতে থাকে কসাই নিয়াজি।

এসএইচ-০১/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

খালেদা জিয়ার অায় কত?

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাৎসরিক আয় ১ কোটি ৫২ লাখ ৪১ হাজার ১২৭ টাকা। সে হিসেবে তার মাসিক আয় ১২ লাখ ৭০ হাজার ৯৩টাকা ৯২ পয়সা। তিনি বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ব্যাংকে আমানত থেকে এ আয় করে থাকেন।

তার সম্পত্তির পরিমান ৫৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০০ টাকা।

নগদ, যানবাহন, স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, আসবাব পত্র, অকৃষি জমির মূল্য হিসেবে তিনি তার হলফ নামায় এ মূল্যের সম্পদ দেখিয়েছেন।। এছাড়া অর্জনকালীন ১০০ টাকা মূল্যে গুলশানে একটি বাড়ি আর ৫ টাকা মূল্যের ক্যান্টমেন্টের বাড়িও সম্পদের তালিকায় দেখিয়েছেন। তবে ক্যান্টমেন্টের বাড়ি দখলে নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার ঋণও রয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

যা আছে খালেদা জিয়ার হলফনামায়

বেগম খালেদা জিয়া তার হলফনামায় লিখেছেন— স্বামীর নাম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, মাতার নাম তৈয়বা মজুমদার। ঠিকানায় লিখেছেন বাড়ী নম্বর ১, রোড নম্বর ৭৯, গুলশান-২ (বর্তমান অবস্থান কেন্দ্রীয় কারাগার, নাজিমুদ্দিন রোড ঢাকা)।

শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে তিনি লিখেছেন-স্বশিক্ষিত।

মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন— তার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে ৭টি মামলা বিচারাধীন। চারটি মামলা পেন্ডিং আর অন্যগুলো স্থগিত রয়েছে।

পেশার বিবরণীতে লিখেছেন— বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল- বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাবলী পরিচালনা করা।

বেগম খালেদা জিয়া বছরে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় করেন ৬৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ব্যাংকে আমানত থেকে আয় ৮৫লাখ ৯ হাজার ৮১৩টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলদেরও আয় প্রজোন্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন। বছরে তার মোট আয় ১ কোটি ৫২ লাখ ৪১ হাজার ১২৭ টাকা। মাসে তার আয় ১২ লাখ ৭০ হাজার ৯৩টাকা ৯২ পয়সা।

নগদ হাতে আছে ৫০ হাজার ৩শ টাকা। যানবাহন হিসেবে ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার দু’টি টয়োটা জিপ রয়েছে। সোনা আছে ৫০ তোলা (জহুরতসহ)। এছাড়া ৫লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ২লাখ ৬০ হাজার টাকার আসবাব রয়েছে।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ১২ হাজার ৩শ টাকা মূল্যর ৮ শতাংশ অকৃষি জমি। অর্জনকালীন ১০০ টাকা মূল্যে গুলশানে একটি বাড়ি আছে। আর ৫ টাকা মূল্যের ক্যান্টমেন্টের বাড়ি দখলে নেই।

ব্যাংকে তার বিরুদ্ধে কোনো ঋণ নেই। তবে বাড়ি ভাড়া বাবাদ ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে তার।

এসএইচ-৩৩/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক,তথ্য সূত্র : পরিবর্তন)

রাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র নেতাদের উপর ছাত্রলীগের হামলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রগতিশীল ছাত্র নেতাদের উপর হামলা হয়েছে। প্রক্টরের উপস্থিতিতেই শনিবার বেলা ৩টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এই হামলা চালান। এতে সাংবাদিকসহ দুইজন আহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এই মিলনায়তনে বাণিজ্যিক সিনেমা প্রদর্শণী বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন প্রগতিশীল ছাত্র নেতারা। আর সেখানে সংবাদ সংগ্রহে ছিলেন এক সাংবাদিক। এ ঘটনার পরও সিনেমা প্রদর্শণীর বিষয়ে অনড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আহতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও খোলা কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আলী ইউনূস হৃদয় ও শাখা ছাত্র ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র মোহন্ত। এদের মধ্যে মোহন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এছাড়া মারধরের শিকার হন, রাবি প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক মহব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিল হোসেন, ছাত্র ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক ইসরাফিল, কর্মী রাশেদ রিমন, আশরাফুল আলম।

হামলায় অংশ নেন- রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুষ্ময়, ইমরান খান নাহিদ ও ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস মোহাম্মদ শ্রাবণ।

রাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র নেতাদের উপর ছাত্রলীগের হামলাপ্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন থেকেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আপত্তি, বিক্ষোভ, গানে গানে প্রতিবাদ থাকার পরও বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন বাণিজ্যিক সিনেমা প্রদর্শন নিয়ে অনড় অবস্থান থাকে।

সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার বিকেল সাড়ে ১২ টায় বাণিজ্যিক ছবি না চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে মিলনায়তনের সামনে অবস্থান প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেই শিক্ষার্থীদের তোয়াক্কা না করে সেখানে ছবি চলতে থাকে।

এরপর বিকেল সাড়ে ৩ টায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকে সেখানে অবস্থান করতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানের উপস্থিতেতে হঠাৎ করে মারধর করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ভুক্তভোগী আলী ইউনুস হৃদয় বলেন, আন্দোলন কারীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আন্দোলনকারীদের একজন আমার পিছনে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় সাবরুন জামিল সুষ্ময়ের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী আমার কোমরে সজোরে লাঠি মারে।

ছাত্রলীগ নেতা সাবরুন জামিল সুষ্ময় মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করলেও ভিডিওতে সাংবাদিক হৃদয়কে মারধর করতে দেখা গেছে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু সেই সময় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান খান নাহিদ দাবি করেন, সিনেমা প্রদর্শণী নিয়ে পরিস্থিতি উত্ত্যপ্ত হয়, আন্দোলনকারীরা প্রক্টরের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। শাখা ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করেছে।

সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, টানা হেছড়া হয়েছে। তবে সাংবাদিক মারধরের বিষয়ে জানিনা। যেহেতু শুনলাম সেহেতু দেখছি বিষয়টি।

যদিও প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান দাবি করেছেন, ‘আমাকে কেউ লাঞ্চিত করেনি। তবে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরে আর কিছু জানিনা।’

এছাড়া প্রদর্শনী বন্ধ হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রদর্শনী চলবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতিতে কর্মরত সাংবাদিকেরা।

বিএ-১১/০১-১২ (শিক্ষা ডেস্ক)

ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করলো এফবিআই

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইন্টিলিজেন্স (এফবিআই) এর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করেছেন।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে তারা কারাগারের ভিতরে ঢুকেন। প্রায় ৫০ মিনিট সেখান অবস্থান করে তারা বেরিয়ে যান।

জানা যায, নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে বাংলাদেশের আসছে এফবিআইয়ের এক প্রতিনিধি দল তাই তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পরিদর্শন।

কারা সূত্র জানায়, নাইকো মামলায় সাক্ষী দিকে এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা ১১ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছাবেন। পরদিন ১২ ডিসেম্বর কোর্টে হাজির হবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া করাগারে থাকায় সেখানে অস্থায়ী আদালত বসানো হয়েছে। তাই সেখানেই নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে।

গত ২২ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় কানাডীয় পুলিশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবিরের আদালতে এ তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমে। এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলাটি ৩ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন।

পরের বছরের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

বিএ-১০/০১-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

শেখ হাসিনার আয় কত?

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাৎসরিক আয় ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৪ হাজার টাকা। কৃষিখাত, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া, ব্যবসা (রয়্যালিটি বাবদ), শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত, চাকরি (সম্মানী ভাতা) ও অন্যান্য খাত থেকে তিনি এ আয় করে থাকেন। সে হিসেবে তার মাসিক আয় ৬লাখ ৪৫ হাজার ৭৮২ টাকা ৮৩ পয়সা।

এছাড়া তার সম্পত্তির পরিমান ৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭৮ টাকা।

হাতে নগদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয় পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ, দানে প্রাপ্ত গাড়ি, অলংকার, ও আসবাবপত্র এবং কৃষি জমির মূল্য হিসেবে তিনি তার হলফ নামায় এ মূল্যের সম্পদ দেখিয়েছেন।

এছাড়া তার কোনো দায়-দেনা-ঋণ নেই।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

যা আছে শেখ হাসিনার হলফনামায়

হলফনামায় শেখ হাসিনা তার স্বামীর নাম উল্লেখ করেছেন এম. এ. ওয়াজেদ, মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, ঠিকানায় লিখেছেন বাসা-৫৪, রাস্তা-৫, ধানমন্ডি আ/এ, নিউমার্কেট, ঢাকা।

নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৬ ও গোপালগঞ্জ-৩। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্য বিএ পাস। বর্তমানে কোনো ফৌজদারী মামলা নেই তার। অতীতে ১৬টি মামলা দায়ের হয়েছিল।

শেখ হাসিনা তার আয় উল্লেখ করেছেন— কৃষিখাত থেকে ৩লাখ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় ১লাখ ৩৮ হাজার ৬২৫টাকা। ব্যবসা (রয়্যালিটি বাবদ) থেকে আয় ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আয় ১২ লাখ টাকা।

পেশা থেকে আয় উল্লেখ নেই। চাকরি (সম্মানী ভাতা) থেকে আয় ১৬লাখ ৩৮ হাজার টাকার। অন্যান্য খাত থেকে আয় দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬০টাকা। বছরে মোট আয় ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে মাসে আয় করেন মোট ৬লাখ ৪৫ হাজার ৭৮২ টাকা ৮৩ পয়সা।

নির্ভরশীলদের আয়ের তথ্যের ঘরে প্রযোজ্য নয় লেখা হয়েছে।

শেখ হাসিনার সম্পদের বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে— নগদ টাকার পরিমাণ ৮৪ হাজার ৫৭৫ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা নেই। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ৭ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৩০৩ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয় পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৫লাখ টাকা। দানে প্রাপ্ত ৬লাখ টাকার যানবাহন থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন। অলংকার রয়েছে ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার। এছাড়া ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে তার হলফ নামায়।

এছাড়া ৬লাখ ৭৮ হাজার টাকার (অর্জিত সময়ের মূল্য) ৬ একর কৃষি জমি আছে। অর্জিত সময়ের মূল্যের অকৃষি জমি রয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। এছাড়া তার কোনো দায়-দেনা-ঋণ নেই।

হলফনামায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে— ১২টি মামলায় অব্যহতি পেয়েছেন। একটি খারিজ হয়েছে। দু’টি মামলার বিবরণীতে লেখা হয়েছে- অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে তা সিএমএম আদালত ঢাকা কর্তৃক গৃহীত হয়। অন্যটির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে- এজাহারে নাম ছিল না। চার্জশিটে নাম অন্তর্ভূক্ত করা হলে আদালতের নির্দেশে পুনঃতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

এসএইচ-৩২/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক,তথ্য সূত্র : পরিবর্তন)

প্রেমিকার জন্য বন্ধুকে খুন করে বাবাকে এসএমএস!

বন্ধু জয়ের (১৫) প্রেমিকাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করার জেরে খুন হয় পাবনার জেএসসি পরীক্ষার্থী আশিক মাহমুদ ওরফে অনি বাবু (১৪)। ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় জয় একাই বাবুকে কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে আরেক বন্ধুকে ডেকে হলুদ ক্ষেতের মধ্যে গর্ত করে পুঁতে রাখে বাবুর মরদেহ। জয়ের পরিচিত এক ভ্যানচালক বাবুর মরদেহ বহন করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে দুইদিন আগে গ্রেফতার হওয়া জয়।

এদিকে, জেএসসি পরীক্ষার্থী বাবু হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে শনিবারও সদর উপজেলার দুবলিয়া বাজারে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

নিখোঁজের চারদিনের মাথায় শুক্রবার বাবুর মরদেহ সদর উপজেলার দুবলিয়া পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন হলুদ ক্ষেতের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত আশিক মাহমুদ অনি বাবু দুবলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রবিউল প্রামাণিকের ছেলে। এ বছর দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দেয় সে। মরদেহ উদ্ধারের পরপরই বাবুর বন্ধু জয় এবং সাব্বিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বন্ধুকে হত্যার কথা স্বীকার করে জয়।

জয়ের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, জয় একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাবার দোকান থেকে বাবু বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়।

কিন্তু বাড়িতে না গিয়ে বন্ধু জয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মেহগনি বাগানের জঙ্গলে যায় বাবু। এখানে তারা নিয়মিত নেশা করতো। ওইদিন নেশার একপর্যায়ে জয়ের মোবাইলে প্রেমিকার ছবি দেখে অশ্লীল মন্তব্য করে বাবু।

প্রেমিকাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করায় ক্ষিপ্ত হয় জয়। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে বাবুকে কুপিয়ে হত্যা করে জয়। পরে জয় তার এক বন্ধুকে মোবাইলে ডেকে আনে। সেই সঙ্গে পরিচিত এক ভানচালকের সহায়তায় বাবুর মরদেহ হলুদ ক্ষেতে নিয়ে মাটি খুঁড়ে চাপা দিয়ে রাখে।

পরে হত্যাকাণ্ড ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে জয় ওইদিনই রাত ৮টা ১৭ মিনিটে বাবুর মোবাইল থেকে তার বাবা রবিউল প্রামাণিকের মোবাইলে এসএমএস পাঠায়। সেখানে লিখেছে, ‘আব্বু আমার ভালো লাগছে না। আমি ঢাকায় চলে যাচ্ছি। তোমরা ভালো থাকো।’

বাবুর মরদেহ উদ্ধারের পর বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। এ ঘটনায় জয়ের অপর বন্ধু এবং ভ্যানচালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

বিএ-০৯/০১-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)