ভোর ৪:৪৬
মঙ্গলবার
৫ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২০ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১০ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

বীরপ্রতীক তারামন বিবির দাফন সম্পন্ন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় একাত্তরের রণাঙ্গনের বীরকন্যা বীরপ্রতীক তারামন বিবির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে বাদ জোহর মরহুমাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অর্নার প্রদান করা হয়। পরে উপজেলার কাচারীপাড়া গ্রামে তার পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।

এসময় উপস্থিত থেকে বীর প্রতীক তারামন বিবিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী বীর বিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা মেজর তাজ, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম টুকু, গণজাগরন মঞ্চের উদ্যোক্তা ইমরান এইচ সরকার, সাবেক এমপি জাকির হোসেনসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বীর প্রতীক তারামন বিবি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস, ডায়েবেটিস আর শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন। গত ৮ নভেম্বর রাজীবপুর থেকে নিয়ে ময়মনসিংহ সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) ভর্তি করা হয় তাকে।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয় তারামন বিবিকে। সেখানে চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সপ্তাহখানেক আগে তাকে রাজীবপুরের বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

স্বজনরা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তারামন বিবির শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়। তখন তাকে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বাড়িতেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তারামন বিবি।

এসএইচ-২৯/০১/১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

মাশরাফি-তামিম প্রস্তুতি ম্যাচের দলে

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে ৯ ডিসেম্বর। তার আগে ৬ ডিসেম্বর বিকেএসপিতে একদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে বিসিবি একাদশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।

প্রস্তুতি ম্যাচটির জন্য শনিবার ১৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ম্যাচটিতে বিসিবি একাদশকে নেতৃত্ব দিবেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এছাড়া এম্যাচে খেলবেন ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকা তামিম ইকবালও।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর একরকম খেলার বাইরেই ছিলেন মাশরাফি। ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে দিন তিনেক ধরে অনুশীলন করে যাচ্ছেন। তবে মূল সিরিজের আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিতে চেয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যিনি অংশ নিতে যাচ্ছেন।

এদিকে তামিম ইকবাল এশিয়া কাপের পর থেকে দলের বাইরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ফেরার কথা থাকলেও সাইড স্ট্রেইন ইনজুরিতে পড়ে আর ফিরতে পারেননি। ম্যাচ প্র্যাকটিসের জন্য প্রন্তুতি ম্যাচে খেলতে চেয়েছেন তিনিও।

এই দলে রাখা হয়েছে সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন ও রুবেল হোসেনকেও। আছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তৌহিদ হৃদয়, আকবর আলি, মুত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও শাহিন আলম।

বিসিবি একাদশ:

মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, তৌহিদ হৃদয়, আরিফুল হক, আকবর আলি, রুবেল হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, শাহিন আলম, মেহেদি হাসান রানা, নাজমুল ইসলাম অপু।

এসএইচ-২৮/০১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মাত্র ১০০ তোলা সোনার মালিক পার্থ!

বাবা নাজিউর রহমান মঞ্জু, প্রভাবশালী রাজনীতিক ছিলেন। জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) হাল ধরেন ছেলে ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ। বাবার দেখানো পথে তিনিও সংসদে গেছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদে পার্থ ভোলা-১ আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। গত ২৮ নভেম্বর তিনি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

অবাক করার ব্যাপার, প্রভাবশালী এই রাজনীতিক তার হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের তালিকায় মাত্র ১০০ তোলা স্বর্ণ আছে বলে তথ্য দিয়েছেন। আবার সেটির বাজারও মূল্য তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন।

পেশায় আইনজীবী হলেও আন্দালিভ রহমান পার্থের রয়েছে ব্যবসা। সেটি থেকে তিনি বিগত এক বছরের আয় করেছেন ৬ লাখ ৭ হাজার ৬৯৬ টাকা। আইন পেশা থেকে আয় ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪ টাকা।

হলফনামায় পার্থ তার হাতে নগদ ৩১ লাখ এক হাজার ১৯৬ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৪৩ লাখ ২০ হাজার ৪৫৫ টাকা। ১৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা মূল্যমানের ১৭ হাজার ৪৬০টি শেয়ার রয়েছে।

বিজেপি চেয়ারম্যানের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে। মাত্র ১০০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। আর ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৫ টাকা মূল্যের পুরাতন আসবাবপত্র রয়েছে।

হলফনামায় স্থাবর সম্পদের মধ্যে নির্মাণাধীন দুটি দালান রয়েছে, যাতে পার্থের মালিকানা তিন ভাগের এক ভাগ।

ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ শুক্রবার ভোলা-১ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদার কাছে চিঠি দিয়েছেন।

এসএইচ-২৭/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

সাকিব-মিরাজ ১২৮ বছর পর যে কীর্তি গড়লেন

ঢাকা মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষেই চালকের আসনে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৫০৮ রান করে বাংলাদেশ। বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৭৫ রান করে দিন শেষ করে ক্যারিবীয়রা। বল হাতে ঘূর্ণি জাদু দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসেও।

মাত্র ২৯ রানে ক্যারিবীয়দের ৫ উইকেটে তুলে নেয় টাইগাররা। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে নেন এই পাঁচ উইকেট। মিরাজ তিনটি ও সাকিব নেন ২ উইকেট। মজার ব্যাপার ক্যারিবীয়দের পাঁচ ব্যাটসম্যানই হয়েছেন বোল্ড আউট।

আর তাতেই দারুণ একটা কীর্তি লেখা হয়ে গেছে বাংলাদেশের পক্ষে। নির্দিষ্ট করে বললে সাকিব ও মিরাজের হাত ধরে লেখা হলো কীর্তিটি। ১২৮ বছর আগে ঘটে যাওয়া কীর্তি ফের করে দেখালেন সাকিব ও মিরাজ।

টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের প্রথম ৫ উইকেট বোল্ড আউটের মাধ্যমে তুলে নিয়েছে কোনো দলের বোলাররা, এমন ঘটনা সর্বশেষ ও দ্বিতীয়বারের মতো ঘটেছিল ১৮৯০ সালে। প্রথমবার ঘটে ১৮৭৯ সালে।

অর্থাৎ ১২০ বছর পর এই কীর্তি গড়ে তালিকায় তৃতীয় দল হিসেবে নাম লিখাল বাংলাদেশ।

১৮৭৯ সালে মেলবোর্নে ২৬ রানে ইংল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সব ব্যাটসম্যানই বোল্ড হয়ে ফিরেন। এরপর ১৮৯০ সালে অস্ট্রেলিয়াকে সেই লজ্জা ফিরিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৫ ব্যাটসম্যানই বোল্ড হন।

অবশ্য সেবার (১৮৯০) অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৬ ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়েছিলেন। যা এখন পর্যন্ত একমাত্র কীর্তি। রোববার বাংলাদেশ ক্যারিবীয়দের ষষ্ঠ উইকেটটিও বোল্ড আউট করে শিকার করলে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেই রেকর্ডে নাম লিখাবে।

এসএইচ-২৬/০১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মেয়ের অভিনয় দেখে মুগ্ধ শাহরুখ

মেয়ের অভিনয় দেখে
মেয়ে সুহানার অভিনয় দেখে ১ ডিসেম্বর ছবি ও পোস্টারটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন অভিনেতা শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান। মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ছবি ‘জিরো’। তাই আসন্ন ছবিটি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে তাকে। যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন পরিবারের প্রতি সব সময়েই দায়িত্বশীল থাকতে দেখা যায় তাকে। তারই প্রমাণ মিলল আবার।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, লন্ডনের আর্ডিংলি কলেজে পড়াশোনা করছেন শাহরুখের মেয়ে সুহানা খান। ৩০ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭.০০ টায় ওই কলেজের একটি নাটকে ‘জুলিয়েট’ চরিত্রে অভিনয় করেন সুহানা। শত ব্যস্ততার মাঝে থাকলেও মেয়ের অভিনয় দেখতে ঠিকই ভারত থেকে একদিনের জন্য লন্ডন উড়াল দিলেন বলিউড বাদশাহ।

মেয়ের অভিনয় দেখে রীতিমত মুগ্ধ তিনি।মেয়ের অভিনীত নাটক দেখে ইনস্টাগ্রামে মেয়ের সঙ্গে একটি আদুরে ছবি পোস্ট করেন তিন সন্তানের পিতা শাহরুখ। সুহানা অভিনীত ‘জুলিয়েট’ চরিত্রের ছবি যুক্ত ওই নাটকের একটি পোস্টার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে দেখা যায় তাকে।

ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘লন্ডনে আমার জুলিয়েটের সাথে। অসাধারণ অভিজ্ঞতা আর সবারই অসাধারণ পারফরম্যান্স। অভিনন্দন সবাইকে।’

তবে বিভিন্ন সময়ে ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এ অভিনেতা বাবার কাছে যত বার মেয়ের অভিনয় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছে তত বারই তিনি জানিয়েছেন, সুহানার পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ সবসময়েই বেশি। মেয়ের পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি চান না সুহানা অভিনয়ে আসুক। সুহানা বলিউডে অভিনয় করবেন কি, করবেন না এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সুহানার পড়ালেখা শেষ হওয়ার পর।

ভোগ’ ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে সুহানা। ছবি: সংগৃহীত

বেশ কয়েক বছর ধরেই নাটকে অভিনয় করতে দেখা গেছে সুহানাকে। চলতি বছরের আগস্টে ‘ভোগ’ ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ কন্যা হয়ে গ্ল্যামার দুনিয়ায় পা রাখতে দেখা গেছে সুহানাকে। তাই সুহানাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা রকমের কানাঘুষাও। অনেকেই ভাবছেন এই বুঝি বলিউডের পা রাখতে যাচ্ছেন সুহানা।

আরএম-২১/০১/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

টু পয়েন্ট জিরো’র যত রেকর্ড

টু পয়েন্ট জিরো

গত বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে রজনীকান্ত ও অক্ষয় কুমার অভিনীত টু পয়েন্ট জিরো । মুক্তির আগে ও পরে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছে চলতি বছরের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি।

২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতের সাড়া জাগানো অ্যাকশন সিনেমা রোবট। তামিল সংস্করণে সিনেমাটির নাম ছিল এন্থিরান। এ সিনেমার সিক্যুয়েল টু পয়েন্ট জিরো। ৫৪৩ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত টু পয়েন্ট জিরো এখন পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমার তকমা পেয়েছে। টু পয়েন্ট জিরো সিনেমায় কাজ করেছেন তিন হাজার টেকনিশিয়ান। এটি প্রথম ভারতীয় সিনেমা যার পুরোটাই থ্রিডি-তে শুটিং করা হয়েছে।

চলুন জেনে নিই টু পয়েন্ট জিরো সিনেমার গড়া কিছু বক্স অফিস রেকর্ড :

১. প্রেক্ষাগৃহগুলো থেকে আগাম ১২০ কোটি রুপি আয় করেছে টু পয়েন্ট জিরো, যা এখন পর্যন্ত যে কোনো তামিল সিনেমা থেকে বেশি। এছাড়া এটি প্রথম তামিল সিনেমা যেটি আগাম ১০০ কোটি রুপি আয় করেছে।

২. টু পয়েন্ট জিরো মুক্তি পেয়েছে ১০ হাজার প্রেক্ষাগৃহে। শুধু ভারতে সাড়ে সাত হাজার ও ভারতের বাইরে আড়াই হাজার পর্দায় মুক্তি পায় সিনেমাটি। যা একটি রেকর্ড।

৩. প্রথম দিন গ্রস ১০০ কোটি রুপি আয় করা বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার অভিনীত প্রথম সিনেমা টু পয়েন্ট জিরো

৪. তামিলনাড়ুতে প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা রজনীকান্তের সিনেমা টু পয়েন্ট জিরো। রাজ্যটিতে সিনেমাটি আয় করেছে ২৬. ৭ কোটি রুপি। এর আগে ১৭ কোটি রুপি আয় করা এ অভিনেতার কালা সিনেমার দখলে ছিল রেকর্ডটি।

৫. তেলেগু রাজ্যেও রজনীকান্তের অনেক ভক্ত রয়েছে। এ রাজ্যে প্রথম দিনে প্রায় ১৮ কোটি রুপি আয় করেছে টু পয়েন্ট জিরো, যা এখন পর্যন্ত রজনীকান্তের সিনেমার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।

৬. হিন্দি সংস্করেন টু পয়েন্ট জিরো সিনেমাটি আয় করেছে ২০.২৫ কোটি রুপি। হিন্দি ডাবিংকৃত সিনেমার ক্ষেত্রে বাহুবলি-দ্য কনক্লুশন’র পরই রয়েছে এটি।

৭. বিশ্বব্যাপী প্রথম দিনে এক শ কোটি রুপি আয় করা দ্বিতীয় ভারতীয় সিনেমা টু পয়েন্ট জিরো। প্রথম স্থানে রয়েছে বাহুবলি-দ্য কনক্লুশন

আরএম-২০/০১/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

আচরণ শিখছেন রাজনীতিবিদ!

‘হেট স্পিচ’, অর্থাৎ ঘৃণা ছড়ানোর মতো বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে অস্ট্রিয়ার এক কট্টরপন্থি কাউন্সিলরকে অনলাইনে ভালো আচরণ শেখার একটি বিশেষ কোর্সে অংশ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

ফেসবুকে বর্ণবাদী মন্তব্য করার অভিযোগে অস্ট্রিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর আমস্টেটেনের কাউন্সিলর ব্রুনো ভেবের বিরুদ্ধে মামলা হয়৷ অস্ট্রিয়ার সরকারি রেলওয়ে কোম্পানি ওইবিবি’র এক বিজ্ঞাপন প্রচারণার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ঐ মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷

বিজ্ঞাপনের পোস্টারে উল্লেখ ছিল পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করলে কী কী ছাড় পাওয়া যাবে৷ সেখানে দুই জন পুরুষের ছবি ছিল৷ তাঁদের একজন কৃষ্ণাঙ্গ৷ কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির সঙ্গে ছিল একটি শিশু৷ ভেবের কৃষ্ণাঙ্গ ঐ পুরুষ ও শিশুটির ছবি পোস্ট করে এটাকে ‘নোংরা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷

লিঞ্জ আদালতে ভেবের উপস্থিত হলে বিচারক বলেন, অপরাধী হিসেবে দণ্ড থেকে তিনি রেহাই পেতে পারেন, যদি অনলাইনে কীভাবে ভালো আচরণ প্রদর্শন করতে হয়, সে সম্পর্কে একটি কোর্সে অংশ নেন৷

সেরকম একটি ৬ মাসের কোর্স আছে৷ সেই কোর্সে অনলাইনে ঘৃণা বক্তব্য রোধে কী কী করা উচিত সে সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়৷ পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের আচরণে কী এবং কেন ভুল ছিল সে সম্পর্কেও জানানো হয়৷ এছাড়া তারা কীভাবে অন্যদের আঘাত বা ঘৃণা প্রদর্শন না করে অনলাইনে বক্তব্য ও মতামত দিতে পারে, সে সম্পর্কে জানানো হয়৷

আগামী দুই বছর ভেবেরের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে৷ দুই বছর পর যদি তার আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়, তাহলেই কেবল তার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ হবে৷ ভেবের আদালতের এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং আক্রমণাত্মক মন্তব্য করার কারণ জানাতে গিয়ে বলেছেন, সেইরাতে অনেকগুলো বিয়ার খেয়ে লিখতে বসেছিলেন বলে ‘বাড়াবাড়ি’ হয়েছে৷

অস্ট্রিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ঘৃণা বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে ৮২৭টি মামলা হয়েছে৷ ২০১৫ সালে এমন মামলা হয়েছিল ৫১৬টি৷

এসএইচ-২৫/০১/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র : ডয়চে ভেলে)

ধর্ম অবমাননার অভিযোগের জবাবে যা বললেন ফারুক

ধর্ম অবমাননার

‘ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি’ সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের এমন এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

তবে এই ঘটনায় নায়ক ফারুকের হয়ে সমালোচনার প্রতিবাদ করেছেন অনেকেই। এবার এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন ফারুক। ধর্ম অবমাননার অভিযোগের জবাবে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এই ভিডিও বার্তায় মিঞা ভাই খ্যাত এই নায়ক বলেন, ‘আমার প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ আজকে বুকের ভেতরে দুঃখ নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। সারাজীবন মানুষের কথা বলেছি। আমাকে নিয়ে যে ধরণের কথা বার্তা ফেসবুকে বলা হয় আমি আসলেই মর্মাহত। মানুষ এতো নিচে নামতে পারে আমি ভাবতেও পারিনি। ইসলাম নিয়ে আমি মন্দ কথা বলবো? আমি নিজে একজন হাজী আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। আমার স্ত্রি ফারহানা, মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম, ছেলে রওশন হোসেন পাঠান তারা সবাই হাজী। একটা মসজিদ আছে আমার নিজের, এটা আমার বড় দাদা দিয়ে গেছেন। সেই মসজিদের জায়গা হলো ৩০ বিঘা। মসজিদের যে অঞ্চল টুকুতে মানুষ নামাজ পড়ে শুধু সেটাই সাড়ে ৫ বিঘা। ওই মসজিদের মুতাওয়াল্লি আমি।’

চিত্র নায়ক ফারুক আরও বলেন,‘আমি একজন মুসলিম। বলা হয় ধর্ম যার যার, ওই ধর্ম নিয়ে (মন্দ) কথা বলার কোনো অধিকার কারো নেই। আমরা যুদ্ধ করেছি এই দেশ স্বাধীন করার জন্য। পরাধীনতার যে শিকল মানুষের গলায় দিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেটাকে ভেঙে চুরে ৩০ লক্ষ মানুষের বুকের রক্ত দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে এই দেশ স্বাধীন করা হয়েছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ জানায়, কাউকে হেউ প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করবেন না। এতে কোনো ভালো ফল পাবেন না। সমস্ত কিছু নির্ভর করে সত্য ও সুন্দরের উপর। আমি তেমন কোনো কথাই বলিনি যেটা কোনো ধর্মকে আঘাত করতে পারে। আমি যদি বলে থাকি উপরে রাব্বুল আলামীন সাক্ষী আছেন। বিশ্বাস করুন আমি এই দেশের মাটিকে ভালোবাসি। সব ধরণের মানুষকে ভালোবাসি। কে হিন্দু, কে মুসলমানম কে খ্রীষ্টান, কে বৌদ্ধ আমি এগুলো ফিল করিনা, কারণ আমি একজন মানুষ।’

চিত্রনায়ক ফারুকের এই ভিডিও বার্তাটিও অনেকের ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। এই ভিডিওটি পোস্ট করে তরুণ নায়ক জয় চৌধুরী লিখেছেন,‘বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি আকবর হোসেন পাঠান ( নায়ক ফারুক) ভাইয়ার বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতির ও অপপ্রচার এর বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হন এবং সত্যিটা জানুন বেশি বেশি করে শেয়ার করে সত্যিটা সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।’

নায়ক ফারুক স্কুলজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহভাজন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

চিত্রনায়ক, পরিচালক, প্রযোজক- একাধিক পরিচয়ে তিনি পরিচিত। সব ছাপিয়ে ভক্তদের কাছে তার বড় পরিচয় তিনি ‘মিয়া ভাই’। এক সময় ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেন। রাজনীতির মঞ্চেও সরব এ অভিনেতা।

আরএম-১৯/০১/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

প্যান্টের পিছনের পকেটে ব্যাগ বা মোবাইল রেখে ডেকে আনছেন বিপদ

প্যান্টের পিছনের পকেটে

প্যান্টের পিছনের পকেটে ব্যাগ বা মোবাইল রেখে ডেকে আনছেন ভয়াবহ বিপদ। দীর্ঘক্ষণ একটানা প্যান্টের পিছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখেন অধিকাংশ পুরুষ। এমন ঘটনা আপাত ভাবে শারীরিক কোনও ক্ষতি করে না।

কিন্তু এই অভ্যাস আসলে কোন ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে জানলে আজ থেকেই সাবধান হবেন আপনিও!

দিনের পর দিন এই ভাবে ব্যাগ রাখাকেই কোমরে ব্যথা, হাড়ের সমস্যা ও স্নায়ুরোগের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকরা। হাড় ও স্নায়ুর অসুখ নিয়ে দীর্ঘ দিন গবেষণা চালানো দেশ-বিদেশের নানা সংস্থাই এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব হেল্‌থ সায়েন্সের গবেষকরাও ছেলেদের নানা হাড়ের সমস্যা এবং পায়ে বা কোমরে বাতের বেদনার জন্য এই স্বভাবকেইঅনেকাংশে দায়ী করছেন।

অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘প্যান্টের পিছনের পকেট যেখানে থাকে, ঠিক সেখানেই অবস্থান করে সায়াটিক স্নায়ু। এই দীর্ঘ সময় ওভাবে ব্যাগ রাখায় এবং ওই অবস্থায় চেপে বসে থাকার কারণে সায়াটিক স্নায়ু ও সংশ্লিষ্ট পেশীর উপর প্রবল চাপ পড়ে। ফিমার হাড়ের মাথাতেও চাপ পড়ে। এতেই কোমরে ব্যথা ও হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়।’

‘দীর্ঘ সময় ধরে প্যান্টের পিছনের পকেটে ব্যাগ রেখে দেওয়ায় সায়াটিক নার্ভের নিচে থাকা তন্তুর উপরেও চাপ পড়ে। এতে কোমরে ব্যথা তো হয়ই, কারও কারও ক্ষেত্রে পা অবশ হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাড়ের ক্ষয়ও ঘটে।’

আরএম-১৮/০১/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

ভারতবাসী আজও না খেয়ে মরে!

ভারতে আজও না খেতে পেয়ে মানুষ মারা যায়! ভারতজুড়ে অনাহারে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় অহরহ। দেশটির রাজধানী দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যেও অনাহার আর অপুষ্টিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

গত জুলাই মাসে পূর্ব দিল্লির মান্ডাওয়ালি এলাকায় অনাহারে একসঙ্গে তিন শিশুকন্যার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। টানা আটদিন ধরে অভুক্ত ছিল দুই থেকে আট বছর বয়সী ওই শিশুরা। মৃত্যুর সময় মায়ের কাছে শিশুদের আর্তি ছিল, ‘মা খেতে দাও।’

এমন ঘটনা ঘটেছে মমতা ব্যানার্জির পশ্চিমবঙ্গেও। কয়েকদিন আগে রাজ্যের ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গলমহলের লালগড়ে পূর্ণাপানিতে অনাহারে সাতজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, এই এলাকায় অনাহার ও অপুষ্টির কারণে মৃত্যু হয়েছে মঙ্গল শবর (২৮), কিসান শবর (৩৪), লেবু শবর (৪৬), সুধীর শবর (৬৩), সাবিত্রী শবর (৫১), পল্টু শবর (৩৩) ও লাল্টু শবরের (৩৮)।

একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরের মুসাহররায়। গত সেপ্টেম্বরেই সেখানে খেতে না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।

দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সাগরপুর বস্তি এলাকায় বড় রাস্তার পাশে অস্থায়ী তাঁবুতে বসবাস করেন পান্নালাল। বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মোট ১২ জনের সংসার তার। পেশা ভিক্ষা।

পান্নালালের স্ত্রী কবিতা জানালেন, যেদিন কিছু টাকা-পয়সা জোটে, সেদিন সবাই মিলে আধপেটা খাবার খাই। যেদিন ভিক্ষা জোটে না, সেদিন ভরসা শুধুই জল।

সম্প্রতি এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে অনাহার ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যু বন্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে কেন্দ্র ও দিল্লির সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন এবং বিচারপতি ভি কে রাওয়ের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মামলায় দাবি করা হয়েছে, অধিকাংশ বস্তি ও ঝুপড়িবাসীদের মধ্যে অনাহার ও অপুষ্টির কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সরকারি নিয়মে রেশন কার্ডধারীদের ভর্তুকি দরে খাদ্যশষ্য দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বস্তি, ঝুপড়ি ও ফুটপাথবাসীদের অনেকের কাছেই রেশন কার্ডটুকুও নেই।

মামলায় আরও বলা হয়, বস্তিবাসীদের একটা বড় অংশের রেশনকার্ড না থাকায় তারা ভর্তুকির খাদ্যদ্রব্য থেকে বঞ্চিত হন। এ কারণে এসব এলাকায় অপুষ্টি এবং অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

এসএইচ-২৪/০১/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র: ডয়েচেভেলে)