রাত ১১:১৫
সোমবার
৪ ঠা আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২০ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৯ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

মারা গেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ মারা গেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার রাতে ৯৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে রাশিয়ার সঙ্গে ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসানে তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে তার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ টুইটারে বলেন, জেব, নেইল, মারভিন ও আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ৯৪টি উল্লেখযোগ্য বছর পার করে তিনি মারা গেছেন। আমাদের প্রিয় বাবা আর নেই।

এসএইচ-১৩/০১/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

‘কোপা আমেরিকা’ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার দায়িত্বে স্কালোনি

বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অন্তর্বতীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্বরত লিওনেল স্কালোনিকে আসন্ন কোপা আমেরিকার আসর পর্যন্ত স্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লাওদিও তাপিয়া। আগামী বছর ব্রাজিলে বসতে যাচ্ছে কোপা আমেরিকার মেগা ইভেন্ট। গত দুইবার ফাইনালে উঠেও চিলির কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা।

রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিশ্বকাপের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। এরপর সবকিছু নতুন করে শুরু করতে চেয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন। রাশিয়া বিশ্বকাপের আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে ছাঁটাই করে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। রাশিয়া বিশ্বকাপের ব্যর্থতার দায় নিয়ে চাকরি হারানো সাম্পাওলির পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে এ বছরের অগাস্টে স্কালোনিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের দায়িত্বে ছিলেন ৪০ বছর বয়সী স্কলোনি।

নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ ভালোই কাটিয়েছেন স্কলোনি। যদিও নিজের দলে পাননি মেসি, আগুয়েরো, ডি মারিয়া আর হিগুয়েনের মতো তারকারা। তার অধীনে এই পর্যন্ত ছয়টা ম্যাচ খেলে ৪ ম্যাচেই জিতেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শেষ মুহূর্তের গোলে হেরেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের বিপক্ষে। আর একটি ম্যাচ ড্র করেছে স্কালোনির শিষ্যরা।

পরের বছর ব্রাজিলে বসতে যাচ্ছে কোপা আমেরিকার আসর। সেই আসরকে সামনে রেখে স্কালোনিকে দল গোছানোর অনুরোধ করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন-এমন সংবাদ জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক মাধ্যমগুলো। ফেডারেশনের বেশ কিছু সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে স্কালোনির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাকেই স্থায়ী কোচ করা হচ্ছে আগামী কোপা আমেরিকার আসরকে সামনে রেখে।

আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনিকে স্থায়ীভাবে দায়িত্ব দিতে প্রস্তাব দিতে যাওয়ার কথা জানান তাপিয়া। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় দলগুলোর জন্য আমরা কী চাই তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্কালোনির কাজ দেখেছি। আমরা তাকে কোপা আমেরিকা পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছি।

গত দুই কোপা আমেরিকায় ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। দুইবারই চিলির কাছে হেরেছে মেসির দলটি। অনেকটা অভিমান থেকেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেন মেসি। পরে আবারো ফেরেন জাতীয় দলে। এই বিশ্বকাপের পর বিশ্রামে আছেন মেসি। বিশ্বকাপের পর স্কালোনির অধীনে আর্জেন্টিনা খেলেছে ইরাক, কলম্বিয়া, গুয়েতামালা, ব্রাজিল আর মেক্সিকোর বিপক্ষে। এর মধ্যে মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলেছে পর পর দুই ম্যাচ।

এই ছয় ম্যাচের একটিতেও দলের সেরা তারকা মেসি, আগুয়েরো, ডি মারিয়া, হিগুয়েনকে পাননি স্কালোনি। দলের সেরা এই তারকাদের ছাড়া স্কালোনির বাকি শিষ্যরা ইরাক, গুয়েতামালা, মেক্সিকোর বিপক্ষে চারটি ম্যাচে জিতেছে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেও ব্রাজিলের বিপক্ষে শেষ সময়ের গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। সেরা তারকাদের ছাড়াই স্কালোনি দলকে নিয়ে এতোদূর এগিয়েছেন।

এসএইচ-১২/০১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বাংলাদেশ থামল ৫০৮ রানে

ঢাকা মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে অল আউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ৫০৮ রান জমা করেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। নিজের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। ১৩৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

টেস্টে এনিয়ে ৯ম বারের মতো বাংলাদেশের কোনো ইনিংসে পাঁচশ ছাড়ানো স্কোর গড়ল। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচশ পেরিয়েছিল বাংলাদেশ।

শুক্রবারের দিনের ৫ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে শনিবার নতুন খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ শুরুটা করেন দুর্দান্ত। ষষ্ঠ উইকেটে শতরান পূরণ করে ফেলে এই জুটি। ১৯০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর এই দুজনের ব্যাটেই আগের দিন ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

এদিন সকালে শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন সাকিব। শটস খেলার চেস্টা করেছেন অনেক বেশি। ব্যক্তিগত ৮০ রান করে কাটা পড়েন তিনি অতিরিক্ত শটস খেলতে গিয়েই। কেমার রোচের বলে গালিতে শাই হোপের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। সাকিবের ১৩৯ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার।

সাকিব বিদায় নিলেও সপ্তম উইকেটে আরেকটি দুর্দান্ত জুটি পায় বাংলাদেশ। এবার মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী লিটন দাস। ম্যাচের আগে মুশফিক আঙুলে চোট পাওয়ায় বিকল্প উইকেটরক্ষক হিসেবে ডাক পেয়েছিলেন লিটন।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর ব্যর্থতার দায়ে বাদ পড়লেও এম্যাচে সুযোগ পেয়েই লিটন খেললেন ফিফটি’র ইনিংস। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিয়ে ৫৪ রান করে ফিরেন লিটন। তার ৬২ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ১ ছক্কা।

তবে লিটন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ফিরেছেন। ব্র্যাথওয়েটের বলে রিভার সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি।

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ কিছুটা সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহকে। তাতে বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়েছে। মাহমুদউল্লাহও এগিয়ে গেছেন সেঞ্চুরির দিকে। মিরাজ অবশ্য ১৮ রানে ফিরে যান ওয়ারিকনের বলে। ৪১৬ রানে অষ্টম উইকেট হারায় টাইগাররা।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরি পাবেন কিনা সেই শঙ্কা তখন জেঁকে বসেছিল। তবে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত খেলেন তাইজুল ইসলাম। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে নবম উইকেটে গড়েন ৫৬ রানের জুটি।

এই জুটিতেই তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমদউল্লাহ। ২০৩ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন মাহমুদউল্লাহ। রোস্টন চেজকে চার হাঁকিয়ে তিন অংকের কোটায় পৌছান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার আগে প্রমাণ দিলেন টেস্ট সুভল ব্যাটিং মানসিকতার।

মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির পর চা বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে তাইজুল প্যাভিলিয়নে ফিরেন ব্যক্তিগত ২৬ রান করে।

এরপর শেষ উইকেটে নাঈম হাসানকে নিয়ে ফের জুটি মাহমুদউল্লাহর। ৩৬ রান যোগ করেন এই দুজন। ক্যারিয়ার সেরা ১৩৬ রান করে মাহমুদউল্লাহ ক্যারিবীয়দের দশম শিকার হন। ওয়ারিকনের বলে বোল্ড হন মাহমদউল্লাহ। নাঈম ১২ রানে অপরাজিত থেকে যান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৫০৮ (১৫৪ ওভার) (সাদমান ৭৬, সৌম্য ১৯, মুমিনুল ২৯, মিঠুন ২৯, সাকিব ৮০, মুশফিক ১৪, মাহমুদউল্লাহ ১৩৬, লিটন ৫৪, মিরাজ ১৮, তাইজুল ২৬, নাঈম ১২*)।

এসএইচ-১১/০১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বিশ্বকাপের জন্য আইপিএল সূচিতে পরিবর্তন!

টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ। জানা গেছে, আগামী বছরে ইংল্যান্ডে আয়োজিত ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আইপিএল সিজন ১২ সপ্তাহ দুয়েক এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড।

২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্বকাপ শুরু হবে ৩০ মে, চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। সাধারণভাবে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে আইপিএল শুরু হয় এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে। আর তা শেষ হয় মে মাসের শেষ সপ্তাহে। সেই মতো সূচি তৈরি হলে বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় পাবেন না বিরাটরা।

বিশেষ করে বিশ্বকাপের সময় ফিটনেস একটা বড় ইস্যু হতে পারে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে আইপিএল যেন কোনভাবে বাধা সৃষ্টি না করে সে দিকেও আলোকপাত করেছেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি থেকে হেড কোচ রবি শাস্ত্রী।

ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের সঙ্গে অধিনায়ক কোহলি, কোচ রবি শাস্ত্রী, টেস্ট দলের সহ অধিনায়ক আজিঙ্কে রাহানে এবং সীমিত ওভারের সহ অধিনায়ক রোহিত শর্মারা একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে সিওএ’র চেয়ারম্যান বিনোদ রাইয়ের কাছে অনুরোধ জানানো হয় বিশ্বকাপের সময় ফিট দল পেতে আগে করা হোক আইপিএল।

ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের অনুরোধেই এবার আগে আইপিএল শুরু করতে চলেছে বিসিসিআই, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, এবার আইপিএল শুরু হবে ২৩ মার্চ। অর্থাৎ, দুই সপ্তাহ এগিয়ে আসছে আইপিএল। যার অর্থ, বিশ্বকাপের আগে অন্তত দুই সপ্তাহ বিশ্রামের পাশাপাশি প্রস্তুতির সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা।

এসএইচ-১০/০১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

৭টি এমন কারণ যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি ত্বকে দেখা দেয় বলিরেখা

তাড়াতাড়ি ত্বকে

হয়তো আপনি নিয়মিত আপনার ত্বকের খেয়াল রাখেন‚ মাসে একবার কী দু‘বার ফেসিয়ালও করান‚ কিন্তু তা সত্ত্বেও আপনার অজান্তে এমন কিছু জিনিস আছে যার ফলে আপনার ত্বক কুঁচকে যেতে পারে‚ অকালেই দেখা দিতে পারে বলিরেখা। ভালো খবর হলো কী থেকে আপনার ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে তা যদি ধরতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি সহজেই এর মোকাবিলা করতে পারবেন।

১) আমরা সবাই জানি বেশিক্ষন রোদে থাকলে আমাদের ত্বকের ক্ষতি হয়। হয়তো অনেকেই ভাবেন বাড়ির ভেতরে আপনি সেফ। তা কিন্তু নয় ঘরে যদি খুব রোদ ঢোকে আর আপনি সেখানে দীর্ঘ সময় বসে থাকেন তাহলেও একই ক্ষতি হবে। বা গাড়ির মধ্যেও যদি আপনার মুখে রোদ পড়ে তার থেকেও আসতে পারে ত্বকের বার্ধক্য। এই জন্য ঘরে ভেতর হোক বা বাইরে সারা বছরই অন্তত এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন।

২) বাতাসে দূষণের কারণে আমাদের ফ্রি radical ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ফ্রি radical এক ধরণের ক্ষতিকারক মলিকিউল যা আমাদের ত্বকের কোলাজেনকে ভেঙে দেয় এবং এর ফলে ত্বক কুঁচকে যায়। এটা রোধ করার সব থেকে শ্রেষ্ঠ উপায় হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা। এছাড়াও সপ্তাহে তিনদিন স্কিন এক্সফলিয়েট করুন।

৩) আজকাল আমদের লাইফস্টইল এমন হয়েছে যে অনেক রাত অবধি জেগে থাকা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। আমারা যখন ঘুমোই তখন আমাদের শরীরে যে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ আছে তা মেরামত হয়। তাই যত কম সময় ঘুমোবেন শরীরও কিন্তু ততটই কম সময় পাবে। ফলে যতটা মেরামত দরকার তা হবে না। এর ফলে ডিহাইড্রেশন‚ ইনফ্ল্যামেশন দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ব্রণ এবং অ্যাকনে হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা বেড়ে যায়।

৪) বারবার ফোন দেখার ফলেও কিন্তু আমাদের চামড়া ঝুলে যেতে পারে বিশেষতঃ গলার এবং jawline এর আশেপাশের চামড়া। আমাদের গলার চামড়া খুব পাতলা হয় তাই শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় এই জায়গার সব থেকে দ্রুত এজিং হয়। এর সমাধান? বারবার ঝুঁকে ফোন দেখা বন্ধ করুন এবং একই সঙ্গে এমন প্রডাক্ট ব্যবহার করুন যাতে অ্যামাইনো অ্যাসিড আর পেপটাইডস আছে। এই ধরণের ক্রিম চামড়ার ইলাস্টিসিটি বাড়ায় এবং একই সঙ্গে চামড়া firm করে।

৫) আমাদের চোখের আশেপাশের চামড়া মুখের অন্য জায়গার থেকে ৪০% অবধি বেশি পাতলা। তাই রিঙ্কল কিন্তু সব থেকে প্রথমে চোখের আশেপাশেই দেখা দেয়। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় অবশ্যই ওভারসাইজড রোদ চশমা পরে বেরোন। যা আপনার চোখের আশেপাশের মোলায়েম ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির হাত থেকে বাঁচাবে।

৬) অনেক সময় আমরা কুঁড়েমি করে জিমে যাই না। এর ফলে শরীরের ক্ষতি তো হয়েই একই সঙ্গে আমাদের ত্বকেরও ক্ষতি হয়। শরীরচর্চার ফলে আমাদের শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায় যা ত্বকের রিঙ্কল মিটিয়ে দেয়। কিন্তু মনে রাখুন যদি বাইরে ওয়ার্ক আউট করেন তাহলে অবশ্যই উচ্চ এসফি এফ যুক্ত সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।

৭) অনেকের অভ্যাস আছে যারা বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমোন। এর ফলে কিন্তু খুব সহজেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। এছাড়াও বালিশের ওয়ারের কাপড় যদি মোটা আর খসখসে হয় তাহলেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই খেয়াল রাখুন বালিশের কভার যেন নরম সুতির কাপড়ের হয় বা সিল্কের হয়।

আরএম-০৩/০১/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে যা বললেন তারা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে৷ তবে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে৷ বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে৷

‘‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা দিয়ে নামানো উচিত বলে আমি মনে করেন বাবলু মোল্যা৷ আর সাইদুল আলম বলছেন, বিচারের ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে৷

সেনাবাহিনী থাকলেই ভালো নির্বাচন হবে, এমন মনে করার কারণ কী? মাহিদুল ইসলাম কারণটা জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘বিচারের ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে, কারণ, এখনো আমার মতো সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করে সেনাবাহিনী থাকলে কেউ ভোট চুরি, জাল ভোট দেয়া বা নির্বাচনে অরাজকতা সৃষ্টির সাহস পাবে না৷”

আর মাহবুবুল আলমের মতামত এরকম, ‘‘সেনাবাহিনী শুধু নির্বাচনের দিন পুলিশ প্রশাসনকে একটু চাপের ভিতর রাখলে চলবে৷তারা যেন অবৈধ কোনো কাজ না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷ ভোটের মাঠে জনগণ ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করবে৷ আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া ৫৭ জন বীর সন্তানের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না৷”

হামাদ সেজুলও নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়ে বলছেন, ‘‘সেনাবাহিনী পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারে, সেনা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবসা করতে পারে, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সম্পন্ন করা হয়, বাংলাদেশের সব কয়টা মেডিকেল কলেজে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়, তাহলে নির্বাচনে প্রবলেম কী?”৷

‘‘প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন অবশ্যই করতে হবে”- এমন দাবি হাবিবুর রহমান সোহাগের৷

মজিবুর রহমানের অনুরোধ, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে যে সকল ক্ষমতা ও দ্বায়িত্ব সেনা বাহিনীকে দেয়া হয়েছিল, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সেনা বাহিনীকে সে সকল ক্ষমতা ও দ্বায়িত্ব দেয়া হোক৷

তবে ভিন্নমত পোষণ করেন মাহমুদ৷ তিনি বলছেন, ‘‘আমি অবশ্যই সমর্থন করি না৷ সেনাবাহিনীকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উর্ধ্বে রাখতে হবে,নির্বাচনের কাজ করা সেনাদের কাজ নয়৷”

এসএইচ-০৮/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক,  সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার, সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী, ডয়চে ভেলে)

মিস ওয়ার্ল্ডে ‘ফাইনাল থার্টি’তে বাংলাদেশের ঐশী

ফাইনাল থার্টি

৬৮তম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ বিভাগের গ্রুপ সিক্সে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। তিনি ‘ফাইনাল থার্টি’তে জায়গা করে নিয়েছেন। বিশ্বের ১১৮ প্রতিযোগীর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে সেরা ৩০।

শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) রাতে মিস ওয়ার্ল্ড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আয়োজকরা জানান, এর মধ্যে ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ বিভাগের ২০টি গ্রুপের প্রতিটির বিজয়ীরা সরাসরি পৌঁছে গেছেন ফাইনালে। ঐশী তাদেরই একজন। তাকে এখন অনেকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ১৮ বছরের এই সুন্দরীকে গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে দেখতে মুখিয়ে আছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার গত আসর থেকে যুক্ত হওয়া ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ বিভাগে এবার কে কোন গ্রুপে থাকবেন তা নির্ধারিত হয়েছে ড্রয়ের মাধ্যমে। সব মিলিয়ে সাজানো হয় ২০টি গ্রুপ। অন্য গ্রুপের বিজয়ী দেশগুলো হলো— মরিশাস, ফ্রান্স, ভেনেজুয়েলা, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, চিলি, লেবানন, মালয়েশিয়া, গোয়াডলুপ, মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, বুলগেরিয়া, মেক্সিকো, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, আর্জেন্টিনা ও উগান্ডা।

হেড টু হেড চ্যালেঞ্জের গ্রুপ সিক্সে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর প্রতিদ্বন্দ্বীরাহেড টু হেড চ্যালেঞ্জের গ্রুপ সিক্সে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮’ ঐশীর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ডেনমার্কের টারা জেনসেন, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের ইয়াদালি টমাস সান্তোস, ব্রাজিলের জেসিকা কারভালহো, আয়ারল্যান্ডের ইফা ও’সুলিভান ও চীনের পিরুয়ি মাও। সবাইকে টপকে সেরা হলেন পিরোজপুরের এই তরুণী।

বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিযোগীরা তাদের পরিচিতি ভিডিওতে যেসব বিষয়ে কথা বলেছেন, হেড টু হেড চ্যালেঞ্জে সেগুলো প্রসঙ্গেই তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। পরিচিতি ভিডিওতে ঐশী শুরুতে বাংলাদেশকে মানবতা, ঐতিহ্য, ভালোবাসা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ হিসেবে তুলে ধরেন। এরপর তিনি জানান, নিজের অবসর কাটে বই পড়ে। ঘুরে বেড়ানো বেশ উপভোগ করেন। নাচতে ও গাইতে ভালো লাগে তার। তিনি বলেন, ‘আমার অনুপ্রেরণার সব উৎস পরিবার। মা আমার সেরা বন্ধু। কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক সেই পার্থক্য তিনিই আমাকে শিখিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তা আমাকে যেটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন সেগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে জীবনে সফল হবো। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিউটিফুল বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত।’

আয়োজকরা জানান, সানিয়া বের ম্যানগ্রোভ ট্রি রিসোর্ট ওয়ার্ল্ডে এর শুটিং হয়েছে। ২২০ কোটিরও বেশিবার দেখা হয়েছে ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ রাউন্ডের ভিডিওগুলো। তার প্রতিযোগীদের জন্য ভোট পড়েছে ২ কোটি।

আরএম-০১/০১/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

এক নীল সাগরের গল্প

মাত্র ৩৫০০ জনসংখ্যার ছোট্ট একটি জেলা শহর মালদ্বীপ। মালদ্বীপে জেলা শহরকে এ্যাটল বলে। এরকম ২৬টি এ্যাটলের একটি হল ভিলিনগিলি। এ এ্যাটলের অধীনে ৯টি ছোট্ট দ্বীপ (৯টি থানা হেলথ সেন্টার) বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত। সপ্তাহে ৩ দিন তারা এ্যাটলে আসেন চিকিৎসার জন্য।

মানুষবিহীন এ শহরটির সঙ্গে আমার ২২টি মাসের ভালবাসা জড়িত। নীলসাগরের মাঝে সাদা ধবধবে বকের মত একমাত্র এ্যাটল হাসপাতালটি দাঁড়িয়ে আছে। একজন শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে এদেশের মানুষের হৃদয়ের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম দীর্ঘদিন। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে বাচ্চারা কুদাকুদি ডাক্তার (এদেশে শিশুকে কুদাকুদি বলে)বলে ডাকাডাকি করতো। প্রথম প্রথম কুদাকুদি (আমাদের জন্য বেমানান শব্দ) শুনতে ভালো না লাগলেও পরে ঠিকই মজা পেতাম।

এদেশে চিকিৎসা ব্যয় সম্পূর্ণ ফ্রি। যাতায়াতের মাধ্যম হল স্পিডবোট /ফেরি/বিমান। জরুরি রোগীদের জন্য তাও ফ্রি। সেজন্য হাসপাতালে রোগীর আনাগোনা সব সময় বেশি থাকত। সামান্য সমস্যাতেই বাবা-মা বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে দৌড় দিত।এদের মধ্যে ৭০% আসতো ‘হোমা-কেছে-রোগাজি-হোডেলিয়ে-বারানতাদেবে-বোলাবারে’ (জ্বর -কাশি -কফ -বমি -পেটব্যথা -মাথাঘোরা)নিয়ে। এদের কাছ থেকে রোগের বর্ণনা শুনে চিকিৎসা দিলেই শেষ। ৯৯-১০০ তাপকে তারা হাই ফিভার হিসেবে জানে।১/২ বার বমিকে কমপক্ষে ১০ বার তো বলবেই। আর কতদিন থেকে কাশি জানতে চাইলে আর রেহাই নাই-মিনিমাম ২/৩ সপ্তাহ তো হবেই।

চাকরির প্রথম দিকে একদিন এক বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। আমার অনুবাদক জানালেন স্যার ইমারজেন্সি রোগী এসেছে।এখানে সময় চুলে চুলে হিসাব হয়।মূহুর্তে হাজির হলাম।বাচ্চাটাকে দেখে তো স্বাভাবিক মনে হল।জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে। অনুবাদক জানালেন নাক দিয়ে ‍রক্ত পড়ছে।পরীক্ষা করে দেখলাম বাচ্চাটার ঠান্ডা লেগেছে -নাকের ভিতর একফোঁটা রক্তের জমাট আভা দেখা যাচ্ছে মাত্র। তাদের অতি সামান্য সমস্যাকে বাহ্যিকভাবে সিরিয়াসলি নিয়ে ওষুধ আর ইনজেকশন (৪ ঘন্টা অবজারভেশন রাখার ব্যবস্থা আছে) দিলে খুবই খুশি হয়।যাইহোক হাসপাতালে ইমারজেন্সি না থাকলে বিকাল ৪টার পরে ফ্রি।

চারদিকে সারিসারি নারকেল গাছ দেখে যে কারও মন ভরে যাবে। প্রতিদিন রাতে সাগরপাড়ে বিশেষ করে চাঁদনি রাতে ধূলাবালিহীন ঝিরিঝিরি বাতাসে হাঁটার তৃপ্তি অন্যরকম। কোনকোন সময় অনেকরাত পর্যন্ত সাগরপাড়ে বসে সীমাহীন আকাশের জলজলে তারাদের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতাম। উপরে তারার মেলা আর সাগরে রংবেরংয়ের মাছেদের আনাগোনা দেখতে দেখতে ঘড়িরকাটা মধ্যরাতে গিয়ে ঠেকতো।

এখানে চোর-ডাকাতের ভয় নাই। বন্দুক ছাড়া চৌকিদারের মত কিছু পুলিশ ঘুরঘুর করে মাত্র। তবে মটরসাইকেলের দেশে রাস্তায় চলতে একটু সাবধান হতে হত। দূর্ঘটনা এখানে খুবই কমন। কারনএরা ফাঁকা রাস্তায় বিমানের গতিতে মোটরসাইকেল চালায়।গারদিয়া (কোনরকম সিদধ টুনা মাছের স্যুপ)এদের প্রধান খাদ্য। সবই এরা সরকার থেকে ফ্রি পায়।ফ্রি জাতিকে অলস করে, মালদ্বীপ তার জলন্ত প্রমান। জমি উর্বর হলেও এরা চাষাবাদ করে না। প্রতিটা দ্বীপে অনেক বাংলাদেশির বাস।মালে থেকে ফ্রজেন খাদ্য খাবার দ্বীপে আসে।সবজি তেমন পাওয়া যায় না।

১২৫০ দ্বীপের দেশে সরকারি চাকরির সুবাদে অনেক সুন্দর সুন্দর দ্বীপে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। নীল পানির দেশে এতবেশি সেলফি উঠিয়েছি যে তা আমার সারাজীবনের চেয়েও বেশি। কিন্ত দিনে দিনে পরিবারের টান খুব বেশি অনুভব হতে লাগলো। বুঝতে পারলাম এবার যেতে হবে-যাওয়ার পালা। ২২টি মাস পর হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা,অনুবাদক সহ সবার আন্তরিকতা আর নীল পানীর ভালোবাসা ত্যাগ করে ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দিলাম নিজদেশের উদ্দেশ্যে।

এয়ারপোর্ট যেতে সাগর পাড়ি দিতে হয়।শেষবারের মত ভিলিনগিলিকে বিদায় দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে জেটিতে আসলাম। রঙিন পানিতে সাদা ধবধবে ছোট্ট একটা স্পিডবোট বাঁধা ছিল আমার জন্য। সিটে বসলাম।উঠার সঙ্গে সঙ্গে গভীর সাগরের বুকে উথাল-পাথাল ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্পিডবোট চলল এয়ারপোর্টের দিকে। সন্ধ্যায় প্লেনে ভিলিনগিলি থেকে মালে এয়ারপোর্টে এলাম।

ডোমেস্টিক ফ্লাইটের জন্য ছোট প্লেন। জার্নিও নাতিদীর্ঘ। এক ঘন্টার পথ। প্লেন যখন আকাশে তখন দিনের রং ফিকে হয়ে এসেছে। সিট বেল্ট বেঁধে নিয়েছি আগেই। ভাগ্য ভালো আমার সিটটা ছিল উইন্ডোর পাশে। ডোমেস্টিক প্লেন খুব বেশি ওপর দিয়ে ওড়ে না। প্লেনের জানালা দিয়ে আমি পাখির দৃষ্টিতে নিচে তাকালাম।আমি জানি নিচে ভারত মহাসাগরের অথৈ পানি। মালার মতো অসংখ্য দ্বীপ পানির বুকে জেগে আছে।

জানালা দিয়ে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম বিয়েবাড়িতে গাছকে যেমন আলোকশয্যায় সজ্জিত করা হয় তেমনি কিছুক্ষণ পরপর সোডিয়াম লাইটের আলোয় ভেসে যাওয়া দ্বীপগুলোকে একছড়া হীরার হারের মতো মনে হচ্ছে। আলো-আধারে নীলসাগর যেন কোনো রাজকন্যার গলায় জ্বলজ্বল করে দ্যুতি ছড়াচ্ছে। অবাক দৃষ্টিতে সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব বিস্ময়লীলা দুচোখ ভরে দেখলাম।

মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে ছিলাম। কতবার দেখেছি কিন্তু আজ যেন সাগরকে বেশি সুন্দর লাগছে, হয়ত বা শেষবার- বিদায়ের বেলা এমনটি মনে হচ্ছে। ঘোর ভাঙলো এনাউন্সমেণ্টে।

অ্যাটেনশন প্লিজ উই আর নিয়ার টু মালে….. প্লিজ ফিক্সড ইয়োর সিট বেল্ট।

এবার ডায়েরি বন্ধ করলাম।অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

গুডবাই মালদ্বীপ’

এসএইচ-০৭/০১/১২ (ডা. মাহমুদুর রহমান, যুগান্তর)

স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই আ’লীগ-বিএনপির মাথাব্যথার কারণ!

আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অন্তত ৫০০ নেতা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করে মাঠে রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে এবারের সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৩০৫৬ জন।

এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪৯৮ জন, যাদের বেশির ভাগই আসলে বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে পাননি।

৯ই ডিসেম্বরের মধ্যে তারা সরে না দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি জোটের মনোনীত অনেক প্রার্থীকেই দলীয় প্রতিপক্ষের পাশাপাশি নিজ দলের নেতার বিরুদ্ধেও নির্বাচনী লড়াই করতে হবে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে নরসিংদী ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। এবারও মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।

তিনি বলছেন, “প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আমাকে মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ আছে। আশা করি নেত্রী বিবেচনা করবেন। আমি অপেক্ষা করছি।”

তবে এ আসনেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জহিরুল হক ভুঁইয়া যিনি ২০০৮ সালে নির্বাচিত হলেও ২০১৪ সালে মিস্টার মোল্লার কাছে হেরে যান।

তার আশা মিস্টার মোল্লা এবার শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সরে দাঁড়াবেন।

আওয়ামী লীগের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে এ ধরনের অন্তত সত্তরটি আসনে তাদের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে নির্বাচিত অন্তত ২০ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের জন্য এসব প্রার্থীকে বড় হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে একই ধরনের সমস্যা রয়েছে বিএনপিতেও। কুষ্টিয়া-২ আসনে সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

তিনি বলছেন, তৃণমূলের মতামত না নিয়েই তার বদলে অন্যদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যায়নপত্র দেয়া হয়েছে ফরিদা ইয়াসমিন ও রাগীব রউফ চৌধুরীকে।

শেষ পর্যন্ত এ দুজনের মধ্যে একজনকে বেছে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

ফরিদা ইয়াসমিন বলছেন, স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী তার জন্য কোন সংকট তৈরি করবে না। কারণ তার মতে এবার ভোটাররা প্রতীক দেখে ভোট দেবেন।

তবে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা যাই বলুন না কেন, স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীদের অনেকেই দলের মনোনীতদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যা নিয়ে দলীয় নেতারাও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন যে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে তার দলের অবস্থান কি।

“মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার আগে বলা যাবে না কে বিদ্রোহী। তবে শেষ পর্যন্ত কেউ বিদ্রোহী হলে তাকে বহিষ্কার করা হবে আজীবনের জন্য,” বলেন তিনি।

ওদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, এবারের নির্বাচন বিএনপির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অনুধাবন করেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন বলে আশা করছেন তিনি।

“কেউ ক্ষোভ থেকে বা প্রতিবাদ হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত জনগণের সাথে শামিল হয়ে তারা সরে দাঁড়াবেন,” বলেন তিনি।

তবে নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আর দলীয় প্রতীক পাওয়ার সুযোগ নেই।

শুধু দলীয় প্রত্যয়নপত্র পাওয়া বা নির্বাচন কমিশনে জোটের যে তালিকা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া যাবে।

আর প্রতীক বা দলীয় সমর্থন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীরা থেকে গেলে কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে দলগুলোর মধ্যে।

আর সে কারণেই বিষয়টি নিয়ে দুটি দলেরই সিনিয়র নেতারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

এসএইচ-০৬/০১/১২ (রাকিব হাসনাত, বিবিসি)

ভারত নতুন কোচ খুঁজছে

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যাশামাফিক ফলাফল না পাওয়া এবং দলের কোচের ব্যাপারে নানান নেতিবাচক মন্তব্য বোর্ডের নজরে আসায় নিজেদের নারী ক্রিকেট দলের জন্য নতুন কোচ খুঁজছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতের নারী ক্রিকেট দলের। পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই সমালোচনার শিকার ছিলেন দলের কোচ রমেশ পাওয়ার। তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব ছিলেন দলের সাবেক অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মিথালি রাজ।

যে কারণে চুক্তির ধারা মোতাবেক পাওয়ারের সাথে আরও এক বছর চুক্তি বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও সেটি করছে না বিসিসিআই। নতুন কোচ চেয়ে এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বোর্ড।

কোচ হওয়ার জন্য মানদণ্ডস্বরুপ বিসিসিআই জানিয়েছে, ১/ অন্তত লেভেল সি কোচের সার্টিফিকেট থাকতে হবে; ২/ অন্তত এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা; অথবা ৩/ সমান সময় কোনো আন্তর্জাতিক দলকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা; অথবা ৪/ অন্তত দুই মৌসুম কোনো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা; অথবা ৫/ ন্যুনতম ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা।

ভারতীয় নারী দলের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ। একই মাসের ২০ তারিখ আগ্রহী প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেবে বোর্ড। জানা গিয়েছে শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষণকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করতে অনুরোধ করেছে বোর্ড।

এসএইচ-০৫/০১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)