দুপুর ২:০০
বুধবার
১৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
১ লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ইসলাম গ্রহণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধর্মযাজক

যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশিষ্ট ক্যাথলিক ধর্মযাজক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। হিলারিয়ন হেগি নামে ওই পুরোহিত ইসলাম গ্রহণের পর নিজের নাম পাল্টে রেখেছেন সাইদ আব্দুল লতিফ।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মিডেল ইস্ট মনিটর রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে জানানো হয়, সম্প্রতি নিজের ব্লগপোস্টে ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি জানান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওই ক্যাথলিক ধর্মযাজক। ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী এই পুরোহিত পূর্বে একজন রাশিয়ান অর্থোডক্স ছিলেন। ২০০৩ সালের দিকে তিনি অ্যান্টিওকিয়ান অর্থোডক্স চার্চে যোগদান করেন।
নিজের সিদ্ধান্তকে হিলারিয়ন হেগি ‘ইসলামে প্রত্যাবর্তন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটি তার কাছে নিজের বাড়িতে ফেরার মতো ঘটনা।
ব্লগ পোস্টে হিলারিয়ন হেগি উল্লেখ করেছেন, অনেক আগে থেকেই তিনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট। কয়েক দশক ধরে পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
এসএ-১৯/২৭/০২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

বাঘ-সিংহের লড়াইয়ের অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা!

দরজায় কড়া নাড়ছে ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ। ঘরের মাঠে বাঘ-সিংহের সমানে সমান লড়াই দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। চলুন দেখে নেওয়া যাক, দুই দলের পারফরমেন্সের পরিসংখ্যান।

প্রথমেই আসা যাক অতিথি দল থ্রি লায়ন্সদের কথায়। অভিজাত ইংল্যান্ড দল এবার এসেছে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় বছর পর। সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে। সে সময় চলছিল কোভিডের দাপট। ফলে কোভিড প্রটোকলে কোনো ছাড় দেয়নি বিসিবি। তাই, নাক উঁচু ইংলিশরা সে সময়ে আসেনি।

টাইগারদের মোকাবিলায় থ্রি লায়ন্সরা এসেছে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই। গেল ১০ বছরে ওয়ানডেতে যারা নিজেদের নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। শেষ দশকের সবচেয়ে ধারাবাহিক আর দাপুটে দলটার নাম ইংল্যান্ড। টেস্টের অভিজাত দল হিসেবে পরিচিত থ্রি-লায়ন্সরা ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে।

ওয়ানডে ফরমেটে বাংলাদেশও কিন্তু কম যায় না। ঘরের মাঠে রীতিমতো বাঘের মতো খেলে তামিম বাহিনী। ওয়ানডেতে টাইগারদের ধারাবাহিক পারফরমেন্সের কারণে যেকোনো দলই সমীহ করে চলে। সবশেষ ২০ ম্যাচের ১৪টিতে জয়, তারই প্রমাণ। গেল ডিসেম্বরে লিটনের নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ।

তবে ইংলিশদের বিপক্ষে টাইগারদের ওয়ানডে রেকর্ড মোটেই সুবিধার না। নিজেদের প্রিয় ফরমেটে ২১ বার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এর চারটিতে জয়ের বিপরীতে, টাইগারদের হার ১৭টিতে।

ইংলিশদের সঙ্গে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম দেখা হয়, নাইরোবিতে ২০০০ সালে। আট উইকেটে হেরে সে যাত্রা শেষ করেন দুর্জয়-পাইলটরা।

দেশের মাটিতে ইংলিশদের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম দেখা ২০০৩ সালের নভেম্বরে। চট্টগ্রামে সে ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। মাইকেল ভন-অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফদের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচের সিরিজটায় হোয়াইটওয়াশ হয় খালেদ মাহমুদ সুজনের দল।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের জয়ের অপেক্ষা ফুরায় ২০১০ সালে এসে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেটি ছিল, দুই দলের ১৩তম সাক্ষাৎ। ব্রিস্টলে মাশরাফীর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে, ৫ রানে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

পরের জয়টি আসে ২০১১ বিশ্বকাপে। প্রথমবার বিশ্বকাপের আয়োজক তকমা মেখে, চট্টগ্রামে থ্রি-লায়ন্সদের ২২৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েসের ৬০ রানের সুবাদে, ২ উইকেটে জয় পায় টাইগাররা।

এরপর চার বছর আর দেখা হয়নি দুদলের। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মাঝে পথের নতুন কাঁটার সন্ধান পায় ইংলিশরা। ২০১৫ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরিতে, ২৭৫ রানের স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। রুবেল হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে, ২৬০ রানে ইংলিশদের অলআউট করে, প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় টাইগাররা।

পরের বছর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসে ইংল্যান্ড দল। তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ওয়ানডে ২১ রানে হারলেও, মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে বাটলার-স্টোকসদের ২০৪ রানে আটকে দেয় টাইগাররা। ক্যাপ্টেন মাশরাফীর অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে, জয় তুলে নেয় ৩৪ রানে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে হেরে আর সিরিজ জেতা হয়নি সাকিব-তামিমদের।

এরপর আরও দুটি ম্যাচ খেলে, বড় হারের মুখ দেখে বাংলাদেশ। তবে শেষ চার বছরে কিন্তু দেখা হয়নি বাঘ-সিংহের। সব মিলিয়ে ২২ বছরে চারটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। এর একটিতেও শিরোপার দেখা পায়নি লাল-সবুজরা। এবার নিজের ডেরায় সিংহকে বধ করতে পারবে কি বাঘের দল, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

উল্লেখ্য, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগামী ১ মার্চ থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। যেখানে সর্বনিম্ন মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে দেখা যাবে ম্যাচ। আর দর্শকদের সর্বোচ্চ গুনতে হবে ১৫০০ টাকা। এবার টিকিটকে পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেছে বিসিবি। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের বুথে টিকিট পাবেন দর্শকরা।

এ ছাড়া ৩০০ টাকায় দর্শকরা নর্থ অথবা সাউথ স্ট্যান্ডের টিকিট পাবেন। ৫০০ টাকায় ক্লাব হাউজ এবং ১০০০ টাকায় ভিআইপি স্ট্যান্ডের টিকিট কেটে খেলার দেখার সুযোগ থাকবে।

এসএ-১৮/২৭/০২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মাত্র ১০ রানে টি-টোয়েন্টিতে অলআউট হয়ে লজ্জার বিশ্বরেকর্ড

এতদিন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দলীয় সর্বনিম্ন ইনিংসটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থান্ডারের দখলে। গত বছর অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাত্র ১৫ রানে অলআউট হয়েছিল বিগ ব্যাশের ফ্রাঞ্চাইজিটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন ২১ রানে অলআউট হয়েছিল তুরস্ক। ২০১৯ সালে রোমানিয়া কাপে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে এমন লজ্জায় পড়েছিল তারা।

তবে এবার সেই লজ্জার রেকর্ড যেন নিজেদের কাঁধেই তুলে নিলেন ব্রিটেনের অন্তর্ভূক্ত দেশ আইল অব ম্যান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্পেনের বিপক্ষে মাত্র ১০ রানেই অলআউট হয়ে গেছে আইল অব ম্যান ক্রিকেট দল।

এদিন ৮.৪ ওভার ব্যাট করে তারা অলআউট হয়ে গেছে। রানের খাতা খোলার আগেই দলের ৭ ব্যাটার ফিরেছেন। ইনিংসে কোনো বাউন্ডারিই হাঁকাতে পারেননি আইল অব ম্যান।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ষষ্ঠ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্পেনের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল আইল অব ম্যান। তবে মোহাম্মদ কামরান আর আতিফ মেহমুদের বোলিং তোপে এত অল্প রানে আটকে দেয় স্পেন।

কামরান হ্যাটট্রিকসহ ৪ রানে ৪টি এবং মেহমুদও নেন ৪টি উইকেট। বাকি দুই উইকেট শিকারি লর্ন বার্নসের।

স্পেনের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১ রানের। কোনো উইকেট না হারিয়ে দুই বলেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে স্পেন। ওপেনার আওয়াইস আহমেদ দুটি ছক্কায় করেন ১২ রান।

এসএ-১৭/২৭/০২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মেগ ল্যানিং অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জিতিয়ে ইতিহাস গড়লেন

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় ও সবমিলিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯ রানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছে ক্যাঙ্গারুরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজ দেশকে শিরোপা জিতিয়ে ইতিহাস গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। আইসিসির মেগা ইভেন্টে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জেতা একমাত্র অধিনায়ক এখন ৩০ বছর বয়সী এই নারী ক্রিকেটার।

যেখানে তিনি স্বদেশি পুরুষ দলের সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংকেও ছাড়িয়ে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়াই নয়, পুরুষ কিংবা নারী ক্রিকেটেও ট্রফির বিচারে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ল্যানিং।

এর আগে চারটি আইসিসি ট্রফি জিতে ল্যানিং তার স্বদেশি অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন। পন্টিংয়ের নেতৃত্বে ২০০৩ আর ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০০৬ আর ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।

তবে ল্যানিংয়ের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা ৫টি আইসিসি ট্রফির শিরোপা জিতেছে। তার অধীনে ২০১৪, ২০১৮, ২০২০ আর ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে ২০২২ সালে।

এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির ট্রফি জিতেছেন ৩টি। ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে ভারত।

এসএ-১৬/২৭/০২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মেসি-এমবাপ্পের মাইলফলকের ম্যাচ পিএসজিতে

লিগ ওয়ানের ম্যাচে অসধারণ এক রাত পার করেছেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। এদিন ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি। আর পিএসজির জার্সিতে ২০০তম গোলের দেখা পেয়েছেন এমবাপ্পে। এই দুই তারকার অবিস্মরণীয় মাইলফলক ছোঁয়ার রাতে মার্শেইকে উড়িয়ে দিয়েছে প্যারিসিয়ানরা।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফরাসি লিগ ওয়ানে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দলের মোকাবেলায় ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে পিএসজি। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন এমবাপ্পে। অপর গোলটি এসেছে মেসির পা থেকে।

এই জয়ে লিগ ওয়ানে ২৫ ম্যাচে ১৯ জয়ে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও শক্ত করল ক্রিস্টোফার গালতিয়েরের দল। তাদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে দুইয়ে থাকা মার্শেই। সমান ম্যাচে ১৬ জয়ে তাদের সংগ্রহ ৫২ পয়েন্ট।

ম্যাচের ২৫তম মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। এর ঠিক চার মিনিট পর এমবাপ্পের পাস থেকে দ্বিগুণ করেন মেসি। যার মাধ্যমে ৭০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মেসি। আর দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে ২০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ফরাসি তারকা এমবাপ্পে।

এদিন ইউরোপিয়ান লিগে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৭০০ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন মেসি। যার মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে ৬৭২টি ও পিএসজির হয়ে ২৮টি গোল করেছেন তিনি।

শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে ৭০০ গোলের রেকর্ড তার আগে ছিল পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে রোনালদোর ৭০৯ গোলের মধ্যে সৌদি প্রো লিগে আটটি ও পর্তুগিজ প্রিমিয়ার লিগে করেন পাঁচটি গোল।

আরও একটা জায়গায় রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে গেছেন মেসি। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০ গোলের মাইলফলক ছুঁতে রোনালদোকে খেলতে হয়েছিল ৯৪৩ ম্যাচ। তবে মেসি তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৮৪০তম ম্যাচেই ছুঁয়ে ফেলেছেন।

এদিকে এমবাপ্পেও ২০০ গোল করে যৌথভাবে পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। এতদিন পিএসজির হয়ে ২০০ গোলের রেকর্ড এককভাবে দখলে রেখেছিলেন উরুগুয়ে তারকা এডিনসন কাভানি। তবে পরের ম্যাচেই হয়ত তাকেও ছাড়িয়ে যাবেন ফরাসি তারকা।

এসএ-১৫/২৭/০২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ঘনিষ্ঠ ছবি দিয়ে প্রেমের ঘোষণা স্বস্তিকা কন্যার!

আলোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। তার একমাত্র কন্যা অন্বেষা মুম্বাইয়ে মাস্টার্সে পড়াশোনা করছেন। এবার অন্বেষা জানালেন, প্রেম করছেন তিনি। তার প্রেমিকের নাম শ্লোক চন্দন। কলকাতার ছেলে।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অন্বেষা-চন্দনের প্রেমের সম্পর্কের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে নিজের ভালোবাসার কথা জানান অন্বেষা। এসব ছবির কোনোটিতে অন্বেষার গালে ভালোবাসার চুমু এঁকেছেন চন্দন, কোনোটিতে প্রেমিককে বিছানায় জাপটে ধরেছেন অন্বেষা।

এসব ছবির ক্যাপশনে অন্বেষা লিখেছেন, ‘আমার ভালোবাসার এক বছর পূর্তি। এই জার্নিটা কঠিন ছিল। কিন্তু এই যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আমাদের প্রতিটি ঝগড়ার জন্য আজ আমরা এইখানে। তুমি যা কিছু করেছো সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ।’

শ্লোক চন্দন একটি লাল রঙের বেলুন অন্বেষাকে উপহার দিয়েছিলেন। এটি ছিল তার প্রথম উপহার। সেই বেলুনের ছবি শেয়ার করেছেন অন্বেষা। আর এই তারকা সন্তান লিখেছেন, ‘মা জিজ্ঞাসা করে, তুমি আমাকে প্রথম যে বেলুনটা দিয়েছিলে সেটা আজও কীভাবে জ্বলে এবং তার ভেতরটা আজও কী করে হাওয়ায় পূর্ণ? আমি বলি, এটাই ভালোবাসা (এ কথা শুনে মা গোল গোল চোখে আমাকে দেখে)। আর একমাস পরেই বাড়ি আসছি, তোমার কাছে। আই লাভ ইউ।’

মেয়ের ভালোবাসা দেখে কী প্রতিক্রিয়া স্বস্তিকার? কমেন্ট বক্সে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমার সঙ্গে বাড়িতে কে থাকবে?’ এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অন্বেষার প্রেমিক চন্দন। ক্ষমা চেয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দে এ বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে সংসার জীবনে ছন্দপতন ঘটে। দুধের শিশু কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। তারপর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কন্যা অন্বেষাকে বড় করেন এই নায়িকা। মেয়েই এখন স্বস্তিকার বেস্ট ফ্রেন্ড।

এসএ-১৫/২৭/০২ (বিনোদন ডেস্ক)

চিকিৎসকের স্ত্রী হওয়া খুবই কঠিন: মাধুরী দীক্ষিত

বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। ১৯৯৯ সালে আমেরিকার নিবাসী দন্ত চিকিৎসক শ্রীরাম নেনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এই অভিনেত্রী। ইতোমধ্যে দাম্পত্য জীবনে একসঙ্গে ২৩ বছর পার করেছেন মাধুরী-শ্রীরাম।

তবে খুব একটা সহজ ছিল না অভিনেত্রীর দাম্পত্য জীবনের শুরুর দিনগুলো। সম্প্রতি স্বামীর ইউটিউব চ্যানেলে সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী। জানিয়েছেন সেই কষ্টের দিনগুলোর কথা।

মাধুরী বলেন, একজন চিকিৎসকের স্ত্রী হওয়া খুবই কঠিন। সংসার জীবনে সন্তানদের খেয়াল রাখা থেকে শুরু করে, স্কুলে থেকে আনা-নেওয়া, সংসারের প্রায় সব দায়িত্বই আমাকে পালন করতে হয়েছে। অনেক সময় দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু হয়েছে, শ্রীরামকে দরকার, কিন্তু সে তখন হাসপাতালে ব্যস্ত রোগীর চিকিৎসা নিয়ে।

আবার কখনও হয়তো আমি খুব অসুস্থ, তখনও সে হাসপাতালে রোগীর দেখাশোনায় ব্যস্ত। এমনও হয় যে, চার-পাঁচ দিন টানা হাসপাতালে সময় দেওয়ার পর বাড়ি ফেরেন তিনি।

অভিনেত্রী আরও বলেন, বিয়ের পর প্রাণ খুলে বাঁচার সুযোগ পেয়েছি আমি। জীবনটা নিজের মতো করে উপভোগ করতে পেরেছি। অবসর সময়ে আমরা বাইরে যেতাম, অনেক জায়গায় ট্রাভেল করতাম। সেই সঙ্গে প্রচুর অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসও করেছি, যেটা আগে কখনও করিনি আমি। উনি আমার জীবনকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছেন। এমনকি আমাকে আরও ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সহায়তা করেছেন।

তবে অভিনেত্রী তার চিকিৎসক স্বামীর জন্য বেশ গর্বিত বলে জানিয়েছেন তিনি। মাধুরী বলেন, শ্রীরাম যে ভাবে রোগীদের দেখাশোনা করেন, তাদের বাঁচতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেন, তা দেখে সত্যি মুগ্ধ আমি।

স্বামীকে উদ্দেশ্য করে অভিনেত্রী বলেন, আমি জানি, তুমি ভীষণ ভালো মনের মানুষ। বিয়ের ক্ষেত্রে নিজের জীবনসঙ্গীকে ভালোভাবা জানাটা খুবই প্রয়োজন। এতে দুজনের বোঝাপড়াটা অনেক গভীর হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে জন্ম নেয় মাধুরী ও শ্রীরামের বড় ছেলে অরিন। এর প্রায় দু-বছর পর এই দম্পত্তির কোল জুড়ে আসে ছোট ছেলে রায়ান। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে মুম্বাইতে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছেন মাধুরী।

এসএ-১৩/২৭/০২ (বিনোদন ডেস্ক)

পূজা-জোভানের ‘চুমু’র সেই ভাইরাল ছবির মূল রহস্য!

নতুন প্রজন্মের চিত্রনায়িকা পূজা চেরী। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার নায়িকা হিসেবেই বড় পর্দায় অভিষেক তার। খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজের সৌন্দর্য এবং সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকদের মণিকোঠায়।

অন্যদিকে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। অভিনয় করছেন নিয়মিত। তবে গত বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পূজার সঙ্গে কয়েকটি রোমান্টিক ছবি ভাইরাল হয়।

ছবিগুলোতে দেখা যায়, জোভান-পূজা একে অপরকে চুমু খাচ্ছেন। অন্য ছবিতে দেখা গেছে, সিনেম্যাটিক স্টাইলে পূজাকে ফুল দিয়ে প্রপোজ করছেন জোভান। এতেই শুরু হয় নেটদুনিয়ায় আলোচনা। নিন্দুকেরা ছড়িয়েছেন নানান নেতিবাচক কথা।

গুঞ্জন উঠে নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমি পরিচালিত ‘পরি’ নামে ওয়েব ফিল্মের শুটিংয়ে গিয়ে প্রেমে মেতে উঠেছেন এই দুই তারকা। তবে সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন নায়িকা ও পরিচালক। তাদের দাবি, ছবিগুলো ছিল শুটিংয়ের। এখানে প্রেমের কিছুই নেই।

প্রসঙ্গত, ‘পরি’ নামের সেই ওয়েব ফিল্মটি বুধবার (৮ মার্চ) সারা দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এটি মুক্তি পাচ্ছে। এতে পূজার বিপরীতে অভিনয় করেছেন জোভান। এছাড়া আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন ওয়েব ফিল্মটিতে। ইতোমধ্যেই এর পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

এসএ-১২/২৭/০২ (বিনোদন ডেস্ক)

সুখবর দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিপুণ

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। সিনেমায় যেমন ব্যস্ত তিনি, একইভাবে সক্রিয় চলচ্চিত্রশিল্পীদের স্বার্থরক্ষার সংগঠন শিল্পী সমিতির নেতৃত্বেও। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন সুনিপুণভাবেই। শিল্পীদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। একজন ব্যবসায়ী হিসেবেও সফল। সমানতালে সামলান সংসারও।

এসবের বাইর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। ফ্যান-ফলোয়ারদের সঙ্গে নিয়মিত রাখেন যোগাযোগ। বহুমুখী প্রতিভার এই অভিনেত্রী এবার নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিবিসিসিআই) সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে।

কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বিনিময়ের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উত্তরোত্তর উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয় সিবিসিসিআই আয়োজিত ‘কানাডা-বাংলাদেশ ট্রেড এক্সপো ২০২৩’-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। চলতি বছরের ৬-৮ অক্টোবর কানাডার টরন্টোয় হতে যাচ্ছে এ বাণিজ্য উৎসব। সেই উৎসবের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী নিপুণ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে নিপুণ বলেন, ‘এটা আমার জন্য একটি বিশেষ সম্মান ও দায়িত্ব। আমি চেষ্টা করব আন্তরিকতা নিয়ে কানাডা-বাংলাদেশ ট্রেড এক্সপো ২০২৩-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে।’

এদিকে নিপুণ সম্প্রতি বেশ কিছু নতুন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তার অন্যতম ‘ভাষার জন্য মমতাজ’ নামের সিনেমা। ভাষা আন্দোলনের নির্যাতিত, ত্যাগী ও নিগৃহীত নারী ভাষাসৈনিকের নাম মমতাজ বেগম। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সংগ্রামে তিনি তিলে তিলে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে স্বামী-সংসার হারিয়েছেন, চাকরি হারিয়েছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন, নানান রকম কুৎসা ও গঞ্জনা সহ্য করেছেন।

নিজের জীবন, সংসার বিপন্ন করেছেন কিন্তু ভাষা আন্দোলনের প্রশ্নে কখনও আপস করেননি। ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগী এই নারীকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে ভাষার জন্য মমতাজ। এতে মমতাজের ভূমিকায় অভিনয় করবেন নিপুণ আক্তার। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সারোয়ার তামিজউদ্দিন।

সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য এ সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করবেন কাজী হায়াৎ, মুনমুন আহমেদ, সুব্রত, কাওছার চৌধুরী প্রমুখ।

এসএ-১১/২৭/০২ (বিনোদন ডেস্ক)

বিয়ের আগেই সন্তান নেওয়ায় কটাক্ষের শিকার পূজা!

অভিনয় দিয়েই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিপুণ অভিনয়ের মাধ্যমে পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। তবে এই খ্যাতির সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও রয়েছে বেশ সমালোচনা।

মূলত সামাজিকভাবে বিয়ের আগেই ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন বলে করোনা মহামারির সময় থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালের মার্চ মাসে দীর্ঘকালীন প্রেমিক কুণাল বর্মার সঙ্গে আইনি বিয়ে করেছিলেন পূজা। সেই আইনি বিয়ের ৬ মাস পরেই ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

এরপর পূজা ও কুণাল ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর বিবাহের প্রচলিত রীতিনীতি মেনে গাঁটছড়া বাঁধেন। বিয়ের সময় পূজার ছেলের বয়স এক বছর ছিল। কিন্তু তা নিয়েও কটাক্ষের শিকার হতে হয় পূজাকে। ছেলের সামনে বিয়ে করছেন বলে তার চরিত্র বিশ্লেষণ করতেও পিছপা হননি অনেকে।

এ নিয়ে অবশ্য পূজা বরাবর স্পষ্টভাবে নিজের মতামত, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে দ্বিধাবোধ করেন নি কখননই। সম্প্রতি এক টকশোতে এসে তার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন পূজা।

সেখানে তিনি বলেন, ‘কুণালকে বিয়ে করার আগে আমাদের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমার জীবনে প্রথম প্রেম কুণাল নন। প্রথম প্রেমিকের সঙ্গে সারা জীবন কাটাব বলে ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। তবে সেই সংসার অনেক ভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও দু’জনেই ব্যর্থ হই। শেষ পর্যন্ত আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বাবা-মাকে খুব কষ্ট দিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে যাওয়ার কোনো রাস্তা ছিল না। মুম্বাইয়ে ওই অচেনা পরিবেশে একা থাকতে শুরু করি তখন। এরপর ২০০৭ সালে অর্ণয় চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছিলাম। ৬ বছর একসঙ্গে ঘর করার পর ২০১৩ সালে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।’

কিন্তু মুম্বাইয়ে থাকাকালীন পূজা তার জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেন। অভিনেত্রী হিসাবে সফল হয়ে বাবা-মায়ের গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়াবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি। ১৫ বছর বয়সে একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি।

পূজা জানিয়েছিলেন, ‘এসকেপ ফ্রম তালিবান’ ছবিতে মণীষা কৈরালার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তথ্যচিত্র ঘরানার এই ছবিটি যিনি পরিচালনা করেছিলেন, তিনি পূজার বাবার বন্ধু। পরিচালক নিজেই পূজাকে এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব জানান।

এরপর হিন্দি ধারাবাহিকে কাজ করতে শুরু করেন পূজা। ২০১১ সালে ‘দেবো কে দেব মহাদেব’ ধারাবাহিকে পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথমে তাকে সতী চরিত্রের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল। পরে, মৌনী রায় এই চরিত্রে অভিনয় করেন।

তেলুগু ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল পূজাকে। ২০১১ সালে ‘বীরু থেড়া’ ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। একই বছর হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেন পূজা।

তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি পূজাকে। একের পর এক বাংলা ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন তিনি। বাংলা ছবির পাশাপাশি হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন পূজা।

‘ঝলক দিখলা যা’, ‘কমেডি নাইটস বাঁচাও’ রিয়্যালিটি শোয়ে কাজ করেছিলেন পূজা। ২০১৬ সালে ‘কুবুল হ্যায়’, ‘রাজিয়া সুলতান’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। ২০১৬ সালে ‘বিগ বস বাংলা’য় প্রতিযোগী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন পূজা। বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের মুখ হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া নামী পত্রিকার প্রচ্ছদের জন্য ফটোশুটও করেছেন পূজা।

২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘তুঝ সঙ্গ প্রীত লগাই সজনা’ ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকে পূজার সহঅভিনেতা ছিলেন কুণাল। শুটিং সেটেই দু’জনের পরিচয়। সেই আলাপ গড়ায় প্রেমে। ৯ বছর সম্পর্কে থাকার পর গাঁটছড়া বাঁধেন পূজা ও কুণাল।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিয়ে করার পর অভিনয় জগৎ থেকে সাময়িক বিরতি নেন পূজা। দু’বছর পর ফিরে এসে হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করতে নামেন তিনি। ‘অনুপমা: নমস্তে আমেরিকা’ ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি।

এসএ-১০/২৭/০২ (বিনোদন ডেস্ক)