যে ১০ অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্য ধ্বংস করবে

যে ১০ অভ্যাস

প্রাত্যহিক কর্মব্যস্ত জীবনে আমরা অনেকেই সকালের নাস্তা খেতে ভুলে যাই। অথচ ব্রেকফাস্টই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। চেষ্টা করতে হবে স্বাস্থ্যকর হালকা খাবার খাওয়ার এবং তা খেতে হবে দিনে পাঁচ-ছয় বার।

আমরা অনেকেই দুধ বা দুধের সর দিয়ে কফি পান করতে পছন্দ করি। দিনে দুই-এক কাপ কফিতে ক্ষতি নেই। কিন্তু কফিতে আপনি যত বেশি দুধ বা মিষ্টি জাতীয় উপকরণ মেশাবেন ততই এর ক্যালোরি বেড়ে যাবে। তাই অতিরিক্ত কফি পান এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে বেশি করে পানি পান করুন।

মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির কিছুক্ষণ আগে থেকে আমরা খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ি। এ ক্ষেত্রে দুপুরের খাবারটি না বুঝে খেয়ে ফেলছেন ভালো কথা, কিন্তু পরের দিন একই সময় যখন খাবেন তখন একবার ভেবে নেবেন আগেরদিনের খাবারটি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর ছিল কিনা।

ভুল জুতা পরা আপনার স্বাচ্ছন্দ্যে চলার ক্ষেত্রে হুমকি হতে পারে। আপনি হয়তো সাথে সাথেই ব্যথা অনুভব করবেন না, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই এটি কষ্টদায়ক ও বিরক্তিকর হতে পারে। তাই সমসময় আরামদায়ক জুতা পরুন।

অনেকেই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে না। এই বাজে অভ্যাসের ফলে দাঁতে প্লেক গঠন, দুর্গন্ধ এবং মুখের সংক্রমণ বাড়ে। সুতরাং, প্রত্যেকের উচিত রাতে খাবারের পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা। আর তিন থেকে চার মাস অন্তর পরিবর্তন করুন আপনার টুথব্রাশ।

ঘুমের অভাবে ওজন বৃদ্ধি পায়। যথেষ্ট ঘুম না হলে বিপাক ক্রিয়ায়ও পরিবর্তন আসে। এতে খাবার গ্রহণের মাত্রা ও স্থূলতা বাড়তে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমানোর ফলে স্থূলতা ছাড়াও শরীরের ওপর অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ পড়ে। অতএব, বিশেষ করে যুবক ও কর্মজীবীরা অন্যান্য দিনের তুলনায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন একটু বেশি ঘুমিয়ে নেবেন।

আজকাল তরুণরা বেশিরভাগই শরীর গঠনের ব্যায়ামগুলোই বেশি করে। কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামগুলো তারা এড়িয়ে চলে। তাই ট্রেডমিল কাজ, বাইরে হাঁটা, দৌড়ানো কিংবা হৃদযন্ত্রের উপকার হয় এমন ব্যায়ামগুলো করা উচিত।

পিঠের ব্যথা দূর করতে পিঠ বাঁকানো ও সোজা করার ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেই এটি করা যাবে না। সকালে এ ব্যায়াম করার আগে রুটিন ওয়ার্ক যেমন কফি পান করা, মুখ ধোয়া, দাঁত ব্রাশ করার পর এটি করতে হবে।

মূত্রাশয় খালি করা যাবে না। এতে মূত্রাশয় সংক্রমণ হতে পারে। মূত্রাশয়ের জন্য বিরক্তিকর খাবারগুলো যেমন ক্যাফিন, অ্যালকোহল, মশলাযুক্ত খাবার, কার্বনেটেড পানীয়, চকলেট এবং চা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।

কাঁধে সবসময় ব্যাগ, ল্যাপটপ বা ভারি কিছু বহন করলে তা কাঁধ ব্যথার কারণ হতে পারে। সুতরাং, এর বিকল্প ভাবতে হবে।

আরএম-১৩/২৪/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)