বীজ ছাড়া পেয়ারা খান? আসল পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না তো!

বীজ ছাড়া পেয়ারা

শীতকালীন ফলের সময় আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে। এই মরশুমে বাজার উপচে পড়বে পেয়ারাতে। পেয়ারা স্বাস্থ্যকর চামড়া, শরীর ও চুলের জন্য ভীষণই উপকারী।

সুপার-ফুড হিসাবে বরাবরই পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। পুষ্টিকর ফল হিসেবে কাঁচা বা পাকা পেয়ারা খাওয়ার গুণ অনেক, এই ফলে ফাইবার এবং জলের পরিমাণ বেশি বলে তা চর্বি সংশ্লেষে সাহায্য করে। সবুজ বা হলুদ রঙের ফলটিকে ঘিরে ছোট এবং ছোট নরম বীজের যে স্তর থাকে তাও কিন্তু সমান উপকারে আসে।

অনেকেই অবশ্য বীজ পছন্দ করেন না এবং সাধারণত মসৃণ শাঁস টুকু খেয়ে বীজ ফেলে দেন। কিন্তু, আপনি কি জানেন যে বীজ আপনি ফেলে দিচ্ছেন সেগুলিই পুষ্টির আকর! খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেন, পেয়ারা বীজসহই খাওয়া উচিৎ।

প্রতিদিন একগ্লাস কমলালেবুর রস কমাতে পারে আপনার স্ট্রোকের আশঙ্কা

পেয়ারা বীজ খাওয়া উচিত কেন?

রক্তচাপ কমায়

উচ্চ রক্তচাপের সাথে মোকাবিলা করা জন্য ডাক্তাররা অবশ্যই এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। পেয়ারা বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম (কলার থেকে ৬০% বেশি) থাকে যা শরীরে রক্তের প্রবাহ এবং চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

ওজন কমানোয় সাহায্য

পেয়ারাতে ফাইবার বেশি এবং কোলেস্টেরল শূন্য। ফলের বীজের সেরা গুণ হ’ল তা শরীরের কার্বোহাইড্রেটগুলি হ্রাস করে যা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি ঘটায়। ভিটামিন এবং খনিজের সঠিক মিশ্রণ দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি

পেয়ারা বীজে ফাইবার বেশি থাকায় তা হজমের সহায়ক হয় ও পেট পরিষ্কার করে। বীজগুলি যদি সরাসরি গিলে খাওয়া যায় তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে

পেয়ারা বীজে প্রোটিন প্রচুর। এই বীজ চিনি এবং চিনি যৌগের একটি প্রধান অংশ ভাঙতে, মিষ্টি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ বীজ শরীরের ইনসুলিন মাত্রা কমে যেতে বাধা দেয়। টাইপ-2 ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে পেয়ারা এবং এর বীজ একটি চমৎকার খাদ্য বিকল্প।

কিভাবে পেয়ারার বীজ খাবেন?

আপনি ফলের বীজ চিবিয়েই খেতে পারেন, ফলের শাঁস সহ। বীজ চূর্ণ করতে পারেন এবং পেয়ারা রস বা স্মুদিতে মেশাতে পারেন। পেয়ারা বীজের সুবিধার উপভোগ করার আরেকটি আকর্ষণীয় উপায় হল আইসক্রিম বা ফলের স্যালাডে এদের মিশিয়ে দিন।

আরএম-০৪/২০/০৪ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)