ডেঙ্গুজ্বর: যে ৪ লক্ষণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি

ডেঙ্গুজ্বর

ডেঙ্গু এখন আতঙ্কের নাম। পৃথিবীতে বর্তমানে ১২৮টির বেশি দেশে ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা রয়েছে। এখন জ্বর হলেই যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে। কারণ ডেঙ্গুতে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই জ্বর হলে অবহেলা নয়। অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে ডেঙ্গু।

চলতি বছরে ডেঙ্গু মহামারিতে রুপ নিয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তাই জ্বর কম বা বেশি হতে পারে। তবে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ দেখা গেলে এনএস১ এন্টিজেন পরীক্ষা করা হয়।

ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশার নাম হল এডিস, পরিষ্কার পানিতেই তার বাস। একে নিয়ে তাই আতঙ্কও বেশি। একটি প্রাপ্তবয়স্ক মশা সুযোগ ও পরিবেশ পেলেই একমাসে লাখের ওপর ডিম উৎপাদন করতে পারে, আবার এই ডিম ১ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম। তাই সচেতনতা ও সামগ্রিক প্রয়াস ছাড়া এই দুর্যোগ আটকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

প্রথমে কী পরীক্ষা করা হয়?

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কাউকে সন্দেহ করা হলে তার মূলত রক্ত পরীক্ষা করা লাগে। আমাদের দেশে যেহেতু ডেঙ্গু নতুন নয়, কাজেই এই পরীক্ষার ধরনও আলাদা হতে পারে, ফলাফলও আলাদা হতে পারে।

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ দেখা গেলে এনএস১ এন্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। সেটি প্রথম দিনেই করা যায়।

আসুন জেনে নেই যে ৪ লক্ষণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি-

১. অস্বাভাবিক বমি হওয়া।

২. পেটে পানি আসা।

৩. প্রেশার কমে যাওয়া

৪. অচেতন ভাব হওয়া, ইত্যাদি গুলো হোল বিপদের লক্ষণ। এসব রোগীদের ভর্তি খুবই প্রয়োজন।

এর বাইরে জ্বর হলেই যে ভর্তি হওয়া লাগবে তা নয়। পর্যাপ্ত পানি পান করা (পারলে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ লিটার বেশি পান করা), দেশি ফল খাওয়া, বিপদের লক্ষণগুলো খেয়াল রাখা ইত্যাদি বজায় রাখতে পারলেই বিপদ এড়ানো সম্ভব। উপচে পড়া রোগীর ভিড়ে এখন দেখা যাচ্ছে যাদের জীবন-মরণ সমস্যা তাদেরকেই ভর্তি করানো যাচ্ছে না। সবাই আরেকটু সচেতন হলেই সম্ভব এই আউটব্রেক মোকাবেলা করা।

আরএম-১২/২০/০৮ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)