ফিটনেস বাড়ায় ও মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে দুধ

ফিটনেস

সেই কোন যুগ-যুগান্তর ধরে দুধের জয়গান গেয়ে চলেছে মধ্যবিত্ত বাঙালি৷ দুধের অনেক গুণ৷ জেনে নেওয়া যাক একঝলকে৷

এই দুধকে বলা হয় সুষম খাদ্য৷ এতে খাবারে ছ-টি উপাদানই রয়েছে৷ ভিটামিন, মিনারেলস, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, কী নেই এতে৷

অ্যাসিডিটির সমস্যা, পিরিয়ডের সময়ে তীব্র যন্ত্রণা, কাজের জায়গায় স্ট্রেসে অস্থির অবস্থা, এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এক গ্লাস দুধ। প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস দুধ খেলেই এমন অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি আমরা।

দুধে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করে। দুধের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁতে শোষিত হয়ে এদের গড়ন শক্ত করে। প্রতিদিন দুধ খেলে দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া, দাঁতে পোকা ধরা ও ছোপ পড়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়৷ এমনকি, হাড়ক্ষয়ের মতো সমস্যা থেকেও সুরাহা মেলে দুধ খেলে৷

মনে রাখবেন, প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেলে অন্যান্য খাবারের চাহিদা অনেকাংশে মিটে যায়। ব্রেকফাস্টের সময়ে খেলে অনেক সময়ে ধরে তা পেটে থাকে। ফলে বারবার খিদে পায় না৷ তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিনের ডায়েটে দুধ রাখুন।

দুধে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ফিটনেস বাড়ায় ও মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। দুধ খেলে রাতে ভাল ঘুম হয়৷ কারণ দুধে থাকে মেলাটনিন৷ মস্তিষ্ক শিথিল থাকে ও মানসিক চাপমুক্ত হয় মন।

দুধ শরীরকে রি-হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগলে এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিন চট করে৷ দেখবেন অল্পক্ষণের মধ্যেই চাঙ্গা হয়ে যাবেন৷ আর হ্যাঁ, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে ঘুমনোর আগে প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে নিন৷ দেখবেন কাজে দেবে৷

তবে আবারও বলি, দুধে যাঁদের অ্যালার্জি আছে, দুধ যাঁদের পেটে সহ্য হয় না, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে যাঁদের, তাঁরা কিন্তু দুধ খাবেন না৷ তাতে করে হিতে বিপরীত হবে৷ আর, খেলেও ডাক্তারের পরামর্শ মতো সীমিত পরিমাণ খাবেন৷

আরএম-০৮/২২/০৯ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)