আপনার কিডনি ঝুঁকিতে নেই তো? জেনে নিন এই লক্ষণগুলো দেখে

আপনার কিডনি

রক্ত পরিশোধন এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণের মতো জরুরি কাজগুলোর দায়ভার কিডনির ওপর থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তবে বিশেষ কিছু রোগের কারণে সময়ের আগেই তা ঘটতে পারে।

কিডনি বা বৃক্কের অবস্থা যাচাই করতে স্বাস্থ্য-পরীক্ষাই নির্ভরযোগ্য। তবে শারীরিক কিছু ইঙ্গিত থেকেও কিডনির সমস্যা আঁচ করা যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই লক্ষনগুলো-

অমনোযোগী ও শারীরিক দুর্বলতা

কোনো কিছু মনে রাখতে না পারলে কিংবা মস্তিষ্কের জ্ঞান আহরণের ক্ষমতা কমে যেতে থাকলে, কারণ হতে পারে কিডনির কার্যক্ষমতার কমতি। আর এই ঘাটতির ফলাফল হল রক্তে জমবে বিষাক্ত উপাদান। এতে ক্লান্ত, দুর্বল বোধ করার পাশাপাশি সমস্যা হবে যেকোনো কাজে মনোযোগ দিতে। আরো ভয়ঙ্কর ব্যাপার হল বিষাক্ত উপাদান জমতে পারে মস্তিষ্কেও।

পিঠ ও পেশিতে ব্যথা

পিঠের নিচের অংশে, বিশেষ করে এক পাশে প্রতিনিয়ত ব্যথা অনুভব করলে হতে পারে ব্যথার উৎস কিডনি। সাধারণত মূত্রনালীতে প্রদাহ, কিডনির পাথর কিংবা আঘাত পাওয়ার কারণে এমন ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও ‘ইলেক্ট্রোলাইট’য়ের ভারসাম্যহীনতার কারণে পেশিতে ব্যথা হতে পারে।

হাত-পা ফোলা

প্রায়ই হাত-পা ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরের সোডিয়াম জমতে থাকে, যা আসলে মূত্রনালী দিয়ে বের হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এই সোডিয়াম জমে যাওয়াই হাত-পা ফুলে যাওয়ার কারণ।

প্রসাবে রক্ত

সুস্থ কিডনি রক্ত পরিশোধন করার সময় নিশ্চিত করে যে আলাদা করা বর্জ্য পদার্থের মধ্যে কোনো রক্তকণিকা থাকবে না। তবে এই অঙ্গই যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন রক্ত মিশে যায় মূত্রের সঙ্গে। কিডনিতে টিউমার, পাথর কিংবা প্রদাহের কারণে প্রসাবের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে।

ঘুমের সমস্যা

শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ সঠিকভাবে অপসারণ না হলে তা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। যাদের কিডনিতে পাথর আছে তাদের অনেকের মাঝেই অনিদ্রার সমস্যা দেখা যায়।

উচ্চ রক্তচাপ

রক্তনালী আর কিডনি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে জড়িত। তাই রক্তচাপ বাড়লে কিডনির উপর তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বেই। উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির অভ্যন্তরীন রক্তনালীতে আঁচড় পড়তে থাকে এবং দুর্বল হতে থাকে। ফলে কমতে থাকে কিডনির রক্ত পরিশোধন করার ক্ষমতা।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্য মতে, উচ্চ রক্তচাপ হল কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়।

জলবিয়োগ অতিরিক্ত কম কিংবা বেশি

ঘন ঘন জলবিয়োগের বেগ আসতে থাকলে নেপথ্যের কারণ হতে পারে কিডনির সমস্যা। কিডনির পরিশোধন করার ক্ষমতা কমে গেলেই এমনটা হয়। আবার জলবিয়োগের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে তা হতে পারে মূত্রনালীতে কোনো বাধা সৃষ্টি হওয়া কিংবা কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ।

আরএম-২১/০২/১০ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)