দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি নিয়ে কিছু কথা

দেহের

আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। ১২ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস। কিডনির সমস্যা হলে তার চিকিৎসা ব্যয় এত বেশি যে, অনেকেই এই দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন না। তবে একটু সচেতন হলেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিডনি রোগীদের প্রথমেই সচেতন হতে হবে খাবারের বিষয়ে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সব ধরনের খাদ্য উপাদান পরিমিত পরিমাণে থাকে।

সুস্থ অবস্থায় মাছ, মাংস, ডিম, দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া যায়। কিডনির মাধ্যমে এগুলো ইউরিনের সঙ্গে বেরিয়ে আমাদের দেহকে বিষমুক্ত রাখে। তবে কিডনি রোগীদের আমিষ জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।

আমাদের কার্যক্ষমতার জন্য জ্বালানী প্রয়োজন। এটাই ক্যালরি । আমরা বেশীরভাগ ক্যালরি পাই শর্করা থেকে। ভাত, আলু, সুজি, গম, ভূট্টা ক্যালরির মূল উৎস।

স্নেহ জাতীয় খাবারেও প্রচুর ক্যালরি থাকে। প্রানিজ স্নেহ জাতীয় খাবার- যেমন গরুর চর্বি, ডিমের কুসুম, দুধের সর এগুলো খারাপ লিপিড থাকে যা রক্তনালীতে বাসাবেঁধে হৃদরোগ, ব্রেন স্ট্রোক বা কিডনি রোগের কারণ হয়।

ফল, শাক-সবজি, সালাদ এগুলো খাবারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আমরা প্রায়ই অবহেলা করি।

বয়স, ওজন, অন্য রোগ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে প্রত্যেকের জন্য আলাদা ডায়েট চার্ট করা হয়। এজন্য কোন খাবার কী পরিমাণে খেতে হবে, এটা জানতে একজন পুষ্টিবিদের সাহায্য নিন।

এখন সুস্থ থাকলেও যাদের কিডনি রোগের ঝুঁকির রয়েছে

• ডায়াবেটিস থাকলে

• যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে

• কিডনি ইনফেকশন

• কিডনিতে পাথর হলে

• প্রস্রাবে কখনো বাধাজনিত রোগ হয়েছে

• কোনো কারণে দীর্ঘদিন বেদনা নাশক ওষুধ খেলে।

সুস্থ থাকতে বছরে অন্তত একবার পুরো শরীর পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর বর্তমান অবস্থা। কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরএম-১৬/১৪/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)