করোনাকালে ধূমপায়ীদের জন্য বার্তা কী

STOCK IMAGE: Smoking cigarette. (iStock)

করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে নানান গবেষণা। আর প্রায় দিন উঠে আসছে নতুন তথ্য। এবার জানা গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি রয়েছে ধূমপায়ীদের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে ধূমপান করা উচিত নয়। কারণ ধূমপানের জন্য হাতের আঙ্গুলগুলি ঠোঁটের সংস্পর্শে আসে এবং তা থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

ধূমপান করলে এমনিতেই শ্বাসনালী ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধূমপানের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হয়। এই ভাইরাসের আক্রমণে অন্যদের তুলনায় বয়স্ক এবং রোগাক্রান্তরা বেশি ঝুঁকিতে পড়েন। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যদের তুলনায় ধূমপায়ীরা করোনাভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন।

স্যান ফ্র্যান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, অধূমপায়ীদের তুলনায় করোনাভাইরাসে ধূমপায়ীদের আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। গত ১৬ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত ‘করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর’ নামক প্রকাশনায় করোনার ঝুঁকি কমাতে ধূমপান ত্যাগ করার জন্য সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাদ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে অন্যের শরীরে ভাইরাসটি প্রবেশ করে। এসব কারণে অন্যের সঙ্গে এই সময়ে হাত মেলাতেও নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই অন্য কারও সঙ্গে সিগারেট শেয়ার না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস’স কিরবি ইনস্টিটিউটের বায়োসিকিউরিটি বিভাগের প্রধান রেইনা মকন্টায়ার বলেছেন, ‘যাদের ফুসফুসজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই ভাইরাস খুবই নির্দয়।’

শুধু ধূমপান নয়, যেসব দমকল কর্মী দীর্ঘদিন ধরে দাবানল নেভানোর কাজ করছেন তাদের জন্যও দুঃসংবাদ দিচ্ছে করোনাভাইরাস।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সনজয়া সেনানায়েক বলেছেন, ‘যদিও করোনাভাইরাস ও ধূমপানের মধ্যে আমরা এখনও পর্যন্ত সরাসরি কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাইনি, তারপরও ধূমপান শরীরে অন্যান্য সমস্যা তৈরি এবং করোনা মোকাবিলায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।’