করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে কী করবেন কী করবেন না

করোনাভাইরাসের লক্ষণ এখন কমবেশি সবারই জানা। যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এ কারণে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে কিছু বিষয় জেনে রাখা দরকার। যেমন-

১. আপনার মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে সাহায্য চেয়ে হেল্পলাইনে ফোন করে কাউকে নমুনা নিতে বাড়িতে আসার অনুরোধ জানাতে পারেন। কিন্তু তারা যদি আসতে রাজি না হয় তাহলে সবার আগে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে যান। এরপর হেল্পলাইনে ফোন করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. একান্তই হাসপাতালে যেতে হলে মাস্ক পরে যাবেন।

৩. গত কয়েকদিন আপনি যাদের সঙ্গে দেখা করেছেন তাদের একটা তালিকা তৈরি করুন। তাদেরকে কল করে আপনার অবস্থা জানান।

৪. বাড়ির ভিতরে, পরিবারের সদস্যদের থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরে থাকুন। বিশেষ করে বয়স্ক সদস্যদের থেকে সরে থাকুন। কারণ, তারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন।

৫. ঘরের সব দরজার হাতল, নব, স্যুইচ এবং আপনার স্পর্শ করা সব জিনিস জীবাণুমুক্ত করুন। ব্যবহৃত জিনিস অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না।। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

৬. হোয়াটসঅ্যাপ বা কোনও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা চিকিৎসার পরামর্শগুলি অনুসরণ না করে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। মনে রাখবেন, প্রচুর পানি পান আর বিশ্রাম—এই রোগের একমাত্র প্রতিষেধক।

৭. বেশি অসুস্থ যেমন শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। এই পরিস্থিতিতে ভেন্টিলেটর অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে।

৮. আপনি যদি আগে থেকেই অসুস্থ, বয়স্ক, বা দুর্বল হন কিংবা আপনার ডায়াবেটিস বা হার্টের অসুখ থাকে তাহলে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৯. করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। তাই এমন ভাবে থাকুন যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়। মাস্ক পড়ুন। মুখ ঢেকে হাঁচি বা কাশি দিন। নাক-মুখ মুছে টিস্যুপেপার বা রুমাল বন্ধ ডাস্টবিনে ফেলুন। একসঙ্গে অনেকগুলো জমলে পুড়িয়ে দিন। নিজে বাঁচুন, অন্যকেও বাঁচান।

১০. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নাও হতে পারেন। খুব বেশি জটিলতা না থাকলে এবং সঠিক নিয়ম মানলে কয়েকদিনের মধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেতে পারে।