আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে ছড়াতে পারে করোনা?

যদি কোনও ব্যক্তি কাজে বাড়ির বাইরে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করেন অথবা বাড়িতেই অজ্ঞাতসারে করোনা-আক্রান্ত সদস্যের ব্যবহার করা শৌচাগার ব্যবহার করেন অন্যজন, তাহলে কি আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে?

কোভিড-19 সংক্রমণের প্রধান কারণ নোভেল করোনাভাইরাস সার্স-সিওভি-২ এর পরীক্ষা করে জানা গেছে, এভাবে ভাইরাস হয়ত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তবে, বিশ্বব্যাপী, এটা সংক্রমণ প্রসারের প্রধান রুট বা রাস্তা নয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রধান রুট হল আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে শরীর থেকে বের হওয়া ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পানির কণা। এভাবেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর রয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ করা জিনিসপত্র ও জায়গায় হাত রাখা এবং সেই হাত পরে নিজের মুখ, চোখ ও নাকে দেয়া।

মার্কিন গবেষণায় জানা গেছে, কোভিড-19 পজিটিভ রোগীদের মলে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। তবে, সেই পরিমাণ কতটা এবং সেই ভাইরাসের অন্য কোনও ব্যক্তিকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রয়েছে কি না, তা পরিষ্কার নয়।

সাধারণত, টয়লেট করার পর, ফ্লাশ করলেই মলের সঙ্গে সব ভাইরাসও চলে যায়। তবে, নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরেক তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, ফ্লাশ করলে তৈরি হয় ‘টয়লেট প্লুম’। সেখান থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। কিন্তু কী এই ‘টয়লেট প্লুম’?

যখন কেউ টয়লেট করার পর ফ্লাশ করেন, তখন পানির তোড়ে তৈরি হয় ক্ষুদ্রাদিক্ষুদ্র কণা। তাতে কিছু জীবাণু মিশে যায় এবং তা হাওয়ায় ভেসে গিয়ে পড়ে শৌচালয়ের বসার জায়গায়। এগুলোকে বলা হয় ‘টয়লেট প্লুম’।

গবেষকদের দাবি করেছেন, স্বাস্থ্যসম্মত বিধি হল ঢাকনা দিয়ে ফ্লাশ করা। যাতে কোনও অবস্থায় ওই কণা বা ভাইরাস বাইরে না আসতে পারে। পাশাপাশি, একজনের ব্যবহারের কিছুক্ষণ পর আরেকজনের ওই শৌচালয় ব্যবহার করা উচিত বলেও মনে করেন গবেষকরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, টয়লেট ব্যবহার করার পর ভালো করে হাত ধুয়ে ফলতে হবে। সূত্র: আনন্দবাজার