ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হওয়ায় ইমরান খান এখন আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন বলে জানিয়েছে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সংবিধান অনুযায়ী ইমরানই দায়িত্বে থাকবেন। যদিও এ নিয়ে এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে।

রোববার মধ্যরাতের পর দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪ এ (৪) অনুচ্ছেদের অধীনে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ইমরান আহমেদ খান নিয়াজি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন।’

জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ইমরান খান ১৫ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকতে পারবেন।

তবে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্টতা নেই। অনদিকে নির্ধারিত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা সত্ত্বেও, একজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেই ক্ষমতা থাকছে না ইমরান খানের।

তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পর পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সোমবার পাকিস্তনের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এ অবস্থায় পাকিস্তান কার নেতৃত্বে চলবে, এ নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক। এর মধ্যেই ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানকে অবৈধ ঘোষণা করে, ১৯৫ সদস্যের সমর্থনে শাহবাজ শরিফকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একতরফা ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতারা। শাহবাজ দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। আর স্পিকার হিসেবে নিযুক্ত করেন আয়াজ সাদিককে, যিনি ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে পুনরায় বৈধতা দেন।

এদিকে, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পাকিস্তানের রাজনীতিতে অস্থিরতার অভিযোগ থাকলেও এমন পরিস্থিতিতে কিছুই করার নেই বলে দাবি তাদের। দেশটির রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী জড়িত নয় বলেও এক সাক্ষাৎকারে জানান বাহিনীর আন্তঃগণসংযোগ বিভাগের মহাপরিচালক।

চলমান এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের রাজনীতি গভীর সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এসএইচ-০২/০৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)