তারেকের শাস্তি একদিন না একদিন কার্যকর হবে: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৯ জুন) গণভবনে জাপান, সৌদি আরব, ও ফিনল্যান্ড সফর পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নাম নিতেও ঘৃণা লাগে। তবে আজ হোক কাল হোক এক দিন না একদিন তার (তারেক রহমান) শাস্তি কার্যকর হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই একুশে আগস্টের হামলায় আইভি রহমানসহ ২৮ জন মানুষ নিহত হন। শতাধিক মানুষ আহত হন। শুধু একুশে আগস্ট নয়, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গেও যুক্ত সে।

শেখ হাসিনা বলেন, এসব ব্যক্তির জন্য অনেকের মায়া-কান্না দেখছি। আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। তবে ওরা অনেক টাকার মালিক। সব সময় চেষ্টা করে ঝামেলা সৃষ্টি করার। আমি সেখানে গেলেও ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায়। তবে যাই হোক, তার শাস্তি কার্যকর হবে।

বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাসপোর্ট ছাড়া একজন পাইলট বিদেশ চলে গেল- এটা ইমিগ্রেশনের দুর্বলতা।

তিনি বলেন, দিনে দিনে ভিআইপি ও ভিভিআইপির সংখ্যা বাড়ছে। আরও যত ‘ভি’ লাগুক না কেন কাউকে ছাড়া হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই আমাকে অন্য দেশের বিমান ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। আমি বলি, আমি নিজের দেশের বিমানেই যাব। মরলে মনে হবে, দেশের মাটিতেই মরেছি।

তিনি বলেন, লক্ষ্যণীয় বিষয়- যখনই বিমানে উঠি, তখনই ঘটনা ঘটে বা নিউজ হয়। হয়তো পাসপোর্ট ভুলে যেতে পারে, ভুল হতে পারে। এখানে ইমিগ্রেশনে যারা ছিল, তাদের তো চেক করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এতদিন এত পরিশ্রম করে প্লেন কিনে এ অবস্থায় এসেছে। আরও নতুন ব্যবস্থা নেবো- ঠিক তখনই একেকটি ঘটনা ঘটে। এটার কারণ আমার যেটা মনে হয়, আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বিমানকে ইচ্ছেমত ব্যবহার করেছে। কিছুই তো ছিল না। জঘন্য অবস্থা ছিল। হোম মিনিস্টারের নামই ছিল ‘ক্যাসিনো বাবর’।

সেগুলো চলত। সেগুলো ভালোভাবে চেক করছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি, সবার পছন্দ হবে না জানি। খালি আমরা রিজার্ভ মারি, সেগুলো বন্ধের ব্যবস্থা নিচ্ছি। সিকিউরিটির ওপর ব্রিটিশরা বাগড়া দিলো, একবার অস্ট্রেলিয়া দিলো। এখন সিকিউরিটি লেভেল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের আঁতে ঘা বা ইন্টারেস্ট কমে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন এত চমৎকারভাবে চলছে, প্রবাসীরা নিজেদের দেশের ক্যারিয়ারে চলার জন্য পাগল। টিকিট নিয়ে ঝামেলা ছিল। সিট ছিল না। এখন আর এসব নিয়ে সমস্যা নেই। যারা এগুলো করত, তাদের কম পড়ছে। তাই যখনই যেতে চাই, তখনই সমস্যা হয়।

বিএ-১২/০৯-০৬ (ন্যাশনাল ডেস্ক)