ছুটে যান ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খন্দকার খোরশেদ

নারায়ণগঞ্জের গলাচিপা এলাকা ! খোকন সাহা, ব্যবসা করেন ! ৭ তলা উঁচু একটি ফ্ল্যাট ভবনের মালিক ! ৭ বন্ধু মিলে তৈরি করেছেন তা ! থাকেন ৪ তলায় ! স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে ! বিত্তবান ! ধনসম্পদের কমতি নেই !

আজ তাঁর শরীর খারাপ হয় ! অবনতি বলে ডাকা হয় বন্ধুদের ! তারা ভবনের নানা তলায় থাকেন ! চাওয়া হয় সহায়তা ! কিন্তু কেউ সাড়া দেয়নি। পরে স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়েই চেষ্টা চালায় ! হাসপাতালে নিতে ! নামার সময় সিডিতেই ঢলে পড়েন খোকন সাহা ! সেখানেই মারা যান। এরপরও কেউ এগিয়ে আসেনি।

উপসর্গ ছিল করোনার ! সিঁড়িতেই পড়েছিল মৃতদেহ ! অনেকক্ষন ! একবারও কেউ ছুঁয়ে দেখেনি। স্ত্রী-কন্যার কান্নায়ও মন গলেনি কারো ! দুপুর ১২ টার দিকে ছুটে যান মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ! তিনি ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ! মৃতদেহ সংগ্রহ করেন ! সৎকার করান !

মৃতের সম্প্রদায়, স্বজনরা কেউ যাননি ! তাই পরিবারের অনুমতি নিয়ে মুখাগ্নির কাজটিও করেন কাউন্সিলর ! মানবিক বাংলাদেশের অনন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে এটি !

আপনি যদি আজ আক্রান্ত হন, আপনি কি এ আচরণ আশা করতেন ? তাও কাছের মানুষের কাছে?

যদি এ যাত্রায় বেঁচেই যান, তবে পৃথিবীতে কি একাই বাঁচবেন? এই আত্নীয়, এই পড়শীদের মুখোমুখি কি হবেন না একদিন?

একটু মানবিক হোন, দায়িত্বশীলও হন!

আমিন আল রশিদের ফেসবুক আইডি থেকে সংগৃহিত