রাজশাহীর ডিসির বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। অবৈধ বালুঘাট বন্ধের জেরে এই হুমকি দেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এনিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন বেন্টু। সেখানে ডিসি হামিদুল হকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতি আচরণেরও অভিযোগ আনেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।এর আগে বুধবার দুপুরের দিকে নগরীর তালাইমারী সংলগ্ন পদ্মার কাজলা মৌজায় বেন্টুর অবৈধ বালুঘাটে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

ওই সময় আটক অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িত আট জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন ভ্রাম্যমান আদালত। বালুঘাট বন্ধ করে সেখানে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়েছে। এতে চরম ক্ষুদ্ধ হন নগরীর শীর্ষ বালু ব্যবসায়ী আজিজুল আলম বেন্টু।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, তার মালিকানাধীন ‘মেসার্স আমিন ট্রেডার্স’ চলতি বছর দুই কোটি দুই লাখ টাকায় পদ্মার চরশ্যামপুর ও চরখিদিরপুর মৌজার ১২০ একর বালুমহাল ইজারা পেয়েছে।

জেলা প্রশাসন লাল নিশানা টাঙিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। তিনি সীমানার ভেতরেই বালু তুলছিলেন। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত তার বালুমহালে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এনি পুরোপরি অন্যায়।

বেন্টু বলেন, তার বালুমহাল বন্ধে আনোয়ার হোসেন নামের আরেকজন বালু ব্যবসায়ী হাইকোর্টে রিট করেন। আগামী ২০ আগস্ট এই রিটের শুনানির দিন ধার্য্য রয়েছে। তার আগেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বেন্টু। আনোয়ার হোসেনের প্রতি ডিসির পক্ষপাতিত্ব করে ডিসি তার বালুমহাল বন্ধ করে দিয়েছেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আট শ্রমিকের মুক্তি এবং বালুঘাট খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আদালতের আদেশের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল। বালুমহাল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলে সেটিও মানবেন তিনি। তবে পুরো বিষয়টি তিনি আইনীভাবেই মোকাবেলার করবেন। প্রয়োজনে নামবেন আন্দোলনে।

তবে আজিজুল আলম বেন্টুর এই অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। তিনি বলেন, আজিজুল আলম বেন্টু চরখিদিরপুর ও চরশ্যামপুর মৌজার বালুমহাল ইজারা পেয়েছেন। কিন্তু বালু তোলা তুলছিলেন কাজলা মৌজা থেকে। অবৈধ বালুমহল বন্ধে গত সোমবার তিনি হাইকোর্টের নির্দেশনা হাতে পান। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ১৫ দিন সময় ছিলো।

তিনি আরো বলেন, কাজলা মৌজায় জেলা প্রশাসনের কোন বালুমহাল ইজারা দেয়া নেই। অবৈধভাবেই চলছিলো এই বালুমহলটি। তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চরশ্যামপুর ও চরখিদিরপুর বালুমহল থেকে বালু উত্তোলনে বাধা নেই।

বিএ-১৬/২৫-০৭ (নিজস্ব প্রতিবেদক)