বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে মহানগর ঘেঁষা পদ্মা নদীতে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। এরমধ্যে দিয়েই শেষ হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের এ মিলনমেলা।

তাই বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মহানগরের পদ্মা নদীর তীরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। দুর্ঘটনা এড়াতে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি ইউনিটও পদ্মায় অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গশিখর কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন। তবে দেবী দুর্গা চলে গেলেও পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের শ্রদ্ধা ও আনন্দমাখা জল। আর ভক্তদের কাছে রেখে যাবেন আগামী বছর ফিরে আসার অঙ্গিকার।

তাই আবারও মর্ত্যলোক ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভক্তরা চোখের জলে মাকে বিদায় জানাচ্ছেন। ফলে বিদায়ের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। বিকেল থেকে মহানগরের মুন্নুজান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পদ্মায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে।

বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন, যাবেনও ঘোড়ায়। যার ফল হচ্ছে ফসল ও শস্যহানি।

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল কুমার সরকার জানান, রাজশাহীতে এবার ৪৩৭টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল থেকেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী, রাতের মধ্যেই তা শেষ করার কথা রয়েছে। এজন্য মহানগরের মুন্নুজান, পঞ্চবটি, আলুপট্টি, ফুদকিপাড়া ও বড়কুঠি ঘাটে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

এদিকে, নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান শেষ করতে বর্তমানে কুমাড়পাড়া, আলুপট্টি, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র‌্যাব।

মহানগরের বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপ থেকে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে এসে পদ্মা নদীতে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে।

বিএ-২০/০৮-১০ (নিজস্ব প্রতিবেদক)