বিষধর সাপের দংশনে রামেক হাসপাতালে দম্পতির মৃত্যু

বিষধর কাল কেউটের (কমন ক্রেট) দংশনে মারা গেছেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রামচরণপুর গ্রামের এক দম্পতি। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান তারা।

মৃতরা হলেন-রামচরণপুর গ্রামের নূর ইসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী মৌসুমি খাতুন (২৬)।

এক মাস আগে নূর ইসলামের বাবা সিরাজুল ইসলামও সাপে কেটে মারা যান। সিরাজুল ইসলামকে হাসপাতাল নেয়ার সময় পাননি স্বজনরা।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ শোবার ঘরে বিষধর কাল কেউটে দংশন করে নূর ইসলাম ও তার স্ত্রীকে। শুক্রবার ভোরে তাদের রামেক হাসপাতালে নেন স্বজনরা।

নূর হাসপাতালের ৪২ ও মৌসুমি ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।

মৃত নূরের চাচা আবদুর রহিম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নিজ শোবার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন নূর ও মৌসুমি। মশারি ভেদ করে সাপটি তাদের বিছানায় চলে আসে।

রাত ২টার দিকে দুজনকেই দংশন করে সাপটি। টের পেয়ে স্বজনরা বিছানা থেকে সাপটি জালে আটকে ফেলেন। হাসপাতালে নেয়ার পর সাপটি সনাক্ত করেন চিকিৎসক।

রাতেই দংশিতদের মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে ভোর ৬টার দিতে তাদের রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।

রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বেলাল হোসে বলেন, দংশনের পর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা গেছে ওই দুজনকে বাঁচানো সম্ভব হতো। কিন্তু হাসপাতালে আসতে বিলম্ব হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাদের বাঁচানো যায়নি।

মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সাপে কাটা রোগীদের জন্য এন্টিভেনম ন্সেক সরবরাহ নেই। আর এজন্য ওই দম্পতির চিকিৎসা দেয়া যায়নি।

বিএ-০১/১১-১০ (নিজস্ব প্রতিবেদক)