আড়াই বছর পর দলীয় কার্যালয়ে এমপি ফারুক চৌধুরী

ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দুই মেরুতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এরই জেরে প্রায় আড়াই বছর পর দলীয় কার্যালয়ে গেলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় অংশ নেন তিনি।

ওই সভা আহবান করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটনকে জেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নগরীর লক্ষ্মীপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শীর্ষ নেতাদের ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেগম আখতার জাহান, জিনাতুন নেসা তালুকদার, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা প্রমুখ।

গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে অংশ নিয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বিরোধীতা করেন ফারুক চৌধুরী। তবে উপস্থিত নেতারা তার এই বিরোধীতাকে পাত্তা দেন নি।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভাতেও অনুপস্থিত ছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। ওই সভায় গঠন করা হয় এই কমিটি।

এরপর গত ২৩ নভেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আরেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেও উপস্থিত হননি ওমর ফারুক চৌধুরী।

ফারুক চৌধুরীর আপত্তির বিষয়ে সম্মেলনের সমন্বয়ক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, তিনি প্রস্তুতি কমিটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু এটা তো প্রত্যেক সম্মেলনেই হয়।

তাই এ বিষয়ে আপত্তি তোলা ঠিক হয়নি। আর তার পক্ষে তো মানু (আইন বিষয়ক সম্পাদক এজাজুল হক মানু) আর চঞ্চল (যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল) ছাড়া কেউ নেই। মেজরিটিতে তিনি টেকেননি।

বিরোধীতা প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, সাংগঠনিক সভায় নানা বিষয়ে যুক্তি-তর্ক থাকবেই। এতে কে হারল, কে জিতল সেটা বড় বিষয় নয়।

দীর্ঘদিন ধরেই মুখোমুখি অবস্থানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।

প্রকাশ্যে দুজনই একে অন্যের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। দলের শীর্ষ নেতাদের প্রকাশ্য বিরোধে টালমাটাল হয়ে পড়ে জেলা আওয়ামী লীগ।

বিরোধ মেটাতে গত ৮ নভেম্বর এই দুই নেতাকে ডেকে পাঠিয়েছিলো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। সেখানেই সম্মেলন আয়োজনের দিন ধার্য্য করা হয়।

জানা গেছে, এবারো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। একই পদের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ।

কাউন্সলরদের ভোটে নেতা নির্বাচনের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এনিয়ে সম্মেলনের জোর প্রস্তুতিও চলছে।

বিএ-১৮/২৮-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)