গাজীপুরে যুবলীগের কর্মী খুন, আ.লীগের কর্মীসহ গ্রেফতার ৮

গাজীপুরে নির্বাচনের দিন রাজনৈতিক ও পূর্বশত্রুতার জেরে সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও যুবলীগের কর্মী মো. লিয়াকত হোসেন খুনের ঘটনায় সোমবার রাতে গাজীপুর সদর থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই মো. আইয়ুব রানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান আওয়ামী লীগের কর্মীসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নিহত লিয়াকত মহানগরের কাজী আজিম উদ্দিন কলেজের সাবেক ভিপি এবং গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদের বড় ভাই। তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রফিজ উদ্দিন জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার হাড়িনাল উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে রোববার দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বানের ভোটগ্রহণ চলছিল।

এ সময় কেন্দ্রের বাইরে চেয়ারে বসে থাকা যুবলীগের কয়েক কর্মীর ওপর লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ৪০-৫০ জনের একদল যুবক। এতে লিয়াকত হোসেনসহ (৪০) যুবলীগ কর্মী মো. আশরাফ (৪০), খায়রুল ইসলাম (৪০) ও গণি মিয়া (৪২) আহত হন। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর লিয়াকত হোসেন মারা যায়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর জানান, লিয়াকত খুনের ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের বড় ভাই মো. আইয়ুব রানা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাজনৈতিক ও পূর্বশত্রুতার জেরে ওই হামলা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রেফতার আটজন হলেন সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী মো. হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৪৮), মো. ফাহিম রেজা (২১), মো. সাব্বির (২৪), সাগর চৌধুরী (১৮), মো. রাসেল (১৮), মো. মোর্শেদুল কবীর শিপন (৪২), মো. মশিউর রহমান জুয়েল (৩৮) ও আহম্মেদ হোসেন (১৮)। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

বিএ-২২/০১-০১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)