পঞ্চাশোর্ধ্বদের টিকার আওতায় আনলে মৃতের হার কমবে’

দেশে কমছে করোনা সংক্রমণের হার। এই অবস্থা চলতে থাকলে দুই সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুর হার আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পঞ্চাশের বেশি বয়সীদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার পরামর্শ তাদের।

এপ্রিলে এসেই করোনার আরেক ভয়াবহ রূপ দেখেছে বাংলাদেশ। সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ ছাড়িয়ে গেছে গত বছরের আক্রান্ত আর মৃতের সব রেকর্ড।

তবে আবারো লকডাউডন আর নানা বিধি-নিষেধের প্রভাবে মে মাসের শুরু থেকে কিছুটা নিম্নমুখী পরিস্থিতি। সপ্তাহখানেক ধরেই শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে। তবে মৃত্যুর সংখ্যার এখনো পঞ্চাশ কিংবা ষাটের কোটায় থাকাটা অস্বস্তির বড় কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃতদের অনেকেই গত মাসে অর্থাৎ করোনার ঊর্ধ্বগতির সময়ের রোগী। তবে সংক্রমণের এই হার চলতে থাকলে মৃত্যুর হার আরও কমবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা মোস্তাক আহমেদ বলেন, সংক্রমণের তিন সপ্তাহ পর মৃত্যুর প্রভাবটি পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের হার কমছ, আগামী তিন চার সপ্তাহ পর আমরা দেখতে পাব যে, মৃত্যু হারও কমে যাচ্ছে।

সেক্ষেত্রে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে আরও বেশি টিকার আওতায় আনার তাগিদ তাদের।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রেদওয়ানউর রহমান বলেন, টিকা প্রদানের কার্যক্রমের বিস্তৃতি আরও বাড়াতে হবে। এখন পর্যন্ত যারা রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছেন বা যারা টিকা কেন্দ্রের কাছাকাছি আছেন তারাই টিকা নিচ্ছেন।

এক্ষেত্রে যারা করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের টিকা প্রদান করা গেলে মৃত্যু হার অনেক কমে যাবে।

এসএইচ-৩৪/০৬/২১ (অনলাইন ডেস্ক)