ক্রিকেট জুয়ায় ধোনি-কোহলিদের নাম আসে না কেন?

তামিল নাড়ু প্রিমিয়ার লিগে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেটে। নতুন করে আলোচনায় চলে এলো, ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত ক্রিকেট আর কত কলঙ্কিত হবে? অথচ, অন্য যে কোনো খেলার চেয়ে ক্রিকেটেই যেন সবচেয়ে বেশি ফিক্সিংয়ের কারবার চলে।

ভারতীয় ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের সংস্কৃতি নতুন নয় বেশ পুরনো। আজহারুদ্দিন-অজয় জাদেজা থেকে শুরু করে হাল আমলের শ্রীশান্থরা জড়িয়েছেন ফিক্সিংয়ের সঙ্গে। আইপিএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি তো জগতজোড়া খ্যাতি পেয়েছে। যে কারণে ২ বছর নিষিদ্ধ ছিল আইপিএলের দুই পুরনো দল রাজস্থান রয়্যালস এবং চেন্নাই সুপার কিংস।

তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের প্রধান অজিত সিং মনে করেন, ভারতের সিনিয়র এবং তারকা ক্রিকেটাররা নিজেদের সম্মান বিসর্জন দিয়ে কখনোই ফিক্সিংকে নিজেদের পাশে প্রশ্রয় দেয় না। যেমন বিরাট কোহলি এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফিক্সিং প্রশ্নে তারা কখনোই আপোষ করবে না।’

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা যতই জোর গলায় বলুন না কেন যে, সিনিয়র ক্রিকেটাররা ফিক্সিংয়ের ধারে-কাছেও যান না; কিন্তু তিনি হয়তো ভুলেই গেছেন আইপিএলে খোদ মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধেই ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। তার দল দুই বছর নিষিদ্ধ ছিল। যদিও ধোনির বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি।

অজিত সিংয়ের মতে, অনেক তরুণ ক্রিকেটার কিংবা অনেক ক্রিকেটার আছে যারা ক্যারিয়ারে খুব কমই সাফল্য পেয়েছে, তারাই হয়তো বুঝে কিংবা না বুঝে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। অনেক তরুণের ক্ষেত্রে বড় অংকের টাকার হাতছানি উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

ভারতয় মিডিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, বর্তমান সময়ের ক্রিকেটে যারা তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন, তারা খুব দ্রুতই নিজেদের মান-সম্মান, যশ-প্রতিপত্তি সব হারিয়ে ফেলবে, যদি এসবের (ফিক্সিং) সঙ্গে জড়িয়ে যায়। যেমন ধরুন, বিরাট কোহলি কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনি এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন, তখন কি অবস্থা হবে? বিষয়টা শুধু টাকার সঙ্গে জড়িত নয়, মান-সম্মানের সঙ্গেও জড়িত। তারা (ধোনি-কোহলিরা) কখনোই নিজেদের মান-সম্মানকে বিসর্জন দেবেন না। এসবের চেয়েও তারা অনেক বড়।’

এসএইচ-১৮/১৭/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)