গাড়িতে বসেই করোনার টেস্ট!

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অচল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। করোনার সংক্রমণ থেকে বাচতে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি আছেন মানুষ। আবার করোনায় আক্রান্ত কীনা তা জানতে টেস্ট করাও সহজসাধ্য নয়। করোনা প্রতিরোধের কোন ওষুধও আবিষ্কার হয়নি। তাই গুগলের সহপ্রতিষ্ঠান মেডিকেল কোম্পানি ভেরিলি টেস্ট করার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। কোম্পানিটির টেস্ট স্যাম্পল সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া বেশ চমকপ্রদ। গাড়িতে বসেই টেস্ট ! ‘ড্রাইভ থ্রু’ পদ্ধতিতে কোভিড ১৯ ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যাতে রোগীকে গাড়ি থেকে নামতে না হয়। এতে আশপাশের পরিবেশে যেমন ভাইরাস ছড়ায় না, তেমনি নমুনা সংগ্রহকারী কর্মীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত হয়।

তিন ধাপে নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

ধাপ ১: অনলাইন টেস্টঅনলাইনের কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে ঠিক করা হয় আপনার কোভিড ১৯ টেস্ট লাগবে কি না। প্রশ্নের মধ্যে আছে কোভিড ১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন কি? নিবাস বা কর্মস্থল কি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়? বয়স কত? পূর্ববর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কিনা? কী কী উপসর্গ লক্ষ্য করছেন।

ধাপ ২: অ্যাপয়েন্টমেন্টযদি অনলাইন পর্যালোচনায় কাউকে টেস্টের জন্য যোগ্য মনে করা হয়, তাহলে তাকে একটি রেফারেন্স আইডি নাম্বার দেওয়া হয়। একজন প্রতিনিধি টেস্টের সময় ও স্থান জানিয়ে দেয়।

ধাপ ৩: টেস্টড্রাইভ থ্রু স্থানগুলোতে কাজ তিন ধাপে হয়। ড্রাইভ করে টেস্টের স্থানে পৌঁছালে একটি স্টেশনে একজন অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেক করবেন। এরপর আরেকটি স্টেশনে রেফারেন্স আইডি ম্যাচ করা হয়। এ দুই ধাপে গাড়ির গ্লাস নামানোর অনুমতি দেওয়া হয় না। লিখিত বোর্ড দেখিয়ে আলাপ হয়। শেষ ধাপে গাড়ির কাঁচ নামিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

ফলাফলনমুনা সংগ্রহ করার দুই থেকে চারদিন পর ফলাফল আসে। যদি রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ফোন করে বিস্তারিত নির্দেশনা দেন। যদি ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত না হয়, তাহলে মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। ভাইরাসটিতে ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইতালি ও স্পেনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। দেশ দুটিতে শত শত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরানসহ কয়েকটি দেশের অবস্থাও খারাপ।

এসএইচ-২১/০১/২০ (প্রযুক্তি ডেস্ক)