রাত ২:০১
শুক্রবার
১৭ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

অনলাইন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত!

অনলাইন

অনলাইন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত!

 

দু বছর পর হজ ক্যাম্পে হাজিরা, প্রথম ফ্লাইটে যাচ্ছেন ৪১৫

দুই বছর পর আবার মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্প। কাল থেকে শুরু হচ্ছে হজযাত্রা। সরকারি ব্যবস্থাপনার ৫ ও ৬ তারিখের যাত্রীদের ভিসা প্রস্তুত হয়েছে। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনা নিয়ে হজযাত্রীরা সন্তোষ জানালেও বেসরকারি পর্যায়ের কোনো ভিসা এখনো হয়নি বলে জানিয়েছে হাব।

অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের। সৃষ্টিকর্তার ঘরে হাজিরা দিতে উন্মুখ হজে গমনেচ্ছুরা। তাই তো দেশের নানা প্রান্তু থেকে আগত মুসল্লিদের পদরচারণায় মুখর আশকোনা প্রাঙ্গণ।

শনিবার সকাল থেকে ক্যাম্পে শুরু হয়েছে ৫ ও ৬ জুনের সরকারি হজযাত্রীদের প্রাথমিক রিপোর্টিং কার্যক্রম। আগেভাগেই দূরের যাত্রীরা ক্যাম্পে এসে সম্পন্ন করেন এসব কাজ, একই সঙ্গে শুরু হয়েছে করোনা পরীক্ষা ও মেডিকেল কার্যক্রম। সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট তারা।

৫ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত চলবে সরকারি হজযাত্রা। আর এ পর্যায়ের যাত্রীরা ইতোমধ্যেই এসে উঠেছেন ক্যাম্পের ডরমিটরিতে। সেখানকার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাপনা নিয়েও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন হজযাত্রীরা।

রোববার সকাল ৯টায় প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরব যাচ্ছেন ৪১৫ জন হজযাত্রী। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩০০১ দিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য প্রথম ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে হজ ক্যাম্পে বাংলাদেশি অংশের ইমিগ্রেশন বিভাগও। কোনো বিড়ম্বনা ছাড়া যাত্রীদের এ কাজ সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এবার হজযাত্রীদের ভিসা ও শিডিউল নিয়ে বিড়ম্বনা হবে না বলে হজ অফিস জানালেও হাব বলছে, বেসরকারি পর্যায়ের হজযাত্রীদের ভিসা এখনো শুরুই হয়নি। ৫ জুন হজযাত্রা শুরু হয়ে চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘উদ্বোধনী ফ্লাইট উপলক্ষ্যে রোববার সকালে বিমানের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীও থাকবেন। ওনারা হজযাত্রীদের বিদায় জানাবেন এবং দোয়া করা হবে।’

এসএইচ-০৮/০৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ক্ষত ভুলে ফের মাঠে নামছে ইতালি, প্রতিপক্ষ জার্মানি

উয়েফা নেশন্স লিগের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে রাতে মুখোমুখি হবে ইতালি ও জার্মানি। ফিনালিসিমা হারের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে ভালো খেলার লক্ষ্য আজ্জুরিদের। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স চায় ডাইমানশাফট। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় শনিবার  দিবাগত রাত পৌনে ১টায়।

ইতালি-জার্মানি ম্যাচ। ইউরোপের দুই পাওয়ার হাউসের লড়াই। মাত্রই ওয়েম্বলি থেকে ফিনালিসিমা হেরে এসেছে ইতালি। আজ্জুরিদের দেখে মনেই হয়নি গেল বছর এই দলটাই জিতেছিল ইউরোপসেরার ট্রফি। ইউরো জয়ের পর থেকেই শুরু দলটির দুর্দশা। মানচিনির অধীন দুর্দান্ত খেলা ইতালি রাশিয়া বিশ্বকাপের পর আরও একবার ব্যর্থ হয়েছে বাছাইয়ের বাধা অতিক্রম করতে। কাতার বিশ্বকাপের প্লে-অফ বাধাই পাড়ি দিতে পারেনি ইতালি।

ভাঙা হৃদয় জোড়া লাগাতে ফুটবলপিয়াসিদের চোখ ছিল ফিনালিসিমায়। কিন্তু কিয়েল্লিনির বিদায়ী ম্যাচটা দুঃসহ করে দিয়ে শিরোপা উল্লাস করেছেন লিওনেল মেসি। হারানোর আর কিছুই নেই। নেশন্স লিগের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলার লক্ষ্য মানচিনির শিষ্যদের। গেল আসরটা খুব বেশি ভালো যায়নি। এবার প্রথম ম্যাচেই তাদের সামনে জার্মানি-বাধা। এতকিছুর মাঝে ইতালির জন্য একটা স্বস্তির খবর–১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে নিজেদের মাটিতে জার্মানির কাছে হারেনি আজ্জুরিরা। সে যাত্রা কি আরও দীর্ঘ করতে পারবে ইতালি?

নেশন্স লিগের ম্যাচগুলো সামনে রেখে দলে বেশ কজন নতুন ফুটবলার ডেকেছেন ইতালির কোচ মানচিনি। ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন ফেদরিকো চিয়েসা, মার্কো ভেরাত্তি, ডমেনিকো বেরারর্দি, ময়েসে কিন, নিকোলো জানিলো ও আন্দ্রে পিনামোন্তি। সুযোগ পাননি চিরো ইমোবিল। নতুনদের নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চান মানচিনি।

ইতালির মাটিতে তাদের হারানো কঠিন জানে জার্মানি। কিন্তু কোচ হ্যান্সি ফ্লিক নামের এই মানুষটি যেন জাদু জানেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দলে এসেছে অনেক পরিবর্তন। নেশন্স লিগ ভালো কাটেনি জার্মানিরও। তাই এ বছর আসরের শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে চান ডাইমানশাফট কোচ।

অভিজ্ঞ মার্ক টার স্টেগান, জুলিয়ান ড্র্যাক্সলারের মতো অভিজ্ঞদের নেশন্স লিগের জন্য ডাকা দল থেকে বাদ দিয়েছেন কোচ। চমৎকার ফর্মে আছে গ্যানারব্রি ও লে রয় সানে। তাদের ওপরই আস্থা কোচের।

দুদল এখন পর্যন্ত খেলেছে ৩৫টি ম্যাচ। ১৫টি জয়ে এগিয়ে আছে ইতালি। জার্মানির জয় আছে ৯টি ম্যাচে। ড্র হয়েছে ১১টি লড়াই।

এসএইচ-০৭/০৪/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

নিয়োগ দেবে ডেসকো

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)। প্রতিষ্ঠানটি ১০ পদে ১৩০ জনকে নিয়োগ দেবে।

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে শূন্য পদগুলোতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এখন পদসংখ্যা বাড়িয়ে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। আগের বিজ্ঞপ্তিতে যারা এসব পদে আবেদন করেছেন, তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। যারা এখনো আবেদন করেননি, তারা ১৩ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

পদ সংখ্যা

অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিক্যাল) পদে ৬৭ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাডমিন) ৩ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) ৪ জন, সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিক্যাল) ২৩ জন, জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাডমিন) ৪ জন, জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) ৬ জন, সাবস্টেশন অ্যাটেনডেন্ট ৭ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমপ্লেইন্ট সুপারভাইজার ২ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইনম্যান ১২ জন ও ২ জন স্পেশাল গার্ড নিয়োগ দেওয়া হবে।

আবেদনের যোগ্যতা
অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিক্যাল) পদে আবেদনের জন্য ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, মেকানিক্যাল, সিভিল, কম্পিউটার সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাডমিন) পদের জন্য মানবসম্পদ, ব্যবস্থাপনা বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) পদের জন্য ফাইন্যান্স বা হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা এমবিএ। সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিক্যাল) পদের জন্য ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, সিভিল, কম্পিউটার, পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বা যেকোনো ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি।

জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাডমিন) পদে আবেদন করতে চাইলে মানবসম্পদ, ব্যবস্থাপনা বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) পদের জন্য ফাইন্যান্স বা হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি বা এমবিএ।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস সনদ থাকলে সাবস্টেশন অ্যাটেনডেন্ট পদে আবেদন করা যাবে। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমপ্লেইন্ট সুপারভাইজার পদের জন্য যেকোনো বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইনম্যান হিসেবে আবেদন করতে চাইলে এসএসসি পাস হতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত সিপাহি বা কনস্টেবল এবং আট বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে স্পেশাল গার্ড পদে আবেদন করা যাবে।

আবেদনপ্রক্রিয়া
ডেসকোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন ফরমের সঙ্গে স্ক্যানকৃত ছবি, স্বাক্ষর, সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদের কপি আপলোড করতে হবে।
আবেদন ফি

অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিক্যাল), অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাডমিন), অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স), সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিক্যাল), জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাডমিন) ও জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) পদের আবেদন ফি ১,৫০০ টাকা এবং বাকি পদগুলোর জন্য আবেদন ফি ১০০০ টাকা। ডাচ্​বাংলা ব্যাংকে লিমিটেডের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘রকেট’-এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে।

বেতন ও সুবিধা
অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিক্যাল) পদের বেতন ৫১,০০০ টাকা, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার
(অ্যাডমিন) ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) পদের বেতন ৫১,০০০ টাকা। সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিক্যাল), জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাডমিন) ও জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) পদের বেতন ৩৯,০০০ টাকা।

সাবস্টেশন অ্যাটেনডেন্ট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমপ্লেইন্ট সুপারভাইজার পদের বেতন ২৪,০০০ টাকা। অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইনম্যান পদের বেতন ২৩,০০০ টাকা ও স্পেশাল গার্ড পদের বেতন ১৮,০০০ টাকা। এ ছাড়া সব পদের ক্ষেত্রে মূল বেতনের ৫০-৬০ শতাংশ বাসাভাড়া, দুটি উৎসব বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা দেয়া হবে।

এসএইচ-০৬/০৪/২২ (জবস ডেস্ক)

কার্লোস তেভেজ ফুটবলকে বিদায় জানালেন

তখন ৪-৪ গোলে সমতা। শেষ ব্যক্তি হিসেবে পেনাল্টি শুট করবেন কার্লোস তেভেজ। কলম্বিয়ার জালে গোলও করেন তিনি। ততক্ষণে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাস আর্জেন্টাইন শিবিরে। সেই উচ্ছ্বাস প্রশমিত হয় সমর্থকদের মাঝেও। যদিও ২০১৫ সালের সে আসরে ফাইনালে উঠেও শিরোপা জেতা হয়নি তেভেজের আর্জেন্টিনার। সেই তেভেজ এবার বিদায় বলে দিলেন সব ধরনের ফুটবলকে। খবর মুন্ডো আলবিসেলেস্তের।

অবসর নেয়ার খবরটা এভাবে জানিয়েছেন তেভেজ, ‘আমি অবসর নিয়েছি। এটা নিশ্চিত। আমাকে অনেকে অনেক প্রস্তাব দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু আমি সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি।’

জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ২০১৫ সালে খেললেও তেভেজ বোকা জুনিয়র্সের জার্সিতে ২০২১ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। ৩৮ বছর বয়সে এসে খেলাটা নিজের জন্য কঠিন বলেই মন্তব্য করেছেন তেভেজ। তার ওপর গত বছর বাবাকেও হারিয়েছেন এ ফুটবলার। এসব নিয়ে তেভেজ বলেন, ‘গত বছর আমার জন্য খেলাটা অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু বৃদ্ধ আমাকে দেখতে চেয়েছিল। খেলাটা ছেড়ে দিয়েছি, কারণ আমার এক নম্বর ভক্ত আর বেঁচে নেই।’

আর্জেন্টিনা দলের হয়ে তেভেজের পথচলার শুরু সেই ২০০৪ সালে। সে বছরই অলিম্পিক স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। যদিও সিনিয়র দলের হয়ে তার উল্লেখযোগ্য অর্জন নেই। ২০১০ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় মেক্সিকোর বিপক্ষে দুটি গোলের জন্য দারুণ আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। যার একটি গোল নিয়ে আছে অফসাইড বিতর্ক। অন্য গোলটি তেভেজ করেছিলেন ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে, দুর্দান্ত ও বুলেট গতির শটে।

ক্যারিয়ারে ৯টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তেভেজ। বোকা জুনিয়র্স দিয়ে শুরুটা করে থেমেছেনও একই ক্লাবের হয়ে। মাঝে তিনি খেলা উপহার দিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি ও য়্যুভেন্তাসের হয়ে। এগুলোর মধ্যে হয়তো বোকা জুনিয়র্স, ম্যানসিটি ও য়্যুভেন্তাসের জার্সিতেই সমর্থকরা তাকে স্মরণে রাখবেন। বোকা জুনিয়র্সে ২৭৯ ম্যাচে ৯৪, ম্যানসিটিতে ১৪৮ ম্যাচে ৭৩ ও য়্যুভেন্তাসে ৯৫ ম্যাচে ৫০ গোল করেন তিনি। ক্লাবের হয়ে একাধিক লিগ জেতার পাশাপাশি তিনি জেতেন ২৬টির মতো ট্রফি।

এসএইচ-০৫/০৪/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মৌলভীবাজারের ডলি আবারও কানাডার এমপি নির্বাচিত

মৌলভীবাজারের মেয়ে ডলি বেগম আবারও কানাডার অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল সরকারের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে দুবার এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি।

জানা গেছে, ওই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রগ্রেভী কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেট স্নিডার। এ সময় ডলি ভোট পান ১৫ হাজার ৯৫৪টি এবং ব্রেট স্নিডার পান ৯ হাজার ৪৩৬টি ভোট। তৃতীয় স্থান অধিকার করেন লিবারেল পার্টির লিসা প্যাটেল। মৌলভীবাজারের ডলি সাড়ে ছয় হাজার ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন।

বিজয়ের পর ডলি জানান, ২৩ বছর আগে তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে কানাডা এসেছিলেন। সেই সময় একদম ইংরেজি জানতেন না। এতে ইচ্ছে থাকলেও স্কুলে যাওয়া হতো না।

তিনি বলেন, সময় আমাকে পাল্টে দিয়েছে। কানাডার লোকজনের সহায়তায় আমি অনেক বদলে গেছি। তারাই আমাকে তৈরি করেছেন।

রাজনৈতিক বিষয়ে কথা গিয়ে ডলি জানান, তার মায়ের প্রচেষ্টায় রাজনীতিতে এসে কিছু করতে পারছেন। কানাডায় তার মতো আরও বাংলাদেশি প্রার্থী নির্বাচন করছেন বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের হরিণাচং গ্রামের রাজা মিয়ার মেয়ে ডলি বেগম। তার মায়ের নাম জবা বেগম। ডলির চেয়ে ছোট মহসিন মিয়া নামে ডলির এক ভাইও রয়েছে। কানাডায় গিয়ে তার বাবা রাজা মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। তখন প্রবাসজীবনে তাদের পরিবার অনেক কষ্টের মুখোমুখি হতে হয়।

ভাই মহসিন ও মায়ের প্রচেষ্টায় একসময় তা কেটে যায়। ডলি বেগম দেশে থাকাকালীন অবস্থায় মৌলভীবাজার বাজরাকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। প্রাথমিকের গণ্ডি শেষে মনুমুখ পিটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। তবে এ স্কুলে বেশিদিন তার পড়াশোনা করা হয়নি। বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে যান কানাডায়। সেখানে গিয়ে লেখাপড়া শুরু করেন তিনি।

২০১২ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন থেকে উন্নয়ন, প্রশাসন ও পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন। পড়ালেখা শেষ করার পর সিটি অব টরন্টোতে প্রায় ১০ মাস কাজ করেন। তিনি রিসার্চ অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন দ্য সোসাইটি অব এনার্জি প্রফেশনালসে।

ডলি বেগম ২০১৮ সালের ৮ জুন কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রাদেশিক নির্বাচনে স্কারবরো সাউথ ওয়েস্ট আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন ডলি বেগম। কানাডার রাজনীতিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কারো এমন সাফল্যের ঘটনা এটাই প্রথম। টরন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন, প্রশাসন ও পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর। তার গবেষণার বিষয় ছিল বাংলাদেশ।

এসএইচ-০৪/০৪/২২ (প্রবাস ডেস্ক)

তিন দেশে অক্ষয়ের ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ নিষিদ্ধ

বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ মুক্তি পেয়েছে। শুক্রবার এই সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পরপরই ভারতজুড়ে সাড়া ফেলালেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে।

সিনেমাটিকে ভারতের উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওমান, কুয়েত এবং কাতার। তবে কী কারণে এই ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তা স্পষ্ট করিনি দেশগুলো।

ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক গিরীশ জোহরের টুইটারের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ সুলতানি শাসকদের বিরুদ্ধে দিল্লির শেষ হিন্দু সম্রাটের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই সিনেমা। ড. চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর এই ছবি দ্বাদশ শতাব্দীতে চাঁদ বরদাইয়ের ‘পৃথ্বীরাজ রাসো’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে।

প্রবল পরাক্রমী বীরযোদ্ধা পৃথ্বীরাজের পাশাপাশি প্রেমিক পৃথ্বীরাজকেও দেখা যাবে এই ছবিতে। ছবিতে নাম ভূমিকায় থাকবেন অক্ষয়। কনৌজের রাজা জয়চন্দ্রের কন্যা সংযুক্তার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মানুষী। আর এই ছবির সঙ্গেই বলিউডে জার্নি শুরু করেন ২০১৭ সালে দেশকে মিস ওয়ার্ল্ডের তাজ এনে দেওয়া মানুষী।

এতে আরও অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত, মানব ভিজ, সোনু সুদ, আশুতোষ রানাসহ অনেকে। সিনেমাটি হিন্দি, তামিল এবং তেলেগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে।

এর আগেও বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল অক্ষয়ের ছবির। করণি সেনার দাবি মেনে ‘পৃথ্বীরাজ’ থেকে এই ছবির নাম পাল্টে রাখা হয় ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’।

এসএইচ-০৩/০৪/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

হাজিদের সেবা দিতে সরকারি খরচে হজ

এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়ার জন্য এ পর্যন্ত ২৭৯ জনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে৷ তাদের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক ও গাড়ি চালক থেকে নানা পদমর্যাদার কর্মকর্তারাও রয়েছেন৷

তালিকাভুক্ত যাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে না পারলেও ‘‘হাজি সাহেবদের সেবা’’ করতে যাচ্ছেন- এমন একটি সাধারণ উত্তর পাওয়া গেছে৷
এরই মধ্যে তাদের তালিকা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাব রক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে৷ সেই তালিকা ডয়চে ভেলেও সংগ্রহ করেছে৷ ২৭৯ জনকে প্রধানত চারটি ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করা হয়েছে৷ ক্যাটাগরিগুলো হলো: মেডিকেল টিম, প্রশাসনিক সহায়তাকারী দল, এবং কারিগরি সহায়তাকারী দল এক ও দুই৷

চিকিৎসক দলে আছেন ১৩৮ জন, প্রশাসনিক সহায়তাকারী দলে ৯৯ জন এবং দুইটি কারিগরি সহায়তাকারী দলে ৪২ জন৷ তাদের প্রত্যেকের জন্য গড়ে সাত লাখ টাকা করে খরচ হবে৷ তবে তাদের যাওয়ার আগে প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে দেয়া হবে৷ বাকি টাকা আগামী অর্থ বছরে চূড়ান্ত বিল জমা দেয়া সাপেক্ষে পরিশোধ করা হবে৷ মোট ২০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে সরকারের এই খাতে৷

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক থেকে সর্বোচ্চ পদ মর্যাদার মোট কর্মকর্তা আছেন ১২০ জন৷ তাদের মধ্যে ৬১ জনই এবার হাজি সাহেবদের সেবা করার জন্য হজে যাচ্ছেন৷ এছাড়া আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংসদ সচিবালয়, সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পুলিশসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী৷ তালিকায় গাড়ি চালক আছেন ১৫ জন, অফিস সহায়ক ও মুদ্রাক্ষরিক আছেন ১৫ জন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আছেন ১৫ জন৷

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক গাড়ি চালক, অফিস সহায়ক জনসংযোগ কর্মকর্তা, প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ একটি মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন৷

মনিরুল ইসলাম ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা৷ তার মোবাইল ফোনের লাইনটি ভালোই ছিল৷ বুধবার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথাও শুরু করেন, কিন্তু যখন জানতে চাওয়া হয় তিনি কী কাজে হজে যাচ্ছেন তখন তিনি বলেন, ‘‘ভাই আপনার কথা শুনতে পাচ্ছি না৷ পরে কথা বলবো৷’’ এরপর লাইন কেটে দেন৷ আর তাকে পাওয়া যায়নি৷ তার নাম রয়েছে প্রশাসনিক সহায়তাকারী দলে৷ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. মামুনুল করিম যাচ্ছেন কারিগরি টিমের সদস্য হিসেবে৷ কেন যাচ্ছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘যারা হজে যাবেন, তারা যদি কোনো সমস্যায় পড়েন, তাদের সহায়তার জন্য যাচ্ছি৷ তারা যে সমস্যায় পড়বে, সেই সমস্যারই সমাধানের চেষ্টা করবো৷’’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলিও আছেন কারিগরি টিমে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার কাজ কী হবে তা এখনো জানি না৷ গত পরশুদিন ব্রিফিং হয়েছে৷ অন্য একটি কাজ থাকায় আমি ব্রিফিংয়ে থাকতে পারিনি৷ পরে জেনে নেবো৷ তবে মূল কাজ হবে হাজি সাহেবদের সেবা করা৷ আর আগে আমি ব্যক্তিগতভাবে গিয়েছি৷ তবে হাজি সাহেবদের সেবায় এবারই প্রথম যাচ্ছি৷’’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন৷ তিনি যাচ্ছেন মেডিকেল টিমের সদস্য হিসেবে৷ তার কথা, ‘‘হাজি সাহেবদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি হজ মিশন নিয়েছে৷ তারপরও আমরা যারা মেডিকেল টিমে আছি, তারা ওখানে গিয়ে হাজি সাহেবদের চিকিৎসায় সহায়তা করবো৷’’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নুরুল আমিনও হজে যাচ্ছেন কারিগরি টিমের সদস্য হিসেবে৷ তার কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হাজি সাহেবদের সকল সেবা বা যে-কোনো ধরনের সহযোগিতার জন্য আমরা যাচ্ছি৷ আমরা মোট দুইজন যাচ্ছি৷ তবে এর বাইরে গানম্যান ও কনেস্টবলরাও যাচ্ছেন ভিআইপিদের সেবা দেয়ার জন্য৷’’

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘‘মিনা, আরাফা ও মুজদালেফা মিলিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পাঁচ দিন৷ এই সময়ে পুরোটা সৌদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে৷ তখন সৌদি কর্তৃপক্ষ ছাড়া আর কোনো পক্ষের সেখানে চিকিৎসাসহ কোনো ধরনের সেবা দেয়ার সুযোগ নেই৷’’

তবে এর আগে-পরে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ অন্য সেবা দেয়ার সুযোগ আছে বলে তিনি জানান৷ বিশেষ করে বাংলাদেশ হজ মিশনের উদ্যোগে সেখানে যে ক্লিনিক তাতে বাংলাদেশি মেডিকেল টিমের দরকার আছে হজের সময়৷

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ( হজ অনু বিভাগ) মো. মতিউল ইসলাম জানান, ‘‘২৭৯ জনকে হাজি সাহেবদের নানা ধরনের সেবা দেয়ার জন্য পাঠানো হচ্ছে৷ তাদেরকে স্পষ্ট করেই বলে দেয়া হয়েছে যে, তাতের মূল কাজ হাজিদের সেবা করা৷ মূল কাজ হজ করা নয়৷’’

এত লোক হাজিদের কী সেবা দেবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগে আরো বেশি গিয়েছে৷ এবার হাজি কম বলে কম পাঠানো হচ্ছে৷ তাদের কার কী কাজ তা নির্দিষ্ট করা আছে৷ যাদের প্রয়োজন, তাদেরই পাঠানো হচ্ছে৷ কোনো অতিরিক্ত লোক পাঠানো হচ্ছে না৷’’ তার কথা, হজ ব্যবস্থাপনা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাজ৷ তাই এই মন্ত্রণালয় থেকে বেশি যাচ্ছে৷ আরেকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘‘আমরা সব মন্ত্রণালয়কেই খুশি রাখার চেষ্টা করি৷’’

এ বিষয়ে কথা বলতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে বুধবার প্রথমে ফোনে পাওয়া গেলেও তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান৷ তবে পরে আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি৷

মতিউল ইসলাম জানান, সরকারি খরচে হজে যাওয়াদের সংখ্যা আরো বাড়বে৷ প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে ৬০ জনের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এরা অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের না৷ সরাদেশ থেকে যারা তার কাছে আবেদন করেছেন, সেখান থেকে তিনি বাছাই করে পাঠিয়েছেন৷ তারা অসচ্ছল৷ তারা প্রধানমনস্ত্রীর সৌজন্যে হজে যাবেন৷’’

ধর্মমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী মমিটির ১০ জন সদস্যের প্রত্যেকের সুপারিশে তিনজন করে আরো ৩০ জন সরকারি খরচে হজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানান তিনি৷

এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৫৩ হজার ৫৮৫ জন হজে যাচ্ছেন৷ প্রথমে সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১-এ পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২-এ চার লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে চার লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়৷ পরে আরো ৫৯ হাজার টাকা বাড়ানো হয়৷

এসএইচ-০২/০৪/২২ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

দেশের হাসপাতালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা : দায় কার?

দেশে অব্যাহত অভিযানে নিবন্ধন না থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে এপর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনেস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সারাদেশে হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনা এবং চিকিৎসার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ এবার কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা বলছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই অভিযানে ছোট বড় সব ধরনের হাসপাতালেই নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

কিন্তু এই পরিস্থিতি তৈরি হল কীভাবে? ব্যর্থতা কোথায়?

দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক অভিযানের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান হতে পারে এমন খবরে সেখানে সদ্যজাত সন্তানসহ এক নারীকে অপরেশেন টেবিলে ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন ক্লিনিকটির ডাক্তার-নার্সসহ সবাই ।

ঘটনাটি ঘটে রোববার ২৯শে মে এবং সেই ঘটনা ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।

পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে নিবন্ধন এবং এমনকি সার্বক্ষণিক কোন ডাক্তার না থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়।

ঘটনার কয়েকদিন পর ঢাকার কাছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল নামের সেই ক্লিনিকে গিয়ে আমি দেখি, ক্লিনিকের গেটে তালা ঝুলছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে ক্লিনিকের গেটে যে সিলগালা করে দেয়া হয়েছিল, সেই সিলগালা সেভাবেই রয়েছে।

ক্লিনিকটিতে ঘটনার শিকার নারীকে সদ্যজাত সন্তানসহ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কাছেই একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

তার স্বামী তানভীর হাসান বলছেন, ক্লিনিকের দালারের খপ্পরে পড়ে তারা সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন।

“আমি কাজে অন্য জায়গায় ছিলাম। আমার শ্বাশুড়ি আমার স্ত্রীকে এই ক্লিনিকে নিয়া আসে। এক মহিলা দালাল আমার শ্বাশুড়িকে ভুল বুঝায়া এখানে নিয়া আসে,” বলেন তানভীর হাসান।

“তারপর ক্লিনিকে বলছে যে ১৮ হাজার টাকা লাগবে। আমরা ১২ হাজার টাকা দিলে দুই মিনিটের মধ্যে সিজার করার জন্য ভিতরে নিয়ে গেল।”

হাসান আরও জানান, তার স্ত্রীকে যখন অপারেশন টেবিলে নেয়া হয়, তখন সেখানে সাংবাদিক এবং অভিযানের লোকজন আসছে বলে খবর আসে।

সে সময় মুহূর্তেই সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানকে মি: হাসানের হাতে দিয়ে এবং তার স্ত্রীকে অপারেশন কক্ষের ভেতরে রেখেই সেই কক্ষে তালা লাগিয়ে ক্লিনিকের ডাক্তার নার্সসহ সবাই পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানের লোকজন এসে তালা ভেঙে তার স্ত্রীকে পাশে একটি সরকারি হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য।

আলোচিত ক্লিনিকটি যে গলিতে সেই গলিতে রাস্তার দুই পাশে বিল্ডিংগুলোতে কয়েকটি ক্লিনিক এবং ফিজিওথেরাপির সেন্টারের সাইনবোর্ড ঝুলছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সেগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে রয়েছে ঐ ক্লিনিকে অভিযানের পর থেকে।

তবে অভিযান চালানো ক্লিনিকটি যে ভবনে, সেই ভবনের একটি ফ্লোরে এখনও খোলা আছে ব্যক্তি মালিকানাধীন এমন একটি ফিজিওথেরাপি সেন্টারে দেখলাম, একটি কক্ষে সেন্টারের একজন নারী কর্মী মাইক ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন বয়স্ক নারী-পুরুষকে ব্যায়াম করাচ্ছেন।

সেখানে পাশের আরেকটি কক্ষে আটটি শয্যা। এসব শয্যায় নারী পুরুষদের কোমরে ব্যথা এবং মেরুদন্ডের সমস্যা সারাতে কোমরের নিচে একটি যন্ত্র দিয়ে থেরাপি দেয়া হচ্ছে।

কিন্তু এই সেন্টারের নিবন্ধন না থাকায় বছর খানেক আগে কর্তৃপক্ষ এটিকে জরিমানা করেছিল।

সেখানে থেরাপি নিতে আসা একজন নারী নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, থেরাপি সেন্টারটির নিবন্ধন আছে কিনা- এনিয়ে তিনি প্রশ্ন করার প্রয়োজন মনে করেননি।

“এখানেতো কোন ডাক্তার নাই। কিছু ছেলে মেয়েকে দিয়ে সেবাটা দেয় আরকি,” বলেন থেরাপি সেন্টারে সেবা নেয়া ঐ নারী।

“যেহেতু বিনা পয়সায় সেবাটা নিতেছি, সেজন্য এটা আমরা কখনও দেখি নাই যে, তাদের নিবন্ধন বা অনুমতি আছে কিনা। এগুলোতো উনারা আমাদের দেখাবে না।”

থেরাপি সেন্টারটিতে ‘কোন অর্থ ছাড়াই সেবা দেয়া হয়’- এই অফার দিয়ে প্রথমে রোগীদের আকর্ষণ করা হয়।

এরপর কোন রোগীকে সপ্তাহ দুয়েক বিনামূল্যে সেন্টারে থেরাপি দেয়ার পর তাকে নিজেই যন্ত্র ব্যবহার করে থেরাপি নিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

এজন্য বেডসহ প্রতিটি যন্ত্র ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় বলে ঐ সেন্টারে থেরাপি নেয়া একাধিক ব্যক্তি পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেছেন।

তবে থেরাপি সেন্টারটির মালিক ফখরুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অনুমোদন ছাড়া তারা ক্লিনিক চালাচ্ছেন কীভাবে এ প্রশ্নে তিনি বলেছেন, অনুমোদন নেয়ার প্রক্রিয়া তিনি চালাচ্ছেন।

“জেলাপ্রশাসন থেকে লোক এসে আমাদের কাগজপত্র দেখে বলেছে তা ঠিক আছে। আর ডিজি হেলথ থেকে একটা কাগজ দরকার ছিল। আমরা এখন সেই কাগজের জন্য কাজ করছি,” বলেন ফখরুল ইসলাম।

এরপর আমি যাই সিদ্ধিরগঞ্জেই দশ শয্যার একটি হাসপাতালে, যেখানে ইমার্জেন্সিতে ডাক্তার শুধু একজন। সার্বক্ষণিক কোন ডাক্তার নেই।

সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তার বেসরকারি ঐ হাসপাতালটিতে বিকেলে রোগী দেখেন।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সরেজমিনে যে চিত্র পাওয়া গেছে, সেই একইরকম অভিযোগ পাওয়া যায় দেশের অন্য অনেক জায়গা থেকেও।

নাগরিকের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী এবং বারডেম হাসপাতালের উধর্বতন কর্মকর্তা ডা: রশিদ-ই মাহবুব বলেছেন, সারাদেশেই সরকারি চিকিৎসা সেবায় ঘাটতির সুযোগ নিয়ে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কোন নিয়ম না মেনে শত শত হাসপাতাল ও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে।

সেজন্য চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা চরম এক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, “সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবা যেহেতু পর্যাপ্ত নয়, সুতরাং চাহিদা আছে। এখন এই চাহিদার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন জায়গায় বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলো হচ্ছে।”

বেসরকারি হাসপাতাল- ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রথম শর্তই হচ্ছে এর নিবন্ধন করতে হবে।

কিন্তু নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ডা: রশিদ-ই মাহবুবের।

“এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া কিন্তু নিড বেইসড (প্রয়োজনের ভিত্তিতে) নয়। যে যেভাবে পারে নিবন্ধনটা করিয়ে নিয়ে তা চালিয়ে দেয়।”

ডা: মাহবুব আরও বলেন, “জনগণ যে জায়গায় তাদের চিকিৎসা পাওয়ার জন্য যায়, সেখানে তারা সেবা পায় না বলে দালালচক্রের মাধ্যমে এই জায়গাগুলোতে আসে।

“এখানে একটা লুটপাটের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। যাকে তাকে দিয়ে হাসপাতাল- ক্লিনিক চালানো হয়,” অভিযোগ ডা: মাহবুবের।

ব্যক্তি মালিকানায় বা বেসরকারিভাবে পরিচালিত হাসপাতাল-ক্লিনিক বা ডায়গনেস্টিক সেন্টারগুলোতে সেবার মানসিকতার চেয়ে বড় হয়ে উঠছে মূলত ব্যবসায়িক চিন্তা- বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা।

“প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই কিন্তু যখন যেটাতে প্রফিট (লাভ) সেটা ব্যঙের ছাতার মতো গড়ে উঠতে থাকে। সেটা হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে পারে,” তিনি বলেন।

“সেখানে মান দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের যে পরিমাণ জনবল দরকার, তার ঘাটতি আছে, এছাড়া মানুষেরও সচেতনতার অভাব আছে।

“এমন প্রেক্ষাপটেই ধীরে ধীরে (এটা) একটা বিশাল ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সোজা কথা ব্যবসা,” বলেন অধ্যাপক তাহমিনা।

স্বাস্থ্যখাতে ব্যবসার অনেক নির্মম উদাহরণ বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমেও খবর হয়।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার সব পর্যায়েই ব্যয় অনেক বেশি এবং আইসিইউতে কোন রোগীকে যেতে হলে গুণতে হয় অনেক বেশি টাকা।

সেখানে অনেক সময় পুরো টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত মৃতদেহ ছাড়া হয় না এবং এমনকি রোগী সুস্থ হওয়ার পরও আইসিইউ থেকে ছাড়া পায় না -এ ধরনের নানা অভিযোগ বিভিন্ন সময় ওঠে।

ঢাকায় বেসরকারি বড় এক হাসপাতালে এমনই এক পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন প্রায় ৭০ বছরের একজন নারী, যে অভিজ্ঞতার কথা জানান তার একজন আত্নীয় পরিচয় গোপন রাখার শর্তে।

তিনি বলেন, “আমাদের রোগী আইসিইউতে ১২দিন থাকার সময় মাঝে আমি পেমেন্টও করেছি। পরে আমরা রোগীকে যেদিন কেবিনে নিয়ে শিফট করতে গিয়েছিলাম, সেদিন আমরা পেমেন্টটা করিনি।

“কিন্তু হাসপাতাল ঐ মুহূর্তে আমাদের বলতেছে যে আইসিইউতে থাকার পুরো পেমেন্ট না করলে কেবিনে নেয়া যাবে না। আমরা বললাম, আমরাতো এই হাসপাতালেই থাকছি। আমাদের আইসিইউ এর অল্প কিছু পেমেন্ট বাকি আছে। কিন্তু তারা তা মানেনি। যখন টাকা পুরো ক্লিয়ার করেছি, তারপর রোগীকে কেবিনে নিতে দিয়েছে,” বলেন ভুক্তভোগী নারীর আত্নীয়।

চিকিৎসা সেবা নিয়ে অভিযোগের পাল্লা অনেকে ভারী।

চরম অব্যবস্থাপনা, মূলত ব্যবসায়িক চিন্তায় হাসপাতাল ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা-এসব অভিযোগ স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িতদেরই অনেকে তুলেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেছেন, সরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যাপারে সরকারের নতুন কোন উদ্যোগ নেই। সেকারণে স্বাস্থ্যখাত বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের দখলে চলে গেছে।

“সরকারি খাতটাকে এখন আর উন্নত করার চেষ্টাই করা হচ্ছে না। বড় বড় হাসপাতাল হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সিস্টেম অনুযায়ী উন্নত করা হচ্ছে না।

“সে কারণে প্রাইভেট খাতের হাতে জিম্মি হয়ে গেছে মানুষ,” বলছেন অধ্যাপক তাহমিনা।

তিনি উল্লেখ করেন, জমিজমা বিক্রি করে হলেও মানুষ প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হচ্ছে।

অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, সরকারি হাসপাতালে যারা যান, তাদেরকে সেবা পেতে অনেক রকম বাধা পেরুতে হয়।

“যেমন দালালদের ব্যাপার আছে। তারপর টেস্ট বা ইনভেস্টিগেশন বাইরে থেকে করতে হচ্ছে-ইত্যাদি, ইত্যাদি অনেক ব্যাপার আছে। সুতরাং বেসরকারি খাতকে ইগনোর করতে পারবেন না। কিন্তু সরকারি বেসরকারি দু’টো খাতেই অনিয়মের চূড়ান্ত অবস্থা,” মন্তব্য করেন অধ্যাপক তাহমিনা।

বেসরকারি হাসপাতালক্লিনিকের সংখ্যা কত?

বেসরকারিখাতে হাসপাতাল ক্লিনিকের সঠিক সংখ্যা কারও জানা নাই, যদিও বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান জানিয়েছেন, ১৪ হাজারের মতো তাদের সমিতির তালিকাভূক্ত রয়েছে।

ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা এই বিশাল সংখ্যক বেসরকারি ক্লিনিকগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থাা বা যথাযথ নজরদারি কাঠামোই তৈরি হয়নি বলে বলেছেন ডা: রশিদ-ই মাহবুব।

“উন্নত বিশ্বে তাদের আর্থিক সঙ্গতি আছে। কিন্তু আমাদের রেগুলেটরি কোন মেকানিজম নেই এবং আর্থিক সঙ্গতিও নেই। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এই জায়গাটা এখন যার যার তার,” বলছেন ডা: মাহবুব।

তিনি উল্লেখ করেন, একদিকে আলাদা কোন রেগুলেটরি মেকানিজম নেই, অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়গুলো তদারকি করলেও নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চালানো এবং নজরদারির জন্য তাদের প্রয়োজনীয় লোকবলও নেই।

সেকারণে তিনি মনে করেন, সার্বিকভাবে বিষযগুলোর দিকে নজর না দিয়ে শুধু অভিযান চালিয়ে ভাল ফল পাওয়া যাবে না।

সপ্তাহ খানেক ধরে ঢাকা সহ সারা দেশে অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়গনেস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগেও বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হলেও পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময় অভিযানে বন্ধ করে দেয়া অনেক হাসপাতাল ক্লিনিক পরে আবার চালু হয়েছে এবং আবার একই অনিয়ম করে চলেছে।

সে কারণে এখন অভিযানে কতটা ফল দেবে, সেই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির বলেছেন, এবার তারা কয়েক ধাপের পরিকল্পনা নিয়েছেন।

এই পরিকল্পনায় তারা বেসরকারি এবং সরকারি, দুই খাতেরই হাসপাতালে অনিয়ম চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

একইসাথে বিভিন্ন সময় ব্যবস্থা নেয়ার পরও সেভাবে ফল না পাওয়ার বিষয়টিও অধ্যাপক কবিরের বক্তব্যেই উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, “আমাদের পারমিশন ছাড়াতো অনেক হাসপাতাল ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়।

“এদের বিরুদ্ধেতো আমরা ক্রমাগত নোটিফিকেশন এবং অনেক সময় অনেক অফিশিয়াল অর্ডার দিয়েছি। কিন্তু আমরা দেখছি যে, এরপরও তারা এ কাজগুলি করছে।”

অধ্যাপক কবির বলেন, “যে কারণে আমরা এখন যেটা করছি, সেটা হচ্ছে, যত হাসপাতাল এবং ডায়গনেস্টিক সেন্টার লাইসেন্সবিহীন আছে, সেগুলোকে আগে ট্রেস করা বা চিহ্নিত করা।”

তারা মনে করছেন, এগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হলে এগুলো তাদের মনিটরিংয়ের আওতায় চলে আসবে।

তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যেসব হাসপাতাল ক্লিনিক নিবন্ধনের আবেদন করেছে, এখন দুই সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো যাচাই করে আবেদনের নিস্পত্তি করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের বক্তব্য হচ্ছে, বেসরকারি এবং সরকারি-দুই খাতের হাসপাতালেই চিকিৎসার মান কীরকম, তা তারা চিহ্নিত করবেন।

তিনি বলেছেন, তাদের চিহ্নিত করার এই প্রক্রিয়ায় যে সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে মান খারাপ পাওয়া যাবে, তাদের কিছুটা সময় দেয়া হবে মান উন্নত করতে।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মান উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হলে তারা তখন স্থায়ীভাবে সে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যদিও বলছেন, এবার তারা স্বাস্থ্যসেবা খাতে শৃঙ্খলা আনতে কয়েক ধাপের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন এবং তাতে ফল পাওয়া যাবে, কিন্তু সারা দেশে এধরনের হাজার হাজার ক্লিনিক ও ডায়গনেস্টিক সেন্টারগুলোকে নানান দুর্বলতা কাটিয়ে নিয়মনীতির আওতায় আনা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দিহান স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত অনেকেই।

এসএইচ-০১/০৪/২২ (কাদির কল্লোল, বিবিসি)

মাঙ্কিপক্স ৩০ দেশে ছড়াল

পশ্চিমা দেশগুলোয় মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বাড়ছে। আফ্রিকার বাইরে বিশ্বের কমপক্ষে ৩০টি দেশে ছড়িয়েছে রোগটি। এসব দেশে এখন পর্যন্ত ৫৫০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

মাঙ্কিপক্স সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে পাওয়া যায়। ১৯৭০ সালে প্রথম এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এ রোগ সম্প্রতি আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। আফ্রিকা ভ্রমণ করেননি এমন অনেকের এ রোগ শনাক্ত হচ্ছে।

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী প্রথম পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যে। এরপর ইউরোপের স্পেন, জার্মানি, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে এ রোগ শনাক্ত হয়।

এদিকে মাঙ্কিপক্স নিয়ে গবেষণা জোরদার করেছে ধনী দেশগুলো। এ গবেষণার সুফল যেন নিম্ন আয়ের দেশগুলোও পেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ধনী দেশগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা।

মাঙ্কিপক্স নিয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নাইজেরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের মহাপরিচালক ইফেদায়ো অ্যাডেটিফা বলেন, নাইজেরিয়ায় ২০১৭ সাল থেকে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব চলছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৬০০ সন্দেহভাজন এবং প্রায় ২৫০ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ায় এটি মোকাবিলায় শনাক্তকরণ পদ্ধতি ও টিকা সরবরাহে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো।

এর আগে গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত দ্রুত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রাণী ও মানুষ তাদের আচরণ পরিবর্তন করছে।

এতে একসময় নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকা রোগজীবাণু আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এছাড়া অনেক রোগ মানুষ ও সংবেদনশীল প্রাণী প্রজাতির মধ্যে ফিরে আসছে।

মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার জ্বর, লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও গুটিবসন্তের মতো ফোসকা পড়া। ভাইরাসটি মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি। তবে গুটিবসন্ত রোধে যে টিকা ব্যবহার হয়ে থাকে, সেগুলো মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

এসএইচ-২৮/০৩/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)