ভোর ৪:৪৮
শুক্রবার
৩ রা মে ২০২৪ ইংরেজি
১৯ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিতর্কে দু দল

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতে চাইছে তার দল বিএনপি; এ দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনও করছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা এখনো মনে করছেন, আইনে সে সুযোগ নেই। তাই বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারের বিদেশ পাঠানোর আবেদন নাকচও করেছে সরকার। সম্প্রতি তার চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিতে বেশ আলোচনা চলছে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে-বিতর্কে মেতে উঠেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনীতিক দলের নেতারা।

বিএনপির পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে খালেদা জিয়া জটিল রোগে আক্রান্ত। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার, যা বাংলাদেশে নেই। তবে ক্ষমতাসীনরা বলছেন, বিএনপি অজুহাত খুঁজছে। তারা চিকিৎসা নয়, রাজনীতির মাঠ জটিল করার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। এর ফলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তার অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।

পাল্টা জবাবে শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকম-লীর সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হলে তা বিএনপি নেতারা করেছেন। কারণ বেগম জিয়ার পাশে যারা থাকেন তারা বিএনপি নেতা। তার পছন্দের চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন। সেবা যিনি করেন তিনি বেগম জিয়ার গৃহপরিচারিকা। সুতরাং বাইরের লোককে দোষ দেওয়ার সুযোগ নেই।

পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের চেয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়টি বেশি আলোচনায় আসছে। প্রতিদিনই তাকে নিয়ে মৃত্যুগুজব ছড়াচ্ছে। এ গুজবে রাজনীতিতে উত্তেজনাও তৈরি হচ্ছে। বিএনপির বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনও তার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানাচ্ছে।

তা হলে কি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি রাজনৈতিক বাহাসে পরিণত হতে যাচ্ছে। দুই দল কি পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জড়িয়ে পড়ছেন। নাকি তর্ক-বিতর্কের মধ্যে পর্দার আড়ালে বিদেশ পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। এমন নানা আলোচনার মধ্যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি এখন ঝড় তুলছে জাতীয় সংসদ, এমনকি টেলিভিশনের পর্দায়ও।

অবশ্য বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের দলের নেত্রীর চিকিৎসাটাই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এ ইস্যুতে তৃণমূল পর্যায়ের কঠোর আন্দোলনের চাপ থাকলেও শীর্ষ নেতৃত্ব সেদিকে হাঁটছে না। কারণ তারা যে কোনো পন্থায় সমঝোতার মাধ্যমে তাকে বিদেশ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে না।

সরকারের মনোভাবে দেশে অনেকেই মনে করছেন, এখনো খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তাই এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর-ই ভরসা রাখতে চাইছেন সরকার-সংশ্লিষ্টরা।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নেওয়া আট দিনের কর্মসূচি শেষ হবে ৩ ডিসেম্বর। এরপর কি রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে- এমন প্রশ্নও উঠছে। সরকার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে গভীরভাবে নজর রেখেছে। আন্দোলন নামলে প্রতিহত করার ঘোষণাও আসে।

সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গ টেনে আরও বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যুতে রূপ দিয়ে বিএনপি যেসব কর্মসূচি দিচ্ছে, তা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। এমনটা হলে তাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে দলের নেতাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

২১ ও ২৪ নভেম্বর সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। এ কারণে তাকে ফের জেলে পাঠানোর পরামর্শ দেন তিনি।

এ ছাড়া সরকারদলীয় যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব-উল আলম হানিফ একটি তত্ত্ব তুলে ধরেছেন। ২৬ নভেম্বর সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করলে তিনি বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে চায় বিএনপি। তাদের অপরাজনীতি বরদাশত করা হবে না। আদালত আইন অনুযায়ী চলে, কারও কথায় চলে না। তার জন্য আলাদা আইন করার সুযোগ নেই। আইন সবার জন্য সমান।

গত কয়েক দিনে গণস্বাস্থ্যের ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। তারা বেরিয়ে এসে বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই দুর্বল। তিনি গত শুক্রবার ভাসানীর পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নিজের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশেই সম্ভব, নাকি বিদেশে নিতে হবে। যদি নিতেই হয় তা হলে আইনিভাবে কোনো পথ খোলা আছে? বিএনপি বলছে, বাধা সরকার। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, তাকে বিদেশে নিতে আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে এ দেশের সবচেয়ে সংগ্রামী নেতা আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। জনগণের চোখের ভাষা তিনি বুঝতে পারেন। তিনিই কিন্তু নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত করেছিলেন। খালেদা জিয়ার বয়স ৭৫ বছরের বেশি। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে এক-এগারোর সময়ে যে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল, সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে দুই বছরের বেশি সময় আটক রাখা হয়েছিল। স্যাঁতসেঁতে কারাগারের কক্ষে ইঁদুর, চিকা ঘোরাঘুরি করত। এরপর তাকে রাজধানীর পিজি (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, যেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এই যে তার ভেতরে যে রোগের সূত্রপাত হয়েছিল। জনমনে প্রশ্ন, সেদিন কি দেশনেত্রীকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল? আমরা পরিষ্কার করে জানতে চাই।

শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ এবং দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই সরকার এত নির্দয়, তারা রাজনৈতিক হিংসার বশবর্তী হয়ে দেশনেত্রীকে শেষ করে দেওয়ার জন্য বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত দিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনদের বলব, আইনের কথা বলে লাভ নেই। আইনজীবীরা বলছেন কোনো বাধা নেই। বাধা হচ্ছে সরকার।

একই দিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশের শতকরা ৯৯ দশমিক ৯৯ ভাগ মানুষ বিদেশে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হোক তা চায়। শুধু একজন চান না। ফাঁসির আসামিকেও ফাঁসি দেওয়ার আগ মুহূর্তে চিকিৎসাসেবা দিতে হয়। এটা সরকারের দায়িত্ব। ফাঁসি দেওয়ার আগ মুহূর্তে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সে জন্যই বলছি, বিচার তখনই চাওয়া যায়, যখন ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু এখন বাংলাদেশের ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুটো এক হয়ে গেছে। এখন শেখ হাসিনা এমন অবস্থায় গেছেন তার কথাই শেষ কথা, তার কথাই আইন, তার কথায় সংবিধান। হয়তো দুদিন পর তার কথাই হবে ধর্ম। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি করে লাভ হবে না।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমা কেন এবং কার কাছে চাইবে? চূড়ান্ত রায়ের আগে এ প্রসঙ্গ তোলাই ষড়যন্ত্র।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক, তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি তার প্রার্থিত জায়গায় চিকিৎসা নিতে পারবেন না; কত নিষ্ঠুর, অমানবিক সরকার। তারা আইনের দোহাই দেয়, কিন্তু তাদের নিজেদেরই তো আইনি ভিত্তি নেই। বর্তমান সরকার চায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করুক। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও আ স ম রব, আবদুল জলিলকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের উদাহরণ থাকার পরও খালেদা জিয়াকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

এসএইচ-০৬/২৮/২১ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র : আমাদের সময়)

মিমের আরও একটি ‘সুখবর’

চলতি মাসের ১০ তারিখ আংটি বদল করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। এর ক’দিন পরই জানালেন ‘পথে হলো দেখা’ শিরোনামের নতুন একটি সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন তিনি। এবার জানালেন আরও একটি চমকপ্রদ খবর! মাসুদ রানা সিরিজ অবলম্বনে নির্মিতব্য সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মিম।

সিনেমার নাম ‘এমআর নাইন’। এটি নির্মাণ করবেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা আসিফ আকবর। এতে মাসুদ রানার চরিত্রে অভিনয় করবেন এবিএম সুমন। যা আগে থেকেই চূড়ান্ত করা ছিল। তবে তার বিপরীতে কে থাকবেন? তা চমক হিসেবে রেখেছিল সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।

থ্রিলার অ্যাকশন ঘরানার এই সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে হলিউড থেকে অ্যাভেইল এন্টারটেইনমেন্ট ও বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবিএম সুমনের বিপরীতে মিমকে দেখা যাবে। চরিত্রটির নাম সুলতা রাও। যিনি একজন ভারতীয় গুপ্তচর।

মিম জানান, গত সপ্তাহেই তিনি সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। যদিও অনেক আগে থেকেই কাজের বিষয়ে কথা চলছিল। তবে তিনি চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। নায়িকার ভাষ্য, ‘গত শনিবার প্রযোজক আব্দুল আজিজ ভাইসহ সিনেমাটির সংশ্লিষ্ট কয়েকজন আমাদের বাসায় এসেছিলেন। তখনই চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’

মিম আরও বলেন, ‘নিজের চরিত্রটি ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে উপন্যাসটি কয়েকবার পড়েছি। এটি অনেক বড় প্রজেক্ট। এই সিনেমার সঙ্গে হলিউডও জড়িত। তাই নিজেকে ভালো ভাবে প্রস্তুত করছি।’

জানা গেছে, ‘এমআর নাইন’ সিনেমায় এবিএম সুমন-মিম ছাড়াও অভিনয় করবেন তারিক আনাম খান, সাজ্জাদ, সাঞ্জু জন, জেসিয়া, হলিউডের মাইকেল জে হোয়াইট, লুইস ট্যান্ট প্রমুখ। এটি নির্মিত হবে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায়। আর আগামী বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এর শুটিং।

এসএইচ-০৫/২৮/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে খুন করে পেট চিড়ে নবজাতক চুরি!

অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যা করে তার পেট চিরে নবজাতক চুরি করে নিয়ে যায় এক নারী। এ সময় খুন হওয়া ওই নারী ৩৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। নৃশংস এ ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সান্তা ক্যাটারিনা প্রদেশের ক্যানেলিনহা শহরে। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ বছর বয়সী রোজালবার সঙ্গে ২৪ বছর বয়সী ফ্ল্যাভিয়া গোডিনহো মাফরার বন্ধুত্ব হয়। নিহত মাফরা স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন।

২০২০ সালের ২৭ আগস্টে মাফরাকে শহরের এক প্রান্তে একটি পুরাকীর্তির স্থানে বেড়াতে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করেন রোজালবা। সেখানে যাওয়ার পর একটি নির্জন স্থানে মাফরাকে নিয়ে ইট দিয়ে একের পর এক মাথায় আঘাতে জখম করেন রোজালবা। এতে মাফরা নিস্তেজ হয়ে পড়লে একটি ধারালো ছুরি বের করেন তিনি। পরে সেই ছুরি দিয়ে মাফরার পেট চিরে ফেলেন রোজালবা। এরপর পেটের ভেতর থেকে ৩৬ সপ্তাহের নবজাতকটিকে বের করে আনেন তিনি। পরে মাফরার মরদেহটি একটি চুল্লির ভেতর লুকিয়ে নবজাতকটি নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

নৃশংস এ ঘটনার পর রোজালবা তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে নবজাতকটির প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালে যায়। এর কিছুদিন আগেই প্রেমিককে রোজালবা জানিয়েছিলেন, তিনি সন্তানসম্ভবা। তাই প্রেমিকও নবজাতকটিকে নিজের সন্তান ভেবেছিলেন।

হাসপাতালে গিয়ে কর্মীদের কাছে রোজালবা দাবি করেন, একটু আগেই তিনি নবজাতকটির জন্ম দিয়েছেন। এখন নবজাতকটিকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু রোজালবার আচরণ ও শারীরিক সামর্থ্য দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতালের কর্মীদের। তাই তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে পুলিশে খবর দেয়।

সম্প্রতি হত্যাকাণ্ড ও নবজাতকটি চুরির ঘটনায় রোজালবা মারিয়া গ্রিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই নারীকে ৫৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ব্রাজিলের একটি আদালত। এ ঘটনার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র না থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া রোজালবার প্রেমিককে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

১৫ ঘণ্টার শুনানিতে আদালতকে রোজালবা জানান, মাফরাকে হত্যা পরিকল্পনাই শুধু নয়, হত্যার পর নবজাতকটিকে কিভাবে পেট থেকে বের করে আনবেন তা নিয়েও বিস্তর পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। অপেক্ষা করছিলেন, মায়ের গর্ভে বাচ্চাটি পরিণত হওয়ার জন্য।

এসএইচ-০৪/২৮/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

‘ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকায় সিল’

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর এজেন্টদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের এক ভোটকেন্দ্রে ৩টি বুথে ৪০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন প্রিজাইডিং অফিসার।

রোববার সকাল ১১টায় মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার মনারা বেগম বলেন, ‘নৌকার এজেন্টরা আমার কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছেন। আমি নিজে ভোট দিতে পারিনি।’ এ সময় অপর ভোটার হালিমা বেগমও একই অভিযোগ করেন।

দুপুর ১২টায় ওই কেন্দ্র থেকে খায়রুন নেছা ও রেহানা বেগম অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে নৌকায় সিল মারার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রতিবাদ করায় (নৌকার এজেন্টরা) ব্যালট ফিরিয়ে দিয়েছে। ওই কেন্দ্রে নারীদের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। ভয়ে কেউ কিছু বলছে না।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর আব্দুল কুদ্দুস স্বপনের (আনারস) প্রধান এজেন্ট আব্দুল বাছিত শামীম বলেন, ‘কেন্দ্রের ভেতরে কয়েকজন ভোটারের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে নৌকায় সিল মারা হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি।’

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া) শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। জোরে নারী ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। আমি কারো কাছে কোনো সহায়তা পাচ্ছি না।’

তবে, মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শ্রীবাস রঞ্জন দাস বলেন, ‘এসব অভিযোগ সত্য নয়। কেউ গুজব ছড়িয়েছে।’

দুপুর ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সাদিপুর ইউনিয়নের দারুস সুন্নাত হামিদিয়া আলীম মাদ্রাসার পুরুষ ভোটকেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, নৌকার প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা কার্ড ঝুলিয়ে ভোটারদের ডেকে নিয়ে যান। পরে গোপন কক্ষে না নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল দেন। এ সময় প্রিজাইডিং অফিসারকে ডেকে আনা হলে তিনি এমন চিত্র দেখে ১২টা ১১ মিনিটে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন। পরে ১২ টা ৫১ মিনিটে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

এর আগে প্রিজাইডিং অফিসারকে ভেতর থেকে নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার মো. আজহার হোসেন ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হঠাৎ বহিরাগতরা বিশৃঙ্খলা শুরু করলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন নিরাপত্তার জন্য ভেতর থেকে বন্ধ রাখা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বারবার সতর্ক করেও যখন কাজ হয়নি তখন ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছি।’

বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ আসবে বলে তিনি জানালেও দুপুর সোয়া ১টা বাড়তি পুলিশ সেখানে আসেনি।

তৃতীয় ধাপে সোনারগাঁও উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে বড়লেখা সদর ইউপিতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। বাকি ৯টি ইউপিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এসএইচ-০৩/২৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

সু চির বিরুদ্ধ মামলার প্রথম রায় মঙ্গলবার

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দেশটির সামরিক সরকারের দায়ের করা মামলার প্রথম রায় আগামী মঙ্গলবার ঘোষণার সম্ভাবনা আছে।

রোববার থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক সরকারের বিশেষ আদালতে সু চির বিরুদ্ধে আনা বেশ কয়েকটি মামলার একটির রায় দেওয়া হবে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে এনএলডি সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে সে দলের নেত্রী সু চিকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, সেনাবিরোধী আন্দোলনে দেশটিতে ১ হাজার ২০০ র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেনাবিরোধী আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির ৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ রকম অনেকগুলো অভিযোগ ও তা প্রমাণের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে এই গণতান্ত্রিক নেত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, সু চিকে নিয়ে সামরিক সরকার আসলে কী পরিকল্পনা করছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েও দিতে পারে।

সামরিক সরকারের বিশেষ আদালতে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সু চির আইনজীবীদের সংবাদমাধ্যমে কথা বলা নিষেধ করা হয়েছে।

এসএইচ-০২/২৮/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

তাইজুলের ৭ উইকেটে বাংলাদেশের ৪৪ রানের লিড

দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ দল ছিল বেশ চাপে। তাদের ৩৩০ রানের জবাবে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান তুলে ফেলেছিল পাকিস্তান। তবে রোববার তৃতীয় দিনের শুরুতেই পাল্টে গেল পরিস্থিতি। বাবর আজমদের চাপ আলগা করার সুযোগ না দিয়ে স্বাগতিকরা ধরে রাখল ধারাবাহিকতা। টানা বোলিং করে যাওয়া স্পিনার তাইজুল ইসলাম দেখালেন তার বাঁ হাতের জাদু। লাইন-লেংথ ঠিক রেখে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন পেসার ইবাদত হোসেন। তাদের নৈপুণ্যে মুমিনুল হকের দল ঘুরে দাঁড়াল তো বটেই, দাপট দেখিয়ে আদায় করে নিল লিডও।

রোববার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের চা বিরতির আগে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেমেছে ২৮৬ রানে। তাতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড।

৩৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো ৫ উইকেটের স্বাদ নেন তাইজুল। ৪৪.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে সবমিলিয়ে ৭ উইকেট নিতে তার খরচা ১১৬ রান। টেস্ট পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা ফিগার। ইবাদত ২ উইকেট পান ৪৭ রানে।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩১ ওভারে মাত্র ৫৮ রান তুলতে সফরকারীরা হারায় ৪ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে ২৭.৪ ওভারে তাদের বাকি ৬ উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এসময় পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে আর ৮৩ রান।

দিনের প্রথম ওভারেই বল করতে আসেন তাইজুল। তার প্রথম চার বল থেকে আসে একটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলটা কাট করতে গিয়ে পরাস্ত হন আবদুল্লাহ শফিক। বল আগে লাগে তার পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। আগের দিন প্রায় একই রকম একটি অবস্থায় বাংলাদেশ রিভিউ না নেওয়ায় ৯ রানে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। ১৬৬ বলে ৫২ রান করার পর অবশেষে ফেরানো যায় অভিষিক্ত শফিককে। পরের বলেই আসে বড় উইকেট। পাকিস্তানের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আজহার আলি তাইজুলের প্রথম বলেই হয়ে যান এলবিডব্লিউ।

আবিদ দারুণ খেলে সেঞ্চুরি তুলে নিলেও আরেক পাশে থিতু হওয়ার আগেই ফেরেন পাকিস্তানের দলনেতা বাবর। ৪৬ বল খেললেও ছিলেন একটু জড়সড়। ৪৫তম বলে চার মারার পর মেহেদী হাসান মিরাজের সোজা বল লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান।

৭৮তম ওভারে তাইজুল ও উইকেটরক্ষক লিটন দাসের সমন্বয়ে ফের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় বলটা টার্ন করে ভেতরে ঢুকছিল। বাঁহাতি ফাওয়াদ আলম ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন। বল তার গ্লাভস স্পর্শ করে পায়ে লেগে প্রথম স্লিপের দিকে যাচ্ছিল। লিটন বাঁদিকে সরে গিয়ে ঝাঁপিয়ে জমান চোখ ধাঁধানো ক্যাচ।

প্রথম সেশনের শেষ ডেলিভারিতে চার মেরে পাকিস্তানের সংগ্রহ দুইশ পার করান আবিদ। বিরতির পর খেলা শুরুর তৃতীয় ওভারে উইকেট আদায় করে নেন ইবাদত। এলবিডব্লিউ হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান সাজঘরে ফেরেন ৩৮ বলে ৫ রান করে। এরপর প্রথম সেশনে টানা ১৬ ওভারের স্পেল করা তাইজুল আক্রমণে ফিরেই তুলে নেন আবিদের উইকেট। আগের বলেই জীবন পাওয়া এই ওপেনার থামেন ২৮২ বলে ১৩৩ রানে।

নিজের আগের ওভারে টানা আউটসুইং করা ইবাদতের ইনসুইংয়ে পরাস্ত হন রিজওয়ান। বল আঘাত করে তার পেছনের পায়ে। এতে ভাঙে পাকিস্তানের ৭৬ বলে ২৫ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। দুই ওভার পর আবিদের কাঙ্ক্ষিত উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তিনি। তাকে এলবিডাব্লিউ করে ফেরান তাইজুল। আবিদ রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল লাগত লেগ স্টাম্পে। তার ম্যারাথন ইনিংসে ছিল ১২ চার ও ২ ছক্কা।

ঠিক আগের ডেলিভারিতে ফিরতে পারতেন চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া আবিদ। স্বভাবের বাইরে গিয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সংযোগ ঠিক না হওয়ায় বল চলে যায় শর্ট লেগে। দুরূহ ক্যাচটা অনেক চেষ্টা করেও হাতে জমাতে পারেননি ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। প্রথম সেশনেও তাইজুলের বলে বেঁচে গিয়েছিলেন আবিদ। তখন ১১৩ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি। স্লিপে তার ক্যাচ হাতে জমাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

টানা চার-ছক্কা হাঁকিয়ে তাইজুলকে এলোমেলো করে দেওয়ার প্রয়াস ছিল হাসান আলির। কিন্তু অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে কাটা পড়েন তিনি। সহজ স্টাম্পিংয়ের সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি উইকেটরক্ষক লিটন দাস। হাসানের ৮ বলের ছোট্ট ক্যামিওতে আসে ১২ রান। ঠিক পরের বলে বাংলাদেশের জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে সাজিদ আলিকে এলবিডব্লিউ আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।

আঁটসাঁট বোলিংয়ে নজর কেড়ে নেওয়া ইবাদত নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন সাজিদকে বোল্ড করে। অফ স্টাম্প উপড়ে যায় তার। রিভিউ নিয়েও এলবিডব্লিউ থেকে রক্ষা না পাওয়া নুমান আলি হন তাইজুলের ষষ্ঠ শিকার। যদিও বোঝা যায়নি বল আগে তার ব্যাটে লেগেছে নাকি প্যাডে।

দশম উইকেটে ৭২ বলে ২৯ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের লিডটা আরেকটু বড় হতে দেননি ফাহিম আশরাফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। এটি পাকিস্তানের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। ফাহিমকে ফিরিয়ে দলটিকে গুটিয়ে দেন তাইজুল। ৮০ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। শাহিন অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ১৩ রানে।

লেগ স্টাম্পে থাকা বল সুইপ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ফাহিম। ব্যাটের নিচের কানায় লাগার পর বল আটকে যায় করিৎকর্মা লিটনের দুই পায়ের ফাঁকে। আম্পায়ার দেন ক্যাচ আউটের সিদ্ধান্ত।

এসএইচ-০১/২৮/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

‘হতাশাগ্রস্ত’ ব্যক্তির তাণ্ডবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৫

লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে খুন করেছেন এক ‘হতাশাগ্রস্ত’ ব্যক্তি। নিহতদের মধ্যে ‘হতাশাগ্রস্ত’ ব্যক্তির দুই কিশোরী মেয়ে ও ভাই রয়েছেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন।

শনিবার ভারতের ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় শেওড়াতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রদীপ দেবরয়।

আগরতলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সেনগুপ্ত জানান, অভিযুক্ত প্রদীপ দেবরয় সকালে শেওড়াতলী গ্রামের বাড়িতে তার দুই কিশোরী মেয়ে ও ছোট ভাইকে অতর্কিত হামলা করে ঘটনাস্থলেই হত্যা করেন। গুরুতর আহত তার স্ত্রীকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দেবরয় তখন রাস্তায় এক অটোরিকশা চালককে থামিয়ে তাকে হত্যা করেন এবং তার ছেলেকে গুরুতর আহত করেন। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আহত দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

ঘটনার খবর পেয়ে ইন্সপেক্টর সত্যজিৎ মল্লিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দেবরয় তার ওপর হামলা চালান। সেনগুপ্ত প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ সুপার কিরণ কুমার জানান, দেবরয় গত কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এসএইচ-২৮/২৭/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

জন্মহার বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ চীন সরকারের

জন্মহার বাড়ানোর জন্য আরও উদ্যোগী হলো চীন সরকার। এবার চীনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে অন্তত ৩০ দিন মাতৃত্বকালীন ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে।

রেকর্ড সংখ্যক ভাবে জন্মের হার কমে যাওয়ায় সর্বশেষ প্রয়াস হিসেবে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। খবর এএফপি’র।

জানা গেছে, পরিবারে তৃতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার অনুমতি দিতে কঠোর পরিবার পরিকল্পনার নিয়ম শিথিল করার জন্য এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

বেইজিংয়ের সিটি সরকার ঘোষণা করেছে, নারীরা এখন থেকে ১৫৮ দিন মাতৃত্বকালীন ছুটি নিতে পারবেন। সাংহাই কর্তৃপক্ষ এক দিন আগে অনুরূপ পরিবর্তনের ঘাষণা দিয়েছে।

সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, পূর্বাঞ্চলে ঝেজিয়াং প্রদেশে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সন্তানের মায়েরা এখন মোট ১৮৮ দিন মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটাতে পারবেন। এর আগে মায়েরা বতনসহ ৯৮ দিনের মোতৃত্বকালীন ছুটি কাটাতে পারতেন।

এসএইচ-২৭/২৭/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ক্যাট-ভিকির বিয়ে প্রশ্নে রেগে গিয়ে যা বললেন সালমানের বাবা

বলিউডের আলোচিত প্রেমিক যুগল ক্যাটরিনা কাইফ ও ভিকি কৌশলকে নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন খবর খবর ছড়াচ্ছে। একদিকে বিয়ের খবর তো- অন্যদিকে বিয়ে হচ্ছে না বলেও খবর এসেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্যাটরিনার ঘনিষ্ঠ অনেকেই অনেক রকম তথ্য দিয়েছেন।

তবে এই অভিনেত্রীর সাবেক প্রেমিকের বাবা সেলিম খান হাঁটলেন ভিন্ন পথে। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে ভিকি-ক্যাটরিনা বিয়ে নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে বেশ বিরক্ত হোন তিনি।

কিছুটা রাগও করেন। উত্তরে তিনি জানান সংবাদমাধ্যমে এই নির্দিষ্ট বিষয়টি নিয়ে এতটাই চর্চা করেছে যে তার আর নতুন করে কিছু বলার নেই!

উল্লেখ্য, সেলিম খানের সুপারস্টার পুত্র সালমানের সঙ্গে বহু বছর আগে বিচ্ছেদ হলেও এখনো বন্ধুত্ব এখনও অটুট ক্যাটের। পাশাপাশি সালমানের পরিবারের সঙ্গে ক্যাটরিনার রসায়নও তাক লাগানোর মতো।

‘ভাইজান’ এর ছোট বোন অর্পিতার প্রিয় বন্ধুর নামের তালিকায় ওপরের দিকে তো এখনও রয়েছে এই ক্যাটরিনার নাম।

এসএইচ-২৬/২৭/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

‘ভোটের দরকার নেই, স্বামীকে ফিরিয়ে দিন’

গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেদী হাসান নিখোঁজ হওয়ার তিনদিনেও সন্ধান মেলেনি। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন তিনি। তার কর্মী-সমর্থকরা এখন নির্বাচনী প্রচার বাদ দিয়ে তার খোঁজেই দিন পার করছেন। মেহেদীর সন্ধান চেয়ে স্বজনরা গত বৃহস্পতিবার কালিয়াকৈর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

মেহেদী হাসান (৪১) কালিয়াকৈর পৌর এলাকার শফিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। জানা গেছে, স্থানীয়দের কথাতেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। প্রতীক পেয়েছেন ডালিম।

মেহেদীর স্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন চাই না, ভোটের দরকার নেই। নির্বাচন কমিশন শুধু আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিক।’ নির্বাচনের আগের দিন আজ শনিবার বিকেলেও তার সন্ধান চেয়ে নির্বাচন অফিসের সামনে আহাজারি করতে দেখা গেছে স্বজনদের।

মেহেদীর বাবা আনোয়ার হাসান জানান, গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি ফিরে আসেননি মেহেদী। সকাল ৮টার দিকে তার অনুসারী লোকজন বাড়িতে ভিড় করলে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর তার কোনো খোঁজ না পেয়ে থানায় জিডি করে বিষয়টি নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়। তিনদিনেও সন্ধান না মেলায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে মেহেদীর পরিবার।

মেহেদী হাসানের সমর্থক ফাইজুর রহমান বলেন, শুরু থেকেই মেহেদীর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তার জয়ের সম্ভাবনা ছিল। আর এটাই কাল হয়েছে তার জন্য। তিনি বলেন, প্রার্থী নিখোঁজের ঘটনার দায় নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারে না।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, ‘প্রার্থী নিখোঁজের ঘটনায় আমাদের তো কিছুই করার নেই। এটা পুলিশের বিষয়।’

এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, নিখোঁজ প্রার্থীকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা হচ্ছে, তবে পাওয়া যাচ্ছে না।

এসএইচ-২৫/২৭/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)