রাত ১১:৫৫
রবিবার
৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২২ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ব্রাজিলের সেই ভক্তকে অটোগ্রাফ দিলেন মেসি

মাতৃভূমি ব্রাজিল হলেও প্রিয় ফুটবলার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। এজন্যই নিজের পিট জুড়ে সময়ের অন্যতম সেরা এই তারকা ফুটবলারের ট্যাটু করেছেন এক ‘পাগল’ মেসি ভক্ত।

আর তাতেই ভাইরাল বনে গেছেন তিনি। এবার সেই ভক্তের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি অটোগ্রাফও দিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

২০১৭ সালে স্প্যানিশ লা-লিগার এক ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে শেষ সময়ে গোল করে জার্সি খুলে উদযাপন করেছিলেন লিওনেল মেসি। ওইদিন বার্সেলোনার ৩-২ গোলে জেতার পর মেসির এই উদযাপনের ছবি, ভিডিও সাড়া দুনিয়াতেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বেশ।

সেই ছবির ট্যাটুই করেছেন এই মেসি ভক্ত। এতে তাকে খরচ করতে হয়েছে প্রায় দুই হাজার ডলার। সেই সঙ্গে ৩৬ ঘণ্টার ব্যথা সহ্যও করতে হয়েছে।

প্রিয় তারকার জন্য এমন অদ্ভুদ কাণ্ড ঘটনার পর তাকে সেটা না দেখালে যেন পাগলামির ষোলো আনা পূর্ণ হয় না। সেজন্যই কোপা আমেরিকা ফুটবল টুর্নামেন্টে উরুগুয়ের বিপক্ষে জেতার পর মেসিদের বাহবা এবং নিজের পাগলামি দেখাতে হাজির হন তিনি।

সেদিন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার সঙ্গে দেখা করতে না পারলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুতই ভাইরাল হন ওই আর্জেন্টিনা সমর্থক।

ব্রাজিলের ওই ভক্ত ফের হাজির হয়েছিলেন ব্রাসিলিয়ায় আর্জেন্টিনার টিম হোটেলের সামনে। অনুশীলনে যাওয়ার সময় মেসির নজরে পড়লে পথ বদলে এসে তিনি অটোগ্রাফ দিয়েছেন ‘পাগল’ভক্তকে।

এসএইচ-০৭/২১/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

শিশুর কাঁধে ছোটভাই হত্যার দায়

শিশুর ঘাড়ে তার ছোট ভাইকে হত্যার দায় চাপানোর ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় আদালত বলেছেন, এমন ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, এটা হবে দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আগামী ২৯ জুন এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে শুনানিতে থাকতে বলা হয়েছে।

‘পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’ শিরোনামে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. শিশির মনির।

শুনানিতে শিশির মনির বলেন, একজন বাবা তার এক সন্তানকে হারালেন, ওই সন্তান হত্যার অভিযোগে বড় ছেলে, যার বয়স ১২ বছর, সে হয় আসামি। উল্টো বাড়িঘরও ছাড়তে হয়েছে সন্তানের বাবা-মাকে। এটিকে অমানবিক ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী।

তিনি বলেন, ১২ বছরের একটি শিশুকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হলো। শিশু আদালতের সামনে এলো। অথচ আইন থাকার পরও কোনো পদক্ষেপ নেই। এ কারণে বিষয়টি দেখভালের জন্য আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। যাতে ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোটভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সী বড় ভাইকে। সে বছর ২৫ আগস্ট বগুড়ার কাটাখালি গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় তার বড় ভাই সৌরভকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেয়া হয়। এ মামলায় এখন বাড়ি ছাড়া পুরো পরিবার।

এসএইচ-০৬/২১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ফটোগ্রাফার’ রোনালদোর রসিকতা!

এই ইউরোতে সবচেয়ে আলোচিতদের একজন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। হাঙ্গেরি ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই সংবাদ সম্মেলনে কোকের বোতল সরিয়ে আলোচনায় আসেন পর্তুগাল অধিনায়ক।

প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ও জোড়া গোল করে গড়েন রেকর্ড। জার্মানির বিপক্ষে তার গোলে চ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে গেলেও দুটি আত্মঘাতী গোলে হার দেখে। এবার ফটোগ্রাফি দিয়ে খবরের শিরোনাম হলেন ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

রোববার পর্তুগালের মিডিয়া ডে ছিল। দলের প্রত্যেকের ছবি তুলছিলেন একজন ফটোগ্রাফার। পেপে পোজ নিতেই রোনালদো তার কাছ থেকে ক্যামেরা চেয়ে নেন। তারপর ছবি তোলেন সতীর্থের। পরে নিজের তোলা ছবি দেখে নিজেই মুগ্ধতা প্রকাশ করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।

ফটোগ্রাফারের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে রোনালদো রসিকতা করে বলেন, ‘আপনার চেয়ে ভালো তুলেছি।’

শনিবার জার্মানির বিপক্ষে ইউরো ক্যারিয়ারে নিজের ১২তম গোল করেন রোনালদো। এই আসরে যা ছিল তার তৃতীয়, চেক স্ট্রাইকার প্যাট্রিক শিকের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে।

এর মধ্যে হাঙ্গেরির বিপক্ষে জোড়া গোল করে মিচেল প্লাতিনিকে টপকে ইউরোর সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার আসনে বসেন তিনি।

এসএইচ-০৫/২১/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মালয়েশিয়ায় ১০২ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০২ জন বাংলাদেশিসহ ৩০৯ জনকে আটক করা হয়।

সোমবার ভোরে কুয়ালালামপুরে ডেনকিলে বেশ কয়েকটি নির্মাণাধীন সাইট থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে।

দেশটির অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটককৃতরা ২০ থেকে ৫২ বছর বয়সী। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন দেশটির ইমিগ্রেশনের ডিজি ইন্দিরা খাইরুল জাইমি দাউদ। অভিযানে অংশ নেন ইমিগ্রেশনের ১৮৯ জন কর্মকর্তা।

অভিযান সম্পর্কে ইমিগ্রেশনের ডিজি বলেন, আমরা তথ্য পেয়ছিলাম যে এখানে এমসিও লঙ্ঘন করে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানা হচ্ছে না।

মূলত এ কারণেই অভিযান চালাতে বাধ্য হয়েছি। একই সঙ্গে আটককৃতদের সিমুনি ক্যাম্পে নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হবে। পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসএইচ-০৪/২১/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

দ্বিতীয় ডোজের টিকার সংকট সহসাই কাটছে না

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের প্রায় ১৫ লাখ টিকার সংকট সহসাই কাটছে না। বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত টিকা কবে পাওয়া যাবে সেটিও নিশ্চিত নয়। বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে শুরু হয় গণটিকাদান। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে গত মার্চে ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করলে সদস্যায় পড়ে বাংলাদেশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অক্টোবরের আগে সেরামের টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। গতকাল ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীও সেরামের টিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন।

চুক্তি সত্ত্বেও সেরাম টিকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে টিকাদান অব্যাহত রাখতে চতুর্মুখী তৎপরতা শুরু করে ঢাকা। নতুন করে কেনার পাশাপাশি দেশে টিকা উৎপাদন করতেও চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিকার ঘাটতি পূরণে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর কাছে অনুরোধ করে চলেছে বাংলাদেশ।

কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রের তরফেই টিকা পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার পাওয়া যায়নি। তবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জুলাইয়ে চীনের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, এর আগে সংকটের মধ্যে টিকাদান অব্যাহত রাখতে চতুর্মুখী তৎপরতার অংশ হিসেবে চীনের সিনোফার্ম কোম্পানির কাছ থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ। ক্রয় সম্পন্ন করার জন্য তিনটি ডকুমেন্টের সব সই করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তাদের জবাব আসেনি। এর বাইরে চীনের আরেকটি কোম্পানি সিনোভ্যাকের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে সরকার।

তবে এই আলোচনা কবে নাগাদ শেষ হবে, অর্থাৎ কবে টিকা কেনার চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। তা ছাড়া ৫০ লাখ ডোজ রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা কেনার বিষয়েও কয়েক দফা ডকুমেন্ট আদান-প্রদান হয়েছে এবং শিগগিরই চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। তবে কবে নাগাদ বাংলাদেশ টিকা পাবে সেটি নিশ্চিত নয়।

আশার দিক হচ্ছে- দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের জন্য এগিয়ে এসেছে বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্স। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন এই জোট থেকে ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়ায় প্রতিশ্রুতি মিলেছে। তবে কবে নাগাদ এসব টিকা আসবে বা কোন দেশ থেকে সরবরাহ করা হবে, গতকাল পর্যন্ত তা নিশ্চিত করেনি কোভ্যাক্স।

চীনের সিনোফার্মের সঙ্গেও যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। খুব শিগরি এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। রাশিয়া থেকেও এক কোটি টিকা কেনার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে সরকার।

এ সপ্তাহেই আলোচনা শেষ করে জুলাইয়ে স্পুটনিক-ভি টিকার প্রথম চালান পেতে আগ্রহী ঢাকা। সব কিছু ঠিকমতো এগোলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব টিকা দেশে আসবে। এ লক্ষ্যে স্পুটনিক-ভির উৎপাদক ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অব রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (সিআরডিআইএফ) সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সিনোফার্মের সঙ্গে আলোচনা আগেই শুরু হয়েছে। আশা করছি জুলাই মাসে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা দুই দফা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। ভারতের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার বিষয় তিনি বলেন, অক্টোবরের পর তাদের টিকা পাওয়া যেতে পারে।

এসএইচ-০৩/২১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

হোটেল বুকিং জটিলতায় দুর্ভোগে সৌদিগামী প্রবাসীরা

হোটেল বুকিংয়ের জটিলতায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না সৌদিগামী প্রবাসীদের। বেশি সমস্যায় পড়েছেন ফিরতি টিকিট কেটে আসা যাত্রীরা।

হোটেল বুকিং না দিয়ে উল্টো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অনেকেরই আগের টিকিট বাতিল করে নতুন করে টিকিট কিনতে বলেছে। হোটেল বুকিংয়ের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন তারা।

যথাসময়ে কর্মস্থলে ফেরার টিকিট রি-কনফার্ম করতে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে প্রতিদিনই মতিঝিলে বিমান অফিসে ধরনা দিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শত শত প্রবাসী।

কয়েক দিন ঘুরে কর্তৃপক্ষের দেওয়া তারিখে হোটেল বুকিং দিতে আসার পর অনেক যাত্রীকে জানানো হয়, আগের টিকিট বাতিল। এদিকে ফ্লাইটের সময় ঘনিয়ে এলেও হোটেল বুকিং দিতে পারছেন না অনেকে। এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ফিরতি যাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন সৌদিগামী বিপুলসংখ্যক প্রবাসী।

এক সৌদি আরবের প্রবাসী জানান, আমাকে বলা হয়েছে, গতকাল আপনার ফ্লাইট। কিন্তু এখনো হোটেল বুকিং হয়নি।

এদিকে হোটেল বুকিংয়ের জন্য ৬৬ হাজার টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও বিমান ৮০ হাজার টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। অধিকাংশ প্রবাসীর অর্থ ফুরিয়ে আসায় এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। ভোগান্তি নিরসনে অনলাইনে হোটেল বুকিং দেওয়ার দাবি তাদের।

যদিও বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি কম দামি হোটেলের বুকিং শেষ হয়ে গেলে কিছু ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত জিএসএ ফোর স্টার বুকিংয়ের জন্য বেশি টাকা নিতে পারে।

বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, বিকল্প যারা এখন আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত আছে এরা প্রথমদিকে সকালে ৬৩, ৬৪ থার্ড স্টার প্যাকেজে বুকিং দেয়। পরে সেগুলো শেষ হয়ে গেলে ওরা ফোর স্টার বুকিং দেয়। তখন টাকাটা ওই রকম অ্যামাউন্টে চলে আসে। সাধারণ তাদের বলে দেই একান্ত দরকার না হলে দু-একদিন পরে দাও। তবে যাদের প্রয়োজন, তাদের দেওয়া লাগে।

সম্প্রতি হোটেল বুকিংয়ে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় টিএসএল নামের প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে বিমানের জেনারেল সেলস এজেন্ট ইলাফ অ্যাভিয়েশনকে সৌদিগামীদের হোটেল বুকিংয়ের দায়িত্ব দেয়। বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার সৌদিপ্রবাসী কর্মস্থলে ফেরার অপেক্ষায় আছেন।

এসএইচ-০২/২১/২০ (প্রবাস ডেস্ক)

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থচুরি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। বিবিসির প্রতিবেদক জিওফ হোয়াইট ও জিন এইচ লির এ প্রতিবেদনে জানা গেছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থচুরিতে জড়িত ছিল উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। ১০ পর্বের নতুন প্রতিবেদন রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির দুর্ধষ কাহিনি।

এই প্রতিবেদনে জানা যায়, কীভাবে বিপুল অর্থ সরানোর জন্য একদল হ্যাকার ভয়াবহ পরিকল্পনা করে। চুরির যে আলামত এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তাতে উত্তর কোরিয়া এ ঘটনায় জড়িত বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়। এ অর্থ যায় ফিলিপাইনের মাকাতি শহরে রিজাল ব্যাংকের একটি শাখায় চারটি ভুয়া হিসাবে। সেখান থেকে দ্রুত অর্থ উত্তোলন করা হয়। পরে চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে মাত্র দেড় কোটি ডলার পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়। এ ঘটনার বহু তদন্ত হয়েছে।

বিবিসি অনুসন্ধানী প্রত্রিবেদনে জানা যায়, হ্যাকাররা এ ঘটনার জন্য যে মূল যন্ত্র ব্যবহার করে তা হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি ত্রুটিযুক্ত প্রিন্টার। মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের দশম তলায় অত্যন্ত সুরক্ষিত ঘরের অভ্যন্তরে বসানো ছিল প্রিন্টারটি। কোটি কোটি ডলারের ট্রান্সফার ব্যাংকের বাইরে ও ভেতরে প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড ছাপানো হতো এটি দিয়ে।

শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে ত্রুটিপূর্ণ এ প্রিন্টার ছিল কেবল একটি যন্ত্র। প্রযুক্তির সমস্যা ছাড়া তেমন একটা বড় ব্যাপার বলে মনে হয়নি কারও। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে প্রিন্টারটি কাজ করছিল না। কেন কাজ করছে না তা নিয়ে কেউ চিন্তাও করেননি।

সে সময় সুরক্ষিত ওই স্থানের ডিউটি ম্যানেজার ছিলেন জুবায়ের বিন হুদা। তিনি পুলিশকে বলেন, আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে এটি অন্য যেকোনো দিনের মতো একটি সাধারণ সমস্যা। আগেও এমন হয়েছে।

এদিকে ব্যাংকের কর্মীরা যখন প্রিন্টারটি পুনরায় চালু করেন, তখন তারা কিছু উদ্বেগজনক বিষয় লক্ষ করেন। তারা বুঝতে পারেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে জরুরি বার্তা গেছে সেখান থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে ফেডারেল রির্জাভের কাছে নির্দেশনা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দ্রুত যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের লোকাল টাইম এবং যুক্তরাষ্ট্রের লোকাল টাইম।

হ্যাকাররা ঘটনা ঘটায় মূলত বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়, সে সময় ছিল নিউইয়র্কে সকাল। অর্থাৎ বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম তখন বন্ধ, তবে যুক্তরাষ্ট্রে সকাল হওয়ায় তখনো সেখানে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এদিকে পরিদিন মানে শুক্র ও শনিবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটি শুরু। আবার বাংলাদেশে যখন এতবড় হ্যাকিংয়ের তথ্য উদ্ঘাটন হয় সেদিন শনিবার রাত। পরদিন আবার যুক্তরাষ্ট্র সাপ্তাহিক ছুটি।
এখানে হ্যাকাররা আরও একটি বুদ্ধি খাটায়।

একবার যখন তারা ফেড থেকে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে, তখন তাদের এটি অন্য কোথাও পাঠানোর প্রয়োজন ছিল। তারা এই জায়গা হিসেবে ফিলিপাইনের ম্যানিলাকে বেছে নেয়। কারণ ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ছিল লুনার ইয়ারের প্রথম দিন। এশিয়ায় ছুটির দিন। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ছুটি ও সময়ের ব্যবধানকে কাজে লাগিয়ে পাঁচটা দিন হাতে পেয়েছিল হ্যাকাররা। ধারণা করা হয়, কয়েক বছর ধরে এ হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা করেছিল ‘লাজারাস গ্রুপ’।

২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মচারীর কাছে একটি সিভি ইমেল করা হয়েছিল। ওই সিভিতে চাকরিপ্রার্থী তার নাম রাসেল আহলাম বলে অভিহিত করেন। সেই সঙ্গে ইমেইলে অনুরোধ ছিল যাতে তার সিভি এবং কভার লেটার ডাউনলোড করে যেন পড়া হয়। এফবিআইয়ের তদন্তকারীদের মতে এই রাসেলের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এটি একটি কেবল নাম, যা ব্যবহার করে সেই লাজারাস গ্রুপ ইমেইল করেছিল। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মী কৌতুহলবসত ডাউনলোড করে পড়েছিলেন।

ফলে ওই সিভির ভিতরে ভাইরাস দ্বারা বাংলাদেশ ব্যাংকের পিসি আক্রান্ত হয়। এরপরই ব্যাংকের সিস্টেমে লাজারাস গ্রুপ গোপনে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল ভল্ট যেখানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেখেছিল তার দিকে কাজ শুরু করে দেয়। পুরো এক বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে অবস্থান করে দুর্ধষ্ এ হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা করে।

আসলে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সমস্যায় জর্জরিত, সেটিই যেন প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল এ চুরির মাধ্যমে। বিবিসি জানায়, হ্যাকাররা এর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় ঢুকে পড়েছিল। এটি ছিল এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সাহসী সাইবার হামলা ছিল। হ্যাকারদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি ডলার চুরি করা। অর্থ সরাতে হ্যাকাররা নকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, দাতব্য সংস্থা, ক্যাসিনোসহ বিস্তৃত নেটওয়ার্ক যে ব্যবহার করেছিল।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, এ অর্থ চুরির বিষয়ে তদন্তকারীদের তদন্তে ডিজিটাল যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া যায়, তাতে এটাই স্পষ্ট- উত্তর কোরিয়া সরকারের পুরো মদদেই এ ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের বরাতে বিবিসি জানায়, এমন একটি লোমহর্ষক ঘটনা ঘটানোর জন্য অনেকদিন ধরে সুপরিকল্পিত পদ্ধতিতে এগিয়েছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের এ গ্রুপ লাজারাস নামে পরিচিত বিশ্ব হ্যাকিংয়ের গ্রুপের কাছে। এ গ্রুপ সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়।

এদিকে এফবিআই এক সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি অঙ্কন করেছে, তার নাম পার্ক জিন হিয়ক, তবে ওই ব্যক্তি পাক জিন-হেক এবং পার্ক কোয়াং-জিন নামেও কাজ করেন। তিনি ল্যাজারাস গ্রুপের অন্যতম সদস্য। এছাড়া এ ঘটনায় আরও দুজন হ্যাকারের নাম উঠে আসে তদন্তে। তারা হলেন কিম ইল ও জন চ্যাং হিয়ক।

পার্ক জিন হিয়ক একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি থেকে স্নাতক করেছেন তিনি। এর পর চীনের বন্দর দালিয়ান শহরে উত্তর কোরিয়ার একটি সংস্থা চোসুন এক্সপোতে কাজ করতেন। এ সংস্থা অনলাইন গেমিং ও জুয়ার প্রোগ্রাম তৈরি করে।

এফবিআই বিবিসিকে জানিয়েছে, পার্ক জিন হিয়ক হলেন দিনের আলোতে একজন সহজ সরল কম্পিউটার প্রোগ্রামার আর রাতের অন্ধকারে দুর্ধর্ষ হ্যাকিং তার পেশা।

পার্ক জিন হিয়ক হলেন উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার তরুণের মধ্যে এমন একজন, যাকে ছোটবেলা থেকেই সাইবারযোদ্ধা বানানোর জন্য তৈরি করা হয়।

এসএইচ-০১/২১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

অভিনেত্রীর বর খোঁজার দায়িত্ব সালমানের!

বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান ইন্ডাস্ট্রির কন্ট্রোভারসিয়াল কুইন আরশি খান। কিন্তু মনের মতো বর খুঁজতে আরশির দরকার সালমান খানকে। ভাইজানের বিয়ে না হলেও লাভ গুরু হিসেবে তাকেই পছন্দ আরশির।

জনপ্রিয় ভারতীয় টিভি রিয়েলিটি শো বিগবসের ১৪ তম সিজনে অংশ নিয়েছিলেন আরশি। সেখান থেকেই সালমানের প্রতি তার শ্রদ্ধা আরও গাঢ় হয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

তাই জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়েও ভাইজানের সাহায্যই চাইছেন অভিনেত্রী।

আরশি বলেন, ‘সালমান খান এমন একজন মানুষ, যিনি আমায় ব্যক্তি হিসেবে উন্নতিতে সাহায্য করেছেন। বিগবসে আমি যা শিক্ষা পেয়েছি তা সারাজীবনের।’

যদিও আরশির মনের মতো সঙ্গী খুঁজতে ভাইজান এগিয়ে আসবেন কিনা তা নিয়ে মুখ খোলেননি সালমান খান।

এসএইচ-২১/২০/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ধসে বাংলাদেশি নিহত

মালয়েশিয়ার কোতা দামানসারার মহসড়কে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের ধাতব স্ক্যাফোল্ডিং ধসে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। রোববার বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোটা দামনসারার নিউ ক্লাং ভ্যালি এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারে ধসে পড়ার পর ২ বাংলাদেশি আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে।

পরে আহত ২ বাংলাদেশিকে সুঙ্গাই বুলু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন রোববার বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় চিকিৎসক একজনের মৃত্যু ঘোষণা করে।

দুর্ঘটনার কারণে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কাজ স্থগিত করা হয়। এসময় দামনসারা-শাহ আলম এলিভেটেড হাইওয়েতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় মালয়েশিয়ান হাইওয়ে অথরিটি (এলএলএম) এবং কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার জাইদুন লিং এসডিএন বিএইচডিকে (জেডএলএসবি) স্ক্যাফোল্ডিং ধসের বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, পুলিশ জানায় লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সুঙ্গাই বুলু হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এসএইচ-২০/২০/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

রোনালদো সম্পর্কে অজানা কিছু চমকপ্রদ তথ্য

পর্তুগালের এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম। দারিদ্র্যের জন্য জন্মের আগে থেকেই তাকে ঘিরে একটা অবহেলা তৈরি হয়েছিল মা-বাবার মনে। এমনকি ভ্রুণ অবস্থাতেই তাকে মেরে ফেলার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছিলেন মা। কিন্তু ততদিনে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তাই তিন ছেলেমেয়ের পর জন্ম দিতে বাধ্য হয়েছিলেন এই চতুর্থ সন্তানকেও।

মা মারিয়া ডলোরেস ছিলেন রাঁধুনী। বাবা পৌরসভার বাগান দেখাশোনা করতেন। নামমাত্র উপার্জনের টাকায় বাড়ি ফেরায় নিত্যদিন ঝামেলা লেগেই থাকত মা-বাবার মধ্যে। একটি ঘরেই বাস ছিল চার ভাইবোন ও মা-বাবার। সেই ঘরেরই এক প্রান্তে পড়ে থাকত চার ছেলেমেয়ে।

সেই চারজনের একজনই আজ পর্তুগাল অধিনায়ক, জুভেন্টাসের মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সম্ভবত ফুটবল বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া খেলোয়াড়। এক সময়ে এক টাকা খরচ করতে গেলেও যাকে ভাবতে হত, সেই ক্রিশ্চিয়ানোই আজ কোটি কোটি ডলারের মালিক।

খেলার বাইরেও রোনাল্ডো সবসময়ই চর্চায় থাকেন। বিলাসবহুল জীবন ও ব্যক্তিত্ব তাকে সবসময়ই নেটমাধ্যমে চর্চায় রাখে। চর্চায় থাকে কোটিপতি এই ফুটবলারের ব্যবহার্য জিনিসও। ক্রিশ্চিয়ানোর ব্যবহার করা সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসগুলো কী কী এবং সেসবের দাম কত, ত নিচে তুলে ধরা হলো।

জেকব অ্যান্ড কো সংস্থার নকশা করা একটি হাতঘড়ি রয়েছে তার। যার দাম ১৩ কোটি ৩২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা! না, তা বলে এটা ভাবার কারণ নেই যে, রোনালদো এই একটিমাত্র ঘড়িই পরেন। এটা তার সংগ্রহে থাকা ঘড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি।

রোনালদো ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে নিজের একটি মোমের মূর্তি তৈরি করিয়েছেন। মাদ্রিদের জাদুঘরে প্রথম এই মোমের মূর্তি দেখেন রোনালদো। তারপর তিনি কারিগরকে খুঁজে বের করে নিজের বাড়িতেও হুবহু একই রকম মূর্তি বানিয়ে নিয়েছেন।

মডেলিংয়ের জন্য আকছাড় ডাক পান রোনাল্ডো। বিভিন্ন নামী-দামি সংস্থার হয়ে মডেলিং করেন তিনি। তার পোশাক থেকে খাওয়া-দাওয়া সবই বিলাসবহুল। লন্ডনে মাত্র ১৫ মিনিটে ২০ লাখ টাকা খরচ করে ফেলেন মাত্র দুই বোতল মদের জন্য।

জানেন কি বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির মালিক এই ফুটবলার? বুগাট্টি লা ভোচার নয়্যার। দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৫ কোটি রুপি। প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারে এই গাড়ি। শুধু এই একটিই নয়, এর আগেও আরও একটি বুগাট্টি কিনেছিলেন তিনি।

এ ছাড়া ল্যাম্বরগিনি, বেন্টলে জিটি স্পিড, অ্যাস্টন মার্টিন ডিবি৯, অডি, রোলস রয়েস ফ্যান্টম এবং ফেরারি ৫৯৯ জিটিও-ও রয়েছে তার সংগ্রহে।

মাদ্রিদে ৫২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার একটি ভিলা রয়েছে তার। ম্যানহাটন ট্রাম্প টাওয়ারে ১৩৭ কোটি টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে রোনালদোর।

রোনালদোর ব্যবহার্য জিনিসের মধ্যে সবচেয়ে দামি তার ব্যক্তিগত জেট বিমান। প্রায় ২৩৭ কোটি টাকার ওই বিমানে একসঙ্গে ১২ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।

এসএইচ-১৯/২০/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)