রাত ১২:৪৮
সোমবার
৬ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২২ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

দাম্পত্যে আস্থার অভাব: বাড়ছে হত্যাকাণ্ড

বাবা, মা ও বোনকে খুন করেছি, তাদের উদ্ধার করুন। আপনাদের আসতে দেরি হলে স্বামী এবং মেয়েকেও খুন করবো।’ ৯৯৯-এ ফোন করে এভাবেই বলছিলেন মেহজাবিন।

শনিবার সকাল আটটার দিকে এ কল করেন তিনি। পরে কদমতলী থানা-পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। অসুস্থ অবস্থায় মেহজাবিনের স্বামী শফিক ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমনটা ঘটার পেছনে অন্যতম কারণ-বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সময় না দেওয়াটাই তৈরি করেছে বড় দেয়াল। নিজেদের মধ্যে আস্থার অভাব তৈরি হয়েছে দিনে দিনে।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক কিংবা অন্য কোনও অনৈতিক সম্পর্ক যখন জানাজানি হয়ে যায়, তখনই ভুক্তভোগীদের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার প্রভাবে ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

সম্প্রতি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বেশকিছু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ডক্টর জিয়া রহমান বলেন, ‘আস্থার অভাব তো আছেই, তারপরও সম্পর্কগুলো যখন জনসম্মুখে চলে আসে তখন এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়।

নিরাপত্তাহীনতা ও হিংসাত্মক মনোভাবের কারণেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের সম্পর্কগুলো যখন সমাজের সামনে চলে আসে তখন আরও অনেক মানুষ এতে জড়িয়ে পড়ে।’

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মেখলা সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয় যে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক আগে ছিল না। তবে সম্প্রতি এটি প্রকাশ হচ্ছে বেশি।

দাম্পত্য সম্পর্কে যখন কোনও সমস্যা হয়, তখন বিষয়টি জানাজানি হলে তা মানসিক চাপ বাড়ায়। অনেকেই তা সহ্য করতে পারেন না। তখনই ব্যক্তি হিতাহিত জ্ঞান হারায় ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটায়। আবার ক্রাইম সিরিয়ালগুলোও এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে উস্কানি দেয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আস্থার অভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। এতে আন্তরিকতা কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেখা যাচ্ছে স্বামী বিভিন্ন সময়ে কাজের কারণে বাইরে থাকছে। স্ত্রী বাসায় একা।

একাকিত্বের সুযোগে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আবার একইভাবে দেখা যাচ্ছে স্বামীরাও জড়িয়ে পড়ছেন বিভিন্ন বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের দিকে। একটি পরিবার কিংবা দাম্পত্য পরিচালনা করতে যে মানসিক ও সামাজিক দক্ষতা উপলব্ধির প্রয়োজন, নিজেদের প্রস্তুত করার প্রয়োজন, ওই জায়গায় মোটা দাগে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।’

এসএইচ-০৯/২০/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

এ বছরও হবে না পিইসি পরীক্ষা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনছুরুল আলম।

রোববার সাংবাদিকদের তিনি জানান, এ পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষা বাতিল হলেও গত বছরের মতো অটোপাশ বা অটোপ্রমোশন হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের পাশ মূল্যায়ন করা হবে ‘বাড়ির কাজের’ মাধ্যমে। এ মাধ্যমে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজের বিষয়টি আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সে জন্য কোনো পদ্ধতিতে তাদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হবে তার সারসংক্ষেপ তৈরির কাজ শুরু করেছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পদ্ধতি নির্ধারণ করে খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে, সেখানে সায় মিললে জুলাই মাসের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ এম মনছুরুল আলম জানান, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বাড়ির কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন চলবে। তাদের অটোপাস দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনা সম্ভব হলেও তাদের বার্ষিক পাঠপরিকল্পনার আলোকে পড়ানো হবে। এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়নের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

এসএইচ-০৮/২০/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)

মাহির দ্বিতীয় বিয়ের গুজব

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি তার পাঁচ বছরের সংসারে ভাঙনের ইঙ্গিত দিয়েছেন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে। সে কথা স্বীকারও করেছেন তার স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপু। তারা জানান, বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা চলছে।

এর মঝেই খবর রটে, মাহি আবারো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন। গত ১১ জুন রাতে মেহেদী রাঙা হাতে, কাতান শাড়ি আর নাকফুল পরা একটি ছবি মাহি তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবির ক্যাপশনে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’। আর গুঞ্জনের শুরু এখান থেকেই। নেটিজেনদের অনেকেই ধরে নেন, এটি মাহির দ্বিতীয় বিয়ের ছবি। কেউ কেউ তো আবার মাহিকে রীতিমত শুভেচ্ছাও জানাতে শুরু করেন।

গুঞ্জন রটে, রাকিব সরকার নামে এক যুবকের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মাহি। রাকিব একজন ব্যবসায়ী। জড়িত আছেন রাজনীতির সঙ্গেও। তিনি থাকেন গাজীপুরে। মাহির ফেসবুক লাইভেও পাওয়া গেছে রাকিবকে।

ফেসবুকের ছবি ও লাইভের সূত্রে গাজীপুরেও বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা। গল্প ছড়িয়েছে, মাহিকে গাড়ি উপহার দিয়েছেন রাকিব। সেইসঙ্গে মাহি-রাকিব একসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঘুরতে যাওয়ারও কথা শোনা যাচ্ছে।

তবে সব গুঞ্জনকেই ভুয়া বলে দাবি করেছেন মাহি। তার ভাষ্য, ‘এটি একদমই সত্য নয়। রাকিব আমার একজন বন্ধু মাত্র। গোপনে লুকিয়েই যদি বিয়ে করবো, তাহলে তার সঙ্গে আমার ছবি বা ভিডিও ফেসবুকে কি করে আসতো। সে আর আমিসহ আরও অনেকে মিলে একটি সার্কেল তৈরি করে নিয়েছি আড্ডার জন্য। এর বেশি কিছু নয়।’

এসব গুজব ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন এই অগ্নি কন্যা’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা।

উল্লেখ্য, সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ২০১৬ সালে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। বেশ সুখী দম্পতি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তারা। যদিও বেশ কয়েকবার ভাঙনের গুঞ্জন উঠেছে। তবে প্রতিবারই স্বামীর সঙ্গে রোমান্টিক ছবি কিংবা স্ট্যাটাসে সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন মাহি।

এসএইচ-০৭/২০/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

বাবা-মা-বোনকে হত্যার কারণ জানালেন মেহজাবিন

ঢাকার কদমতলীতে বাবা-মা-বোনকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মেহজাবিন। অবৈধ কাজে বাধ্য করার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আটক মেহজাবিন ইসলাম মুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানান ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি)। রোববার তিনি সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান।

এরআগে এদিনে সকালে মেহজাবিন ইসলাম মুনের নামে মামলা করা হয় এবং তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় রাজধানীর কদমতলী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া মেহজাবিন নিহত দম্পতির বড় মেয়ে।

শনিবার ঢাকার কদমতলীর মুরাদপুরের একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও বোনসহ একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

একই সাথে ওই বাসা থেকে তাদের জামাই শফিকুল ইসলাম অরণ্য ও তার মেয়ে মারজান তাবাসসুম তৃপ্তি নামে ৪ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, শনিবার ঢাকার কদমতলীর একটি বাসা থেকে একই পরিবারের তিনজনের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- মেহজাবিনের মা মৌসুমী ইসলাম (৪০), বাবা মাসুদ রানা (৫০) ও বোন জান্নাতুল (২০)।

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যার পর স্বামী ও কন্যাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন মেহজাবিন ইসলাম মুন।

এসএইচ-০৬/২০/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

পাচার হওয়া বোনকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই পাচারের শিকার তরুণী

ভারতে পাচার হওয়া বোনকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই পাচারের শিকার হন এক তরুণী এবং তার খালা। ৬ মাসের বন্দিদশায় হয়ে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা। কৌশলে পালিয়ে ফিরতে পারলেও খোঁজ পাননি বোন ও খালার।
এদিকে বিউটি পার্লারে চাকরির লোভ দেখিয়ে পাচারের শিকার হন আরও দুই তরুণী। হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার আইনে তিন ভুক্তভোগী নারীর মামলার পর পুলিশ বলছে, টিকটিক হৃদয় বাবু এবং নদী নামের এক দালাল তাদেরকে পাচার করে দিয়েছিলেন ভারতে।

গত বছরের শেষের দিকে এক তরুণীর বড় বোনকে বিউটি পার্লারে চাকরির নামে ভারতে পাচার করে দিয়েছিলেন নদী নামের এক দালাল। কিছুদিন পর নদী জানান, ভারতে খুব ভালো বেতনে চাকরি করছেন তার বোন। তবে সে কিছুটা অসুস্থ। অসুস্থ বোনকে দেখতে তাকেও ভারতে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বোনকে দেখতে এই তরুণী তার খালাসহ পাড়ি দেন ভারতে।

ঢাকা থেকে প্রথমে যশোরের বেনাপোল। সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে বিজিবির হাতে ধরা পড়ার পর দালাল তাকে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু। সেখানে দেখা হয় বোনের সঙ্গে। জানতে পারেন বিউটি পার্লারে চাকরি নয়, তার বোনকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছে। বোনের মত একই পরিণতি নেমে আসে তারও। বেঙ্গালুরু আর চেন্নাইয়ের হোটেলে হোটেলে কাটে ৬ মাস। অবশেষে অন্তঃসত্ত্বা এই তরুণী একদিন খুঁজে পান পালানোর পথ।

তিনি বলেন, আমাকে তারা একদিন কাজে পাঠায়। আমি তাদের বলি, অনেক অসুস্থতায় ভুগছি। শরীর চলছে না। আমাকে আপনারা দেশে পাঠিয়ে দেন। তখন তারা আমাকে কিছু বলেনি। মিথ্যা কথা বলে আমাকে কাজে পাঠিয়ে দিত। একদিন আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাই। তারা আমার গর্ভপাত করাতে চায়। আমি তখন ভয় পেয়ে যাই। এরপরও তারা আমাকে কাজে পাঠাতো। একদিন একটা রুমে একা রেখে আসে চেন্নাইয়ে। সে রুমের জানালা ভাঙা ছিল। আমি সেই ভাঙা জানালা দিয়ে পালিয়ে আসি। ওখান থেকে সরাসরি ট্রেনে করে কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে আসি।

একই চাকরির কথা বলে টিকটিক হৃদয় বাবু এই তরুণী এবং তার আরেক বান্ধবীকেও সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে দেন।

বেঙ্গালুরু যাওয়ার পর টের পান তারা পাচারের শিকার হয়েছেন। পতিতাবৃত্তিতে রাজি না হওয়ায় তাদের ওপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। দাবি করা লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ।

ভিকটিমরা বলেন, ওই বাসায় গিয়ে দেখি আরও চার-পাঁচজন মেয়ে। সেখানে সাগর, হৃদয় ও আকিল ছিল। আমি বর্ডার পার হওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি। ওখানে গিয়ে যখন বাজে কাজ করতে রাজি হইনি তখন তারা আমাদের খুব মারধর করে। এরপর ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করে।

পাচারের শিকার এই তিন তরুণী বলছে ভারতে যাওয়ার পর তাদের দেখা হয় হৃদয় বাবুর সঙ্গে। সেখানে হৃদয় বাবুর বিলাসী জীবনের তথ্য দিলেন তারা।

তারা বলেন, আমরা যে বাসায় গিয়েছি সেখানে হৃদয় বাবুরা অনেক দিন ধরে থাকত। যতটুকু জানি, ওই বাড়ির মালিকও এসব জানত। এ কারণে মালিক তাদের জোরে গান বাজাতে বলত। যাতে শব্দ বাইরে না যায়। তাই তারা আমাদের মারধরের সময় অনেক জোরে গান চালাত।

দেশে ফিরে হাতিরঝিল থানায় এই তিন তরুণী মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, হৃদয় বাবু এবং নদী সীমান্তে কিছু দালালদের সহায়তায় তাদের পাচার করে নিয়ে যায়।

এনিয়ে মোট ৫টি মামলা হয়েছে হাতিরঝিল থানায়। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩ জনকে। ভারতের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১২ জনকে। যাদের মধ্যে ১১ জনই বাংলাদেশি।

এসএইচ-০৫/২০/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গলায় ফাঁস দিলেন ব্যবসায়ী

চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত এক গরু ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। রোববার ভোরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহত আবদুর রাজ্জাক আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়গড়ি গ্রামের সাহাজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি তার করোনা শনাক্ত হওয়ায় লজ্জা ও ঘৃণায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।

জানা গেছে, রাজ্জাক সম্প্রতি ঠাণ্ডা জ্বরে আক্রান্ত হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। পরীক্ষা করা হলে গত ১৬ জুন তার করোনা পজিটিভ আসে। ডাক্তারের পরামর্শে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী ময়না খাতুন জানান, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর আমার স্বামী মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়ে। কিন্তু সে শারীরিকভাবে সুস্থই ছিল। সে আলাদা ঘরে ছিল ঠিকই কিন্তু সব সময় দেখভাল করছিলাম। ভোরেও তার কাশির শব্দ শুনতে পাই। কিন্তু সকালে তাকে ডাকতে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ায় ফাঁস দিয়ে সে ঝুলছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন জানান, করোনা শনাক্ত হলে ১৭ জুন তার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়। রোববার সকালে তার আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে যাই এবং পুলিশে খবর দেই। আমার ধারণা, গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার কারণে লজ্জা ও ঘৃণায় আত্মহত্যা করেছেন।

এসএইচ-০৪/২০/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

সেজদারত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ইমাম

পাকিস্তানে একটি মসজিদের ইমাম সিজদারত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। গত শুক্রবার লাহোরে জুমার আগে সুন্নত নামাজ আদায়কালে মৃত্যু বরণ করেন তিনি।

সৌভাগ্যবান ওই ইমাম হলেন লাহোরের ডিফেন্স এক্স ব্লক মসজিদের খতিব মাওলানা ওমর ইব্রাহিম।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মাওলানা ওমর ইব্রাহিম মসজিদের মেহরাবের ভেতরে জুমার আগের সুন্নত নামাজ পড়ছিলেন।

দুই রাকাত সুন্নত পড়ার পরে তিনি সিজদায় যান, কিন্তু অনেক্ষণ ধরে ইমাম সেজদা থেকে না ওঠায় একজন মুসল্লির সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পেরে ইমামকে উঠাতে গেলে তিনি ফ্লোরে ঢলে পড়েন।

পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

পরে লাহোরের জামেয়া আশরাফিয়া ফিরোজপুর রোডে ওই ইমামের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এসএইচ-০৩/২০/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

১৬ কোটি টাকা ভাতা ফিরিয়ে দিলেন নেদারল্যান্ডসের রাজকন্যা

নেদারল্যান্ডসের রাজকন্যা ক্যাথেরিনা অ্যামেলিয়ার বয়স ১৭ বছর। ১৮ বছর বয়স হলেই রানির দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত বছরে ১৪ লাখ পাউন্ড ভাতা পাওয়ার কথা।

বাংলাদেশের মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকারও বেশি। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ডাচ প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, রানির দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ভাতা নিতে চান না।

আগামী ডিসেম্বরে ১৮তম জন্মদিন উদযাপন করবেন রাজকন্যা ক্যাথেরিনা অ্যামেলিয়া। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে তা কোনোভাবে ফেরত দিতে না পারায় অস্বস্তিতে ভুগবেন।

করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে অন্য শিক্ষার্থীরা যখন কঠিন সময় পার করছে, তখন এই বিপুল পরিমাণ ভাতা নিতে পারবেন না।

সম্প্রতি মাধ্যমিক পার করেছেন রাজকন্যা ক্যাথেরিনা। স্নাতকের পড়া শুরু করার আগে এক বছরের বিরতি নেওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।

এসএইচ-০২/২০/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল আরও ৫৩ হাজার ভূমিহীন পরিবার

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ৪৫৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব মানুষদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘করোনার কারণে আমি যেহেতু যেতে পারিনি। আমার পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, ডিসি এবং ইউএনও জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেবেন।’

দেশের ৪৫৯টি উপজেলা প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হাত থেকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে নেন ছিন্নমূল এসব পরিবার। দলিলে জমির মালিকানা স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে করে দেয়া হয়েছে। তাদের নামে স্থায়ী দলিলের পাশাপাশি নামজারি করে খাজনা দাখিলাও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, সেমিপাকা ঘরে আছে দুটি রুম, একটি বড় বারান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট। পাশাপাশি সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও আছে। এ ছাড়াও আত্মনির্ভরশীল করতে ওইসব পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের আলোকে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা বাড়ি ও ব্যারাকে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজকের আশ্রয়ণের মধ্য দিয়ে গত ছয় মাসে মোট এক লাখ ২৩ হাজার ২৪৪টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে।

এ ছাড়া গত বছর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি পরিবারকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন। তারও আগে জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে বহুতল ভবনে একটি করে ফ্ল্যাট প্রদানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত চার হাজার ৪০৯টি পরিবারকে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরও এক লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এভাবে দেশের সব মানুষের জন্য স্থায়ী আবাসনের বন্দোবস্ত করবে সরকার।

এসএইচ-০১/২০/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি খুলছে থাইল্যান্ড

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনার কারণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর পর্যটকদের জন্য ফের পুরোপুরি খুলে দেয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড। তখন ভ্রমণের উদ্দেশে যে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন।

বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা এমন ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ১২০ দিনের মধ্যে থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে। আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও করোনার ঝুঁকি পর্যালোচনা করে কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার বক্তব্যের একটি ভিডিও পাঠানো হয়েছে; যাতে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রায়ুথ। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরের মধ্যে দেশজুড়ে ১০ কোটি ৫৫ লাখ করোনার টিকাদান নিশ্চিত করা হবে। পরের বছর আরও মানুষকে টিকা দেয়া হবে।

তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে আমাদের সামনে অপেক্ষা করার এবং একটি তারিখ নির্ধারণের জন্য যখন আমরা সম্পূর্ণরূপে আমাদের দেশটি খুলতে পারি এবং দর্শনার্থীদের গ্রহণ শুরু করতে পারি। কারণ মানুষের দুর্ভোগ হ্রাস করার জন্য দেশকে পুনরায় খোলা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

‘এর মাধ্যমে মানুষ আবার উপার্জন শুরু করতে পারবেন। তাই, আজ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে থাইল্যান্ডকে পুরোপুরি উন্মুক্ত করার জন্য আমাদের এবং আরও বেশি দ্রুত খোলার জন্য যেসব পর্যটন কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে, তাদের জন্য আমি একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করছি।’

থাইল্যান্ডের পর্যটন খাতের উপর নির্ভরশীল। এ কারণেই এটি খোলার তাগিদ রয়েছে সরকারের। দেশটির অর্থনৈতিক আয়ের এক-পঞ্চমাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে। গত বছর বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের বিধিনিষেধগুলি থাইল্যান্ডে চাকরি ও ব্যবসাকে হ্রাস করেছে। নীতিনির্ধারকরা সতর্ক করেছেন যে, বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে অর্জিত বিলিয়ন ডলারের অনুপস্থিতিতে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না যখন প্রত্যেকে দেশ খুলবে বা বিশ্ব ভাইরাস থেকে পুরোপুরি মুক্ত হবে। আমাদের অবশ্যই কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং এটি একটি ব্যবস্থাপনামূলক পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে।’

এসএইচ-১৬/১৯/২১ (প্রবাস ডেস্ক)