সকাল ৭:৩৩
শনিবার
২৭ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১৪ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

মেয়েদের পাঁচটি অঙ্গ, বড় হলে সৌভাগ্যবতী ভাবা হয়

মেয়েদের

বর্তমানে একুশ শতকের ঘোর কলিযুগে এসেও সমাজে মহিলাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এখনও অনেক এমন মানুষ আছে যারা মেয়ের জন্মানোকে কোন অভিশাপের থেকে কম ভাবে না।

এই কথা সবাই জানে যে নারীরাই নতুন প্রাণের উৎস, তবুও নারীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না। তবে বলা উচিত যে, বর্তমানে অনেক লোকজনেরই নারীদের সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা পাল্টেছে।

আমাদের দেশে আজও কিছু কিছু পিছিয়ে পড়া গ্রাম রয়েছে যেখানে কন্যাসন্তান জন্ম নিলে রীতিমত শোক পালন করা হয়। তাদের সত্যিই কোন ধারণা নেই যে বর্তমান যুগে নারীরা কতটা এগিয়ে গেছে। পুরুষদের সাথেই কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে সমস্ত রকম দায়িত্ব সামলাতে পারে তারা।

ওই সমস্ত লোকজনরা জানে না যে, পুরুষরা একবার হলেও তাদের দুঃখ দিতে পারে কিন্তু নারীরা কখনই সেটা করে না। একথা একদম সত্যি যে বিয়ে দেওয়ার পর মেয়েরা মেয়েই থাকে কিন্তু ছেলেরা স্বামী হয়ে যায়।

এই জগতে মহিলাদের অমূল্য অবদান রয়েছে কারণ তাদের থেকেই সৃষ্টি হয় নতুন প্রাণের। মা লক্ষী সেই ঘরেই বিরাজমান হন যেখানে নারীর সম্মান করা হয়।

আজ আপনাদের জানাবো কোন ধরনের মহিলারা তাদের পরিবার ও স্বামীর জন্য সৌভাগ্যশালী হন। শাস্ত্রমতে মহিলাদের নির্দিষ্ট কয়েকটি অঙ্গ বড় হলে তা পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

আসুন দেখে নেওয়া যাক-

১. বড় চোখ

যেসব মহিলার চোখ বড় হয় তাদের দেখতে তো সুন্দরী লাগেই, এছাড়াও এনারা স্বামীকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। যে বাড়িতে এনারা যান সেখানে ধন-সম্পদের আধিক্য ঘটে। এই ধরণের মহিলারা কখনই নিজের স্বামীকে ঠকান না।

২. লম্বা নাক

যেসব মহিলাদের নাক লম্বা হয় তাদের সব রকম সমস্যা শান্ত মাথায় সমাধান করার ক্ষমতা থাকে। এনাদের টাকা খরচ করার প্রবণতা থাকে, তবে তারা কখনই বাজে খরচ করেন না।

৩. লম্বা আঙুল

যেসব মহিলাদের আঙুল লম্বা হয় তারা অত্যন্ত বুদ্ধীমতি হন, আর তাদের লেখা-পড়া করার দারুণ সখ থাকে। এই ধরণের মহিলারা টাকা-পয়সা কম খরচ করেন এবং টাকা-পয়সা পেলে চেষ্টা করেন তা কিভাবে বাড়ানো যায়।

৪. লম্বা চুল

যেসব মহিলাদের চুল লম্বা তাদের বরাবরই পরিবারের জন্য অত্যন্ত ভাগ্যশালী মনে করা হয়। এই ধরণের মহিলারা যে পরিবারে যান সেই পরিবারে কখনোই টাকা-পয়সার অভাব হয়না।

৫. লম্বা গলা

যেসব মহিলার লম্বা গলা আছে তার অত্যন্ত সৌভাগ্যের অধিকারীনি হন।

আরএম-০২/১২/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ হলেন উর্বী ইসলাম

মিসেস ইউনিভার্স

‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯’ হলেন উর্বী ইসলাম। সোমবার রাতে রাজধানীর আইসিসিবি’তে অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্বে তার নাম ঘোষণা করা হয়। কয়েক হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মিসেস ইউনিভার্স মুকুট ছিনিয়ে নেন তিনি।

বিবাহিত নারীদের নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই সুন্দরী প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। আট হাজার নারী এই প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে ৫০০ প্রতিযোগীকে বাছাই করে, প্রাথমিক অডিশনের মধ্য দিয়ে প্রায় ২০০ প্রতিযোগী টিকে ছিল।

কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে ১০০ জনকে নিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। সেরা এগারো প্রতিযোগী নিয়ে হয় চূড়ান্ত পর্ব। চ্যাম্পিয়ন হওয়া উর্বী ইসলাম ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনে অনুষ্ঠিত মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

‘বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০১৯’ শিরোনামের এ প্রতিযোগিতার আয়োজক অপূর্ব আব্দুল লতিফ বলেন, ‘বাংলাদেশে মেধাবী ও বিবাহিত নারীদের নিয়ে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু হয়নি। সেই তাগিদেই এমন একটা আয়োজন করা। নারী শক্তি ও নারী জাগরণকে একধাপ এগিয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই এ আয়োজন।’

এই প্রতিযোগিতায় শুরু থেকে অডিশন, গ্রুমিং এবং মোটিভেশনাল সেশনে বিচারক হিসেবে ছিলেন, অভিনেতা ও পরিচালক শহীদুল আলম সাচ্চু, আবদুন নুর তুষার, আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মোস্তফা, গ্রুমিং ইন্সট্রাক্টর কৃষান ভূইয়া, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও মডেল জাহারা মিতু, উপস্থাপিকা ইসরাত পায়েল, মডেল অভিনেতা অন্তু করিম, ফারহানা আফরিন ঐশী প্রমুখ।

আরএম-০১/১২/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

ড্যান্স ক্লাব মালিকদের ফাঁদে বাংলাদেশি তরুণীরা

বাংলাদেশ থেকে দুবাইতে নারী পাচারের ভয়ঙ্কর ঘটনা ফাঁস হয়েছে। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে বাধ্য করা হয় দেহ ব্যবসায়। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে দুবাইয়ের দু’জন ড্যান্স ক্লাবের মালিককে গ্রেফতারের পর জানা যায় পাচারের চ্যঞ্চল্যকর খবর।

জানা গেছে, নারী পাচারকারী সিন্ডিকেটের এজেন্টরা তরুণীদের ছবি বিদেশের ড্যান্স বারের মালিকদের পাঠান। ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ড্যান্স বারের মালিক অথবা তার প্রতিনিধিরা সরাসরি সুন্দরী তরুণীদের নির্বাচনের জন্য ঢাকা আসেন।

পরে নাচের পারফরম্যান্সের নামে ট্যুরিস্ট ভিসায় নিয়ে যায় দুবাই। এরপর তরুণীদের নাচানো হয় ক্লাবে। নাচ শেষে প্রতি রাতে তাদের বাধ্য করা হয় যৌন পেশায়! বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ঢাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করতেন পারুল আকতার (ছদ্মনাম)। দরিদ্র পরিবারের সন্তান পারুল আকতার অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়ার পর জীবিকার তাগিদে নাচকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। কয়েক বছর আগে এক অনুষ্ঠানে নাচতে গেলে তার সঙ্গে দেখা হয় এক ব্যক্তির, যিনি দুবাইয়ের একটি ‘ডান্স বারের এজেন্ট’।

“ঐ লোক আমাকে বলছে, তুমি তো ভালোই নাচ। দুবাই যাইবা? ঐখানে স্টেজে নাচলে মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন পাইবা। টাকার কথা শুনে আমি রাজী হইলাম,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন পারুল আক্তার । দুবাই যেতে পারুল আক্তারের কোন টাকা খরচ হয়নি। কিন্তু এ বিষয়টিও তার মনে কোন সন্দেহও জাগায়নি।

দুবাই গিয়ে পুরোপুরি ভিন্ন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হন পারুল আক্তার। তার বর্ণনায়, “এখান থেকে ডান্স এর কথা বইলা নিয়া যাইতো। পরে ঐখানে ছেলেদের রুমে পাঠানো হয়। ওখানে পরিস্থিতির শিকার।”

পারুল আক্তারের মতো বহু মেয়েকে এভাবেই দুবাইয়ের ডান্স বারে চাকরি দেয়ার নামে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়েছে।

নয় মাস আগে দুবাই ফেরত কিছু নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে নারায়নগঞ্জের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। নারায়ণগঞ্জে র‍্যাব ১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “অনেকদিন ধরেই আমরা খবর পাচ্ছিলাম যে এখান থেকে কিছু মেয়ে দুবাই আসা যাওয়া করছে। আমাদের কাছে কিছু অভিযোগও এসেছে।”

নয় মাস তদন্তের পর র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল গত রোববার ছয়জনকে আটক করেছে,যারা দুবাইয়ের ‘ডান্স বারে’ নারী পাচারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ছয়জনের মধ্যে একজন পাসপোর্টের দালাল, দুইজন ডান্স বারের এজেন্ট এবং দুই জন ডান্স বারের মালিক।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে র‍্যাব জানতে পেরেছে, পাঁচটি ধাপে দুবাইয়ের ডান্স বারে নারীদের পাচার করা হয়।

প্রথম ধাপে রয়েছে এজেন্ট। তাদের কাজ হচ্ছে মেয়েদের টার্গেট করা এবং তাদেরকে প্রলোভন দেখানো। এর সাথে দুবাই ফেরত কিছু নারীও জড়িত রয়েছে। কারণ তাদের মুখে ‘আর্থিক সমৃদ্ধির গল্প’ অন্য নারীদের প্রলুব্ধ করে।

দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে পাসপোর্ট করিয়ে দেবার দালালচক্র। মেয়েদের রাজী করানো সম্ভব হলে দালালরা তাদের পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করে। মেয়েদের ছবি পাঠানো হয় দুবাইতে ডান্স বারের মালিকদের কাছে। র‍্যাব বলছে ছবি দেখে পছন্দ হলে মালিকরা ঢাকায় আসে তাদের দেখার জন্য।

তৃতীয় ধাপে রয়েছে ট্রাভেল এজেন্ট। তাদের কাছে টুরিস্ট ভিসা পাঠিয়ে দেয় দুবাইয়ের ডান্স বারের মালিকরা। পরবর্তী ধাপে আছে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে কর্মরত কিছু অসাধু ব্যক্তি। একজন নারী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে দুবাই যাবার জন্য ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের ভাষ্য মতে, একজনকে পাঠাতে দুই লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়, যার পুরোটাই বহন করে ডান্স বারের মালিকরা। দুবাইতে পৌঁছানোর পর একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় এসব নারীদের। তারপর সেখান থেকে কোন বাড়িতে নিয়ে কার্যত বন্দী করা হয় এবং দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয়।

তিনি বলেন, তদন্তে দেখা গেছে একটি ট্রাভেল এজেন্সি শুধু চলতি বছরেই ৭২০ জন তরুণীকে দুবাই এবং মালয়েশিয়া পাঠিয়েছে। এ বিষয়টি র‍্যাব-এর কাছে বেশ অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডান্স বারের মালিক এবং এজেন্টদের কাছ থেকে র‍্যাব জানতে পেরেছে যে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর দুই থেকে আড়াই হাজার নারীকে ডান্স বারের নামে দুবাই পাচার করা হয়।

“একটা মেয়েকে দুবাই নিয়ে যেতে ডান্স বারের মালিকের খরচ হয় দুই লাখ টাকা। অথচ এদের একজনকে দিয়ে ডান্স বারের মালিকরা প্রতিমাসে ৬ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করে,” বলছিলেন র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন। আটককৃত ডান্স বারের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব জানতে পেরেছে, দুবাইতে বাংলাদেশীদের মালিকানাধীন প্রায় ৪০টি ডান্স বার রয়েছে।

র‍্যাব বলছে বাংলাদেশ থেকে নারীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইতে পাচার করা হয় এবং দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয়।

এসএইচ-০৮/১২/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)

কমিটি গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগে চাপা ক্ষোভ!

কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সম্মেলন ও কমিটি গঠন শেষ পর্যায়ে৷ তবে নতুন কমিটি নিয়ে আছে ক্ষোভ৷ সম্মেলনের সময় সংঘর্ষও হয়েছে বেশ কিছু এলাকায়৷

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২১ ও ২২ ডিসেম্বর৷ সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০১৬ সালে৷ মূলত সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা এখন আওয়ামী লীগে মূল আলোচনায় পরিণত হয়েছে৷

কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে কোনো পরিবর্তন যে আসবে না তা নিশ্চিত৷ তবে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে৷ বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথায় তার ইঙ্গিত পাওয় যায়৷ তিনি মঙ্গলবারও বলেছেন, ‘‘নেত্রী যদি সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন কাউকে আনেন তাহলে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না৷”

তবে তিনি নিজেকে সাধারণ সম্পাদক পদে কর্মক্ষম মনে করেন৷ তার কথা, একই সঙ্গে মন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের মতো শারীরিক সক্ষমতা তার রয়েছে৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসবেন সে ব্যাপারে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত৷ তবে আমি কখনো বলিনি যে আমি দায়িত্ব নিতে অনাগ্রহী৷”

এদিকে আওয়ামী লীগে একজন ‘ফুলটাইম’ সাধারণ সম্পাদকের দাবি প্রবল হচ্ছে৷ বিশেষ করে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে এই দাবি আরো প্রবল হচ্ছে৷ দলটির একটি অংশ মনে করে বড় দল হিসেবে সাধারণ সম্পাদকের যে পরিমান সাংগঠনিক কাজ থাকে তাতে তাকে অন্যকোনো দায়িত্ব না দেয়াই ভালো৷ একই সঙ্গে মন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক একজন হলে তিনি দলের প্রতি ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারেন না৷ নেতা-কর্মীরাও তাকে সহজে পান না৷ অনেক সাংগঠনিক কাজ ঝুলে থাকে৷

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এবার আওয়ামী লীগ একজন ফুলটাইম সাধারণ সম্পাদক পেতে পারে৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাবও সেরকমই মনে হয়৷ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় দলীয় বৈঠবেও পূর্ণকালীন সাধারণ সম্পাদকের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন৷ তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা শেখ হাসিনার উপরই নির্ভর করছে বলে জানান তারা৷

আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা ও সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির মনে করেন, ‘‘কেউ প্রকাশ্যে বলুক আর না বলুক আওয়ামী লীগে একজন ফুলটাইম সাধারণ সম্পাদকের দাবি প্রবল হচ্ছে৷ আমি মনে করি একই সঙ্গে মন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গেলে দলকে তিনি ঠিকমত সময় দিতে পারেন না৷ নেতা-কর্মীরা সহজে তার কাছে পৌঁছতে পারেন না৷ এটা একটা সংকট৷ তাই এবার অনেকেই ফুলটাইম সাধারণ সম্পাদকের কথা বলছেন৷”

তবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘‘বিচ্ছিন্নভাবে হয়তো কেউ কেউ দলে ফুলটাইম সাধারণ সম্পাদকের কথা বলছেন৷ কিন্তু এটা দলের কোনো সিদ্ধান্ত বা ভিতরের আলোচনা কীনা আমার জানা নেই৷ দলের ভিতরের আলোচনায় আমি এ ধরনের কথা শুনিনি৷”

আওয়ামী লীগের আরেকজন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগে কোনো পার্ট টাইম নেতা নাই, সবাই ফুল টাইম৷ সরকার শক্তিশালী হলে দলও শক্তিশালী হবে৷ ফলে শক্তিশালী সরকার ও দল গঠনে আমরা কাজ করছি৷”

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জেলা ৭৫টি৷ এর মধ্যে ২৮টি জেলার সম্মেলন এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঠিক করা হয়েছে৷ অধিকাংশ জেলায়ই পূর্নাঙ্গ কমিটি হয়নি৷ ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি জেলাগুলোর সম্মেলন করা হবে৷ উপজেলা পর্যায়েও কমিটি গঠন প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ তবে যেখানে কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ সেখানেই নতুন কমিটি হচ্ছে৷

এই কমিটি গঠন নিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রায় প্রতিদিনই উত্তেজনা ও সংঘাত-সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ গত কয়েকদিনে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, রংপুর ও মানিকগঞ্জে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ কমিটিতে বিতর্কিত নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করারও অভিযোগ উঠেছে৷ মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ২৯ জন নেতা-কর্মী কেন্দ্রে পাঠানো এক আবেদনে বলেছেন, ‘‘উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ কেনাবেচা হচ্ছে৷ দলের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই এমন অযোগ্য লোকদের দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিম উদ্দিন বাবু বলেন, ‘‘স্থানীয় এমপি তার নিজের পছন্দের লোকজন দিয়ে কমিটি করেছেন৷ অর্থের বিনিময়েও কমিটিতে ঠাঁই দেয়া হয়েছে৷ এমনকি যারা আগে অন্যদল করেছেন তাদেরও কমিটিতে নেয়া হয়েছে৷ কিন্তু ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দেয়া হয়েছে৷”

তবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মনে করেন সম্মেলনের সময় উত্তেজনা, হাতাহাতি হতেই পারে৷ চেয়ারে বসা নিয়ে, বক্তৃতা দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে এটা হয়, যা বড় কোনো ঘটনা নয়৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘এবার কোনা পর্যায়ে কোনো কমিটিতেই বিতর্কিতরা ঠাঁই পাচ্ছে না৷ এই সুযোগ নেই কারণ আমরা আগেই তাদের তালিকা করেছি৷”

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘‘আসলে নিজের লোক বা নিজে কমিটিতে না থাকলেই যারা থাকে তাদের বিতর্কিত বলা হয়৷ এটা একটা প্রবণতা৷”

এসএইচ-০৬/১২/১৯ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

আইপিএলের নিলামে উঠছেন মুশফিক

২০২০ আইপিএলের নিলামে উঠতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

আইপিএলে খেলতে ভারতীয় ও বিদেশি মিলিয়ে নাম নিবন্ধন করেছিলেন ৯৭১ জন ক্রিকেটার।

আগেই জানানো হয়েছিল, এই তালিকা থেকে নিজেদের পছন্দের ক্রিকেটারদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে দেবে আইপিএল কর্তৃপক্ষকে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত হবে নিলামের তালিকা।

নিলামে উঠতে যাওয়া ক্রিকেটারদের সেই চূড়ান্ত তালিকা বুধবার আট ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
নাম নিবন্ধন করা ৯৭১ জন থেকে চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৩৩২ জন ক্রিকেটার। এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অনুরোধে চূড়ান্ত তালিকায় ২৪ জন নতুন ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই দুই ডজন ক্রিকেটারের একজন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কেশরিক উইলিয়ামস, অস্ট্রেলিয়ার পেসার ড্যান ক্রিস্টিয়ান, লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা, সারের ব্যাটসম্যান উইল জ্যাকসকেও নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আইপিএলে খেলতে বাংলাদেশ থেকে নাম নিবন্ধন করেছিলেন ছয়জন- মুস্তাফিজুর রহমান, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার।

চূড়ান্ত তালিকায় তাদের কেউ আছেন কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না। কারণ, আইপিএল কর্তৃপক্ষ নিলামের জন্য চূড়ান্ত তালিকার সব ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেনি।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড, ডেল স্টেইনসহ বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে আছেন সাতজন। যাদের সবার ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রূপি। ভারতীয়দের মধ্যে দেড় কোটি রূপির সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে আছেন শুধু রবিন উথাপ্পা।

আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে আইপিএলের নিলাম। নিলাম থেকে আট ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবে সর্বোচ্চ ৭৩ জন ক্রিকেটারকে। তাদের মধ্যে বিদেশি সর্বোচ্চ ২৯ জন।

নিলামে আগে উঠবে ব্যাটসম্যানদের নাম। এরপর পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে অলরাউন্ডার, কিপার-ব্যাটসম্যান, ফাস্ট বোলার ও স্পিনারদের।

এসএইচ-০৫/১২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বয়স্ক বাবা-মাকে না দেখলে জেল

বয়স্ক বাবা-মায়ের দেখাশোনা না করলে কিংবা তাদের হেনস্থা করলেই ছয় মাসের জেল। সঙ্গে গুনতে হতে পারে জরিমানার টাকাও। ভারতের লোকসভায় আজ বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিল পেশ হয়েছে। বয়স্ক নাগরিকদের হেনস্থা ঠেকাতে কড়া মনোভাব নেওয়া হয়েছে বিলে।

কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থেবরচন্দ গহলৌত ‘দ্য মেনটেন্যান্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অব পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯’ লোকসভায় পেশ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি তার ভরণপোষণের আওতায় থাকা বাবা-মাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্থা করেন অথবা তাদের ত্যাগ করেন, সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সর্বোচ্চ ছয় মাস জেল কিংবা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা দু’টো শাস্তিই হতে পারে। ‘হেনস্থা’ শারীরিক, মৌখিক, আবেগ ও অর্থনৈতিকভাবে হতে পারে। মা-বাবার দেখাশোনা না করলে বা তাদের ত্যাগ করলে তা হেনস্থা হিসেবে গ্রাহ্য হবে। শারীরিক নিগ্রহ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অপরাধের আওতায় থাকছে।

‘সন্তান’ হিসেবে বোঝানো হয়েছে, ছেলে-মেয়ে, পালিত বা সৎ সন্তান, ছেলের স্ত্রী, মেয়ের স্বামী, নাতি-নাতনিকেও। ‘বাবা-মা’ হিসেবে বোঝানো হয়েছে নিজের বাবা-মা, সৎ বাবা-মা, শ্বশুর, শাশুড়িকে। বয়স্ক নাগরিকদের অভিযোগের ফয়সালা করতে ট্রাইবুনাল গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের অভিযোগের নিষ্পত্তি ৬০ দিনের মধ্যে করতে হবে।

তবে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে ট্রাইবুনাল এই সময়সীমা ৩০ দিন পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এর থেকে কম বয়সী ‘বাবা-মায়ের’ অভিযোগ ও দাবিদাওয়ার সমাধান করতে ৯০ দিন সময় দেওয়া হবে ট্রাইবুনালকে। বিলে বলা হয়েছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানদের এমন আচরণ করতে হবে যাতে তারা সম্মানের জীবনযাপন করতে পারেন। এ ছাড়া, সন্তানহীন বয়স্ক নাগরিকদের দেখার দায়িত্ব আত্মীয়স্বজনের। মৃত্যুর পরে তাদের সম্পত্তির অধিকার পেতে পারবেন আত্মীয়েরা।

বয়স্কদের অভিযোগগুলি খাতিয়ে দেখতে প্রতিটি থানায় এক জন পুলিশ অফিসার থাকবেন, পদমর্যাদায় যিনি এএসআইয়ের থেকে কম নন। তিনি বাবা-মায়েদের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন। একইভাবে দেশের প্রতিটি জেলায় পুলিশের বিশেষ ইউনিট গঠন করা হবে, তারা বয়স্ক নাগরিকদের স্বার্থে কাজ করবেন। কমপক্ষে ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও অফিসার এর দায়িত্বে থাকবেন।

বয়স্ক নাগরিকদের জন্য সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষভাবে চিহ্নিত শয্যা রাখার ব্যবস্থা করার কথা রয়েছে। বয়স্কদের যে কোনও রকমের বিপদ থেকে বাঁচাতে একটি হেল্পলাইন নম্বর রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের বিল আনার কারণ দেখিয়ে বলা হয়েছে, যৌথ পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। বেড়ে চলেছে বাবা-মা ও বয়স্কদের প্রতি অবহেলা ও অপরাধের সংখ্যা। তবে শুধু খাওয়া, পরা, বাসস্থান কিংবা স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়াই নয়, বিলে বয়স্কদের দেখাশোনার সংজ্ঞায় তাদের নিরাপত্তার দিকটিকেও রাখা হয়েছে।

এসএইচ-০৪/১২/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

টস জিতে বোলিংয়ে রাজশাহী

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচেও মিললো প্রথম দিনের প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মতোই ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস।

বৃহস্পতিবার আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামবে তারকাবহুল ঢাকা প্লাটুনস।

তাদের পক্ষে টস করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। রাজশাহীর পক্ষে টস জিতেছেন আন্দ্রে রাসেল।

ঢাকা প্লাটুন একাদশ

তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, জাকের আলি অনিক, হাসান মাহমুদ, লরি ইভানস, শহীদ আফ্রিদি, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), থিসারা পেরেরা এবং ওয়াহাব রিয়াজ।

রাজশাহী রয়্যালস একাদশ
লিটন দাস, হযরতউল্লাহ জাজাই, অলক কাপালি, ফরহাদ রেজা, আফিফ হোসেন, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, আন্দ্রে রাসেল, রবি বোপারা, আবু জায়েদ রাহী এবং তাইজুল ইসলাম।

এসএইচ-০৩/১২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

দেশের অধিকাংশ অঞ্চলই কার্যত স্বাধীন

চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বীর বাঙালী। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলই কার্যত স্বাধীন। বিশ্বের মানচিত্রে ৫৫ হাজার বর্গমাইলের দেশটি জন্মের ঠিক আগ মুহূর্তে পাক হানাদারদের পক্ষে নগ্ন হয়ে মাঠে নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। প্রভাবশালী এই দুটি দেশ পাকিদের পরাজয় ঠেকাতে মরিয়া। যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে এ দুটি দেশের শেষ চেষ্টা আবারও ব্যর্থ হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের দীর্ঘ বক্তব্যের পর অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। স্বাধীনতার পথে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়।

১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১। একাত্তরের রক্তঝরা এ দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুল হাসান টেলিফোন করে জেনারেল নিয়াজীকে আশ্বস্ত করেন, ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিক থেকে বন্ধুরা এসে পড়বেন। গুল হাসানের কাছ থেকে এ আশ্বাস শুনে ঢাকায় পাকিস্তানি সামরিক কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রতিরক্ষার আয়োজন নিরঙ্কুশ করতে ২৪ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালায়। এ সময় পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এ দেশীয় দোসর আলবদর বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সহানুভূতিশীল পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের আটক ও হত্যা শুরু করে।

চীন এ সময় পাকিস্তানি ঘাতকদের সমর্থনে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আজকের দিনে পিকিং রেডিও ঘোষণা করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের মাধ্যমে মূলত চীনকেই দমন করতে চায়। বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারকেই ভারতের মাধ্যমে ‘তথাকথিত’ বাংলাদেশ সমর্থনের অন্যতম কারণ। এছাড়াও আজকের এ দিনে চীনা প্রতিনিধি হুয়াং হুদা নিউইয়র্কে আলেকজান্ডার হেগকে জানান, চীন কেবল আরেকবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আগ্রহী। উপমহাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। কিন্তু চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতসহ মিত্র দেশগুলো।

চারিদিকে শুধুই মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়, আর পাক হানাদারদের পরাজয়ের খবর। একাত্তরের এদিনে গাইবান্ধা, নরসিংদী, সরিষাবাড়ী, ভেড়ামারা, শ্রীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা শত্রুমুক্ত হয়। ঢাকাবাসী এ সময় রয়েছেন অভীষ্ট আনন্দ আর অজানা আশঙ্কার এক অদ্ভুত দোলাচলে। অতি কট্টর পাকিস্তান সমর্থকরাও এখন আর দেশটির অখ-তা সম্পর্কে বড় কথা বলার সাহস দেখাচ্ছে না। স্বাধীনতার ওই মাহেন্দ্রক্ষণটি কখন আসবে সেই মুহূর্তটি দেখতে অধীর অপেক্ষায় ঢাকাবাসী।

এদিকে ঢাকা বিজয় করতে চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী ঘেরাও করে ফেলে। ডিসেম্বরের এ দিন বিকেলেই ভারতের চার গার্ডস ইউনিট ঢাকার ডেমরা ঘাটের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যায়। সূর্যাস্তের আগেই জামালপুর ও ময়মনসিংহের দিক থেকে জেনারেল নাগরার বাহিনী টাঙ্গাইলে প্যারাস্যুট ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়। এর ফলে ঢাকা অভিযানের সর্বাপেক্ষা সম্ভাবনাপূর্ণ পথের ব্যবহার শুরু করা সম্ভব হয়ে ওঠে।

দেশের বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলা ও যৌথবাহিনীর ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে ভীত সন্ত্রস্ত পাকিস্তানি বাহিনী বিভিন্ন এলাকার ক্যাম্প ছেড়ে পালাতে থাকে। নিজ ভূমির সার্বভৌমত্ব ও পৃথক একটি পতাকার জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আপামর জনসাধারণ মরিয়া হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তহীন বৈষম্য আর নিপীড়নের বন্দীদশা থেকে মুক্ত হওয়ার দুর্বার আন্দোলনের শেষ অধ্যায়ে পৌঁছে গেছে বীর বাঙালী।

এদিন বঙ্গোপসাগর থেকে ২৪ ঘণ্টার দূরত্বে মার্কিন সপ্তম নৌবাহিনী নিশ্চল দাঁড়িয়েছিল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ততদিনে পাকিস্তানি বাহিনী পালিয়েছে। অধিকাংশ অঞ্চলই তখন কার্যত স্বাধীন হয়ে পড়ে। আর ঢাকার বিজয় নিশ্চিত করা তখন শুধু সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

এসএইচ-০১/১২/১৯ (অনলাই্ন ডেস্ক)

বিশাল জয় কুমিল্লার

নামজাদা ব্যাটসম্যান নেই দলে, এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বড়সড় ধাক্কা খেলো রংপুর রেঞ্জার্স। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ছুড়ে দেয়া ১৭৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ার করতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬৮ রানেই গুটিয়ে গেছে মোহাম্মদ নবির দল। কুমিল্লা জিতেছে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে।

মোহাম্মদ শাহজাদ (১৩), মোহাম্মদ নাইম (১৭), জহুরুল ইসলাম (৫), ফজলে মাহমুদ (১), লুইস গ্রেগরি (০), তারপর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি (১১)- বড় রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান যখন এমন ব্যাটিং করেন, তখন জয় নিয়ে ভাবার আসলে উপায় থাকে না।

রংপুর রান তাড়ায় নেমে একবারের জন্যও জয়ের কথা ভাবতে পারেনি। কোনোমতে গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়েছে। চোটে জাকির হাসান ব্যাটিংয়ে নামতে না পারায় শেষপর্যন্ত তারা থেমেছে ১৪ ওভারে, ৬৮ রানে।

কুমিল্লার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল আল আমিন হোসেন, ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ২টি করে উইকেট নেন সৌম্য সরকার আর সানজামুল ইসলাম।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সও। রংপুর রেঞ্জার্সের বোলারদের তোপে রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল দলটি। কিন্তু অধিনায়ক দাসুন শানাকা শেষটায় এসে ভয়ংকর চেহারায় হাজির হলেন।

২৩ বলে ফিফটি, তারপর ইনিংসের একদম শেষ ওভার পর্যন্ত দলকে একাই টেনে নেন লঙ্কান এই অলরাউন্ডার। মিরপুরে তার বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করেই ৭ উইকেটে ১৭৩ রানের বড় পুঁজি পায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা। ইনিংসের প্রথম বলেই আঘাত হানেন রংপুর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। ইয়াসির আলি রাব্বিকে গোল্ডেন ডাকে বোল্ড করে ফেরান আফগান এই অফস্পিনার। সেই ধাক্কা কিছুটা সামলে ওঠেন সৌম্য সরকার আর মাহিন্দা রাজাপাকসে (১৫)।

১৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৬ রানের এক ঝড় তুলে মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন সৌম্য। ডেভিড মালানও টি-টোয়েন্টির মাপে খেলতে পারেননি। ২৩ বলে করেন ২৫ রান। সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১৯।

৮৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল কুমিল্লা। মনে হচ্ছিল, ১৩০-১৪০ করাই দায় হয়ে পড়বে। সেখান থেকে দান ঘুরিয়ে দেন শানাকা। কুমিল্লা অধিনায়ক ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ছিলেন উইকেটে। ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মারে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

রংপুর রেঞ্জার্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোস্তফিজ, সঞ্জিত সাহা আর লুইস গ্রেগরি। মোস্তাফিজ প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় ২টি উইকেট নেয়া মোস্তাফিজ শেষ ওভারেই দেন ২৬ রান।

এসএইচ-২৮/১১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ইউরোপে সবচেয়ে বেশি সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে আমেরিকা

গত ২৫ বছরে মধ্যে ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে বেশি সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে আমেরিকা। এসব সেনাদের বিরাট একটি অংশ আগামী গ্রীষ্মে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে। রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার ভেতরেই এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ইউরোপে মোতায়েন মার্কিন পদাতিক বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ক্রিস্টোফার ক্যাভোলি জানান, আগামী বছরের মধ্যে আমেরিকা থেকে ইউরোপে ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। ইউরোপে বর্তমানে যে নয় হাজার সেনা মোতায়েন করা রয়েছে ওই ২০ হাজার সেনা তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে।

জেনারেল ক্যাভোলি সংবোদাকিদের জানান, ডিফেন্ডার ইউরোপ-টুয়েন্টি নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে এবং ওই মহড়ায় সেনা অংশ নেবে। আগামী মে থেকে জুন মাসে ইউরোপের ১০টি দেশে মহড়াটি অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।

জেনারেল ক্যাভোলি জানান, আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমেরিকার সেনারা ইউরোপে পৌঁছাতে শুরু করবে। তাদের সঙ্গে থাকবে ১৩ হাজার সামরিক সরঞ্জাম যার মধ্যে ট্যাঙ্ক, গোলন্দাজ এবং পরিবহন যান থাকবে। জেনারেল ক্যাভোলি যদিও বলেন নি যে রাশিয়াকে লক্ষ্য করেই এ মহড়া পরিচালিত হতে যাচ্ছে তবে তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করার ফলে সবকিছু বদলে গেছে।

জেনারেল ক্যাভোলি বলেন, আসন্ন মহড়ার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বকে এটি দেখানো যে, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে রক্ষার জন্য আমেরিকা কতটা দ্রুত সেনা মোতায়েন এবং তাদেরকে সমর্থন দিতে সক্ষম।

এসএইচ-২৭/১১/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)