সকাল ৭:৫৯
শুক্রবার
১০ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২৭ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২ রা জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে তিন পানীয়

স্থায়ীভাবে

বিভিন্ন প্রসাধনী মাখলেই কি ত্বক সুন্দর হয়? এটি অবশ্যই ভুল ধারণা। কারণ বাহ্যিক সৌন্দর্যের স্থায়িত্ব সাময়িক সময়ের জন্য। তাই ভেতর থেকে ত্বককে স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর করতে প্রয়োজন বিশেষ দাওয়াই।

তাই আর দেরি না করে নজর দিতে হবে ডায়েটের দিকে। খাবারের তালিকায় এজন্য রাখা উচিত ত্বকের জন্য উপকারী কিছু বিউটি ফুডস। যেসব উপাদানের প্রতিটিতেই থাকবে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন আর সেলেনিয়াম, কপার, জিঙ্কের মতো খনিজে সম্ভার। এসব উপাদান থাকা ফলগুলো নিয়মিত খেলে ত্বক, চুল, নখ, সবই সতেজ থাকবে। এবার তবে জেনে নিন স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে তিনটি কার্যকরী ফলের স্মুদি-

মিক্সড বেরি স্মুদি

এক কাপ স্ট্রবেরি, চেরি, ব্লুবেরি আর ব্ল্যাকবেরি ব্লেন্ডারে দিয়ে পরিমাণমতো আমন্ড মিল্ক আর মধু মিশিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার বাটিতে মিশ্রণটা নিয়ে উপরে আরো কিছু বেরি, ডালিম দানা, গ্র্যানোলা আর নারকেল কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি আর ব্ল্যাকবেরিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে আর রক্ষা করে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও।

গ্রিন স্মুদি

একমুঠো পালং শাক আর একমুঠো কেল শাক ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্লেন্ডারে দিন। এর মধ্যে দিন একটি কলা, এক কাপ নারকেলের দুধ আর কয়েকটা পুদিনাপাতা। মিশ্রণটি বাটিতে নিয়ে কলা, ব্লুবেরি ছড়িয়ে দিন। বাড়তি পুষ্টির জন্য আনারস আর কিউয়ির টুকরোও দিতে পারেন। পালং বা কেলের মতো শাকে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি এবং এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে রয়েছে যা ত্বকে আলগা গ্লো নিয়ে আসে।

হলুদ স্মুদি

এক কাপ কমলা লেবুর কোয়া, একটা কলা, এক কাপ আমন্ড মিল্ক আর এক টেবিল চামচ আমন্ড বাটার ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। বাটিতে মিশ্রণটা নিয়ে টাটকা কমলালেবুর কোয়া, কিউয়ি, আর মুয়েসলি ছড়িয়ে দিন। উজ্জ্বল, টানটান ত্বকের জন্য কোলাজেনের মাত্রা ঠিক থাকা দরকার, আর তা জোগান দিতে পারে লেবু জাতীয় ফল।

আরএম-১৮/১৪/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা একাদশে জায়গা হয়নি মেসি ও রোনালদোর

গত বুধবার শেষ হয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বের খেলা। এবারের প্রতিযোগিতার অনেক বড় চমক দিয়েই শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বড় হতাশার ছিলো গতবারের সেমিফাইনালিস্ট আয়াক্স ও বর্তমানে ইতালিয়ান লিগে শীর্ষে থাকা ইন্টার মিলানের বাদ পড়া। একই সঙ্গে চমক দেখিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা পেয়েছে আটলান্টা।

গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল তাদের বিবেচনায় সেরা একটি একাদশ প্রকাশ করেছে। মূলত এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে ডেইলি মেইল সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে। যেখানে জায়গা হয়নি সময়ের দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।

এগারো জনের মধ্যে সর্বাধিক তিনজনই পিএসজির তারকা। দুইজন ম্যানসিটির। আর এক জন করে আছেন রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, বায়ার্ন মিউনিখ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, আয়াক্স ও সালসবুর্গের। জায়গা পাননি বার্সেলোনার কেউ।

ডেইলি মেইলের গ্রুপপর্বের সেরা একাদশ

গোলরক্ষক : কেইলর নাভাস (পিএসজি)

ডিফেন্ডার : আশরাফ হাকিমি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), লিওনাদো বোনুচ্চি (জুভেন্তাস), থিয়াগো সিলভা (পিএসজি), হুয়ান বার্নারত (পিএসজি)

মিডফিল্ডার : হাকিম জিয়েখ (আয়াক্স), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ইলকে গুনডোগান (ম্যানচেস্টার সিটি), রাহিম স্টার্লিং (ম্যানচেস্টার সিটি)

স্ট্রাইকার : আর্লিং হালান্ড (সালসবুর্গ), রবার্ট লেভানডোস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ)

এসএইচ-১৭/১৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেয়েদের যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

পাত্র নির্বাচনের

বিয়ে হচ্ছে সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিয়ের আগে সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করা। পরিবার কিংবা নিজে যেই  নির্বাচন করুক না কেন সঠিক জীবনসঙ্গী নির্বাচন করলে বিবাহিত জীবন সুখী হয়।

জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার আগে কিছু প্রশ্ন নিজেকে করতে হবে। এসব প্রশ্নের উত্তর যে শতভাগ পাবেন তা কিন্তু নয়। তবে এসব প্রশ্ন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে সাহায্য করবে। সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাকে যেসব বিষয় খেয়াল করতে হবে

আপনাকে সম্মান করে?

আপনি যাকে জীবনসঙ্গী করতে চাচ্ছেন তিনি কি আপনাকে সম্মান করে? আপনার পেশা কিংবা আপনার ভালোলাগা-মন্দলাগাকে বোঝার চেষ্টা করে? উত্তর যদি হ্যা হয় তবে ভালো। আর যদি না হয় তবে নির্বাচন করার আগে ভেবে দেখা দরকার। আপনার প্রতি যদি তার বিন্দুমাত্র সম্মান না থাকে তবে সম্পর্ক টেকানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সম্মান করে?

বিয়ে মানে শুধু দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকা নয়। এর সঙ্গে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবও জড়িয়ে থাকে। তিনি কি আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সম্মান করে? যদি হ্যা হয় তাহলে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন কিন্ত যদি না হয় তবে বিয়ে করার আগে  এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন।

আপনার কাজকে সমর্থন করে?

আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে জীবনে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এসব সিদ্ধান্তে তিনি কি আপনাকে সাহায্য করেন নাকি সকলে কাজে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। সবকাজে যদি নেতিবাচক মন্তব্য করেন কিংবা অনীহা প্রকাশ করেন তবে আপনি সম্পর্কে মানসিক শান্তি পাবেন না।

তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আপনি থাকেন?

সংসারের সব সিদ্ধান্ত আলোচনা করে স্বামী-স্ত্রীকে নিতে হয়। আপনি যাকে জীবনসঙ্গী করতে চাচ্ছেন তিনি কি তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আপনাকে নিয়ে নেন। আপনাকে নিয়ে যদি তিনি সিদ্ধান্ত নেনে তাহলে বুঝতে হবে তিনি আপনাকে গুরুত্ব দেয়।

তথ্য গোপন করে?

আপনার সঙ্গী কি আপনার থেকে কথা গোপন করে? ঝামেলা এড়ানোর জন্য যদি কিছু না বলে, তাহলে আপত্তি নেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কিছু আপনাকে না বললে মুশকিল। এর মানে সে আপনাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে না। এই পরিস্থিতিতে বিয়ে করার আগে আপনার ভাবা উচিত?

ঝগড়া সামলানোর চেষ্টা কতটা?

ঝগড়ার পর সে কি তার নিজের ইগো ধরে বসে থাকে? নাকি ঝগড়া মিটিয়ে ফেলতে চেষ্টা করেন?  বিষয়টি যদিও খুব সাধারণ একটা ব্যাপার তারপরও এখান থেকে তার জীবনে আপনার গুরুত্বের বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত?

আপনি যাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে ভাবছেন তিনি কি আপনার সব দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত? দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কি পিছিয়ে আসেন? এসব বিষয় ভেবে তবেই আপনাকে সামনে এগোতে হবে।

অতিরিক্ত অধিকারবোধ

আপনার উপর অতিরিক্ত কর্তৃত্ব ফলায়। প্রথম প্রথম এসব অধিকার দেখানো ভালো লাগলেও একসময় এসব বিষয়ে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন।

আরএম-১৭/১৪/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

চট্টগ্রামের সামনে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জ রংপুরের

ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেছিলেন মাত্র ২৬ বলে, ইনিংসে তখন গড়িয়েছে ৮.২ ওভার। এমন দারুণ শুরুর পর যে কারোই প্রত্যাশা থাকবে ফিফটি করা ব্যাটসম্যান পুরো ২০ ওভার খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেবেন, দলকে এনে দেবেন বড় সংগ্রহ।

কিন্তু তা পারেননি রংপুর রেঞ্জার্সের বাঁহাতি ওপেনার নাইম শেখ। ঝড়ো ফিফটি করার পর খেলতে পারেননি পুরো ২০ ওভার, আউট হয়েছেন ইনিংসের ১৮তম ওভারে। কিন্তু ফিফটি পেরিয়ে প্রত্যাশামাফিক ব্যাট করতে পারেননি নাইম। যার ফলে বড় সংগ্রহ পাওয়া হয়নি রংপুরের।

আউট হওয়ার আগে নাইম খেলেছেন ৬ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৪ বলে ৭৮ রানের ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই মূলত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে রংপুর। জয়ের জন্য চট্টগ্রামের করতে হবে ১৫৮ রান।

অথচ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাইম ফিফটি পেরিয়েছিলেন মাত্র ২৬ বলে। মেহেদি হাসান রানা, রুবেল হোসেন ও নাসির হোসেনকে হাঁকানো ৩টি ছক্কার সঙ্গে ৬টি চারের মারে পূরণ করেছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।

ফিফটি পেরুনোর পর আরও ২৮টি বল খেলেছেন নাইম কিন্তু রান যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ২৬। নাইম যেমন ফিফটি পর হাত খুলে খেলতে পারেননি, তেমনি দলের বাকিরা শুরু থেকেই রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ১২ বলে ২১, টম অ্যাবল ৯ বলে ১০, লুইস গ্রেগরি ১৩ বলে ১১, মোহাম্মদ শাহজাদ ৯ বলে ৯, জহুরুল ইসলাম ১৩ বলে ৬ রান করে ব্যর্থতার পরিচয়ই দিয়েছেন। শেষদিকে তাসকিন আহমেদ ৪ বলে ১১ রান করে দলীয় সংগ্রহ ১৫০ পার করান।

চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন রায়ান বার্ল এবং কেসরিক উইলিয়ামস। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় নেন ১ উইকেট।

এসএইচ-১৬/১৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

সম্পর্কে ইগো, পরকীয়া-বিচ্ছেদের আগে যা করবেন

সম্পর্কে ইগো

একটি সম্পর্ক যখন গড়া হয়, কখনোই বিচ্ছেদের কথা ভাবা হয় না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে অনেক সম্পর্কই শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদে গড়ায়। অনেক সময়ই যার মূলে থাকে ইগো।

দাম্পত্য সম্পর্কে ইগো চলে এলে তা ঠিক করা বেশ কঠিন হয়ে ‍যায়। এই ইগোর প্রভাবে ক্ষতি হয় পারিবারিক-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও অবস্থান। আর মনোমালিন্য থেকে শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় যৌন জীবন এর পরিণতি অনেক সময়ই পরকীয়া। ফলাফল সম্পর্কের অবনতি-বিচ্ছেদ।

ইগো বা ব্যক্তিত্বের সংঘাত দেখা দিলে বিচ্ছেদের কথা না ভেবে প্রথমেই আন্তরিকভাবে সম্পর্কটি রক্ষার চেষ্টা করা উচিত। কারণ নিজেদের কথা ছাড়াও যদি সংসারে বাচ্চা থাকে তার কথাও ভাবতে হবে। ব্রোকেন ফ্যামিলির একটি সন্তান অনেক ধরনের সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে বড় হতে থাকে। আর এই সামাজিক ও মানসিক চাপ তার ব্যক্তিত্বের সঠিক গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

সম্পর্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে চুপ না থেকে, নিজেদের মধ্যে সরাসরি কথা বলুন। যদি সমাধানের পথ না পান তবে পরিবারের নির্ভরযোগ্য কারো সঙ্গে কথা বলে দেখুন। তারপরও অবস্থার পরিবর্তন না হলে বিশেষজ্ঞ কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন, মানসিক চাপ মোকাবিলা করে সুস্থ চিন্তা করার, সুখী হতে শেখায় কাউন্সেলিং। দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে। এই সমস্যার সমাধানও হতে পারে সঠিক পরামর্শের মাধ্যমে।

আরএম-১৬/১৪/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

হাসপাতালে হামলা করে ইমরান খানের ভাতিজা ফেরারি

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে অবস্থিত একটি হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আইনজীবীদের হামলার দায়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাতিজাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত বুধবারের সহিংস ওই হামলা-ভাঙচুরে নিজে অংশ নিয়েছিলেন ইমরানের ভাতিজা।

বিবিসি ও পাকিস্তানের দৈনিক ডনের অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ১১ নভেম্বর বুধবার পাঞ্জাব ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওলোজিতে (পিাইসি) ক্ষুব্ধ আইনজীবীদের কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডব আর ভাঙচুরে অন্তত তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়। সেদিনের ওই হামলায় শত শত আইনজীবী অংশ নেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাহোর পুলিশ হাসান নিয়াজি নামে ইমরান খানের ভাতিজার বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু তিনি সম্ভবত অন্যত্র লুকিয়ে থাকায় তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৮০ জনের বেশি আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, যাদের মধ্যে ৪৬ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

চিকিৎসকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার হাসপাতালটিতে হামলা ও ভাঙচুর চালায় শত শত আইনজীবী। হাসপাতালের দরজা-জানালাসহ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর ছাড়াও গাড়িতে আগুন দেয়া তারা। কেউ কেউ গুলিও ছোড়া ছাড়াও পুলিশের দিকে ইট-পাথর ছুড়ে মারেন। পরে দাঙ্গা পুলিশ পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনে।

হামলা-ভাংচুরের ওই ঘটনায় অংশ নেয়া আইনজীবীদের মধ্যে ইমরান খানের ভাতিজা হাসান নিয়াজিকে দেখা যাচ্ছে, এমন বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজার এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে নিজেদের ক্ষোভ জানান অনেকে।

ঘটনা নিয়ে আদালতে জমা দেয়া প্রতিবেদনে সন্দেহভাজনদের তালিকায় হাসানের নাম না থাকায় শুরু হয় সমালোচনা। বিবিসি বলছে, হাসানের নাম না থাকা নিয়ে কর্তৃপক্ষ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। অবশ্য লাহোর পুলিশ পরে জানায়, ভিডিও ফুটেজ দেখে হাসানকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক আইনজীবী অন্য রোগীদের লাইনে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়ে হট্টগোল করলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে পেটানোর মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত। পরে মারধরের ঘটনায় চিকিৎসকরা বিদ্রুপাত্মক একটি ভিডিও প্রকাশ করলে ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা প্রতিশোধ নিতে সম্মিলিতভাবে হাসপাতালে গিয়ে এ তাণ্ডব চালায়।

বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা প্রথমে হাসপাতালটির প্রবেশ পথের সব দরজা বন্ধ করে দেন। তারা হাসপাতালের সরঞ্জাম ও জানলাসহ সেখানে থাকা গাড়িতে ভাঙ্চুর চালান। জরুরি বিভাগের দরজা ভেঙে ফেলেন। ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সে সময় হাসপাতালের রোগী ও কর্মীরা জীবন বাঁচাতে ছোটাছুটি শুরু করেন।

আইনজীবীদের হামলা-ভাঙচুরের কারণে হাসপাতালে অনেক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে পারেননি। চিকিৎসক ও নার্সরাও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থাকা (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রোগীদের রেখে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। পরিস্থিতি ব্যাপক সহিংস রুপ ধারণ করলে কাঁদানে ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দাঙ্গা পুলিশ।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাঞ্জাব রাজ্য সরকারের তথ্যমন্ত্রী ফয়জুল হাসান চৌহান বলেন, আইনজীবীরা তাকেও অপহরণের চেষ্টা করেছেন। একটি ভিডিওতে অবশ্য তার কথার প্রমাণ পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষুব্ধ একদল আইনজীবী তাকে টানাহেঁচড়া করছেন।

ঘটনার দিনই এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কার্যালয় তদন্ত শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাতিজা হাসান নিয়াজি সেদিন হাসপাতালের ওই হামলায় অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি এর অনুতপ্ত বলে জানান। এক টুইট বার্তায় তিনি এ কথা জানান।

এসএইচ-১৫/১৪/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

জন্ডিস হলে কী খাবেন

জন্ডিস

জন্ডিস মানে যকৃতের প্রদাহ বা হেপাটাইটিস। এটি আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। জন্ডিস হলে রোগীর পথ্য কী হবে, তা নিয়ে অনেকের ভেতর অনেক ভ্রান্তি রয়েছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। জন্ডিস হলে এমন খাবার খাওয়া উচিত, যাতে যকৃৎ কিংবা পিত্তথলির ওপর কোনো চাপ না পড়ে। অল্প করে একটু পরপর সঠিক খাবার খেলে এবং পূর্ণ বিশ্রামে থাকলে এমনিতেই জন্ডিস সেরে যায়।

জন্ডিস হলে যা খাবেন

গোটা শস্য: কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা পূরণে বাদামি চাল, রুটি, ওট্স খেতে পারেন। গোটা শস্যে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন থাকে, যা ক্ষতিকর টক্সিন বের
করে দেয়।

প্রোটিন: খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন মাছ, মুরগির মাংস, ডাল পরিমাণমতো থাকতে হবে। না হলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়বে। অনেকে মনে করেন, জন্ডিসে আক্রান্ত রোগী মাছ-মাংসজাতীয় খাবার খেতে পারবেন না। এটা আসলে ভুল ধারণা।

সবজি: মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টি আলু, মুলা, বিট, গাজর, টমেটো, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও পালংশাক জন্ডিস রোগীর জন্য খুব ভালো।

ফল: বেরিস, পেঁপে, তরমুজ, আনারস, পাকা আম, কলা, কমলা, জলপাই, অ্যাভোকাডো, আঙুরের মতো সহজপাচ্য ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে।

দুগ্ধজাতীয় খাবার: জন্ডিস হলে ফুল ক্রিম দুধ বা দই, পনির খাওয়া ঠিক নয়। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা যকৃতের জন্য ক্ষতিকর।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার: লেবু, বাতাবি লেবুর শরবত জন্ডিস রোগীর জন্য খুবই ভালো। এগুলো শরীরে পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া প্রতিদিন বাদামও পরিমাণমতো খেতে পারেন। সামান্য আদা কুচি বা রসুন কুচি, আদার রস বা আদা-চা খাওয়া যেতে পারে দিনে দু-একবার। এগুলো যকৃতের জন্য ভালো।

পানি: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি (দৈনিক অন্তত আট গ্লাস) পান করতে হবে। তবে অতিরিক্ত পানি পানের প্রয়োজন নেই। পানি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। আখের রস, ডাবের পানিও শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। তবে রাস্তার পাশের আখের শরবত না পান করে ঘরে তৈরি শরবত খেতে হবে।

যা খাওয়া যাবে না

চিনি বা অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, কাঁচা লবণ, অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার, রেড মিট (গরু, মহিষ, ছাগলের মাংস), অ্যালকোহল, ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।

আরএম-১৫/১৪/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

মমতার সঙ্গে আরও ৫ মুখ্যমন্ত্রীর নাগরিকত্ব আইন না মানার ঘোষণা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে সদ্যপ্রণীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন না মানার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির ৬ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই গণআন্দোলনের ডাক দেন। এরপর একে একে এই আইন না মানার হুমকি দেন আরও ৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

পশ্চিমবঙ্গের পর দিল্লি, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা বিজেপি সরকারের বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত আইন কোনোভাবে তাদের রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন। এমনকি মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারের শরিক কংগ্রেসের এক মন্ত্রীও আইনটি রাজ্যে প্রয়োগ করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া এবং কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলো থেকে একযোগে প্রতিবাদের ডাক ওঠায় আজ শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি একটি কেন্দ্রীয় আইন। তাই ওই আইন সব রাজ্যেই প্রযোজ্য হবে। কোনও রাজ্য সরকারের তা আটকানোর অধিকার নেই।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ইতোমধ্যেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএবি) পশ্চিমবঙ্গে হতে দেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এর বিরুদ্ধে নিজে মাঠে নামার ঘোষণা ছাড়াও বিজেপি বাদে অন্য সব রাজনৈতিক দলকে এর প্রতিবাদে গণআন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।

মমতার মতো বাকি রাজ্যগুলোরও অন্য রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীরাও একই সূরে কথা বলেছেন। দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পাঞ্জাবে রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও একই নাগরকিত্ব আইন তাদের রাজ্যে প্রয়োগ হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন।

এছাড়া, ছত্তিশগড়ে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলীয় মুখমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশেও রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। দলটির মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সরকারও আইনটি না মানার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া কেরালায় ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্ক্সবাদী) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও এমন কথাই বলেছেন।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নীতিগতভাবে কোনও রাজ্যের পক্ষে কেন্দ্রীয় আইনের প্রয়োগ যে আটকানো সম্ভব নয় তা স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। দলের অবস্থান নিয়ে তৃণমূল নেতাদের একাংশের ব্যাখ্যা, প্রশ্নটি কেন্দ্রীয় আইন বা রাজ্য আইনের নয়।

তারা বলছেন, মূল বিষয়টি হল রাজনৈতিক ও সামাজিক জনমত তৈরি করে গণআন্দোলনের আবহ তৈরি করা। যাতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এর প্রতিবাদে পথে নামে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় আইনকে এভাবে উপেক্ষা করা বা আটকানো যায় না।

সরকার যুক্তি দিচ্ছে, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এমন যেকোনও পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কাঠামোর পরিপন্থী। রাজ্য যদি কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগে সমস্যার সৃষ্টি করে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে প্রথমে সংবিধানের ৩৫৫ ও পরে ৩৫৬ ধারা পর্যন্ত প্রয়োগ করার ক্ষমতা আছে কেন্দ্রীয় সরকারের।

তবে পশ্চিমবঙ্গকে অনুসরণ করে অন্যান্য রাজ্যগুরোর এগিয়ে আসায় উৎসাহিত তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলটি বলছে, যদি একা পশ্চিমবঙ্গ ওই আইনের বিরোধিতায় সরব থাকত, তাহলে কেন্দ্রের পক্ষে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সুবিধাজনক হত। এতগুলো রাজ্যকে সংবিধানের ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারার ভয় দেখানো কঠিন।

অমুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদানে পাস হওয়া আইনটি নিয়ে উত্তাল ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় রাজ্য। নিহত হয়েছেন পাঁচজন। কারফিউ জারিসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। সফল বাতিল করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী। সর্বশেষ শিলং সফর বাতিল করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এসএইচ-১৪/১৪/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ফের পাকিস্তানের স্পিন বোলিং পরামর্শদাতা মুস্তাক আহমেদ

সাবেক লেগ-স্পিনার মুস্তাক আহমেদকে জাতীয় দলের স্পিন বোলিং পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আগামী এক বছরের জন্য মুস্তাক এই দায়িত্বে থাকবেন।

সূত্রের খবর, পাকিস্তান দলের লেগ-স্পিনার ইয়াসির শাহের বোলিং ধারালো করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন মুস্তাক আহমেদ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৪ উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটসহ অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলিং পরামর্শদাতা হিসেবেও তিনি কাজ করবেন।

এর আগেও পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়েছেন সাবেক লেগ-স্পিনার মুস্তাক আহমেদ। ২০১৪ সালের মে মাসে জাতীয় দলের স্পিন বোলিং পরামর্শদাতা হিসেবেই তাকে নিয়োগ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সেসময় পাক জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলেন সাবেক কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিস।

দেশের হয়ে ৫২টি টেস্ট ও ১৪৪টি ওয়ান ডে খেলা মুস্তাক ২০০৮ থেকে ইংল্যান্ডের স্পিনং কোচিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই ১৩ বছর দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৷

১৯৯২ পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি ৷ টেস্টে ১৮৫টি এবং ওয়ানডেতে ১৬১টি উইকেট নেওয়া লেগ-স্পিনারের উপর আবার আস্থা দেখাল পিসিবি। আন্তর্জতিক স্তরে অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই লেগ-স্পিনারকেই স্পিন বোলিংয়ের পরামর্শদাতা হিসেবে বেছে নেন পিসিবি কর্মকর্তারা।

এসএইচ-১৩/১৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় যেসব খাবার

স্তন ক্যান্সারের

কোনো খাবারই ক্যান্সার সারাতে পারে না। তবে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় যোগ করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। যেমন-

অলিভ অয়েল : অন্যান্য তেলের চেয়ে অলিভ অয়েলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জামা ইন্টারনাল মেডিসিনে’ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত অলিভ অয়েল খেলে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।

কফি : ২০১১ সালে করা সুইডেনের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, মেনোপেজের পর যেসব নারী নিয়মিত কফি পান করেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। আপেল : যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, আপেলের খোসায় থাকা ট্রাইটারপেইনয়েডস, ফাইটোকেমিক্যালস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে ক্যান্সারের সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।

বাদাম : পশ্চিম ভার্জিনিয়ার হান্টিংটনের মার্শাল ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা বলছেন, বাদাম, বিশেষ করে আখরোটে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত যেসব নারী নিয়মিত অন্তত দুটি করে আখরোট খেয়েছেন অস্ত্রোপচারের পর তাদের শরীরের ক্যান্সারের সেল কম বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্রকলি : যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক বলেছেন, ব্রকলিতে থাকা নানা উপাদান স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়।

গাজর : ‘দ্য আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, গাজরে থাকা ক্যারটিনয়েড স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮ থেকে ২৮ ভাগ কমিয়ে দেয়।

রসুন ও আদা : ‘নিউট্রিশন এন্ড ক্যান্সার’ শীর্ষক এক জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রসুনে এবং আদায় ক্যান্সার প্রতিরোধী অনেক ধরনের উপাদান থাকে। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় এ উপাদান দুটি রাখলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে শুধু এসব খাবার খাওয়াই যথেষ্ট নয়। এছাড়া নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি গড়ে তোলা জরুরি।

আরএম-১৪/১৪/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)