রাত ৮:৪৪
শনিবার
২৭ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১৪ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

আদালতে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট

ফাইল ছবি

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত দেড় বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্টটি আদালতে পাঠানো হয়।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিকেল প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথাছিল। ওই দিন খালেদা জিয়ার আরও কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে বলে আদালতকে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের চিকিৎসকেরা, এজন্য সময় প্রার্থনা করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই মেডিকেল প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই দিনই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি করা হবে বলে আপিল বিভাগ আদেশ দেন।

এদিকে ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, খালেদা জিয়ার আরও কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে। এ জন্য দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। এরপর আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে এ মামলার শুনানির সময় গত ২৮ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে তার বিষয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বোর্ডকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

ওই দিনই আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করে দেন আদালত। সেই পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখা হয়। সেদিন স্বাস্থ্য প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষ দাখিল করতে না পারায় ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে দেন আদালত।

খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মমতাজউদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।

খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের সংশ্নিষ্ট শাখায় গত ১৪ নভেম্বর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে ১৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামিন আবেদনটি আপিল বিভাগে কার্যতালিকাভুক্ত হয়।

৩১ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ১৪ নভেম্বর সাতটি গ্রাউন্ডে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়।

১৭ নভেম্বর আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ২৫ নভেম্বর শুনানির পর বিচারক সেটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরো তিন আসামিকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায়ের পর ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

বিএ-০৬/১১-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সিলেটকে হারিয়ে শুভসূচনা চট্টগ্রামের

লক্ষ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল, ১৬৩ রানের। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে ইমরুল কায়েসের বিধ্বংসী আর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেই বিপদ কাটিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে দলটি। মিরপুরে চলতি বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডার্সকে ৫ উইকেট আর ১ ওভার হাতে রেখেই হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

রান তাড়ায় নেমে ২০ রানের মধ্যেই জুনায়েদ সিদ্দিকী (৪) আর নাসির হোসেনকে (০) হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। ঝড় তুলতে চাওয়া আভিষ্কা ফার্নান্ডোও ২৬ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তারপর রায়ান বার্লও (৩) ফিরে গেলে ৬৪ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম।

সেই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন চার নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস। পঞ্চম উইকেটে চ্যাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে ৫২ বলে ৮৬ রানের ম্যাচ জেতানো এক জুটি গড়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

৩৮ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬১ রানের ঝড় তুলে শেষ পর্যন্ত ইমরুল ফিরেছেন ইবাদত হোসেনের শিকার হয়ে। ততক্ষণে অবশ্য জয় বলতে গেলে নিশ্চিতই হয়ে গেছে চট্টগ্রামের। ১৪ বলে দরকার তখন ১৩ রান। ওয়ালটন ৩০ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে জনসন চার্লসের শুরুর ব্যাটিংয়ের পর মোহাম্মদ মিঠুনের ঝড়ো ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তুলে সিলেট থান্ডার্স।

দলের কোচ হার্শেল গিবস আগেরদিনই (মঙ্গলবার) বলেছিলেন, বড় তারকা না থাকাই তার দলের প্রধান শক্তি। কারণ এতে দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা স্বাধীনভাবে খেলতে পারে। ঠিক এই জিনিসটিই যেনো দেখা গেলো সিলেটের প্রথম ম্যাচে। তিন নম্বরে নেমে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মিঠুন। দারুণ টাইমিংয়ের প্রদর্শনী করে মাত্র ৪৮ বলে খেলেছেন ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। যেখানে ছিলো ৪টি চারের সঙ্গে ৫টি ছয়ের মার।

তবে চট্টগ্রাম অধিনায়ক এমরিটের আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ঠিক মনঃপুত করতে পারেনি সিলেট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। দলের রান তখন মাত্র ৫। রনিও করেন ঠিক এই ৫ রান।

শুরুতেই উইকেট হারালেও সহজাত ব্যাটিং করতে পিছপা হননি আরেক ওপেনার চার্লস। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এমরিটকে টানা ৪টি চার মেরে শুরু করেন, থামেন নাসুম আহমেদের করা সপ্তম ওভারের শেষ বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। এর মাঝে ২৩ বলে ৭টি চারের মারে ৩৫ রান করেন চার্লস।

বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি লঙ্কান অলরাউন্ডার জীবন মেন্ডিস। ইনিংসের নবম ওভারে দলীয় ৬১ রানের মাথায় মাত্র ৪ রান করে ফেরেন তিনি। যার ফলে নবম ওভারের পঞ্চম বল থেকে একসঙ্গে জুটি বাধেন সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও তিন নম্বরে নামা মিঠুন। যা থামে ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে।

মোসাদ্দেককে সঙ্গে পেয়েই যেনো আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সাহস পেয়ে যান মিঠুন। দশম ওভারের পঞ্চম বলে মুকতার আলির ডেলিভারিকে উড়িয়ে পাঠান বাউন্ডারির ওপারে। যা কি না ছিল টুর্নামেন্টের প্রথম ছক্কা।

এক ওভার পর নাসুমের শেষ ওভারে আরও তেতে ওঠেন তিনি। সে ওভারের ছয় বলে ৩টি ছক্কার সঙ্গে নেন ৩টি ডাবলস। যার ফলে ২২ বলে ২২ থেকে এক লাফে পৌঁছে যান ২৮ বলে ৪৬ রানে। এ ওভারে মিঠুনের একটি কঠিন ক্যাচ ছেড়ে দেন জুনায়েদ সিদ্দিকী।

পরের ওভারেই নাসির হোসেনকে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ৩০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন মিঠুন। ব্যক্তিগত অর্ধশতক করা পর্যন্ত একটিও চার মারেননি তিনি। তবে পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পরে তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি চারের মার।

এদিকে মিঠুন যখন মারমুখী ব্যাটিং করছিলেন, তখন বেশ রয়েসয়েই খেলছিলেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১টি করে চার ও ছয়ের মারে ৩৫ বলে ২৯ রান করেন তিনি। শেষপর্যন্ত অপরাজিতই থেকে যান মিঠুন। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংসে মাত্র ৪৮ বলে ৪ চার ও ৫ ছয়ের মারে ৮৪ রান করেন তিনি।

চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে ২৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। এছাড়া নাসুম আহমেদ ও রায়াদ এমরিটের ঝুলিতে যায় ১টি করে উইকেট।

এসএইচ-১৭/১১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

রাজশাহী জেলা পরিষদ থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেল ২৩১ জন

রাজশাহী জেলা পরিষদ থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে ২৩১ জন শিক্ষার্থী। বুধবার দুপুরে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মুনসুর রহমান।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা ও মহানগরীর মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২০, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৪ এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মোট ৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩ হাজার এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে চার হাজার টাকার করে চেক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ডা. মুনসুর রহমান বলেন, বৃত্তির টাকার পরিমাণ খুব কম। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সবাই এটা পায়নি। যারা মেধাবী কেবল তারাই পেয়েছে। জেলা পরিষদের এই শিক্ষাবৃত্তিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের ভালভাবে পড়াশোনা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। তিনি বলেন, প্রতিবছরই জেলা পরিষদ শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আরও কীভাবে সহায়তা করা যায় সে ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নার্গিস আক্তার, জেলা পরিষদ সদস্য আবুল ফজল প্রামানিক, গোলাম মোস্তফা, এমপি মুনসুর রহমানের মেয়ে ডা. তৃষা রহমান প্রমুখ।

বিএ-০৫/১১-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

আওয়ামী লীগে দূষিত রক্ত রাখা হবে না: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলে কোন দূষিত রক্ত থাকতে পারবে না। বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, দূষিত রক্তমুক্ত করে আওয়ামী লীগের বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করা হবে । মির্জা ফখরুল বিএনপির মাইনুরটি সরকার বলে যে উক্তি করেছেন তা হাস্যকর।

২০০১ সালে বিএনপি মাইনরটিদের উপর যে অত্যচার করেছে তা একাত্তরের বর্বরতার সঙ্গে তুলনীয়। একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারই মাইনটির বান্ধব সরকার। মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্লিন ইমেজের পার্টিতের রূপান্তরিত করতে শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানকে সফল করতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগের সদস্য বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহওয়াজ মিলাদ প্রমুখ।

বিএ-০৪/১১-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

মুসলিম-অমুসলিম বিয়ে: জায়েজ না নাজায়েজ

মুসলিম-অমুসলিম

জীবন-সমাজের প্রতিটি স্তরের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, করণীয় ও বর্জনীয় দিক আলোকপাত হয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনে মজিদে। যাতে প্রত্যেক যুগের মানুষ নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে।

৬ ডিসেম্বর মিথিলা-সৃজিত দুজনই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তারা দুজন দু ধর্মের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন মুসলমান কী অন্য ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন?

ইসলাম মূলত শান্তির ধর্ম। এই ধর্ম সবসময়ই মানুষের শান্তি চায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ পরবর্তী জীবনে যেন কোন প্রকার মনোমালিন্য বা বিচ্ছেদের সৃষ্টি না হয়- ইসলাম কিন্তু এদিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন। ছেলে-মেয়ে পরস্পরের আকিদা-বিশ্বাস, সমাজ-সংস্কৃতি ও রীতিনীতিতে এক ও অভিন্ন হবে। তবে ধর্ম যদি এক না হয় সেক্ষেত্রে মুসলিম নর-নারীর সঙ্গে অমুসলিম নর-নারীর বিয়ে করা বৈধ নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

অবশ্য কোন নর বা নারী বিয়ের আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে, আল্লাহ ও রাসূল (সঃ)- এর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে তবে তাকে বিয়ে করা জায়েজ।

এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মজিদে মহান আল্লাহপাক বলেছেন, ‘তোমরা মুশরিক মহিলাদের বিয়ে করো না মুমিন না হওয়া পর্যন্ত।’

অপর দিকে কোন মুসলিম নারীর সঙ্গে অমুসলিম পুরুষের ও অমুসলিম নারীর সঙ্গে মুসলিম পুরুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। পবিত্র কুরআনের সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ বলেন, ‘কোন মুশরিকের সঙ্গে তোমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনবে। অমুসলিম অপেক্ষা একজন মুসলিম দাস তোমাদের জন্য অধিক উত্তম, যদি এমনও হয় যে, তারা তোমাদের নিকট পছন্দনীয়।’ (সূরা বাকারা: আয়াত নং-২২১)

কুরআনের অন্য এক বর্ণিত হয়েছে, ‘না তারা (অমুসলিম নারী) কোন পুরুষের (মুসলিম পুরুষ) জন্য হালাল, আর না তারা (অমুসলিম নারী) তাদের (মুসলিম পুরুষ) জন্য হালাল। (সূরা মুমতাহিনা: আয়াত নং-১০)

আরএম-২৪/১১/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

অন্যের জন্য ও নিজের জন্য যে দোয়া শিখিয়েছেন বিশ্বনবি

অন্যের জন্য

সামাজিক জীবনে মানুষের চলাফেরায় পরস্পরের দেখা-সাক্ষাৎ হয়। দেখা-সাক্ষাতে একে অপরের কাছে দোয়া চায়। কেউ তার নিজের জন্য দোয়া চায়, আবার কেউ বাবা-মা, ছেলে-সন্তান বা আত্মীয়ের জন্য দোয়া চায়। এসব ক্ষেত্রে একে অপরের জন্য দোয়াও করে। কিন্তু মানুষের চলাফেরায় দেখা-সাক্ষাতে একে অপরের কাছে দোয়া চাইলে কী দোয়া করতে হবে? এ সম্পর্কে হাদিসের নির্দেশনাই বা কী?

একবার হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মা তাঁকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং তাঁর জন্য দোয়া চাইলেন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রিয় খাদেম-এর জন্য দোয়াও করেছিলেন।

বর্তমান সময়ে যদি কেউ কারো কাছে দোয়া চায় তবে হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্য করা এ দোয়াটি যথাযথ ও উপযুক্ত। যা সবার জন্য খুবই জরুরি।

হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা, (একবার) আমার মা আমাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই ছোট খাদেম আনাস। আপনি তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বলে দোয়া করলেন-

(কেউ দোয়া চাইলে)

اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাকছির মালুহু ওয়া ওয়া ওয়ালাদুহু ওয়া বারিক লাহু ফিমা আত্বাইতাহু। (বুখারি ও মুসলিম)

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তার সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দিন। আর আপনি তাকে যা (রিজিক/জীবিকা ও নেয়ামত) দিয়েছেন তাতে বরকত দান করুন।’

হাদিসের অনুকরণে প্রত্যেকেই নিজেদের জন্য এ দোয়াটিও বেশি বেশি করা জরুরি। আর তাহলো-

اَللهُمَّ أكْثِرْ مَالِىْ وَ وَلَدِىْ وَ بَارِكْ لِىْ فِيْمَا أعْطَيْتَنِىْ وَ أطِلْ حَيَاتِىْ عَلَى طَاعَتِكَ وَ اَحْسِنْ عَمَلِىْ وَاغْفِرْلِىْ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাকছির মালি, ওয়া ওয়ালাদি, ওয়া বারিকলি ফিমা আত্বায়তানি ওয়া আত্বিল হায়াতি আলা ত্বাআতিকা ওয়া আহসিন আমালি ওয়াগফিরলি।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার সম্পদ, সন্তান বাড়িয়ে দিন। আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দান করুন। আপনার আনুগত্যের ওপর আমার হায়াত বাড়িয়ে দিন। আমার আমল (ইবাদত-বন্দেগি)কে সুন্দর করে দিন এবং আমাকে ক্ষমা করুন।

সুতরাং কেউ কারো কাছে দোয়া চাইলে হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক দোয়া করা। আবার হাদিসের অনুসরণ ও অনুকরণে নিজেদের জন্যও এভাবে দোয়া করাই উত্তম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী একে অপরের জন্য দোয়া করার পাশাপাশি নিজেদের জন্য দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-২৩/১১/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

জাপানের মেয়েরা কেন একা থাকে জানেন?

জাপানের মেয়েরা

একাকীত্ব মানেই যাঁদের কাছে যন্ত্রণার, অসহনীয় তাঁরা একবার জাপানের তরুণ প্রজন্মের জীবনযাত্রা দেখে নিতেই পারেন। তাঁরা কিন্তু একা একাই দিব্য দিন কাটাচ্ছেন, চেটেপুটে নিচ্ছেন একক জীবনের স্বাদ। তাঁরা নাকি মনের মতো সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না। কেউ আবার বলছেন, মা-বাবাকে ছেড়ে আলাদা জীবন কাটানোর ‘সাহস’ নেই। কারণ নাহয় হরেক, কিন্তু প্রশ্ন এই যে প্রেমানুভূতি কি এঁদের সকলের মনের ঘর ছেড়ে অনেক দূরে থাকে?

বয়স ২০ থেকে ৫০-এর মধ্যে। জাপানে এই বয়সের কোঠার মধ্যে অন্তত এক চতুর্থাংশ একা। পুরুষ হোক বা নারী, ‘সিঙ্গলহুড’ তাঁরা আনন্দেই কাটাচ্ছেন। এমনটাই বলছে সরকারি সমীক্ষা। আটত্রিশ বছরের এক মহিলা স্পষ্টই জানাচ্ছেন, যে তিনি বাড়ি ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে অন্যত্র যেতে রাজি নন। আর তাই তাঁর সঙ্গী খুঁজে পাওয়া কঠিন হচ্ছে। তাঁর আরও বক্তব্য, অফিসে প্রচুর মহিলা সহকর্মী, পুরুষ তুলনায় ঢের কম। এ থেকেই বোধহয় অনেকটা স্পষ্ট যে প্রেম কেন দানা বাঁধছে না এঁদের জীবনে।

বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা আরও বলছে, দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি জোয়ার আনতে হবে। জাপানের নাগরিকদের উপর এই চাপ তাঁদের বিবাহিত জীবনে প্রবেশের পথে একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরও বেশি বেশি রোজগার চাই, ফলে আরও বেশি সময় ধরে কাজ। সংসার জীবন সামলে দু’দণ্ড মনের মানুষের কাছে বসার অবকাশ কই?

টোকিওর চুও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক মাসাহিরো ইয়ামাদা বলেন, ‘যে সব পূর্ণবয়স্ক নারী,পুরুষ মা-বাবার সঙ্গেই থাকে, তাঁদের মধ্যে জীবনসঙ্গী খোঁজার তাগিদ অনেক কম। তাঁরা একজন সঙ্গী খোঁজার জন্য যা যা শর্ত রেখেছেন, সেটাই যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতা। অনেকে আবার মনে করেন, সঙ্গীকে সময় দেওয়ার চেয়ে কাজের জায়গায় সময় দিলে বেশি লাভ। এঁদের আমরা বলছি – পরজীবী একক ব্যক্তি, অর্থাৎ যারা অভিভাবকদের উপর নির্ভরশীল হয়েই জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়ে দেন।’ এরপরও কিছু বিষয় রয়েছে। ব্যয়বহুল দেশে স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান এবং একইসঙ্গে মা-বাবাকে নিয়ে থাকার মতো বড়সড় বাড়ি খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টের। তেমন আবাসন মিললেও, যা খরচ হয়, তা দু’জনে মিলেও কুলিয়ে উঠতে পারেন না।

সম্প্রতি এই একাকী নারী-পুরুষকে পরস্পরের জীবনসঙ্গী খুঁজে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল এক বেসরকারি সংস্থা। ছিমছাম পার্টির মধ্যে দিয়ে একে অন্যকে চিনেশুনে নেওয়া, বেছে নেওয়া, গ্রহণ করা যাতে সহজ হয়, সেজন্য তাদের এই ভাবনা।

কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, সেই স্বয়ম্বর সভাতেও যুবতীরা গিয়েছেন নিজেদের বায়োডাটা এবং অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে। অর্থাৎ সঙ্গী খোঁজাও যেন এক চাকরি পাওয়ার প্রতিযোগিতা। এর পিছনে মনস্তাত্বিক কারণও আছে। মেয়েরা নাকি তাঁদের চেয়ে উচ্চ আয়সম্পন্ন কোনও পুরুষকেই সঙ্গী হিসেবে পেতে চান। ম্যাচমেকিং পার্টিগুলিতে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন মহিলা পছন্দ করেছেন একজন পুরুষকেই। আর্থিক দিক থেকে বেশি স্বচ্ছল হওয়ায় তাঁর সঙ্গে মেলামেশায় আগ্রহী অনেকেই। কিন্তু সেই পুরুষ তো সঙ্গী হিসেবে একজনকেই বেছে নেবেন। অর্থাৎ নারী-পুরুষের অনুপাতও একাকী জীবন কাটানোর একটি অন্যতম কারণ।

এমনই হয়ত যুক্তিগ্রাহ্য নানা কারণ রয়েছে, যার জন্য একলা ঘরকেই দেশ বানিয়ে দিন কাটাচ্ছে জাপানের তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ। কিন্তু যা যুক্তির বাইরে নিখাদ আবেগের জায়গা, তা কি পূরণ হচ্ছে প্রচুর বৈভবের মালিক বা মালকিন হওয়া সত্ত্বেও? আরও বেশি উপার্জনের জন্য মাথা গুঁজে কাজ করতে করতে কখনও কোনও আলো মুছে যাওয়া গোধূলির আকাশ কি চোখে পড়ে না? সাধ জাগে না প্রেয়সীর হাতে হাত রেখে দু’ কদম পথ হাঁটার? এসব ছাড়া তো জীবন বড় বিস্বাদের, বড় বেরঙিন। মুরাকামীই বোধহয় প্রেমের মর্ম বুঝেছিলেন!

আরএম-২২/১১/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

জাল দলিল চেনার কয়েকটি সহজ উপায়

জাল দলিল

এই দুনিয়ায় এমন মানুষও আছে, যারা অসৎ ও ভন্ড মালিকের বেশে জমি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয়। অনেক সময় দেখা যায়, তারা বণ্টননামার ক্ষেত্রে সহ-শরিকদের অজান্তে ভুয়া বণ্টননামা করে দলিল জাল করতে পারে।

সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে আদালত থেকে বণ্টননামা সম্পন্ন করা হয় না, সেক্ষেত্রে একমাত্র দলিল জাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্রামের লেখাপড়া না জানা মানুষদের বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক সময় স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়।

আবার অনেক সময় ঘষামাজা করে এবং ওভাররাইটিং বা কাটাছেঁড়া করেও দলিল জাল করতে পারে। আবার মূল তারিখ ঠিক রেখে দলিলের বিষয়বস্তু জাল করাও সম্ভব। মালিক বিদেশে থাকলে মূল দলিল থেকে জালিয়াতি করা হতে পারে।

এসব থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণ পেতে জানতে হবে জাল দলিল চেনার উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে চিনবেন দলিল আসল নাকি জাল-

১. সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের প্রকৃতি অনুযায়ী চারটি রেজিস্ট্রার বা ভলিউমে লেখা হয়ে থাকে। কোনো দলিল নিয়ে সন্দেহ হলে রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষণ করা দলিলের সাল মিলিয়ে দেখতে হবে। এজন্য নির্দিষ্টভাবে দরখাস্ত করতে হবে।

২. এক জমির একাধিক মালিকের নামে করা থাকলে ধরে নিতে হবে দলিলটি জাল হতে পারে। এক্ষেত্রে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মূল মালিক কে, তা নির্ণয় করতে হবে।

৩. স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দলিলদাতা বা গ্রহীতার সাজা হয়। এক্ষেত্রে স্বাক্ষর বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে স্বাক্ষরের সত্যতা যাচাই করিয়ে নেয়া যেতে পারে। এছাড়া ভূমি অফিস থেকে বিভিন্ন সিল পরীক্ষা করেও জালিয়াতি নির্ণয় করা যায়।

খেয়াল রাখতে হবে, অনেক আগের দলিলে আগের চিহ্নিত কিছু সিল ব্যবহারই থাকে। আগের দলিল কিন্তু সিল যদি নতুন হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, দলিলটি জাল। একই সঙ্গে তারিখটিও ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ কোনো সরকারি বন্ধের দিন থাকলে সন্দেহের অবকাশ থাকবে। অনেক সময় অর্পিত সম্পত্তি বা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি জীবিত দেখিয়ে জাল করা হয়।

৪. সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে জমির মিউটেশন বা নামজারি সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে। নামজারিতে ধারাবাহিকতা ঠিক আছে কি না, সেটা সুচারুভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি দেখা যায়, সিএস জরিপের সঙ্গে বিক্রেতার খতিয়ানের কোনো গরমিল আছে, তাহলে বুঝতে হবে, জটিলতা আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, জরিপ খতিয়ানে জমির পরিমাণ পরবর্তী সময়ে যতবার বিক্রি হয়েছে, তার সঙ্গে জমির পরিমাণ মিল আছে কি না, তা যাচাই করে দেখা। দাগ নম্বর, ঠিকানা এসব ঠিক আছে কি না, এসব যাচাই করতে হবে।

৫. জমির স্বত্ব কী বা মালিকানা যাচাই করতে হবে। বিক্রেতার কাছ থেকে সব দলিল, বিশেষ করে ভায়া দলিল চেয়ে নিতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জানতে হবে সব দলিলের ক্রমিক নম্বর, দলিল নম্বর ঠিক আছে কি না।

৬. সম্প্রতি কোনো আমমোক্তারনামা দলিল থাকলে তাতে উভয় পক্ষের ছবি ব্যবহার হয়েছে কি না যাচাই করতে হবে।

৭. কোনো দান করা জমি হলে দলিলে সম্পাদনের তারিখ দেখে কবে জমিতে গ্রহীতা দখলে গেছে তা যাচাই করতে হবে। দলিলটি রেজিস্ট্রি করা কি না এবং দলিলদাতার সঙ্গে গ্রহীতার সম্পর্ক কী, তা যাচাই করতে হবে।

৮. সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া কোনো বিক্রীত দলিলের দলিল লেখকের নাম ঠিকানা জেনে সরেজমিন কথা বলে নেয়া দরকার।

৯. দলিল সম্পাদনের সময় ব্যবহৃত স্ট্যাম্পের পেছনে কোন ভেন্ডার থেকে স্ট্যাম্প কেনা হয়েছে এবং কার নামে কেনা হয়েছে খেয়াল রাখুন। প্রতিটি স্ট্যাম্পের পেছনে একটি ক্রমিক নম্বর উল্লেখ থাকে। এ নম্বরটি ঠিক আছে কি না, প্রয়োজনে স্ট্যাম্প বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করে যাচাই করে নিন।

আরএম-২১/১১/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

যেসব কারণে স্বামীর ঘর ছাড়তে চান বউ

যেসব কারণে

প্রতিটি সম্পর্কের মাঝেই সৌন্দর্য লুকানো থাকে। কেউই চায় না সেই সম্পর্কগুলো ভেঙে দিতে। আবার অনেকেই শত চেষ্টা করেও সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখতে পারে না। দাম্পত্য জীবনে যেসব সমস্যার কারণে নারীরা ডিভোর্স চান সেগুলো নিয়ে তারা তাদের পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে বহুবারই কথা বলেন। সমাধানের পথ খোঁজেন। কিন্তু উপায়ান্তর না পেয়ে একটা সময় বিচ্ছেদের পথেই হাঁটতে হয় ওই নারীকে। যেসব কারণে নারীরা তাদের স্বামীর কাছে তালাক চান, সেই কারণ গুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

⇒ সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস। স্বামী যেমন স্ত্রীর কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে স্ত্রীও একইভাবে মনে করেন তার স্বামী তাকে অবহেলা করবে না। তাকে সম্মান করবে। প্রিয় মানুষের অবহেলা মেনে নিতে না পেরে ডিভোর্সের দিকে অগ্রসর হয় নারীরা।

⇒ কিছু কিছু অভ্যাস কিংবা কিছু একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় অনেকের জীবনেই থাকে। কিন্তু বিয়ের পর সেই বিষয়গুলো সীমা অতিক্রম করলে তা একটা পর্যায়ে আর মেনে নিতে পারেন না স্ত্রী। তখনই সম্পর্কে ফাটল ধরে।

⇒ প্রত্যেক নারীই স্বপ্নের রাজকুমারকে জীবনসঙ্গী হিসেবে কল্পনা করেন। কিন্তু বাস্তবে যখন তারা এক ছাদের নিচে বসবাস করেন তখন সেই রাজকুমারকেও খুবই সাধারণ মনে হয়।

⇒ একসঙ্গে থাকতে গেলে প্রেম যেমন থাকে কিছু অভিযোগ আর অভিমানও থাকে। কিন্তু পুরুষ সঙ্গীটি যখন প্রায় সময়ই কারণে অকারণে স্ত্রীর প্রতি অভিযোগের বাণ ছুড়েন তখন ওই নারীর পক্ষে স্বাভাবিক থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। সবকিছুতেই তখন দমবন্ধ লাগে তার। সে তখন মুক্তি চায়। তাতেই ভাঙে ঘর।

⇒ স্বামীকে যেমন অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না, একইভাবে স্ত্রীকেও পরনারীর রূপের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। তাতে সম্পর্কে ভাটা পড়ে।

⇒ জীবনটা দুদিনের নয়। তাই একসঙ্গে জীবন সাগর পাড়ি দিতে হলে আস্থা রাখতে হবে সঙ্গীর প্রতি। তাকে যেকোনও বিষয় খোলামেলা বলতে হবে। মনের ভেতর কথা না লুকোনোই ভালো। কথা আড়াল করতে গেলেই সন্দেহ থেকে অবিশ্বাস জন্ম নেয়। তখনই বিচ্ছেদের বীজ শেকড় গাড়ে।

আরএম-২০/১১/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: তারেক-ফখরুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর রহমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। বাদী নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনার আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

মামলার অপর আসামিরা হলেন– বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) সহসভাপতি রবিউল আউয়াল সোহেল, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, জামায়াতের রুকন সাময়িক বহিষ্কৃত নেতা আফজাল হোসেন, জামায়াত নেতা আবদুল করিম, হাফেজ দিদারুল ইসলাম, আমিনুল হক বাবু ও ফারুক আহমেদ।

অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হত্যার হুমকি দেন বিএনপি নেতারা।

এজাহারে বলা হয়েছে, ৬ ডিসেম্বর বাদী তার পত্রিকার অফিস থেকে মিরপুরের শাহ আলী মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। শাহ আলী মার্কেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিএনপি নেতা আবদুল আওয়াল সোহেলের নির্দেশে চার হুজুর ও বিএনপির ৪-৫ জন কর্মী তাকে দাঁড়াতে বলেন। তারা বাদীকে বলেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা আছে। একটু আমাদের সঙ্গে চলেন।’

বাদী বলেন, মাজার থেকে আসার পথে আপনাদের অফিসে যাব।

তারা বলেন, ‘বিএনপি নেতা সোহেল আপনাকে ধরে নিয়ে যেতে বলেছেন। আপনি যেতে যখন রাজি হচ্ছেন না তা হলে চুপচাপ থাকেন। আমরা আপনাকে শর্ত দিচ্ছি যে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সব নেতার মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। তা না হলে ২১ আগস্টের মতো শেখ হাসিনাসহ তাদের সবাইকে আইএস দিয়ে গ্রেনেড হামলা করে মেরে ফেলব। কথাগুলো মনে রাখিস, এটি আমাদের নেতাদের নির্দেশ।’ তারা এ কথাগুলো বলে চলে যান।

বিএ-০৩/১১-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)