সন্ধ্যা ৭:৪৭
সোমবার
২০ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৬ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম, জানেন না মন্ত্রী

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।’

সোমবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘একই নামে তো অনেক মানুষ থাকতে পারে। আর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে কেন, এটা হতে পারে না। আর যদি আসেও সেটা পাক বাহিনীর ভুল।’

‘যদি মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকে, তবে আমরা সেটা যাচাই করে দেখব’ বলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।

উল্লেখ্য, রোববার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই করে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী তার বাবা ‘তপন কুমার চক্রবর্তী’র নাম নিয়ে এমন অভিযোগ তুলেছেন।

সোমবার মনীষা চক্রবর্তী ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করার পুরস্কার পেলাম আজ। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগকে। সদ্য প্রকাশিত রাজাকারদের গেজেটে আমার বাবা এবং ঠাকুমার নাম প্রকাশিত হয়েছে। আমার বাবা এড. তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, ক্রমিক নং-১১২ পৃষ্ঠা-৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেয়ে থাকেন! আজ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নাম্বার রাজাকার।’

‘আমার ঠাকুরদা এড. সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তার সহধর্মিণী আমার ঠাকুমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন- শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য আমার রাজনীতি করার খেসারত দিতে হচ্ছে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগ সরকারকে।

আমার দল বাসদ আমাকে শিখিয়েছে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করাকে। মিছিল থেকে গ্রেফতার করে থানায় নির্যাতন করে ওরা বলেছিল যে আন্দোলন যেন না করি, নির্বাচনে যেন অংশ না নিই। রাজী না হওয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজামিনযোগ্য মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করেছে। আমরা জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি।

বিএ-০৮/১৬-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

‘মুক্তিযোদ্ধারা ভিক্ষা নয় সম্মান চান’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা ভিক্ষা চান না, সম্মান চান। তাদের বাসস্থান নিশ্চিতসহ বিনা টাকায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা কোথাও সেবা নিতে গিয়ে যেন অসম্মানিত না হন এজন্য প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে যেন বীর থাকে এজন্য আইন পাস হওয়া দরকার বলেও মনে করেন মন্ত্রী।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে নওগাঁ পুরাতন কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবেন। ষড়যন্ত্রের হাত থেকে তিনি দেশকে রক্ষা করতে পারেন। দেশের মানুষকে নিয়ে তিনি অনেক চিন্তা করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংগ্রাম’ পত্রিকার এতো দুঃসাহস কোথা থেকে আসে যে, কাদের মোল্লাকে তার কৃতকর্মের জন্য ফাঁসি দেয়া হয়েছে অথচ তাকে শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কাদের মোল্লার যে ধারায় বিচার হয়েছে এবং তাকে শহীদ আখ্যায়িত যারা করেছেন তাদেরও একই ধারায় বিচার হওয়া উচিত। সংগ্রাম পত্রিকা বন্ধ চাই এবং সে আন্দোলন নওগাঁ থেকে শুরু হবে।

এ সময় জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সামদানি, মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিএ-০৬/১৬-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাজশাহীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাজশাহী মহানগরীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনার ও রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন তারা।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ: মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে নগরীর কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। এরপর আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি। এতে নেতৃত্ব দেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। র‌্যালিটি নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট হয়ে মনিচত্বর ঘুরে রাজশাহী কলেজের সামনে দিয়ে লোকনাথ স্কুল হয়ে সিটি কলেজের সামনে দিয়ে মালোপাড়া হয়ে গণকপাড়া হয়ে পুনরায় আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী মহানগর: বিজয়ের প্রথম প্রহর সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে প্রথমেই রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। রাজশাহী ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, নগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এন্তাজুল হক বাবু, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সিরাজুর রহমান খান, সাদরুল ইসলাম, আবদুল মতিন, মনির উদ্দিন পান্না, নাজমুল করিম অপু, জাসদের নগর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে)। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, যুবমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী, জাতীয় যুবজোট, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আদিবাসী ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার শপথ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে রাজশাহীর কোর্ট শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। আর রাতেই রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার দিবসের সূচনা লগ্নে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। একই সময়ে সকল সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল নয়টায় রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো: আব্দুল মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি এ সময় জেলা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট ও গালর্স গাইড এর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার, পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন ও পুলিশ সুপার মো: শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০টি দল অংশগ্রহণ করে।

সকালে কামারুজ্জামান চত্বরে আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রবেশ মূল্য ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত যাদুঘর, পার্ক, চিড়িয়াখানা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এদিন হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু সদন, শিশু নিবাস, অন্ধ, মুক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এস ও এস শিশু পল্লী, শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং বেসরকারি এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জুম্মা মসজিদসমূহে মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে সুবিধামত সময়ে প্রার্থনা করা হয়। আজ সকল সিনেমা হল ও জনবহুল মোড়সমূহে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।

বিকেলে রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুল মাঠে আলোচনা সভা ও মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সময়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একাদশ বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ এবং মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সন্ধ্যায় সিটি কর্পোরেশনের গ্রীন প্লাজায় খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে আলোকসজ্জা শোভা পাবে।

পদ্মা স্কুল এ্যান্ড কলেজ: মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে পদ্মা স্কুল এ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশু কিশোরদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। পদ্মা স্কুল এ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন। এতে বিশেষ অতিথীর বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষ আব্দস সাত্তার। শিশু কিশোরদের ড্রইং কবিতা আবৃত্তি, দেশেরগান, উপস্থিত বক্তব্যসহ ১১টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৩৩জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বিএ-০৫/১৬-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

‘পারফেক্ট’ না হলেও নারীরা নিঃসন্দেহে পুরুষের চেয়ে ভালো: ওবামা

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মনে করেন, প্রত্যেক দেশেই নারীরা যদি নেতৃত্বে আসেন তাহলে মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হবে। তিনি বলেছেন, যদিও নারীরা ‘পারফেক্ট’ নয় তথাপি আমি বলবো নিঃসন্দেহে তারা পুরুষের চেয়ে ভালো। সিঙ্গাপুরে নেতৃত্ব বিষয়ক বেসরকারি এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবামা।

বারাক ওবামা আরো বলেছেন, বিশ্বের বেশিরভাগ সমস্যা বয়োজ্যেষ্ঠ লোকদের মাধ্যমে তৈরি, যাদের বেশিরভাগই পুরুষ। আর এসব মানুষ ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে এটা করেন। রাজনৈতিক মেরুকরণ ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে কীভাবে মিথ্যা ছড়ানোর প্রতিযোগীতা, সে বিষয় নিয়েও কথা বলেন তিনি।

ওবামা বলেন, তিনি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন এটা গভীরভাবে চিন্তা করেছিলেন যে, নারীরা যদি নেতৃত্ব দেয় তাহলে কেমন হবে পৃথিবীটা। তিনি বলেন, ‘আমি নারীদের জানাতে চাই আপনি হয়তো পারফেক্ট নন কিন্তু আমি বলবো আপনারা নিঃসন্দেহে আমাদের (পুরুষের) চেয়ে ভালো।’

তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যদি দুবছর ধরে পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশকে নারীরা নেতৃত্ব দেয় তাহলে প্রায় সবক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হচ্ছে দেখতে পাবেন। জীবনযাত্রার মান আর ফলাফলেও উল্লেখ করার মতো উন্নতি হবে।’

দুই মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষে তিনি যখন হোয়াইট হাউস ছেড়ে যান তখন তিনি গোটা বিশ্বের তরুণ নেতাদের জন্য একটা ফাউন্ডেশন তৈরির ঘোষণা দেন। গত সপ্তাহে স্ত্রী মিশেলকে নিয়ে ওবামা ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কুয়ালামপুরের আসেন তিনি।

এসএইচ-৩০/১৬/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ভিন্ন ভাষায় বার্তা অনুবাদ করে শোনাবে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট!

বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে সেসব দেশের ভাষা বুঝতে না পারলেও সাহায্য করবে গুগল। অর্থাৎ এক ভাষার বার্তা অন্য ভাষায় অনুবাদ করে শোনাবে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট।

প্রাথমিকভাবে ফিচারটি কাজে লাগিয়ে বাংলাসহ ৪৪টি ভাষায় তথ্য অনুবাদ করার সুযোগ পাবেন অ্যানড্রয়েড ও আইওএস ব্যবহারকারীরা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সুবিধার ফিচারটি চালু করে ‘হেই গুগল, হেল্প মি স্পিক স্প্যানিশ’ বা ‘বি মাই স্প্যানিশ ট্রান্সলেটর’ উচ্চারণ করলেই বার্তা বা কথোপকথন স্প্যানিশ ভাষায় পড়ে শোনানোর পাশাপাশি ডিসপ্লেতেও প্রদর্শন করবে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট।

অন্যদিকে, স্প্যানিশ ভাষার কথাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট ভাষায় অনুবাদ করবে।

ফলে ভ্রমণের সময় হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোন কাজে লাগিয়েই ভিন্নভাষীদের সঙ্গে আলোচনা করা যাবে।

এসএইচ-২৯/১৬/১৯ (প্রযুক্তি ডেস্ক)

প্রেমিকের গোপনাঙ্গ কাটায় চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ভারতের বেঙ্গালুরুর কোরামাঙ্গালার সইদা ও আলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। আলি সেই সম্পর্ক ভেঙে অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এতেই বেজায় চটে আলিকে নিজের ক্লিনিকে ডেকে পাঠায় সইদা।

এরপর সইদা ফলের রস খেতে দেয় আলিকে। তাতে মেশানো মাদকে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তখনই নিজের যন্ত্রপাতির সাহায্যে আলির যৌনাঙ্গ কেটে নেয় সইদা। এরপর চিকিৎসার জন্য আলিকে কাছের একটি হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যায় সইদা।

৪২ বছরের সইদা আমিনা নাহিম ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর আলীর যৌনাঙ্গ কেটে নেয় সইদা। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সইদার দাবি ছিল, তিনি নির্দোষ। তার ক্লিনিকে যাওয়ার পথে একটি দুর্ঘটনায় জখম হন আলি। তবে সইদাকে মিথ্যে প্রমাণ করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। এরপরই সইদাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

এই ঘটনায় ওই চিকিৎসককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেন ভারতের আদালত। এক দশক পেরোনো মামলায় অভিযুক্তকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও আক্রান্ত যুবককে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দেশটির সিটি সিভিল সেশন কোর্টের বিচারক জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তি তার বিবাহিত জীবন হারিয়েছেন এবং মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। কোনো ক্ষতিপূরণই তার জন্য যথেষ্ট নয়। তবু জরিমানা ছাড়াও কিছু পরিমাণ অর্থ নির্ধারিত করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে ২ লাখ টাকা।

এসএইচ-২৮/১৬/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির মামলা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলা করেছেন বিজেপির আইনজীবী সরজিত রায় চৌধুরী।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে কেন সরব হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির, এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা করেছে বিজেপি। প্রধান বিচারপতিকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। মামলা দায়েরের অনুমতি পেয়েছেন বিজেপির আইনজীবী। দুপুর ২টায় ওই মামলার শুনানির কথা ছিল।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। সপ্তাহের প্রথম দিনেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে অবরোধ-বিক্ষোভ। কোথাও রাস্তায় বসে চলছে প্রতিবাদ। কোথাও আবার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলছে অবরোধ। কয়েকটি জায়গায় ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে রেল অবরোধ। সপ্তাহের প্রথম দিনে কাজে বেরিয়ে চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ।

শুরু থেকেই এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সরব মুখ্য়মন্ত্রী মমতা। কেন্দ্রের আইন এ রাজ্যে কোনও ভাবেই কার্যকর করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কেন্দ্রের আইনের বিরোধিতায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পরামর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংবিধান না মেনেই কেন্দ্রীয় সরকার আইন তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। কেন্দ্রের আইনের প্রতিবাদে নিজেও পথে নেমেছেন তৃণমূলনেত্রী। সোমবার বিআর আম্বেদকরের মূর্তি থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল।

এদিকে, মমতার এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব বিজেপি। রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী কীভাবে কেন্দ্রের আইনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বলছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টে মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। প্রধান বিচারপতিকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান বিজেপির আইনজীবী স্মরজিত রায় চৌধুরী।

এসএইচ-২৭/১৬/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

সৌরভকে প্রশংসায় ভাসালেন শাস্ত্রী

ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে বলেছেন ভারতের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এ কথা আগেও বলেছেন শাস্ত্রী।

সৌরভের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তার প্রশংসা করে শাস্ত্রী বলছেন, ‘‘ক্রিকেটার হিসেবে সৌরভ যা করেছে তার জন্য আমার শ্রদ্ধা রয়েছে ওর উপরে।

সবচেয়ে কঠিন সময়ে ও ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব নিয়েছিল।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ছায়া তখন ভারতীয় ক্রিকেটে। সেই সময়ে সৌরভ দলের হাল ধরে। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সবার আস্থা অর্জনের দরকার ছিল। সেটা সৌরভ পেরেছিল।

আর এই ব্যাপারটাকে শ্রদ্ধা করতেই হবে। যারা করে না আমি তাদের দলে পড়ি না।’’

এসএইচ-২৬/১৬/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ভাষা সৈনিক গোলাম আরিফ টিপুর নাম রাজাকারের তালিকায়!

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার প্রকাশিত ওই তালিকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপুসহ পাঁচজনের নাম রয়েছে।

অন্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট মহসিন আলী, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, তৎকালীন জেলা প্রশাসক আব্দুর রউফ ও পুলিশ কর্মকর্তা এস এস আবু তালেব।

রাজশাহী বিভাগে স্বাধীনতাবিরোধীদের এক থেকে ১৫৪টি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব তালিকায় কয়েকশ ব্যক্তির নাম রয়েছে। যাদের কয়েকজনের নাম দ্বিতীয়বারও রয়েছে।

৮৯ নম্বর তালিকায় (ক্রমিক নম্বর ৬০৬) থাকা এই পাঁচজনের মন্তব্যের ঘরে লেখা আছে তাদের অব্যাহতি দিতে জেলা কমিটি আবেদন করেছিল। এর বাইরে কোনো তথ্য নেই।

অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের সময় রাষ্ট্রভাষা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, রাজশাহীর তিনি যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বেই মূলত রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ সদস্যবিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্যও ছিলেন টিপু।

ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

এছাড়া অ্যাডভোকেট মহসিন আলী ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবু গণমাধ্যমকে বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন তাদের নামও যদি তালিকায় থাকে, সেটিও হবে চরম লজ্জাজনক। কেন তাদের নাম এ তালিকায় উঠে এলো, কোন প্রসঙ্গে এলে তা বিস্তারিত উল্লেখ নাই।

বিএ-০৪/১৬-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

বিজয় দিবসের মুখোশ পরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর (ভিডিও)

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ ভবন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বেলা ১১টায় আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ।

অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই সকাল ৯টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে এসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা অনুষ্ঠান মঞ্চ এবং আগতদের বসার চেয়ার ভাঙচুর করেন।

পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। হামলার সময় সবার মুখ ঢাকা ছিল।

এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ করেছেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা।

কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই হামলার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম জেলা আওয়ামী লীগের এক র্শীষ নেতা দায়ী করেছেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলে তারা প্রকৃত রাজাকার। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে জানান, আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

https://www.facebook.com/barendraexpress/videos/489289691709031/

বিএ-০৩/১৬-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)