রাত ৯:৫৮
শনিবার
১৮ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
৪ ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

মালয়েশিয়ায় সর্বোচ্চ অর্থ প্রেরণকারীদের সম্মাননা

ব্যাংকিং সেবার ১৪ বছর পূর্ণ করেছে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের নিয়ন্ত্রণাধীন মালয়েশিয়াস্থ অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজ। এ উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার গ্রান্ড মিলেনিয়াম হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। মালয়েশিয়া থেকে অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজের মাধ্যমে যারা বৈধ পথে দেশে সর্বোচ্চ অর্থ পাঠিয়েছেন অনুষ্ঠানে তাদের সম্মাননা জানানো হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- সানওয়ে ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সাইদুর রহমান, প্রফেসর মাইন খন্দকার ও প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম খোকন। এ ছাড়া বৈধ পথে দেশে রেমিটেন্স প্রেরণে মিডিয়া কভারেজের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক আহমাদুল কবির।

সম্মাননা প্রদান করেন, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সেলর ও অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজের ডাইরেক্টর মো. জহিরুল ইসলাম, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অ্যান্ড সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অগ্রণী রেমিটেন্স হাউসের ডাইরেক্টর ড. সাইদ আবু হাসান বিন সাইদ আবুল ফজল, মালয়েশিয়াস্থ অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজের সিইও, ডাইরেক্টর খালেদ মোর্শেদ রিজভী ও অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজের কোম্পানী ডাইরেক্টর জুলি কুহ।

২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে মালয়েশিয়ায় যাত্রা শুরু করে অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজ। এরপর থেকে কিভাবে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে রেমিট্যান্স প্রেরণে সচেতনতামূলক বিভিন্ন সভা সেমিনার করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

অগ্রণী রেমিট্যান্সের ৬টি শাখার পাশাপাশি এজেন্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অগ্রণী রেমিটেন্স হাউসের কর্মকর্তারা।

এসএইচ-০৬/২১/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)

ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তৈরী ‘টর্চার সেল’

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের নির্যাতন এমনকি টর্চার সেল গড়ে তোলার কথা জানা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে যুবলীগের নেতাদের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে পাওয়া গেছে নির্যাতনের জন্য টর্চার সেলের অস্তিত্ব।

ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের মধ্যে এই টর্চার সেল বা নির্যাতনের একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে বলে চলছে সমালোচনা।

বুয়েটের হলে থাকা এক ছাত্র জানিয়েছেন, তাকেও শিবির সন্দেহে রাতভর দফায় দফায় পেটানো হয়েছিল। কিন্তু ভয়ে আতঙ্কে বিষয়টি গোপন করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্র বলেন নির্মম ভাবে তাকে পেটানো হয়G

“আমি আমার এলাকার এক নেতার দুর্নীতি আর ব্যাংকের অর্থ চুরির খবর ফেসবুকে দিয়েছিলাম। এটাই ছিল আমার অপরাধ।”

“রাতে রুমে দশ বারোজন এসে আমাকে জেরা করে। বলে আমি শিবির কিনা! প্রথমে চড় মারে। এরপর স্ট্যাম্প দিয়ে মারে। আমার পেছনে মারছিল পায়ে মারছিল। ধরেন রাত ১২টা থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত এভাবে চলেছে।”

ভুক্তভোগী ছাত্ররা বলছেন, সরকারের সমালোচনা, অন্যায়ের প্রতিবাদ বা দুর্নীতি অনিয়মের খবর কেউ ফেসবুকে প্রচার করলেই সে ছাত্রলীগের জেরার নামে নির্যাতনের টার্গেট হয়েছেন।

তুচ্ছ অপরাধেও নানারকম হয়রানি আর নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বহু ছাত্রকে। এমনকি প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগের হল শাখার নেতারাও আক্রান্ত হয়েছেন।

ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের অপসারণ এবং আবরার ফাহাদের ঘটনার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্যাতনের শিকার ছাত্রদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে আসছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্বের কমিটির হল শাখার একজন পদধারী নেতা জানান, ফেসবুকে একটা পোস্টের কারণে তাকে যিনি নির্যাতন করেন তার দখলে থাকা রুমটি সিলগালা করে দিয়েছে হল প্রশাসন।

“আমাকে চড়থাপ্পড় মারা হয়। পিস্তল মাথায় ঠেকিয়েছিল। কিন্তু মারে নাই। আমিও অনেক ভয় পেয়েছিলাম। এদের কারণেই ছাত্রলীগের দুর্নাম।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মশিউর রহমান জানান, প্রথম বর্ষেই ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যোগ দেয়ার পর তাকে পিটিয়ে আহত করে পুলিশে দেয়া হয়। এরপর থেকে হল ছাড়া হয়েছেন তিনি।

“আপনি একটু ভিন্নমতের হলে আপনাকে প্রথম যেটা বলা হবে যে আপনি শিবির! এই শিবির বলে নির্যাতন করা হয়। আর শিবির বলার পর আর কেউ কোনো কথা বলার সাহস পায় না।”

শুধু বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের হাতে এমন নির্যাতনের একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছ বলেই অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে শুধু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনই নয়, নির্যাতন বা টর্চার সেল সংস্কৃতি দেখা যাচ্ছে সরকারি দলের যুব সংগঠনেও।

সম্প্রতি ঢাকায় র‍্যাবের অভিযানে যুবলীগ নেতাদের অফিসে অবৈধ অস্ত্র ছাড়াও নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামের সঙ্গে ইলেকট্রিক শক দেয়ার মেশিন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।

অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের এক নেতার মাধ্যমে একজন ভুক্তভোগী জানান, রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে আইন আদালত, পুলিশ প্রশাসন কিছুই তোয়াক্কা করতেন না যুবলীগের আটক নেতা। বেআইনিভাবে তার সম্পত্তি আরেকজনকে দখল করে দিয়েছেন যুবলীগের আটক নেতা।

যুবলীগ নেতার অফিসে কয়েকবার ডেকে নেয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে এই ভুক্তভোগীর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ ব্যক্তি জানান, তাকে শারীরিক নির্যাতন না করলেও মানসিক নির্যাতনের শিকার তিনি।

“একাধিকবার আমাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে যায় এবং সরাসরি আমাকে বলে দেয় কোনো কিছু করে কোনো লাভ হবে না।”

“যদি আপনি আইনের আশ্রয় নেন পুলিশের কাছে যান আপনার আরো ভয়ানক পরিস্থিতি হবে। এ এলাকার সর্বেসর্বা বলতে তাকেই বোঝাতো। সেটাকে মাফিয়া নাম দিবেন না ডন নাম দিবেন বা সন্ত্রাসী নাম দিবেন সেটা আপনারাই ভাল বোঝেন”!

ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র এবং যুব সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে এমন নির্যাতনের সংস্কৃতি জনমনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজ বলেন বিষয়টি শঙ্কার।

“এই অল্প তরুণ বয়সে তারা কেন এমন নির্দয় নিষ্ঠুর ভূমিকা পালন করবে। আমার মনে হয় আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এটা থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে।”

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রলীগের টর্চার সেল বা নির্যাতনকারীদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখছে ছাত্রলীগ।

আর অভিযানে আটক হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে যুবলীগ তাদের বহিষ্কার করছে।

সরকারি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, এসব ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগের মধ্যে অনেকে এসব নিয়ে বিব্রত।

কিন্তু প্রশ্ন হলো ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় এরা কি প্রশ্রয় পেয়েছে?

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, “যখনই কোনো ছাত্র বা যুবলীগ বা যেকোনো সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি।”

ক্ষমতাসীন দল দায় এড়াতে চাইলেও অনেকের প্রশ্ন তাহলে এই যে নির্যাতন আর টর্চার সেলের সংস্কৃতি কিভাবে গড়ে উঠলো?

শীপা হাফিজ বলেন, দুর্বলের ওপর শক্তিমানের নির্যাতনের ঘটনা সবক্ষেত্রেই বেড়েছে।

“মুখে বলা হচ্ছে আমরা সমর্থন করি না কিন্তু এটা বন্ধ করার জন্য যদি কোনো ব্যবস্থা না দেখি আমরা মনে করি যে সমর্থনই করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশ এভাবে টিকতে পারে না বাঁচতে পারে না।

এসএইচ-০৫/২১/১৯ (আবুল কালাম আজাদ, বিবিসি)

বাগান বাড়িতে শাহরুখ-গৌরির বিয়ে বার্ষিকী

বলিউডের সবচেয়ে আদর্শ দম্পতি বলা হয় শাহরুখ খান ও তার স্ত্রী গৌরি খানকে। আগামী ২৫ অক্টোবর ২৮তম বিবাহবার্ষিকী তাদের। ২৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে নেই কোনো কলঙ্কের দাগ। এবার দারুণ আয়োজনে বিয়ে বার্ষকী পালন করছেন তারা। এই উপলক্ষ্যে স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য আলিবাগের বাংলোয় গেছেন শাহরুখ-গৌরি।

একটি বিলাসবহুল বোটে করে সেই আলিগড়ের বাংলোর দিকে যেতে দেখা গেছে শাহরুখ, গৌরি ও আর তাদের ছেলে আব্রামকে। শাহরুখ খানের আলিবাগের এই বাংলোটি সবুজে ঘেরা। এটার দাম এখন প্রায় ২০০ কোটি টাকা। যেখানে আছে শাহরুখের ব্যাক্তিগত জেটি, হেলিপ্যাড ও বিশাল সুইমিং পুল। বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠান ও বিশেষ কোনো আয়োজন থাকলেই এই বাগান বাড়িতে ছুটে যান কিং খান।

সেই কলেজ জীবনের প্রেমকে বিয়েতে পূর্ণতা দেওয়া এবং দীর্ঘ ২৮ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটানোর পরও শাহরুখ-গৌরির ভালোবাসা মনে হচ্ছে এতোটুকু কমেনি। বর্তমানে তিন ছেলেমেয়ে।

বড় ছেলে আরিয়ান, মেয়ে সুহানা ও ছোট ছেলে আব্রাম। আরিয়ান ও সুহানা দেশের বাইরে পড়াশোনা করছেন। আব্রাম মুম্বাইয়ে মা-বাবার কাছে থাকে।

শাহরুখ-গৌরীরর প্রেম কাহিনি বলিউডের হটেস্ট কাপলের ভালবাসার গল্প বললে ভুল হবে না। শাহরুখ খানের বয়স তখন ১৮, গৌরীর ১৪। দিল্লির পঞ্চশিলা ক্লাবে দেখা হয়েছিল তাদের। গৌরীকে একটি ছেলের সঙ্গে নাচতে দেখেন শাহরুখ। ভাল লেগে যায় প্রথম দর্শনেই।

১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তারা। বিয়ের জন্য নিজের স্যুট কেনার পয়সা ছিল না শাহরুখের। ‘রাজু বন গ্যয়া জেন্টলম্যান’ ছবির কস্টিউম ডিজাইনার থেকে স্যুট ভাড়া নিয়েছিলেন।

শাহরুখ বলেন, ‘গৌরীকে বিয়ের পর প্যারিসে হানিমুনে নিয়ে যাব বলে কথা দিয়েছিলাম। টাকাপয়সা না থাকায় সেটা পারিনি। অত্যন্ত সাধারণ দম্পতির মতোই দার্জিলিংয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলাম। তাও আবার রাজু বন গ্যায়া জেন্টলম্যানের শুটিং টিমের সঙ্গে।’

তবে, প্যারিসের বদলে দার্জিলিংয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনওদিনই দুঃখ করেননি গৌরি। বরং সবসময়ে পাশে থেকেছেন স্ট্রাগল করতে থাকা শাহরুখের। অনেক পথ পেরিয়ে এখন বলিউডের বাদশা তিনি। আর তার এই যাত্রায় সবসময়ে সব সময়ের সঙ্গী স্ত্রী গৌরী। যে প্যারিসে এক সময়ে টাকার অভাবে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারেননি সেখানে এখন শাহরুখের নিজের বাড়ি আছে।

এসএইচ-০৪/২১/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)

সাকিব-গেইল-মালিঙ্গারা বিক্রিই হলেন না

বাংলাদেশ থেকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানই বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বেশি। কিন্তু ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নতুন ফর্ম্যাটের টুর্নামেন্ট দ্য হান্ড্রেডে (১০০ বলের ক্রিকেট) সাকিবকে কিনেলোই না কোনো দল। আট দলের একটিও সাকিবের নামে ফ্ল্যাগ তুললো না।

শুধু সাকিব আল হাসানই নন, বিশ্বজুড়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেট মাতানো বড় বড় কয়েকজন ক্রিকেটারও থেকে গেলেন অবিক্রিত। তাদের মধ্যে রয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল, শ্রীলঙ্কার বিধ্বংসী বোলার লাসিথ মালিঙ্গা কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদারাও। এদের জন্য কোনো ফ্রাঞ্চাইজিই আগ্রহ দেখায়নি।

দ্য হান্ড্রেডে দল হচ্ছে আটটি। তাদের জন্য শর্ত হচ্ছে, সর্বোচ্চ ৩ জন করে বিদেশি ক্রিকেটার নিতে পারবে। মোট খেলোয়াড় সংখ্যা হবে ১৫ জনের। এর মধ্যে আট দলের জন্য আটটি জায়গা আগেই ঠিক করে রাখা। ড্রাফটের আগেই ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের থেকে একজন করে দলভুক্ত করে নেয়ার সুযোগ পেয়েছে দলগুলো। বাকি স্থান পূরণ করা হয়েছে ড্রাফট থেকে।

এর মধ্যে দেশি এবং বিদেশি ক্রিকেটারদেরকে পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়েছে ৭ ভাগে। সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির পারিশ্রমিক ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড। ১ লাখ, ৭৫ হাজার, ৬০ হাজার, ৫০ হাজার, ৪০ হাজার এবং ৩০ হাজার পাউন্ডের ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়।

ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয় ৭ রাউন্ডে। প্রতি রাউন্ড থেকে প্রতি দল দু’জন করে ক্রিকেটার নেয়ার সুযোগ পায়। অর্থাৎ, ৭ রাউন্ড থেকে ২ জন করে মোট ১৪ জন, কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে ১ জন। মোট ১৫ জন ক্রিকেটারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ পেয়েছে দ্য হান্ড্রেডসে অংশ নেয়া দলগুলো।

ক্রিস গেইল এবং লাসিথ মালিঙ্গা ছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড পারিশ্রমিক ক্যাটাগরির। কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়া এই দুই ক্রিকেটারের পেছনে সত্যিকারার্থে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে রাজি হয়নি দ্য হান্ড্রেডের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি।

ড্রাফট শুরুর পরপরই নাম তোলার সুযোগ পায় ট্রেন্ট রকেটস। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সবার আগে ১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড মূল্যের ক্রিকেটার হিসেবে তারা বেছে নেয় আফগানিস্তানের রশিদ খানকে।

সর্বোচ্চ দামে (১ লাখ ২৫ হাজার) বিক্রি হওয়া বিদেশি ক্রিকেটার হচ্ছেন আন্দ্রে রাসেল (সাউদার্ন ব্রেভ), অ্যারোন ফিঞ্চ (নর্দান সুপারচার্জার্স), মিচেল স্টার্ক (ওয়েলস ফায়ার), সুনিল নারিন (ওভাল ইনভিন্সিবলস), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (লন্ডন স্পিরিট), ডি আর্কি শর্ট (ট্রেন্ট রকেটস), ডেভিড ওয়ার্নার (সাউদার্ন ব্রেভ), স্টিভেন স্মিথ (ওয়েলস ফায়ার), মুজিব-উর রহমান (নর্দান সুপার চার্জার্স) এবং ইমরান তাহির (ম্যানচেস্টার অর্জিনালস)।

১ লাখ পাউন্ডের কোটায় সাকিব আল হাসানের সঙ্গে অবিক্রিত থেকেছেন ট্রেন্ট বোল্ট, কায়রন পোলার্ড ও ডোয়াইন ব্র্যাভো। এই কোটায় ইংল্যান্ডের বাইরের ক্রিকেটার হিসেবে দল পেয়েছেন কেন উইলিয়ামসন, ক্রিস লিন, মোহাম্মদ নবি, সন্দীপ লামিছানে, এবং মোহাম্মদ আমির।

সাকিব আল হাসানের মূলত আগামী বছর জুলাই-আগস্টে শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ রয়েছে। এ কারণেই মূলতঃ তার দিকে এতটা আগ্রহী হয়নি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। একই কারণে পাকিস্তানের বাবর আজমের দিকেও আগ্রহী হয়নি কেউ। কারণ, তারও টেস্ট সিরিজে খেলার কথা রয়েছে।

বাকি ক্যাটাগরি থেকে দ্য হান্ড্রেডের অন্দরমহলে ঢুকে পড়েছেন ন্যাথান কাউল্টার-নেইল, শাদব খান, শাহিন আফ্রিদি, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, ওয়েন পার্নেল, রায়ান টেন ডেসকাট, মিচেল স্যান্টনার, ডেভিড মালান, অ্যাডাম জাম্পা, কায়েস আহমেদ, ড্যান ক্রিশ্চিয়ানরা।

ইসিবি’র সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট তালিকা থেকে দ্য হান্ড্রেডের ঘরে ঢুকেছেন জো রুট, জোফরা আর্চার, বেন স্টোকস, জনি বোয়ারেস্ট, স্যাম কুরান, জস বাটলার, ররি বার্নস ও ক্রিস ওকস। সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ডে ব্রিক্রি হয়েছেন জেসন রয়, ইয়ন মর্গ্যানরা।

বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আফগানিস্তান থেকেই দ্য হান্ড্রেডে সুযোগ পেয়ে গেলেন চারজন। একজন নেপালের, একজন নেদারল্যান্ডসের।

এসএইচ-০৩/২১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

তেলাপোকার মুখে সিগারেট (ভিডিও)

ধূমপায়ীদের কাছে সিগারেট থাকবে-এটা স্বাভাবিক। ইচ্ছে হলে ঠোঁটে রেখে আগুন ধরিয়ে হাওয়ায় ফুঁক ছাড়বেন। অবাক হলেও সত্য কখনও কখনও শিশুকে ধূমপান করতে দেখা যায়। এবার মানুষ বাদে কীটপতঙ্গের কাছে সিগারেটের দেখা মিলল।

তবে হাওয়ায় ফুঁক ছাড়তে নয়, তাকে দেখা গেল সিগারেট নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াতে। মুখে সিগারেট নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরছে একটা তেলাপোকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটন বরোর সাবওয়ে স্টেশনের। ম্যানহোলের পাশে পড়ে ছিল সিগারেটের টুকরো। সেটাই মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করল একটা তেলাপোকা। নিউ ইয়র্কের টম ক্রেচমার নামের এক ব্যক্তি সেই ঘটনা মোবাইলবন্দী করেন। তারপর সেই ভিডিও ছেড়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই দৃশ্য।

ইতিমধ্যে ৩৬ লাখের বেশি ইউজার ভিডিওটি দেখেছেন। নিজের টুইটার প্রোফাইল থেকে টম আপলোড করেন ভিডিওটি। ভিডিওটি দেখে আপনারও মনে হতে পারে যেন তেলাপোকা একেবারে মানুষের মতো মুখে সিগারেট নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরছে। তবে এই ভিডিও থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।

যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার বদ অভ্যাস থেকে বিরত থাকার সময় এসেছে। কারণ সিগারেটের টুকরোটি কেউ ফেলে দিয়েছিল বলেই তো তেলাপোকার সংস্পর্শে চলে গেছে এটি। এই দৃশ্যকে মোটেও ভালোভাবে দেখছেন না নেটিজেনরা।

এসএইচ-০২/২১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

স্মার্টফোন গরম হয় কেন?

প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তবে স্মার্টফোনের অন্যতম একটি সমস্যা হলো- ব্যবহারের মাঝখানে খুবই গরম হয়ে যায়। স্মার্টফোন গরম হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। তবে অতিরিক্ত গরম বিপদের কারণ হতে পারে। তাই আমাদের স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম হবার কারণ জানা দরকার।

কি পরিমান গরম হওয়া স্বাভাবিক:
আপনার ফোন কম দামি বলে বেশি গরম হয়, তা ঠিক নয়। স্বাভাবিকভাবে স্মার্টফোন ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হতে পারে। তবে স্ট্যান্ড বাই মোডেও যদি ফোনটি ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হয় তবে বুঝবেন আপনর ফোনে সমস্যা আছে।

ব্যাটারি:
মোবাইল কম্পানিগুলো বর্তমানে স্মার্টফোন দিন দিন পাতলা করছে। তবে তার তুলনায় ব্যাটারির প্রযুক্তি তেমন উন্নত হয়নি। ব্যাটারি যত বেশি দুর্বল হবে ফোন তত বেশি তাপ উৎপন্ন করবে। ব্যাটারি চার্জ নেওয়ার সময় অথবা ডিচার্জ হওয়ার সময়েও ফোন বেশি গরম হয়ে থাকে।

প্রসেসর:
স্মার্টফোন গরম হওয়ার একটি করণ হচ্ছে প্রসেসর গরম হওয়া। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন স্মার্টফোনের মূল অঙ্গ হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর এমন একটি ডিভাইস যা সবসময় কাজ করে থাকে। আপনি ফোন ব্যবহার করেন আর নাই করেন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রন দিয়ে প্রসেসর তৈরী হয়ে থাকে। প্রসেসর স্মার্টফোনের বডির সাথে লাগানো থাকে যার ফলে তাপ অনুভব হয়।

দুর্বল নেটওয়ার্ক:
ফোন গরম হওয়ার আরেকটি করণ হচ্ছে দুর্বল নেটওয়ার্ক। আপনার ফোনে যদি নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকে তখন সিগনাল যায় আর আসে। আবার ওয়াইফাই ব্যবহারে সিগন্যালের জন্য অনেক বেগ পেতে হয়। দুর্বল নেটওয়ার্কের জন্য ফোনে বেশি চাপ পরে, যার ফলে স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে থাকে।

এসএইচ-২১/২০/১৯ (প্রযুক্তি ডেস্ক)

আদালতের কাঠগড়ায় ১৩ টিয়া!

আদালতের কাঠগড়ায় আনা হল ১৩টি টিয়া পাখিকে। অবাক করা হলেও ঘটনাটি সত্যি। কিন্তু টিয়াগুলি কি দোষ করেছিল যে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হল?‌ আসলে তাদের যে পাচার করা হচ্ছিল অন্য দেশে সেইটা প্রমাণ করতেই এভাবে আদালতে হাজিরা নিরীহ পাখিগুলির।

ভারতের দিল্লির একটি আদালতের কাঠগড়ায় খাঁচায় ভরে ওই ১৩টি টিয়াকে নিয়ে আসেন পুলিশ। সঙ্গে আনা হয় অভিযুক্ত পাচারকারী আনভারজন রাখমাজোনোভকে।

উজবেকিস্তানের এই নাগরিককে ১৩টি টিয়াসহ ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল সিআইএসএফ। টিয়াগুলিকে জুতোর বাক্সে ভরে পাচারের চেষ্টা করছিল আনভারজন।

পুলিশের দাবি, জেরায় সে স্বীকার করেছে, পুরানো দিল্লির এক পাখি বিক্রেতার কাছ থেকে টিয়াগুলিকে সে কিনেছিল পাচারের উদ্দেশ্যে। কারণ উজবেকিস্তানে টিয়া পাখি দুর্লভ বলে সেখানে এই পাখির প্রচুর চাহিদা বলে জেরায় জানিয়েছে আনভারজন।

অভিযুক্ত আনভারজন জামিনের আবেদন জানালেও আদালত তা অগ্রাহ্য করে তাকে আগামী ৩০ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। টিয়াগুলিকে ওখলা পাখিরালয়ে পাঠানোর লিখিত আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

এসএইচ-২০/২০/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোয় মোদির তুরস্ক সফর বাতিল

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিবাদে আঙ্কারা সরকার পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবিত তুরস্ক সফর বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বড় বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে ২৭/২৮ অক্টোবর সৌদি আরব যাচ্ছেন। সেখান থেকে তাঁর তুরস্কে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন তিনি আর সেখানে যাবেন না।

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভায় কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের মতকে সমর্থন জানিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি ভারতের সিদ্ধান্তকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করে বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুকে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির থেকে কোনওভাবেই আলাদা করা যায় না। সেজন্য আলাপ-আলোচনা, সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমেই এই সমস্যাকে মিটিয়ে নেয়া প্রয়োজন। সংঘর্ষের মাধ্যমে নয়।’

ভারত বরাবরই বিভিন্ন ফোরামে কাশ্মীরকে ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যা’ বলে জানিয়েছে। কিন্তু জাতিসঙ্ঘের মঞ্চে এরদোগানের ওই মন্তব্য নয়াদিল্লিকে ক্ষুব্ধ করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘ভারত তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কাশ্মীর সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা তুরস্কের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি, এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করার আগে, আমাদের কাছে এসে ভালোভাবে ইস্যুটি যেন তাঁরা জেনে নেয়।’

এরপরই নয়াদিল্লির তরফে ঘোষণা করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবিত আঙ্কারা সফর আপাতত হচ্ছে না। এই সফর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অবশ্য ওই সফর সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে সফর সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেজন্য বাতিল করার মতো কোনও প্রশ্নই নেই। ভারত ও তুরস্কের সম্পর্ক কখনই বিশেষ উত্তপ্ত হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সফর বাতিল হওয়ায় স্পষ্ট যে দু’দেশের সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে।

এসএইচ-১৯/২০/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

শীর্ষ ক্যাটাগরিতেই সরফরাজ

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) মাত্র দুই দিন আগেই সরফরাজ আহমেদের অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়েছে। এরপরই পিসিবি’র কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সরফরাজের শ্রেণীভুক্তি বা ক্যাটাগরি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।

তবে পিসিবি আজ রবিবার তিন ফর্মেটের দলে থাকা বিদায়ী অধিনায়ক সরফরাজকে কেন্দ্রীয় চুক্তির শীর্ষ ক্যাটাগরি ‘এ’ শ্রেণীতে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সরফরাজকে নিচের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে পিসিবি’র এক মুখপাত্র জানান, আগামী বছর জুলাই মাস পর্যন্ত তিনি শীর্ষ ক্যাটাগরিতেই থাকবেন।

মুখপাত্র বলেন, ‘যেহেতু তিন ফর্মেটের দলেই তাকে পাওয়া যাচ্ছে তাই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।’

‘এ’ শ্রেনীভুক্ত অপর দুই খেলোয়াড় হচ্ছেন- পাকিস্তান টি-২০ দলের নবনিযুক্ত অধিনায়ক বাবর আজম ও লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ।

এসএইচ-১৮/২০/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

অভিনয় শেখানোর নামে ধর্ষণ

অভিনয়ের ভুল সংশোধনের নামে তাকে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছে। নাট্যব্যক্তিত্ব তথা সাবেক অধ্যাপক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন তারই এক ছাত্রী। সুদীপ্তর নাটকের দল ‘স্পেক্ট্যাক্টরস’-এ নিয়মিত অভিনয় করতেন ওই তরুণী।

বুধবার রাতে পুরো ঘটনা’র বিবরণ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ওই তরুণী। ইতোমধ্যেই হাজারেরও বেশি বার শেয়ার হয়েছে ওই পোস্ট। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মিডিয়া সায়েন্স’-এর ‘পারফরম্যান্স অ্যান্ড মিডিয়া’ বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন সুদীপ্ত। তার বাড়িতেই হতো দলের যাবতীয় রিহার্সাল।

তরুণীর অভিযোগ, তাকে সুদীপ্ত ডেকেছিলেন মহড়ার নামেই। কিন্তু সে সময় দলের অন্য কোনো সদস্য সেখানে ছিলেন না। এমনকি, বাড়িতে ছিলেন না সুদীপ্তর স্ত্রী-ও। তরুণী বাড়িতে পৌঁছনোর পরে কোনো কাজে তিনি বেরিয়ে যান। বাড়িতে ছিলেন সুদীপ্ত এবং পরিচারক। সে রকম একটি পরিস্থিতিতেই সুদীপ্ত শুরু করেন ‘ডায়াফ্রাম ব্রিদিং টেকনিক’।

তরুণীর অভিযোগ, অভিনয় শেখানোর নামে প্রথমে তার শ্লীলতাহানি এবং পরে ধর্ষণ করেন সুদীপ্ত। এবং সেই অবস্থায় তাকে জোরে, আরও জোরে সংলাপ বলতে বলেন সুদীপ্ত। ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন ওই তরুণী।

যদিও ওই পোস্ট সর্বৈব তথ্যবিকৃতি বলে দাবি সুদীপ্তর। এই নাট্যব্যক্তিত্বের বক্তব্য, স্টেজ শো হওয়ার পরে তার মনে হয়, নামভূমিকায় অভিনয়কারী ওই তরুণীর অভিনয়ে খামতি ছিল। তাই ‘ডায়াফ্রাম ব্রিদিং টেকনিক’ প্রয়োজন অভিনয় তথা থিয়েটারের স্বার্থেই। এবং তিনি নন, ওই তরুণীই তার কাছে অনুরোধ করেছিলেন ত্রুটি সংশোধনের, দাবি সুদীপ্তর।

আনন্দবাজার ডিজিটালকে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ওই ছাত্রীকে তিনি ধর্ষণ করেননি। বরং ‘ডায়াফ্রাম ব্রিদিং টেকনিক’ বা ডায়াফ্রাম ব্রিদিং এক্সারসাইজ-এর অনুশীলনীর অংশ হিসেবে যেটুকু আংশিক নগ্নতা বা পার্শিয়াল নুডিটি এসেছে, শরীরি স্পর্শ হয়েছে, তা সম্পূর্ণটাই ঘটেছে তরুণীর সম্মতিক্রমে। সেখানে সুদীপ্তর তরফে যৌনতা বা অশালীনতার কোনো চিহ্নই ছিল না। তিনি ডায়াফ্রাম ব্রিদিং টেকনিক করাবেন, এটা জেনেই তরুণী তার বাড়িতে সে দিন এসেছিলেন, দাবি সুদীপ্তর। এমনকি, ‘ডায়াফ্রাম ব্রিদিং টেকনিক’ কী, সে বিষয়েও তিনি তরুণীকে আগেই বিশদে জানিয়েও ছিলেন।

সুদীপ্তবাবুর অভিমত, অভিনয় প্রশিক্ষণের অন্যতম অঙ্গ ‘ডায়াফ্রাম ব্রিদিং টেকনিক’। তিনি নিজেও এ ভাবে অভিনয় শিখেছেন। তার সমসাময়িক আর কেউ এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন কি না, তিনি জানেন না। কিন্তু তিনি মনে করেন এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর। কারণ, এর ফলে স্বরক্ষেপণ নিখুঁত হয়। বিদেশে থাকাকালীন তিনি এই পদ্ধতি বহু ক্ষেত্রেই প্রয়োগ হতে দেখেছেন। সেখানে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় বলে তার দাবি।

সুদীপ্তর কথায়, আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় আমি হতবাক। কারণ, অনেক দিন ধরে প্রয়োজনে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলেও এই প্রথম আমার বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের বিকৃত ও মিথ্যা অভিযোগ আনলেন।’

তবে, অভিযোগকারিণীর অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। তার দাবি, তিনি একা নন। আরও অনেকেই সুদীপ্তর উপর এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ। তারা সম্মিলিত ভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবেন। কিন্তু কবে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হবেন, সে নিয়ে এই মুহূর্তে মুখ খুলতে নারাজ তিনি।

এসএইচ-১৭/২০/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)