বিকাল ৪:৫২
বুধবার
৮ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২৫ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৯ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত

ময়মনসিংহ জেলার আলালপুরে দুই সিএনজি অটো রিকশা ও ট্রাকের সংঘর্ষে সহোদর দুই ভাই এবং স্বামী-স্ত্রীসহ চারজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে।

শনিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের আলালপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসআই আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সকাল সোয়া ১১টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের আলালপুর গ্রামে প্রথমে দুটি অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এরপর একটি ট্রাক এসে দুই অটোরিকশার ওপর তুলে দিলে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।

নিহতরা হলেন- ফুলপুর উপজেলার হাতিবান্দা গ্রামের মুরশেদ আলীর দুই ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস (৫০) ও আব্দুল কদ্দুস (৪০), তারাকান্দা থানার রাইজান গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফির রহমান (৬৫) ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন।

এসএইচ-৩৬/২০/১৯ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

প্রশ্নপত্রে পর্নো তারকার নাম দেয়া সেই শিক্ষক বরখাস্ত

ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির পরীক্ষায় দুটি প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরে দুই পর্নো তারকার নাম ছাপার দায়ে শিক্ষক শংকর চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী অংশের দুটি প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরে চারটি অপশনের একটিতে পর্নো তারকা সানি লিওন ও মিয়া খলিফার নাম ব্যবহার করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে এমন অসংলগ্নতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

একটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী? এই প্রশ্নের সম্ভাব্য যে চারটি উত্তর দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে পর্নো তারকা মিয়া খালিফার নাম দেয়া হয়। তবে তার নাম লেখা হয়েছে ‘মিয়া কালিফা’।

আরেকটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, ‘আম-আটির-ভেঁপু’ কার রচিত? এই প্রশ্নের সম্ভাব্য চারটি উত্তরের একটি নাম সানি লিয়ন। শুধু তাই নয়, ওই প্রশ্নপত্রে রয়েছে এমন আরও অদ্ভূত বিষয়। চতুর্থ প্রশ্নটিতে প্রমথ চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস কোথায়- এমন প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরে রাখা হয়েছে রাজধানীর বলধা গার্ডেনের কথা। তবে নামটি লেখা হয়েছে ‘বলদা গার্ডেন’।

শিক্ষককে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয় প্রকাশ সরকার জাগো নিউজকে বলেন, এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। যে ভুল হয়েছে তা খুবই লজ্জাজনক। স্কুল বন্ধ থাকায় প্রশ্ন প্রণেতা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটু দেরি হয়েছে।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। লজ্জাজনক প্রশ্নপত্র তৈরির কারণ জানতে চেয়ে তাকে শোকজও করা হয়েছে। আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার ঢাকার তিতুমীর কলেজ কেন্দ্রে শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার দুটি প্রশ্নে পর্নো তারকার নাম আসার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবেও বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

এসএইচ-৩৫/২০/১৯ (শিক্ষা ডেস্ক)

২৭ বছরের প্রেমিকের টানে বাংলাদেশে ৫২ বছরের মার্কিন নারী

ভালোবাসার টানে ঘর ছাড়ার ঘটনা সমাজে অহরহ দেখা গেলেও দেশ ছাড়ার ঘটনা আধুনিক যুগে বিরল। তবে সম্প্রতি শুধু প্রেমের টানে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক তরুণ-তরুণী বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন আমেরিকা থেকে প্রেমিকের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসা ডংসন লং (৫২)।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বনানীপাড়ার সোনালী ব্যাংক কর্মচারী শাহাবুল হোসেনের ছেলে ফয়সাল আহমেদের (২৭) প্রেমে পড়ে সুদূর আমেরিকা থেকে প্রেমিকের কাছে ছুটে আসেন মধ্যবয়সী ডংসন লং।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম। তারপর বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব ঘুচিয়ে প্রেমিক ফয়সাল আহমেদের কাছে ছুটে আসেন ডংসন লং। সেই সঙ্গে বিয়ে করেন এই যুগল। পাশাপাশি মুসলমান হন ডংসন লং। তার বর্তমান নাম মরিয়ম খাতুন।

তবে শনিবার বিকেলে ফয়সাল আহমেদের বাড়িতে গিয়ে নবদম্পতিকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বনানীপাড়ার সোনালী ব্যাংক কর্মচারী শাহাবুল হোসেনের ছেলে ফয়সালের প্রেমে পড়ে আমেরিকা থেকে ছুটে আসেন মধ্যবয়সী এক নারী। পরে গোপনে তারা বিয়ে করেন। কারণ ফয়সালের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে মার্কিন তরুণীকে বিয়ে করে পালিয়ে যান ফয়সাল।

১৩ এপ্রিল প্রেমিক ফয়সালকে সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মুসলমান হয়ে নাম পরিবর্তন করেন ডংসন লং। মরিয়ম খাতুন নামে ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে ফয়সালকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর উধাও হয়ে যান তারা। বর্তমানে তারা কোথায় আছেন জানেন না কেউ।

এলাকাবাসী জানান, ফয়সালের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানলেও কাউকে কিছু বলছেন না। বিষয়টি গোপন রাখতে চাইছেন তারা। ফয়সাল হয়তো আমেরিকা যাওয়ার জন্য ওই মধ্যবয়সী নারীকে বিয়ে করেছেন। কয়েক দিন ধরে ফয়সালকে এলাকায় দেখা যায়নি। বিদেশি নারীকে নিয়ে হয়তো অন্য স্থানে চলে গেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের নোটারি পাবলিকের অ্যাডভোকেট এসএন এ হাশেমী বলেন, মধ্যবয়সী এক মার্কিন নারীর সঙ্গে ফয়সাল নামে এক যুবকের বিয়ে হয়েছে। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন।

১নং আলোকদিয়া ইউনিয়নের কাজী হাশেম আলী বলেন, গত ১৩ এপ্রিল শনিবার এক বিদেশি নারীর সঙ্গে ফয়সাল নামে এক যুবকের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের রেজিস্ট্রারে ফয়সাল চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজপাড়ার বাসিন্দা শাহাবুল হোসেনের ছেলে বলে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন নারী ডংসনের নাম এফিডেভিটের মাধ্যমে পরিবর্তন করে মরিয়ম খাতুন রাখা হয়েছে। ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে দিয়েছি আমি।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো কিছু বলতে রাজি হননি ফয়সালের বাবা শাহাবুল হোসেন। ফয়সালের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।

এসএইচ-৩৪/২০/১৯ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

নাটোরের হত্যা মামলার পলাতক আসামি টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার

নাটোরের গুরুদাসপুরের দিনমজুর আরিফ হোসেন হত্যা মামলার পলাতক আসামি আলতাফ হোসেনকে (৩০) টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করে দুপুরে থানায় নিয়ে আসা হয়।

গ্রেফতারকৃত আলতাফ হোসেন উপজেলা মশিন্দা পশ্চিম চরপাড়া গ্রামের কালাম হোসেন প্রামানিকের ছেলে।

গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, জমিজমা নিয়ে নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে গত বছরের ১ মার্চ রাতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা পশ্চিম চরপাড়া গ্রামের আরিফ হোসেনকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

পরে নিহত আরিফের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে আলতাফ হোসেনকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৬ জনের নামসহ আরও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। দীর্ঘ একবছর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর দেলদুয়ার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেখানকার একটি কুড়ে ঘর থেকে আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এসএইচ-৩৩/২০/১৯ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

মির্জা ফখরুল ও জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৪ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

কিশোরগঞ্জে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ চারজনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন।

কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং ৩ এ ১২৪ (ক) দণ্ডবিধিতে বৃহস্পতিবার মামলার অভিযোগ দায়ের করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আকরাম হোসেন বাদল। তিনি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ভূনা করগাঁও গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে। বিচারক মুহাম্মদ আবদুন নূর মামলাটি আমলে নিয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা একে অপরের সহযোগিতা ও প্ররোচণায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষতি সাধন করে আসছেন। গত ১ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ৪ এপ্রিল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রকাশ্য রাজপথে স্লোগানের মাধ্যমে আগুন জ্বলছে আরও জ্বলবে এবং ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানোর হুমকি দেন।

আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুন দিয়ে স্লোগান দেন। সরকার পুনরায় নির্বাচন না দিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেশ ধ্বংস করে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোরও হুমকি দেন তারা।

মামলার অভিযোগে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, চকরিয়া, সিলেট উপশহর, রাজধানীর চলন্ত বাসে আগুন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকার কাওরান বাজার, বারিধারা, খিলগাঁও বাজার এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা বটতলা মোড়ে আগুন জ্বলছে। এতে জনমনে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তরে আতংকের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে এপিপি একেএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ১২৪ (ক) দণ্ডবিধিতে আমি মামলাটি ফাইল করি। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাকুন্দিয়া থানার ওসকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি এই মামলায় ন্যয় বিচার পাবো বলে আশাবাদী।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আমি মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো অফিসিয়ালি কোন আদেশ পাইনি।

এসএইচ-৩২/২০/১৯ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ পোশাক শ্রমিকদের

বেতনের দাবিতে ঢাকার বাড্ডা লিংক রোডের সড়ক ৩০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন পোশাক শ্রমিকেরা। সড়ক অবরোধের কারণে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

শনিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত বাড্ডা লিংক রোডের মধ্যে বাড্ডার দিকের সড়কের এক পাশ অবরোধ করে রাখেন স্টার গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রায় ৮০০ কর্মী। পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।

শ্রমিকদের দাবি, প্রতি মাসে গার্মেন্টস মালিক তাদের পাওনা দিতে গরিমসি করেন। প্রতি মাসের বেতন নির্ধারিত তারিখে পরিশোধ করছেন না। তাই তারা বাধ্য হয়ে আজ সড়ক অবরোধ করেন। এদিকে আজ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও গার্মেন্টস মালিকপক্ষের কেউ আসেননি।

অবরোধের সময় নতুন বাজার থেকে মতিঝিল যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী মালিক লাল। তিনি বলছিলেন, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের কারণে ৩০ মিনিট ধরে কোনো গাড়ি চলছে না। জরুরি কাজে মতিঝিল যাচ্ছি। কিন্তু রাস্তায় অবরোধ, আটকে আছি।

পথযাত্রী রূপাও বলছিলেন, অবরোধের কারণে রাস্তায় চলা খুব কঠিন হয়ে গেছে।

অবরোধের বিষয়ে গার্মেন্টস কর্মীরা বলছেন, চলতি বছরের মার্চ মাসের বেতন দিতে মালিকরা গরিমসি করছেন। শুধু তাই নয়, পাঁচ বছর ধরে মালিকরা প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন দিতে গরিমসি করছেন। আজ নয় কাল এভাবে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছেন।

তানিয়া নামে এক গার্মেন্টসকর্মী বলেন, ‘আমরা পেটের দায়ে গার্মেন্টসে চাকরি করি। বেতন নির্ধারিত সময়ে পাই না। আজ মাসের ২০ তারিখ। বাড়ি ভাড়া এখনও দেইনি। মালিকপক্ষ আমাদের বেতন এখনও দেয়নি।’

গার্মেন্টসকর্মী সোহেল বলেন, এপ্রিলের ২০ তারিখ চলছে। আমরা এখনও মার্চ মাসের বেতন পাইনি। বেতন না পাওয়ায় বাড়ি ভাড়ার টাকা এখনও দিতে পারিনি। খাওয়ার খরচ নেই। ধার করে চলছি। আর পারছি না। আজ বাধ্য হয়ে বেতনের দাবিতে সড়কে নেমেছি।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, স্টার গার্মেন্টসের প্রায় ৮০০ কর্মী বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করেন। আমরা তাদের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।

‘প্রতি মাসে বেতন পাওয়া শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার। মালিক তাদের বেতন না দিয়ে ঠিক করছেন না। আমরা মালিকের সঙ্গে বেতনের বিষয়ে কথা বলেছি। মালিক আমাদের নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বসবেন। আশা করি, ভালো একটা সমাধান হবে’- বলেন তিনি।

এসএইচ-৩১/২০/১৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নুসরাত হত্যায় ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার

www.ppbd.news

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়েছে।শনিবার দুপুরে পৌর শহরের সরকারি কলেজ সংলগ্ন ডাঙ্গি খাল থেকে বোরকাটি উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত টিম। পিবিআইয়ের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, নুসরাত হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার জোবায়েরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। অভিযানের নেতৃত্ব দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম। জোবায়েরের দেয়া তথ্যানুযায়ী ডাঙ্গি খাল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়।

কিলিং মিশনে অংশ নেয়া পাঁচজনের মধ্যে ছিল জোবায়েরও। ইতিমধ্যে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মামলাটির অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম জানিয়েছেন, নুসরাতে মেঝেতে শুইয়ে ফেলার পর নুসরাতের ওড়না দুই টুকরো করে হাত ও পা বেঁধে ফেলেন জোবায়ের। জাভেদ তখন রাফির সারা শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয়।

এরপর শাহাদাত হোসেন শামীমের চোখের ইশারায় জোবায়ের তার পকেট থেকে দিয়াশলাই বের করে কাঠি জ্বালিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর পাঁচজনই সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে যায়। নামতে নামতেই তিনজন ছাত্র তাদের বোরকা খুলে শরীর কাপড়ের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলে। ছাত্রী দু’জন মাদ্রাসায় তাদের পরীক্ষার কক্ষে চলে যান। আর বাকি তিনজন নিজেদের মতো করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজহারের ৮ জন গ্রেফতারসহ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৪ জন। ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকেও আটক করেছে পিবিআই। রুহুল আমিন নুসরাতের প্রতিষ্ঠান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি। এই কমিটি অবশ্য শুক্রবারই বাতিল হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তাকে যৌন নিপীড়ন করে বলে অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদি হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল।

গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় নুসরাত। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেয়া হয়। এ সময় তাকে মামলা তুলে নেয়ার কথা বলে ভয় দেখানো হয়। পরে সেখানে বোরকা পরিহিত ৪/৫ ব্যক্তি নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাতে তিনি মারা যান নুসরাত। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে নুসরাতকে দাফন করা হয়।

এসএইচ-৩০/২০/১৯ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

নুসরাত হত্যায় অর্থের যোগানদাতাদের সন্ধানে সিআইডি

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনা চাপা দিতে অর্থ লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট (সিআইডি)। এ হত্যায় অর্থের যোগানদাতাদের সন্ধানে মাঠে নেমেছে তারা। ইতোমধ্যে অর্থ যোগানদাতা হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম সিআইডির হাতে এসেও পৌঁছেছে।

শনিবার সকালে ঢাকার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সম্মেলনে সিআইডির সিনিয়র সহকারী বিশেষ পুলিশ সুপার শারমিন জাহান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে অর্থের লেনদেন করা হয়েছে। আমরা সেই অভিযোগেরই তথ্য প্রমাণ পেয়েছি। অর্থ লেনদেনে জড়িত ও অর্থ যোগানদাতাদের খুঁজে বের করতে এরইমধ্যে অভিযান চলছে।

তবে নুসরাত হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে, সিআইডি তাদের নাম প্রকাশ করেনি। এরইমধ্যে এসব লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সেসব ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করছে সিআইডি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের গ্রেফতার করা হবে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজহারের ৮ জন গ্রেফতারসহ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৪ জন। ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকেও আটক করেছে পিবিআই। রুহুল আমিন নুসরাতের প্রতিষ্ঠান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি। এই কমিটি অবশ্য শুক্রবারই বাতিল হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তাকে যৌন নিপীড়ন করে বলে অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদি হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল।

গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় নুসরাত। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেয়া হয়। এ সময় তাকে মামলা তুলে নেয়ার কথা বলে ভয় দেখানো হয়। পরে সেখানে বোরকা পরিহিত ৪/৫ ব্যক্তি নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১০ এপ্রিল তিনি মারা যান নুসরাত। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে নুসরাতকে দাফন করা হয়।

এসএইচ-২৯/২০/১৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সিজারিয়ান বাড়ছে যে সব কারণে

বিশ্বব্যাপী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসব সিজারিয়ান বা সি-সেকশনে করানোর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও৷ কিন্তু বাংলাদেশে সেই সীমা ছাড়িয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে৷

দিন দিন বাড়ার জন্য সিজারিয়ান বেসরকারি ক্লিনিকের অর্থলিপ্সা, সরকারি ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু না হওয়া এবং ডাক্তারদের নৈতিকতার ঘাটতিকে দায়ী করছেন গবেষকরা৷

অনেক সময় বাধ্য হয়ে সিজারিয়ান করানোর ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপর বড় রকমের অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে বলে উঠে এসেছে আইসিডিডিআর,বির এক গবেষণায়৷

ওই গবেষণায় উঠে আসে বাংলাদেশে বিভিন্ন পরিবার সম্ভবত তাদের আয়ের সবচেয়ে বড় অংশ খরচ করছে বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে৷ কাউকে কাউকে ঋণ করে কিংবা সঞ্চয় ভেঙেও এই খরচ করতে হচ্ছে৷

ওই গবেষণায় দেখা গেছে, সিজারিয়ানের ক্ষেত্রে তাদের গড়ে খরচ পড়ছে ২৫০ ডলার, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে যে খরচ মাত্র ৬০ ডলার৷

এভাবে বাচ্চা প্রসবে খরচ বৃদ্ধি বাংলাদেশের ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার’ অর্জনে বড় বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ওই গবেষণায়৷

বাংলাদেশে সিজারিয়ান নিয়ে আইসিডিডিআর,বির ওই গবেষণা দলের প্রধান ডা. আবদুর রাজ্জাক সরকার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাড়িতে ডেলিভারি করা হলে মাত্র ১৪শ টাকা খরচ হয়৷ যখন সরকারি ইনস্টিটিউশনে ডেলিভারি করা হয়, সেখানে গড়ে ৬ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হয়৷ যখন সি-সেকশন করতে হয়, তখন এই খরচটা গড়ে ২১ হাজার টাকা হয়ে যায়৷ এটা মানুষের উপর অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে৷”

২০১৭ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশে সিজারিয়ান প্রসবের সংখ্যা শতকরা ৩১ ভাগ, যা বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত হারের দ্বিগুনেরও বেশি৷ তাদের নির্ধারিত হার অনুযায়ী, এই সংখ্যা হতে পারে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ৷

নানা কারণে সিজারিয়ানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল৷

প্রাইভেট ক্লিনিকের অর্থলিপ্সার কারণে বাংলাদেশে সিজারিয়ানের সংখ্যা বাড়ার কথা জানান চিকিৎসক কাজল৷ ‘‘সিজারিয়ান বাড়ার প্রথম কারণটা কিন্তু অর্থনৈতিক৷ ৯৫ ভাগ ক্লিনিকের আয়ের উৎস সিজারিয়ান অপারেশন,” ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০১৪ (বিডিএইচএস)-এর এক তথ্যানুযায়ী, দেশে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ১০টির মধ্যে ৬টি শিশুরই জন্ম হচ্ছে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে৷ এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ অস্ত্রোপচার হচ্ছে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে৷ সমাজে সবচেয়ে শিক্ষিত ও সচ্ছল পরিবারের ৫০ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে অস্ত্রোপচারে৷ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান এবং সচ্ছল পরিবারে এই হার অনেক বেশি৷

সিজারিয়ানের সংখ্যা কমানোর জন্য চিকিৎসকদের বিবেক জাগ্রত করার উপর গুরুত্ব দিয়ে ডা. কাজল বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের বিবেক যদি না জাগে, এটা বন্ধ করা যাবে না৷ আর ক্লিনিকগুলোতে সিজারিয়ান অপারেশনগুলো মনিটরিংও করতে হবে৷ কেন করল, অন্য উপায় নিয়েছে কিনা, সেটা দেখতে হবে৷ মাসে সে কতগুলো সিজারিয়ান করল কোন ক্লিনিক প্রভৃতি৷”

একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালে বিশ্বাসযোগ্যতায় আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে রেটটা অনেক কম৷ সরকার চেষ্টা করছে, নার্স রেখে, মিডওয়াইফ রেখে, তাদেরকে প্রণোদনা দিয়ে স্বাভাবিক পথে ডেলিভারি করতে উদ্বুদ্ধ করতে৷”

ক্লিনিকগুলোর ফাঁদে পড়ে কিংবা চিকিৎসকদের অসাবধানতায় প্রথমবার সিজারিয়ান করার ফলে দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের সময় বাধ্য হয়েই আগের পথে হাঁটতে হচ্ছে বলে মনে করেন ডা. কাজল৷

‘‘প্রথমবার যখন কারো সিজারিয়ান অপারেশন করে ফেলে, তখন বাধ্য হয়েই দ্বিতীয়বার সন্তান প্রসবের সময় সিজারিয়ান করতে বাধ্য হচ্ছে ডাক্তাররা৷ কারণ, যদি প্রসব বেদনার সময় হাসপাতালে সব ধরনের সুবিধা না থাকে, তাহলে দ্বিতীয়বার সিজারিয়ান ছাড়া প্রসবের ঝুঁকি নেয়া যায় না,” বলেন তিনি৷

‘‘প্রথমবার যেহেতু লক্ষ লক্ষ মায়ের ক্ষেত্রে সিজারিয়ান হয়ে গেছে, তখন দ্বিতীয় বাচ্চার ক্ষেত্রেও তাদের সিজার হবে৷ সে কারণে রেটটা দিন দিন বাড়তে থাকবে৷ এমন একটি চক্রের মধ্যে পড়েছি আমরা৷”

প্রথমবার সিজারিয়ানের পর দ্বিতীয়বার স্বাভাবিক প্রসবে ঝুঁকি ব্যাখ্যা করে ডা. কাজল বলেন, ‘‘কোনো কারণে প্রসব বিলম্বিত হলে মায়ের জরায়ু ফেটে যেতে পারে, তখন তাৎক্ষণিকভাবে অপারেশন না করলে মায়ের মৃত্যু হতে পারে৷ এই বিপদের কারণে বিদেশে সিজারিয়ান রোগীকে দ্বিতীয়বার স্বাভাবিকভাবে প্রসবের ঝুঁকি নিলেও সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশে নেওয়া সম্ভব হয় না৷”

আইসিডিডিআর,বির গবেষণায় উঠে এসেছে, ৩৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মায়েরা অন্যদের তুলনায় বেশি খরচ করছেন৷ অন্যদিকে, শহুরে নারীদের মধ্যে যারা শিক্ষিত এবং জন্মদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন, তাঁরাও এই বেশি খরচের পথই ধরছেন৷

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব হেলথ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে আইসিডিডিআর,বির ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে৷

মায়েদের মধ্যে প্রসব নিয়ে ভীতি কাজ করাকে সিজারিয়ান বাড়ার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করছেন চিকিৎসক কাজল৷ ‘‘আমাদের মায়েরা রিস্ক নিতে চায় না৷ এ কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রসূতি মায়েদের জন্য ২৪ ঘন্টা একই মানের সেবা থাকতে হবে,” বলেন তিনি৷

মানুষের মধ্যে সিজারিয়ান নিয়ে ভীতি আছে বলে মনে করছেন অনেকে৷ ‘‘গ্রামে ভীতি তৈরি হয়েছে৷ অনেকে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যায় না৷ তারা বলে, আমি গেলেই তো সিজার করে দেবে,” বলেন চিকিৎসক কাজল৷

‘‘এই যে একটা ভুল মেসেজ এবং ভীতি ঢুকে গেছে, এটা খুবই খারাপ৷ আমরা চাচ্ছি, শতভাগ মা গর্ভকালীন সময়ে আমাদের পরিচর্যায় থাকুক৷ কিন্তু এই একটা ভীতি তৈরি হচ্ছে, গেলেই তো আমার সিজার করে দেবে৷ এই একটা ভীতি ঢুকে যাচ্ছে, এটা যে কত খারাপ ঘটনা চিন্তা করার মতো না৷”

এসএইচ-২৮/২০/১৯ (মাসুম বিল্লাহ, ডয়চে ভেলে)

বিনামূল্যের দিন শেষ, কমেন্ট দেখতেও টাকা লাগবে ফেসবুকে!

ফেসবুকে এবার বিনামূল্যের দিন শেষ হচ্ছে। কমেন্টসহ কয়েক ধরনের বিশেষ কনটেন্ট দেখতে টাকা কাটবে ফেসবুক। পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম।

ফুটবল থেকে কমেডি, পড়াশোনা থেকে রান্নাবান্না- এ ধরনের অনেক ফেসবুকে গ্রুপ আমরা ফলো করে থাকি।

নতুন এই নিয়মে কয়েক ধরনের গ্রুপে এবার নির্দিষ্ট এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট দেখতে হলে গ্রুপের সদস্যদের টাকা দিয়ে তা দেখতে হবে।

প্রাথমিকভাবে রান্নাবান্না, সন্তান প্রতিপালন, ঘর পরিষ্কার ইত্যাদি বিষয়ক প্রাইভেট গ্রুপে এই নিয়ম চালু হচ্ছে।

তবে আপাতত খুব বেশি গ্রুপের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর অ্যালেক্স ডেভ।

এই নতুন নিয়মে গ্রুপ অ্যাডমিনরা চাইলে সদস্য প্রতি মাসে ২ হাজার টাকারও বেশি চাওয়ার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে কেউ এই টাকা দিলে তবেই দেখতে পারবে ওই নির্দিষ্ট ছবি বা ভিডিও।

এসএইচ-২৭/২০/১৯ (প্রযুক্তি ডেস্ক)