রাত ১১:৪৯
রবিবার
১৯ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৫ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান ১৬৫০ মিটার

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর একাদশ স্প্যান বসানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে সেতুর ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি পুরোপুরি বসানো হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো সেতুর ১ হাজার ৬৫০ মিটার।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার তিয়ান-ই ভাসমান ক্রেনে করে স্প্যানটি আনা হয় জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে ।

স্প্যানটি ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে স্প্যানটি সেতুর ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান, ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর ষষ্ঠ স্প্যান ও ২০ ফেব্রুয়ারি ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর সপ্তম স্প্যান, মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর অষ্টম স্প্যান, জাজিরা প্রান্তে ২১ মার্চ ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর নবম স্প্যান এবং সর্বশেষ মাওয়া প্রান্তে গত ১০ এপ্রিল ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর দশম স্প্যানটি বসানো হয়।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে মোট ২৯৪টি পাইল আছে, যার মধ্যে নদীতে ২৬২টি পাইল। মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪৭টি পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। ২৯৪টি পাইলে মোট ৪২টি পিলার। সেতুতে মোট স্প্যান বসবে ৪১ টি।

বিএ-০৩/২৩-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

আমদানি-রফতানি বন্ধ সোনামসজিদ বন্দরে

ভারতের মোহদিপুর এলাকায় লোকসভা নির্বাচনের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই স্থলবন্দরে কোনো পণ্যবোঝাই ট্রাক প্রবেশ করেনি।

নির্বাচন উপলক্ষে ভারতের মোহদিপুর স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী ভূপতি মণ্ডল স্বাক্ষরিত চিঠিতে আজ আমদানি-রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। ফলে এ বন্দর দিয়ে পণ্যবোঝাই কোনো ট্রাক ভারতে প্রবেশ করেনি এবং সোনামসজিদ বন্দর থেকে কোনো পণ্য রফতানি হয়নি।

এদিকে সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মেসবাহ জানান, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও সোনামসজিদ বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে পণ্যবোঝাই ট্রাক। স্বাভাবিক রয়েছে লোড-আনলোড কার্যক্রম। অন্যদিকে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

বিএ-০২/২৩-০৪ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

ভোটার বৃদ্ধি করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব না

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি অংশ না নেয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। ভোটার বৃদ্ধি করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়, কমিশন শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকে। ভোটার আনা প্রার্থীদের কাজ।

মঙ্গলবার দুপর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সদর উপজেলার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, রোহিঙ্গারা দেশে প্রবেশের পর তাদের আঙুলের ছাপ পুলিশ প্রশাসন নিয়ে রেখেছে। যে কারণে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভুল তথ্য বা আঙুলের ছাপ দিয়ে তারা ভোটার হতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, এখন একজন ব্যক্তি একবারই ভোটার হতে পারবেন। আগে একজন ব্যক্তি একাধিকবার ভোটার হতে পারতেন কিন্তু এখন সে সুযোগ নেই। এখন সব বায়োমেট্রিক। সুতরাং নিজের পরিচয় গোপন রেখে ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় প্রতীক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক, নির্বাচন কমিশনের নয়।

জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি, সিভিল সার্জন ডা. মো. রহিম বকস, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএ-০১/২৩-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

যৌন হয়রানিবিরোধী কমিটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন

নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার প্রেক্ষাপটে ১০ বছর আগে আদালতের একটি নির্দেশনার বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)৷ নির্দেশনা অনুযায়ী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি করতে হবে৷

তবে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ এবং কোনো ঘটনা ঘটার পর তড়িঘড়ি করার সংস্কৃতির কারণে এবারের সরকারি উদ্যোগ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে৷

‘‘কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমরা একটা তৎপরতা দেখি৷ এবারও নুসরাতের ঘটনার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে, যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি করতে হবে৷ এই কমিটি হচ্ছে কি-না, তারা ঠিকমতো কাজ করছে কি-না– এসব নিয়ে কোনো ধরনের মনিটরিং নেই৷ শুধু দায় এড়াতে পরিপত্র জারি করলে তো হবে না,” বলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এখানে সরকারের গাফিলতির ব্যাপার আছে৷ এখানে সরকারকেই আন্তরিক হতে হবে৷ বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে৷ তারা উদ্যোগী হলে এই ধরনের ঘটনা কমে আসবে৷”

যেই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে হাই কোর্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে নীতিমালা করে দিয়েছিল, সেই রিটকারীদের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সারা৷

আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় নানা দিক থেকে যৌন হয়রানি সরকারের স্বদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে৷ এর মধ্যে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি হলেও বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগ নেয়নি৷ আর স্কুল-কলেজগুলোতে ওই কমিটি নেই৷

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো হেনস্তার শিকার হন৷ এরপর নিপীড়ক অধ্যক্ষের নির্দেশে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে৷ ওই ঘটনার পর আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি গড়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে৷

এরপর বৃহস্পতিবার জারি করা একটি পরিপত্র সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয় মাউশি৷ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, ‘‘মহামান্য হাই কোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং এর আওতাধীন অফিস ও দেশের সকল সরকারি/বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে৷

এ আদেশ মোতাবেক প্রতিটি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে৷ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি কমিটি গঠন করে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে৷”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সালে প্রথম যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা ও আইন করার দাবি উঠেছিল৷ ওই সময় ছাত্র-শিক্ষকরা মিলে একটি নীতিমালার একটি খসড়া জমা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে৷ এরপর বিভিন্ন সময়ে নারী নির্যাতনের ঘটনায় নানা জায়গা থেকে একই দাবি আসতে থাকে৷

দীর্ঘ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির তখনকার নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী৷ এরপর ২০০৯ সালের ১৪ মে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেন (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কর্মেক্ষেত্রে ও শিক্ষাক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি দিকনির্দেশনামূলক রায় দেন৷

সেই দিকনির্দেশনার পাশাপাশি কেন নতুন আইন বা বিধিমালা প্রণয়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট৷

১০ বছরেও ২০০৯ সালের আদেশের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশার কথা জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক৷ তিনি বলেন, ‘‘আদালতের এমন চমৎকার আদেশ থাকার পরও এটার বাস্তবায়ন হচ্ছে না, অথচ এই কমিটিগুলো তৈরি করে সচল করা গেলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি অনেকাংশেই বন্ধ করা যেতো৷”

মাদ্রাসাগুলোতে যৌন হয়রানি ঠেকাতে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের উদ্যোগ না থাকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘সমস্যা হচ্ছে মাদ্রাসা৷ সেখানে মাদ্রাসা বোর্ড আছে, তারা কঠোর হলেই আজ নুসরাতকে জীবন দিতে হতো না৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবস্থা আরো খারাপ৷ উচ্চ আদালতের আদেশ তো আইন, সরকারের উচিত যাতে সেটা সবাই মান্য করে, সে ব্যাপারে ব্যাবস্থা নেওয়া৷”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমও আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিথিলতার সমালোচনা করেন৷ ‘‘আদালতের আদেশ আছে, কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই তো এটা মানছে না৷ শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে তো উদ্যোগ নিতে পারে৷ কিন্তু তারাও কিছু করছে না,” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক৷

‘‘আর মাদ্রাসা তো নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠান, সেখানে চাইলেই বাইরের কেউ ঢুকতে পারেন না৷ ফলে সেখানে কী হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ, সেটা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই৷ এখন একটা ঘটনা ঘটে গেছে, সবাই এটা নিয়ে কথা বলছে৷ আসলে আমাদের মূল জায়গাটা হলো আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে৷ সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক আর স্কুলই হোক৷”

এসএইচ-০৫/২৩/১৯ (সমীর কুমার দে, ডয়চে ভেলে)

শখ কেন অভিনয় করেন না

একটা সময় ছিলো শহরের রাজপথে চোখ রাখলেই বাহারি সব বিলবোর্ডে হাসিমুখে দেখা যেত তাকে। অলংকার, টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানসহ নানা রকম পণ্যের মডেল হয়ে বিলবোর্ডকে রঙিন করে রাখতেন তিনি।

টিভি খুললেই প্রায় সব চ্যানেলেই দেখা মিলতো তার। কখনো বিজ্ঞাপনে, কখনো বা নাটক-টেলিছবিতে। নানান পণ্যের প্রচারণায় দেয়া বিজ্ঞাপনের সৌজন্যে পত্রিকার পাতাজুড়েও ছিলো তার রাজত্ব। জনপ্রিয়তায় ছুঁয়েছিলেন ওই আকাশটাকেই। তিনি মডেল ও অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ।

অবাক করা ব্যাপার হলো দীর্ঘদিন ধরেই কোনো খবরে নেই তিনি। সর্বশেষ তিনি ‘ডি ২০’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকে শুটিং করেছেন। এরপর আর দেখা যায়নি নতুন কোনো কাজে প্রায় এক বছর হতে চললো। দিনে দিনে নিজেকে যেন আড়াল নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শোবিজের মানুষদের সঙ্গেও যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছেন।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বনভোজন গেল। সেখানে অনেকদিন ধরে আড়ালে থাকা শিল্পী-তারকাদেরও দেখা মিলেছে। কিন্তু শখের মুখ দেখেননি কেউ।

চলছে ঈদের কাজের ব্যস্ততা। সারা বছর ধরে কাজে থাকেন না এমন অনেক অভিনয়শিল্পীরাও ঈদ উপলক্ষে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু শখের নতুন কোনো কাজের খবর এখনো আসেনি। তবে শোবিজ থেকে বিদায় নিয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী?

কোথায় আছেন শখ? কী করছেন তিনি? এই প্রশ্নের সন্ধানে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কোনা সাড়া মেলেনি। তার ব্যবহার করা একটি ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। অন্য আরেকটি নম্বরে বেশ কয়েকবার রিং হয়ে ওয়েলকাম টিউনে হিন্দি গান শোনার পর সেটি রিসিভ করেন শখের মা শাহিদা কবির।

তিনি বলেন, ভালোই আছেন শখ। তবে তার মেয়ে শোবিজের কাজে ফিরবেন কী সে বিষয়ে কিছু বলতে পারলেন না।

তিনি মঙ্গলবার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, ‘শোবিজ ছেড়ে দেয়ার কোনো কারণ তো নেই। আসলে আমি অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলাম। আমার দেখাশোনা শখকেই করতে হয়েছে। খুব একটা বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি ওর। সেজন্যই দীর্ঘদিন শোবিজে বিরতি পড়ে গেছে।

হয়তো দ্রুতই আবার অভিনয়ে ফিরবে। সেটা অবশ্য শখই ভালো বলতে পারবে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

শখের ফোন নম্বর বন্ধ রয়েছে জানালে শাহিদা কবির বলেন, হয়তো কোনো কাজে রয়েছেন তাই ফোন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবেদক গেল দুইদিন ধরেই ওই নম্বরটি বন্ধ পাচ্ছেন।

এদিকে শখের কাজে ফেরার খবর জানতে বেশ ক’জন নাট্য নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো তথ্য মিলেনি। তারা জানান, শখের সঙ্গে যোগাযোগ নেই অনেকদিন। নাটকে এখন অনেক শিল্পী। কেউ একটু আড়ালে গেলে তাকে আর কেউ মনে রাখে না। শখ কোনো নির্মাতার সঙ্গে কাজ করছেন কী না সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই তাদের কাছে।

এসএইচ-০৪/২৩/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)

শজনে তরকারি সারাবে হাজারো রোগ

শজনে তরকারি

শজনে দেখতে সবুজ রঙের লম্বা আকৃতির। আর ফুলগুলো হয় হলুদ রঙের । শজনের কচিপাতা, ফুল, ও শজনে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শজনের তরকারি খেতে খুবই সুস্বাদু।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শজনে ফুল ও ডাঁটা অত্যন্ত উপকারী। তাই প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন শজনে।

শজনে ডাঁটা গ্রীষ্মকালীন সবজি। শজনে দিয়ে অনেক ধরনের তরকারি রান্না করা যায়। শজনে ডাঁটা দিয়ে রান্না করা মজাদার তরকারি শুধুমাত্র স্বাদেই ভরপুর না, এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।

গরমের সময় অনেকে পেটের সমস্যায় ভোগেন। পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, বদহজম ও পেটে ব্যথা হলে শজনের তৈরি তরকারি খুব উপকারী। কারণ শজনের তরকারি হজমে সহায়তা করে। এটি পেটের সমস্যা নিরসনে সহায়তা করে।

এছাড়া শজনে ডাঁটা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও যাদের কোলেস্টোরেলের সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি খুব উপকারী। শজনে ডাঁটা কোলেস্টোরেল কমাতে সহায়তা করে।

দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যা, প্রাথমিক অবস্থায় টিউমারের প্রতিষেধক,বাঁতের ব্যথা ও হেঁচকি, আঘাত লেগে ফুলে যাওয়া ছাড়া শজনে আপনার রসনাতৃপ্তি মেটানোর পাশাপাশি দেবে পুষ্টি, রাখবে সুস্থ। পুষ্টিগুণে ভরা শজনে রাখুন আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকায়।

আসুন জেনে নেই কীভাবে রান্না করবেন মসুর ডালে শজনে ডাঁটা।

উপকরণ

শজনে ডাঁটা- কেজি খানেক, মসুর ডাল- আধা কাপ, টমেটো ১ টা, কাঁচা মরিচ – কয়েকটা, পেঁয়াজ কুচি- আধা কাপ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, রসুন কুচি- ২ টেবিল চামচ (বাগার দেয়ার জন্য), গুঁড়া মরিচ – ১ চামচ (ঝাল কেমন চান তা বুঝে), গুঁড়া হলুদ – আধা চামচ, ধনিয়া পাতা – আধা চামচ, লবণ- পরিমাণমতো, তেল- পরিমাণমতো।

প্রণালী

শজনে ডাঁটা কিনতে হবে দেখেশুনে।মসুর ডাল ভালো করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন, এতে রান্নায় সময় বাঁচবে।

তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা ভেজে তাতে মরিচ হলুদ গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন। তেল আলাদা হলে এক কাপ পানি দিয়ে দিন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন।

এবার ডাল দিন এবং ভালো করে নেড়ে কষিয়ে নিন। আরো এক কাপ পানি দিয়ে করে সিদ্ব করুন। প্রয়োজনে আরো কিছু পানি দিতে পারেন এবং রঙ আপনার মনের মত হলে তাতে টমেটো ফালি করে দিয়ে দিন।

ডাল না গললে ঘুটা দিতে পারেন। ব্যস হয়ে গেল মসুর ডাল রান্না!

ডাল হয়ে গেলে তাতে শজনে ডাঁটা দিয়ে দিন। শজনে ডাঁটা সিদ্ব হতে মিনিট বিশেক সময় নিতে পারে। প্রয়োজনে ডাকনা দিয়ে হালকা আঁচে রাখুন।ঘরে ধনিয়া পাতা থাকলে দিন। ঘ্রান ও স্বাদ আরো বেড়ে যাবে।

অন্য একটা কড়াইয়ে সামান্য তেল নিয়ে ভাল করে গরম করুন এবং রসুন ভাঁজুন। হালকা হলুদ হলে তাতে সাজনের ডাল দিয়ে দিন। এটা হচ্ছে বাগার। স্বাদ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

প্রয়োজনে আরো কিছু সময় হালকা আঁচে রাখুন ও লবণ দেখুন। হয়ে গেল ডাল দিয়ে শজনে ডাঁটা।

আরএম-১১/২৩/০৪ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

সাকিব-কন্যা মানুষের সেবা করতে ডাক্তার হতে চান (ভিডিও)

বয়সটা এখনো ৪ হয়নি, কিছুদিন আগে উদযাপন করেছেন তৃতীয় জন্মদিন। অথচ এ বয়সেই কিনা জীবনের লক্ষ্যও ঠিক করে ফেলেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের একমাত্র কন্যা আলায়না হাসান অব্রি।

চিকিৎসা বিদ্যার প্রতি আলায়নার আগ্রহের কথা আগেও জানিয়েছিলেন তার মা, সাকিব-পত্নী উম্মে শিশির আহমেদ। এবার তিনি সে খবর সবাইকে জানালেন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় নিজের ডাক্তার হওয়ার বাসনার কথা প্রকাশ করেন আলায়না।

শিশিরের ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড দেয়া ৬ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে আলায়নাকে শুদ্ধ ইংরেজিতে বলতে শোনা যায়, ‘আই ওয়ান্না বি অ্যা ডক্টর। আই ওয়ান্না হেল্প পিপল।’ তার ভাষ্য বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘আমি ডাক্তার হতে চাই। আমি মানুষকে সাহায্য করতে চাই।’

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আলায়নার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান শিশির। যেখানে তিনি লিখেন, ‘আমার ৩ বছরের বাচ্চার সঙ্গে কথোপকথন, অব্রি: মা, আমি প্রতিদিন ব্রাশ করি যাতে আমার দাঁতে ক্যাভিটি না হয়। মা, তুমি আমাকে স্টেথোস্কোপ কিনে দিও। আমি ডাক্তার হতে চাই। আমি তার এ কথা শুনে শুধুই ভাবছিলাম যে তার বয়সে এ দুইটি শব্দের ব্যাপারে জানতামই না আমি।’

উল্লেখ্য, বাবা সাকিব আল হাসানের আইপিএলের খেলা দেখতে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন সাকিব-কনা এবং পত্নী। তারা উভয়েই সোমবার রাত সোয়া ৮টায় ফিরে এসেছেন দেশে। সঙ্গে ছিলেন সাকিবের গুরুতুল্য কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

https://www.facebook.com/sakib.ummeyalhasan/videos/1238013223034535/

এসএইচ-০৩/২৩/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

রাগলে মাথা ঠাণ্ডা রাখবে যেসব খাবার

রাগলে মাথা ঠাণ্ডা

বাইরে রোদের তীব্রতা বেড়েছে খুব। এখন বাইরে বের হলে সঙ্গে ছাতা ও পানি রাখতে হবে। কারণ গরমে মেজাজ ঠিক থাকার কথা নয় কারো। এই গরমে একটুতে অনেক রাগ হয় আপনার। এছাড়া রাগে অনেক সময় হিটস্ট্রোক হওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই এই গরমে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সুস্থ সময়ে আপনার থেকে ভালো ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ খুঁজে পাওয়া সহজ। কিন্তু রেগে গেলে সর্বনাশ। রাগ কিন্তু ডেকে আনে নানা শারীরিক বিপদও। স্ট্রোকও ডেকে আনতে পারে।যখন তখন হিতাহিত জ্ঞানশূন্য রাগ মাথার ওপর চাপ ফেলে। রক্তচাপ বাড়ায়। মনে রাখবেন রাগ মানুষের অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই রাগ নয়, মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।

তবে এমন কিছু খাবার আছে যা আপনার গরমে মাথা ঠাণ্ডা রাখবে।

কলা

কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম থাকে। এই দুই উপাদান স্নায়ুকে শান্ত করে। ফলে চট করে রেগে যাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়।

আলু

আলুতে কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন বি থাকে, যা রক্তচাপ কমায় ও স্ট্রেস কমায়। রাগ কমাতে সেদ্ধ আলু খান।

আইসক্রিম

মেজাজ ভালো রাখতে আইসক্রিম খান। এটি থ্রমবোটনিন হরমোন ক্ষরণ করতে সাহায্য করে। এই হরমোন ক্ষরণে মন খুশি থাকে।

আপেল ও পিনাট বাটার

আপেলে কার্বহাইড্রেট থাকে আর পিনাট বাটার ফ্যাটসমৃদ্ধ। এই দুইয়ের সঙ্গে মিশেলে কমতে পারে রাগ। তাই আপেলের সঙ্গে পিনাট বাটার মাখিয়ে খেতেই পারেন।

গ্রিন টি

মাথা ঠাণ্ডা রাখতে গ্রিন টির জুড়ি নেই। কোনও দিন মেজাজ খারাপ থাকার জন্য যদি কাজে মন না দিতে পারেন, তাহলে এক কাপ গ্রিন টি খেয়ে নিন।

চকোলেট

যারা চট করে রেগে যান তারা চকোলেট খেতে পারেন। চকোলেট স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। ফলে মাথা শান্ত থাকে। ডার্ক চকোলেট খেলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।

আরএম-১০/২৩/০৪ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা)

বিয়ে করতে যাত্রী নিয়ে বরের বাড়িতে কনে (ভিডিও)

বিয়ে সাধারণত হয় কনের বাড়িতে। বরযাত্রী নানা বর্ণাঢ্য আড়ম্বরে কনের বাড়িতে যায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য। কিন্তু বরের বাড়িতে যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে গেলেন কনে; এমনটা সম্ভবত আগে শোনা যায়নি। প্রথা ভেঙে বিয়ের এমন ঘটনাই ঘটলো ভারতের মধ্যপ্রদেশে।

মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক তরুণী এমন করেই বিয়ে করেছেন। যুগের হাওয়া বদল আর নারী স্বাধীনতার এই সময়ে বিয়ের প্রথাতেও যে পরিবর্তন আসছে এটাই তার উদাহরণ। তবে শুধু বর-কনে নয় বিয়ের এমন সিদ্ধান্তে সম্মতি ছিল উভয় পরিবারের।

ঘটনাটি গত ১৯ এপ্রিলের। বিয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ছাদ খোলা গাড়িতে ঢোলের তালে নেচে বরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করেছেন ওই তরুণী।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কনের নাম গরিমা গুপ্ত। গরিমা তার পরিবারের সবচেয়ে ছোট মেয়ে। তাই তার আবদার মতো বিয়েতে চমক হিসেবে অভিনব এই আয়োজন। তাতে বর ও কনে উভয় পক্ষের পরিবারও খুশি।

গরিমা গুপ্ত তার পরিবারের সবাইকে নিয়েই বিয়ে করতে যান। বরের বাড়ির উদ্দেশে ‘কনেযাত্রীর’ সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতেই তুমুল আলোচনা শুরু হয়। ভিডিওটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, নানা রকমের ফলু দিয়ে সজ্জিত একটি জিপ গাড়িতে করে যাচ্ছেন কনে। তার পেছনে বসে আছেন কনের বান্ধবী ও বোনেরা। কনে বসেছেন জিপের বনেটে। সানগ্লাস ঢোলের তালে কোমর দোলাচ্ছেন। সঙ্গে আছেন তার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা।

https://www.facebook.com/SatnaMpPatrika/videos/2364252636928470/

এসএইচ-০২/২৩/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

ইঁদুরের উৎপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায়

ইঁদুরের উৎপাত থেকে

ইঁদুর ঘরে ঢুকে জামা-কাপড়, বই-খাতা, খাবার আসবাবপত্র শুধু নষ্ট করে তা নয় সঙ্গে রোগ ব্যধি ছড়ায়। কীটনাশকের সাহায্যে ইঁদুর সাময়িক দূর হলেও, কিছু দিন পরেই আবার শুরু হয় আক্রমণ। ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

ইঁদুর চোখে পরিস্কার দেখতে পারে না ঠিকই কিন্তু এদের নাক খুব স্বতেজ। তাই ইঁদুরের বাসস্থানের মধ্যে একটুকরো পেঁয়াজ রেখে দিন। দেখবেন ইঁদুর পালিয়ে গিয়েছে।

লবঙ্গের ঝাঁঝালো গন্ধ ইঁদুরের খুব অপ্রিয়। একটি নরম কাপড়ে বেশ কয়েকটি লবঙ্গ জড়িয়ে ঘরের যে সব জায়গায় ইঁদুরের উৎপাত বেশি সেখানে রেখে দিন। ইঁদুর দূর হয়ে যাবে

ইঁদুর মারতে আপনারা নিজেদের চুল ব্যবহার করতে পারি। চুলগুলোকে ওদের বাসস্থানে রেখে দিলে দেখতে না পেয়ে খেয়ে ফলে,খাওয়ার পরে ইঁদুর মরে যায়।

ইঁদুর লঙ্কার ঝাঁজ সহ্য করতে পারে না। নরম কোনও কাপড়ে লঙ্কাগুঁড়ো ভরে নিন। এ বার ঘরের যে সব জায়গা দিয়ে ইঁদুর প্রবেশ করে সেখানে রেখে দিন, ইঁদুর আর ঘরমুখো হবে না।

পিপারমিন্ট তেলে তুলো ডুবিয়ে রাখুন । পিপারমিন্টের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না ইঁদুর। পুদিনা পাতা গুঁড়ো করেও ঘরের বিভিন্ন জায়গায়, রাখলে তা সহজেই দূর হবে ইঁদুরের উৎপাত।

বেকিং সোডার গন্ধ ইঁদুরের খুব অপছন্দের। ঘরের বিভিন্ন কোণায় বেকিং সোডার ছড়িয়ে দিয়ে ইঁদুরের প্রবেশ বন্ধ করুন।

আরএম-০৯/২৩/০৪ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)