ভোর ৫:০১
বৃহস্পতিবার
৯ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২৫ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১ লা জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

নুসরাত হত্যায় অর্থের যোগানদাতাদের সন্ধানে সিআইডি

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনা চাপা দিতে অর্থ লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট (সিআইডি)। এ হত্যায় অর্থের যোগানদাতাদের সন্ধানে মাঠে নেমেছে তারা। ইতোমধ্যে অর্থ যোগানদাতা হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম সিআইডির হাতে এসেও পৌঁছেছে।

শনিবার সকালে ঢাকার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সম্মেলনে সিআইডির সিনিয়র সহকারী বিশেষ পুলিশ সুপার শারমিন জাহান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে অর্থের লেনদেন করা হয়েছে। আমরা সেই অভিযোগেরই তথ্য প্রমাণ পেয়েছি। অর্থ লেনদেনে জড়িত ও অর্থ যোগানদাতাদের খুঁজে বের করতে এরইমধ্যে অভিযান চলছে।

তবে নুসরাত হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে, সিআইডি তাদের নাম প্রকাশ করেনি। এরইমধ্যে এসব লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সেসব ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করছে সিআইডি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের গ্রেফতার করা হবে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজহারের ৮ জন গ্রেফতারসহ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৪ জন। ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকেও আটক করেছে পিবিআই। রুহুল আমিন নুসরাতের প্রতিষ্ঠান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি। এই কমিটি অবশ্য শুক্রবারই বাতিল হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তাকে যৌন নিপীড়ন করে বলে অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদি হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল।

গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় নুসরাত। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেয়া হয়। এ সময় তাকে মামলা তুলে নেয়ার কথা বলে ভয় দেখানো হয়। পরে সেখানে বোরকা পরিহিত ৪/৫ ব্যক্তি নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১০ এপ্রিল তিনি মারা যান নুসরাত। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে নুসরাতকে দাফন করা হয়।

এসএইচ-২৯/২০/১৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সিজারিয়ান বাড়ছে যে সব কারণে

বিশ্বব্যাপী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসব সিজারিয়ান বা সি-সেকশনে করানোর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও৷ কিন্তু বাংলাদেশে সেই সীমা ছাড়িয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে৷

দিন দিন বাড়ার জন্য সিজারিয়ান বেসরকারি ক্লিনিকের অর্থলিপ্সা, সরকারি ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু না হওয়া এবং ডাক্তারদের নৈতিকতার ঘাটতিকে দায়ী করছেন গবেষকরা৷

অনেক সময় বাধ্য হয়ে সিজারিয়ান করানোর ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপর বড় রকমের অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে বলে উঠে এসেছে আইসিডিডিআর,বির এক গবেষণায়৷

ওই গবেষণায় উঠে আসে বাংলাদেশে বিভিন্ন পরিবার সম্ভবত তাদের আয়ের সবচেয়ে বড় অংশ খরচ করছে বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে৷ কাউকে কাউকে ঋণ করে কিংবা সঞ্চয় ভেঙেও এই খরচ করতে হচ্ছে৷

ওই গবেষণায় দেখা গেছে, সিজারিয়ানের ক্ষেত্রে তাদের গড়ে খরচ পড়ছে ২৫০ ডলার, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে যে খরচ মাত্র ৬০ ডলার৷

এভাবে বাচ্চা প্রসবে খরচ বৃদ্ধি বাংলাদেশের ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার’ অর্জনে বড় বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ওই গবেষণায়৷

বাংলাদেশে সিজারিয়ান নিয়ে আইসিডিডিআর,বির ওই গবেষণা দলের প্রধান ডা. আবদুর রাজ্জাক সরকার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাড়িতে ডেলিভারি করা হলে মাত্র ১৪শ টাকা খরচ হয়৷ যখন সরকারি ইনস্টিটিউশনে ডেলিভারি করা হয়, সেখানে গড়ে ৬ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হয়৷ যখন সি-সেকশন করতে হয়, তখন এই খরচটা গড়ে ২১ হাজার টাকা হয়ে যায়৷ এটা মানুষের উপর অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে৷”

২০১৭ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশে সিজারিয়ান প্রসবের সংখ্যা শতকরা ৩১ ভাগ, যা বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত হারের দ্বিগুনেরও বেশি৷ তাদের নির্ধারিত হার অনুযায়ী, এই সংখ্যা হতে পারে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ৷

নানা কারণে সিজারিয়ানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল৷

প্রাইভেট ক্লিনিকের অর্থলিপ্সার কারণে বাংলাদেশে সিজারিয়ানের সংখ্যা বাড়ার কথা জানান চিকিৎসক কাজল৷ ‘‘সিজারিয়ান বাড়ার প্রথম কারণটা কিন্তু অর্থনৈতিক৷ ৯৫ ভাগ ক্লিনিকের আয়ের উৎস সিজারিয়ান অপারেশন,” ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০১৪ (বিডিএইচএস)-এর এক তথ্যানুযায়ী, দেশে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ১০টির মধ্যে ৬টি শিশুরই জন্ম হচ্ছে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে৷ এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ অস্ত্রোপচার হচ্ছে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে৷ সমাজে সবচেয়ে শিক্ষিত ও সচ্ছল পরিবারের ৫০ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে অস্ত্রোপচারে৷ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান এবং সচ্ছল পরিবারে এই হার অনেক বেশি৷

সিজারিয়ানের সংখ্যা কমানোর জন্য চিকিৎসকদের বিবেক জাগ্রত করার উপর গুরুত্ব দিয়ে ডা. কাজল বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের বিবেক যদি না জাগে, এটা বন্ধ করা যাবে না৷ আর ক্লিনিকগুলোতে সিজারিয়ান অপারেশনগুলো মনিটরিংও করতে হবে৷ কেন করল, অন্য উপায় নিয়েছে কিনা, সেটা দেখতে হবে৷ মাসে সে কতগুলো সিজারিয়ান করল কোন ক্লিনিক প্রভৃতি৷”

একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালে বিশ্বাসযোগ্যতায় আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে রেটটা অনেক কম৷ সরকার চেষ্টা করছে, নার্স রেখে, মিডওয়াইফ রেখে, তাদেরকে প্রণোদনা দিয়ে স্বাভাবিক পথে ডেলিভারি করতে উদ্বুদ্ধ করতে৷”

ক্লিনিকগুলোর ফাঁদে পড়ে কিংবা চিকিৎসকদের অসাবধানতায় প্রথমবার সিজারিয়ান করার ফলে দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের সময় বাধ্য হয়েই আগের পথে হাঁটতে হচ্ছে বলে মনে করেন ডা. কাজল৷

‘‘প্রথমবার যখন কারো সিজারিয়ান অপারেশন করে ফেলে, তখন বাধ্য হয়েই দ্বিতীয়বার সন্তান প্রসবের সময় সিজারিয়ান করতে বাধ্য হচ্ছে ডাক্তাররা৷ কারণ, যদি প্রসব বেদনার সময় হাসপাতালে সব ধরনের সুবিধা না থাকে, তাহলে দ্বিতীয়বার সিজারিয়ান ছাড়া প্রসবের ঝুঁকি নেয়া যায় না,” বলেন তিনি৷

‘‘প্রথমবার যেহেতু লক্ষ লক্ষ মায়ের ক্ষেত্রে সিজারিয়ান হয়ে গেছে, তখন দ্বিতীয় বাচ্চার ক্ষেত্রেও তাদের সিজার হবে৷ সে কারণে রেটটা দিন দিন বাড়তে থাকবে৷ এমন একটি চক্রের মধ্যে পড়েছি আমরা৷”

প্রথমবার সিজারিয়ানের পর দ্বিতীয়বার স্বাভাবিক প্রসবে ঝুঁকি ব্যাখ্যা করে ডা. কাজল বলেন, ‘‘কোনো কারণে প্রসব বিলম্বিত হলে মায়ের জরায়ু ফেটে যেতে পারে, তখন তাৎক্ষণিকভাবে অপারেশন না করলে মায়ের মৃত্যু হতে পারে৷ এই বিপদের কারণে বিদেশে সিজারিয়ান রোগীকে দ্বিতীয়বার স্বাভাবিকভাবে প্রসবের ঝুঁকি নিলেও সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশে নেওয়া সম্ভব হয় না৷”

আইসিডিডিআর,বির গবেষণায় উঠে এসেছে, ৩৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মায়েরা অন্যদের তুলনায় বেশি খরচ করছেন৷ অন্যদিকে, শহুরে নারীদের মধ্যে যারা শিক্ষিত এবং জন্মদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন, তাঁরাও এই বেশি খরচের পথই ধরছেন৷

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব হেলথ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে আইসিডিডিআর,বির ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে৷

মায়েদের মধ্যে প্রসব নিয়ে ভীতি কাজ করাকে সিজারিয়ান বাড়ার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করছেন চিকিৎসক কাজল৷ ‘‘আমাদের মায়েরা রিস্ক নিতে চায় না৷ এ কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রসূতি মায়েদের জন্য ২৪ ঘন্টা একই মানের সেবা থাকতে হবে,” বলেন তিনি৷

মানুষের মধ্যে সিজারিয়ান নিয়ে ভীতি আছে বলে মনে করছেন অনেকে৷ ‘‘গ্রামে ভীতি তৈরি হয়েছে৷ অনেকে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যায় না৷ তারা বলে, আমি গেলেই তো সিজার করে দেবে,” বলেন চিকিৎসক কাজল৷

‘‘এই যে একটা ভুল মেসেজ এবং ভীতি ঢুকে গেছে, এটা খুবই খারাপ৷ আমরা চাচ্ছি, শতভাগ মা গর্ভকালীন সময়ে আমাদের পরিচর্যায় থাকুক৷ কিন্তু এই একটা ভীতি তৈরি হচ্ছে, গেলেই তো আমার সিজার করে দেবে৷ এই একটা ভীতি ঢুকে যাচ্ছে, এটা যে কত খারাপ ঘটনা চিন্তা করার মতো না৷”

এসএইচ-২৮/২০/১৯ (মাসুম বিল্লাহ, ডয়চে ভেলে)

বিনামূল্যের দিন শেষ, কমেন্ট দেখতেও টাকা লাগবে ফেসবুকে!

ফেসবুকে এবার বিনামূল্যের দিন শেষ হচ্ছে। কমেন্টসহ কয়েক ধরনের বিশেষ কনটেন্ট দেখতে টাকা কাটবে ফেসবুক। পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম।

ফুটবল থেকে কমেডি, পড়াশোনা থেকে রান্নাবান্না- এ ধরনের অনেক ফেসবুকে গ্রুপ আমরা ফলো করে থাকি।

নতুন এই নিয়মে কয়েক ধরনের গ্রুপে এবার নির্দিষ্ট এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট দেখতে হলে গ্রুপের সদস্যদের টাকা দিয়ে তা দেখতে হবে।

প্রাথমিকভাবে রান্নাবান্না, সন্তান প্রতিপালন, ঘর পরিষ্কার ইত্যাদি বিষয়ক প্রাইভেট গ্রুপে এই নিয়ম চালু হচ্ছে।

তবে আপাতত খুব বেশি গ্রুপের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর অ্যালেক্স ডেভ।

এই নতুন নিয়মে গ্রুপ অ্যাডমিনরা চাইলে সদস্য প্রতি মাসে ২ হাজার টাকারও বেশি চাওয়ার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে কেউ এই টাকা দিলে তবেই দেখতে পারবে ওই নির্দিষ্ট ছবি বা ভিডিও।

এসএইচ-২৭/২০/১৯ (প্রযুক্তি ডেস্ক)

সাপের ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট

আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এক অদ্ভূত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি প্রায় ঘরবন্দী। কোনো হামলা কিংবা নাশকতা নয় স্রেফ দুটি সাপের কারণে তিনি ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে যাওয়া একেবারে বন্ধ রয়েছে তার৷

গত কয়েক দিন ধরেই লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জর্জ উইয়াহকে তার অফিসে দেখা যাচ্ছে না৷ তিনি বাসা থেকেই প্রেসিডেন্টের সব কাজ করছেন।

প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব স্মিথ টবি বিবিসিকে জানান, গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনে দুটি সাপ দেখা যায়। সেই ভবনের পাশেই প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ভবন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।

প্রেস সচিব স্মিথ টবি বলেন, ‘ যতদিন না অফিসের পাশে থাকা লতানো ছোট ছোট উদ্ভিদগুলো জীবাণুমুক্ত করে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে ততদিন অফিসে আসবেন না প্রেসিডেন্ট উইয়াহ৷’

আফ্রিকাভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাপ দুটিকে যখন ভবনের আশপাশে দেখা যাচ্ছে তখনই কর্মীরা সেগুলোকে মারার চেষ্টা করছে। কিন্তু সাপ দুটিকে মারা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।

লাইবেরিয়ায় বেশ কিছু বিষাক্ত সাপের বসবাস৷ স্বাভাবিকভাবেই দেশের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চান না কেউ৷ রাজধানী মনরোভিয়ায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনে তাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মীরা।

এসএইচ-২৬/২০/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিবিসি)

বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশে ফিরলেন স্টিভ রোডস

আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মঙ্গলবার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দল ঘোষণার সময় ছুটিতে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানদের কোচ স্টিভ রোডস। নিজ দেশ ইংল্যান্ড থেকে শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এই ইংলিশ কোচ। তবে তিনি তাৎক্ষণিক তেমন কোনো কথা না বলে শনিবার কথা বলার কথা জানান।

লম্বা ছুটি কাটিয়ে ফিরেই কঠিন মিশনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন টাইগার কোচ স্টিভ রোডস। কেননা ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপ ও ত্রিদেশীয় সিরিজের অনুশীলন ক্যাম্প।

এদিকে, রোডসের আগেই ছুটি কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফিরেছেন বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। গত বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকায় পা রাখেন তিনি। ইংলিশ কন্ডিশনে স্পিনারদের চেয়ে পেসাররা ঢের সুবিধা পাবেন। সেই সুবিধা আদায় করতে হলে শিষ্যদের গড়ে তোলার গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে তাকেই।

ক্রিকেট খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কোচের। তাই দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রস্তুতি ক্যাম্প সামনে রেখে কোচিং স্টাফের সদস্যরা ফিরতে শুরু করেছেন। ওয়ালশ ও রোডসের আগে ফিরেছেন স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ন।

উল্লেখ্য, ২ মে পর্যন্ত অনুশীলন ক্যাম্প হবে। এরপর তিন জাতি সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ডে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। এরপরই বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত হতে হবে মাশরাফি-সাকিবদের।

এসএইচ-২৫/২০/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মুসলিমদের ধ্বংস করতে হলে বিজেপিকে ভোট দিন

ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তব বলেছেন, মুসলিমদের ধ্বংস করতে হলে দেশের জনগণকে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। লোকসভা নির্বাচন চলার মধ্যেই এমন মন্তব্য করলেন তিনি।

সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে গত ১২ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফায় ১৮ এপ্রিল ভোট হয়েছে। এখন বাকি আর পাঁচ দফার ভোট। তার মধ্যেই হিন্দু জাতীয়তাবাদী ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি অমিত শাহ ও দলটির বেশ কিছু নেতা মুসলিমদের আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের বারাবাঙ্কিতে একটি জনসভায় মুসলিমদের ধ্বংসের জন্য বিজেপিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান দলটির নেতা রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তব। অবশ্য অনেকেই তার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করছেন।

বিজেপি নেতা রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলিমদের মানসিকভাবে ভেঙে দেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। আপনি যদি মুসলিম জাতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে চান, তাহলে অবশ্যই মোদিকে ভোট দিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশভাগ সত্ত্বেও এদেশে মুসলিমদের জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে খুব শিগগিরই সংখ্যায় তারা হিন্দুদের চেয়ে বেশি হবে। দেশে কে সরকার গঠন করবে এটা ঠিক করার ক্ষমতা তাদের হাতে চলে আসবে।’

রঞ্জিত বাহাদুর ভারতে বসবাসরত মুসলিমদের ধর্মান্তকরণের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের পর চীন থেকে দাঁড়ি কামানোর মেশিন আনা হবে। সেই মেশিন দিয়ে মুসলিমদের দাঁড়ি কেটে ফেলা হবে। পরে তাদের হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করা হবে।’

শুধু রঞ্জিত নন বেফাঁস মন্তব্য করা বিজেপি নেতাদের তালিকায় আছেন সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন থাকা উত্তর প্রদেশের মুখমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাছাড়া বিজেপি সভাপতি সম্প্রতি এক নির্বাচনী সভায় বলেছেন, ‘ফের ক্ষমতায় আসলে মুসলিম অভিবাসীদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে মারা হবে।’

এসএইচ-২৪/২০/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

চাইনিজ সিনেমায় শাহরুখ খান

দীর্ঘদিন ধরেই বলিউড মাতিয়ে চলেছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন হিন্দি সিনেমার কিং খান। তাকে কেউ বলিউড বাদশা বলেও ডাকে, রোমান্সের রাজাও বলা হয় তাকে। বহু সিনেমা তার ইতিহাস হয়ে আছে বি-টাউনে।

শাহরুখের খ্যাতি জগতময়। বিশ্বের সেরা জনপ্রিয় ও ধনী অভিনেতার তালিকায় উপরের দিকে তার নাম। বেশ কয়েকবার শোনা গেছে, হলিউডের ছবিতে কাজ করবেন তিনি। তবে সেগুলো ঘোষণা বা গুজব হয়েই রয়ে গেছে। শাহরুখের কাছ থেকে কোনোরকম নিশ্চিত কোনো খবর আসেনি কখনো।

তবে এবার নিজেই ঘোষণা দিলেন চাইনিজ সিনেমায় অভিনয় করার। সেইসঙ্গে চিনের সঙ্গে যৌথভাবে ছবি প্রযোজনা করতেও নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি বেজিংয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে উপস্থিত হয়েছিলেন শাহরুখ খান। সেখানে দেখানো হয় তার ছবি ‘জিরো’। ছবিটির প্রিমিয়ার সংশ্লিষ্ট এক অনুষ্ঠানে লাইভ ওয়েবকাস্টে শাহরুখ জানান তার পছন্দের ছবির তালিকা।

সেখানেই একটি সাক্ষাত্কারে কিং খান জানান ভবিষ্যতে ভারত ও চিনের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বাড়ানোর জন্যে তিনি ছবি প্রযোজনা করতে চান। চিনের কোনো নির্মাতার সঙ্গে যৌথভাবে তিনি এমন কোনো ছবি তৈরি করতে চান যেখানে তুলে ধরা হবে পারিবারিক মূল্যবোধের কথা।

পারিবারিক ছবি ছাড়া আরও একটি জব্বর আইডিয়া রয়েছে কিং খানের। তিনি এমন কোনো ছবি বানাতে চান যেখানে একই ফ্রেমে ধরা পড়বে ভারতীয় এবং চিনা সুপারহিরোরা।

শাহরুখ এদিন বলেন, ‘সিনেমা এবং আর্ট দেশ, কাল, ভাষার ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষকে এক সূত্রে বেঁধে ফেলে’।

শুধু প্রযোজনাই নয়। চিনের ছবিতে অভিনয়ের আগ্রহও প্রকাশ করেন শাহরুখ খান। বলেন অন্য কাউকে দিয়ে ডাবিং করাবেন না। বরং নিজেই শিখবেন ম্যান্ডারিন।

এসএইচ-২৩/২০/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)

ব্রেইন টিউমারে মৃত্যুর কোলে ক্রিকেটার

গত মাসের শুরুর দিকে ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে বাংলাদেশ দলের একসময়কার বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ রুবেলের। তবে প্রাথমিক পর্যায়েই এটি ধরা পড়ে যাওয়ায় এবং দ্রুতই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ায় এখন শঙ্কামুক্ত রয়েছেন তিনি।

কিন্তু তার মতো ব্রেইন টিউমারকে জয় করতে পারেননি স্কটল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার কন ডি ল্যাঙ্গে। ৩৭ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার এখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অপেক্ষায় থাকলেও, গত বৃহস্পতিবার ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার ডি ল্যাঙ্গে পারি জমিয়েছেন পরপারে।

গতবছরের অক্টোবরে ডি ল্যাঙ্গের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফান্ড সংগ্রহের ক্যাম্পেই শুরু করেছিল স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। নিজের অসুস্থতার সঙ্গে লড়তে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটা অপারেশন, রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপি নিয়েছিলেন ডি ল্যাঙ্গে। তবু পারেননি বাঁচতে, হেরে গেছেন মৃত্যুর কাছে।

স্কটল্যান্ডের হয়ে ২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় ডি ল্যাঙ্গের। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভুত এ ক্রিকেটার পরে খেলেন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর আরব আমিরাতে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক তথা শেষ ক্রিকেট ম্যাচটি খেলেন ডি ল্যাঙ্গে।

সবমিলিয়ে স্কটল্যান্ডের হয়ে ১৩ ওয়ানডেতে ৪.০৭ ইকোনমি রেটে ১৬ উইকেট শিকার করেছেন ডি ল্যাঙ্গে, ৫ উইকেট শিকার করেছেন একবার। এছাড়া ব্যাট হাতে করেছেন ১২৩ রান। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৮টি, মাত্র ৬.৩৩ ইকোনমি রেটে ঠিক ৮টি উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। আইসিসির পূর্ণাঙ্গ দেশগুলোর বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের প্রথম জয়ের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ৫ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে দিনটিকে রাঙিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত হওয়ায় স্বভাবতই স্কটল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলার পাশাপাশি ডি ল্যাঙ্গের ক্যারিয়ারের বড় সময় কেটেছে আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই। বোল্যান্ড, কেপ কোবরাস, ঈগলস এবং ফ্রি স্টেটের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন ডি ল্যাঙ্গে। এছাড়া ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারেও খেলেছেন তিনি।

ডি ল্যাঙ্গের মৃত্যুর খবর জানিয়ে ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের চেয়ারম্যান টনি ব্রায়ান বলেন, ‘এত অল্প বয়সে কন ডি ল্যাঙ্গের চলে যাওয়াটা সত্যিই মর্মান্তি। সে স্কটল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের একজন অ্যাম্বাসেডর ছিলো। শুধু জাতীয় দল নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজের সেরাটা বিলিয়ে দিত ডি ল্যাঙ্গে। কোচ হিসেবেও নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছিল সে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছুর উর্ধ্বে, আমরা মনে রাখবো ব্যক্তি কন ডি ল্যাঙ্গেকে। যে মানুষ হিসেবে ছিলো খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং দলের জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়া ব্যক্তিত্ব। আমরা তার উপস্থিতি মিস করবো এবং তার অবদান কখনোই ভুলবো না।’

এসএইচ-২২/২০/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

সিরিয়া থেকে নাগরিকদের দেশে ফেরালো কসোভো

কসোভোর আইনমন্ত্রী আবেলরাদ তাহিরি বলেছেন, ‘সিরিয়া থেকে আমাদের কিছু নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ দিনের শেষ ভাগে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

বিমানবন্দর থেকে দুইটি বাসযোগে পূর্বনির্ধারিত গন্তব্যে নিয়ে আসা হয় জিহাদিদের পরিবারের সদস্যদের। সেখানে তাদের পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে।

২০১২ সাল থেকে নারী ও শিশুসহ কসোভোর তিন শতাধিক নাগরিক সিরিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। এদের মধ্যে অন্তত ৭০ জন পুরুষ সিরিয়ার যুদ্ধে অংশ নেয়। ১৫০ জনের মতো নারী ও শিশু আইএসের যুদ্ধক্ষেত্রে নিখোঁজ হন।

কসোভোর জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ মুসলিম হলেও দেশটিতে ইসলামের প্রভাব কম। নাগরিকরা দৃশ্যত ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী। দেশটিতে ধর্মকে কেন্দ্র করে কোনও হামলার রেকর্ড না থাকলেও ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে শতাধিক মানুষকে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, কসোভোর আলবেনীয় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সার্ব বাহিনীর যুদ্ধ শেষ হয় ১৯৯৮-৯৯ সালে। ওই যুদ্ধে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায় ন্যাটো।

এতে কসোভো থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় সার্বিয়া। এর এক দশকের মাথায় ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করে কসোভো।

এসএইচ-২১/২০/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

বিকিনি পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো কী বললেন অভিনেত্রী?

বহু অভিনেত্রীকেই অনস্ক্রিন বিকিনিতে দেখেছেন দর্শক। চরিত্রের প্রয়োজনে বিকিনি পরতে হয়েছে তাঁদের। কখনও বা নায়িকারা অভিযোগ করেন, চরিত্রের প্রয়োজন না থাকলেও তাঁদের বিকিনি পরে বাধ্য করা হয়েছিল।

কিন্তু বিকিনি পরে যে নার্ভাস ছিলেন, একেবারেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না, সে কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিলেন অভিনেত্রী দীপ্তি সাতি।

সঞ্জয় যাদবের পরের ছবিতে বিকিনি অবতারে দেখা যাবে দীপ্তিকে। তাঁর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন অভয় মহাজন। প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ফাইনালিস্ট দীপ্তি দক্ষিণী ছবিতে পর পর কাজ করছেন।

তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বিকিনি পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে নার্ভাস লেগেছিল তাঁর।

দীপ্তির কথায়, ‘‘আমাকে যখন ফিল্মের জন্য প্রথম বিকিনি পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হল, সত্যি বলতে কি, নার্ভাস হয়েছিলাম। কিন্তু পুরো টিম খুব সাপোর্ট করেছিল।

এমনকি সঞ্জয়দা বলেছিলেন, আমার অসুবিধে হলে পরে শুট করবে। কিন্তু ছবির জন্য সিনটা দরকার ছিল। পুরো টিম আমাকে খুব সাহায্য করেছিল।’’

এসএইচ-২০/২০/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)