ভোর ৫:৫৬
সোমবার
২০ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৫ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান শিবিরে বড় ধাক্কা

বিশ্বকাপের আগেই ফের বড় সড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে অন্যতম স্পিন অস্ত্র শাহদাব খানকে পাচ্ছে না পাকিস্তান। অসুস্থ হয়ে দল থেকে ছিটকে গেলেন লেগ স্পিনার শাহদাব খান।

অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার ইয়াশির শাহকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ইয়াশিরকে না নিয়ে তরুণ লেগ স্পিনার শাহদাব খানকে দলে নেই পাক টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের জন্য।

সেই শাহদাবকে ছাড়াই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে নামতে হবে সরফরাজদের। বিশ্বকাপের আগে এই ইংল্যান্ড সফরই পাক দলের কাছে ছিল বিশ্বকাপের প্রস্তুতির বড় জায়গা।

৫ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত পাক দলের ইংল্যান্ড সফরে একটি টি-টোয়েন্টি ও পাঁচটি একদিনের ম্যাচ খেলবে। আর এই সিরিজে লেগ স্পিনার শাহদাবকে পাওয়া যাবে না কারণ ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা চলছে তার। সবমিলিয়ে অন্তত চার সপ্তাহ সময় লাগবে তার সুস্থ হতে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।

তবে বিশ্বকাপে আগে সুস্থ শাহদাবকে ফিরে পেতে ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ৩১ মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করবে পাকিস্তান।

এসএইচ-২৬/২২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

উল্টো দিকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়েও ৯৯ বছরের জীবন নারীর

রোজ ম্যারি বেন্টলি ছিলেন একজন দক্ষ সাঁতারু, পাঁচ সন্তানের জননী এবং তার স্বামীর দোকানের সহকারী। নিরানব্বই বছর স্বাভাবিকভাবে বেঁচে ছিলেন তিনি।

কিন্তু তার মৃত্যুর পর মেডিকেলের ছাত্ররা আবিষ্কার করে বেন্টলির হৃৎপিণ্ড ছাড়া আর সব অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উল্টো জায়গায় রয়েছে।

বুধবার ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়। এ ঘটনাকে ‘চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময়’ বলে অভিহিত করছেন গবেষকরা।

বিরল এ শারীরিক অবস্থার কথা এ সপ্তাহে সম্মেলনে অ্যানাটমিস্ট বা শারীরস্থানবিদদের সম্মেলনে প্রথম জনসমক্ষে আনা হলে সবাই তাজ্জব বনে যান। বিজ্ঞানীরা অবাক হন বেন্টলি এত দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকায়। ‘সিটাস ইনভারসাস’ নামে পরিচিত এ অবস্থার মানুষের জীবন হৃদরোগসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়।

পোর্টল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ক্যামেরন ওয়াকারের ক্লাসে মৃতদেহ পরীক্ষার সময় বেন্টলির শরীরের এই অস্বাভাবিকতা প্রথম ধরা পড়ে। তারা দেখতে পান বেন্টলির অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেখানে থাকার কথা সেখানে নেই।

ওয়াকার জানান, তিনি প্রথমে কৌতূহলী এবং পরে চিকিৎসাবিদ্যার এই অত্যাশ্চর্য ঘটনাটি আরো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

পরে তিনি এ ধরনের মানুষ সাধারণত কতদিন বাঁচে তা নিয়ে গবেষণা করে জানতে পারেন আগে এ ধরনের ব্যক্তি ৭৩ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকার রেকর্ড রয়েছে।

বেন্টলির পরিবার তার শরীরের এ অবস্থার কথা জানত না, তিনি নিজেও জানতেন না। এ ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা যায় গড়ে ২২ হাজার মানুষের মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে।

বেন্টলি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন এবং বাতের ব্যথা ছাড়া তার আর কোনো শারীরিক কষ্ট ছিল না বলে জানান তার মেয়ে লুইস অ্যালি।

তবে বেন্টলির বয়স যখন পঞ্চাশের কোঠায় তখন তার অ্যাপেন্ডিক্স খুঁজে পাননি ডাক্তাররা। এর এক দশক পর তার গলব্লাডার অপসারণের সময় ডাক্তাররা দেখেন, সেটি যেদিকে থাকার কথা তার উল্টোদিকে রয়েছে।

অ্যালি বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ কোনো কথাও বলেনি। আমি অবাক হয়েছিলাম। আপনি হয়ত আশা করবেন যে কেউ কিছু বলবে এ বিষয়ে, কিন্তু তারা কিছু বলেনি।’

বেন্টলি যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন রাজ্যের একমাত্র হেলথ সেন্টারে তার মৃতদেহ দান করে যান।

অ্যালি আরো বলেন, তার মাম যদি জানতেন যে দেহদান করে যাওয়ায় মানুষ নতুন জিনিস জানতে পেরেছে তাহলে তিনি খুব খুশি হতেন।

অধ্যাপক ক্যামেরন ওয়াকার বলেন, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কেস। এর ফলে ভবিষ্যতে ডাক্তাররা অ্যানাটমিতে সামান্য ব্যাতিক্রম দেখলে তা আরো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

তিনি বলেন, ‘বাইরেরটা দেখে ভেতরে কী আছে আন্দাজ করবেন না। কারও যত্ন বা সেবার বিষয়ে কথা বলার আগে ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখবেন।’

এসএইচ-২৫/২২/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

আইপিএল ফাইনাল চেন্নাই থেকে সরে হায়দরাবাদে

দ্বাদশ আইপিএল ফাইনালের ভেন্যু চেন্নাই থেকে সরে গেল৷ ১২ মে চিপকের পরিবর্তে আইপিএল ফাইনাল হবে হায়দরাবাদের উপলে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে৷ চেন্নাইয়ে হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার৷ আর এলিমিনেটর ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার হবে ভাইজ্যাগে৷

তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন চিপক স্টেডিয়ামের তিনটি স্ট্যান্ডস (I,J,K) খোলার অনুমতি না-পাওয়ায় চিপক থেকে দ্বাদশ আইপিএল ফাইনাল সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই৷

সোমবার বোর্ডের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের প্রধান বিনোদ রাই পিটিআই-কে জানান, ‘চিপক স্টেডিয়ামের তিনটি স্ট্যান্ডস (I,J,K) খোলার অনুমতি না-পাওয়ায় কথা টিএনসিএ আমাদের জানানোর পর চেন্নাই থেকে হায়দরাবাদে আইপিএল ফাইনাল সরাতে বাধ্য হলাম৷’

আইপিএল ফাইনাল সরলেও ৭ মে প্রথম কোয়ালিফায়ার হবে চিপকেই৷ আইপিএলের নিয়মানুসারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের হোম গ্রাউন্ডেই হয় আইপিএলের প্লে-অফ ম্যাচ গুলি৷ সেই মত চিপকে ফাইনাল ও প্রথম কোয়ালিফায়ার হওয়ার কথা ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের হোম গ্রাউন্ড চিপকে৷

কিন্তু তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মিউনিসিপালিটির দ্বন্দ্বে এবারও তিনটি স্ট্যান্ডস (I,J,K) খোলার অনুমতি পাওয়া যায়নি৷ ফলে ফাইনাল ম্যাচ চিপকে থেকে সরিয়ে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তবে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি চিপকেই হবে৷

এছাড়া ৬, ১০ ও ১৪ মে লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদেও এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার ম্যাচের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে না-পারার কথা পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়৷ এ কথা মাথায় রেখে ৮ মে এলিমিনেটর ও ১০ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার হায়দরাবাদ থেকে সরিয়ে ভাইজ্যাগে নিয়ে যাওয়া হয়৷

এসএইচ-২৪/২২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বদলি হয়েও শিক্ষকদের পিছু ছাড়েননি সেই অধ্যক্ষ

শিক্ষকদের একাংশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন রাজশাহী কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) বিদায়ী অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহবুবুর রশিদ তালুকদার। নানান অনিয়মের অভিযোগে গত ২৭ মার্চ তার বদলির আদেশ দেয় জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রনালয়।

এরপর থেকেই প্রতিপক্ষ শিক্ষকদের দমনে মরিয়া হয়ে ওঠেপড়ে লাগেন মাহবুবুর রশিদ। গত ৪ এপ্রিল নতুন কর্মস্থল লক্ষ্মীপুর টিটিসিতে যোগদান করেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, নতুন কর্মস্থলে গিয়েও তিনি রাজশাহী টিটিসির শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষকদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন ধরেই তাদের চাপে রাখছিলেন অধ্যক্ষ। ছুতো পেলেই দিচ্ছিলেন কারণ দর্শানোর নোটিশ। জবাব মনো:পুত না হলেই করছিলেন তিরস্কার। তাতেও দমন করতে না পেরে শিক্ষকদের নামে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করছিলেন। অধ্যক্ষের এমন আচরণ মানতে পারছিলেননা শিক্ষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্বে) আখতারা শাহীন, সিনিয়র ইন্সট্র্রাক্টর আতাউর রহমান, আফছার উদ্দিন ভূঁইয়া, আফজালুল হক প্রামানিক, নাজিম উদ্দিন আহমেদ আল সিরাজী, ইন্সট্রাক্টর গোলাম মো. সারোয়ার হোসেন ও হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ আনেন অধ্যক্ষ।

এদের মধ্যে আতাউর রহমান জনশক্তি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি টিটিসি শাখার সভাপতির পদে রয়েছেন। সমিতির সদস্যদের সংগঠিত করে অধ্যক্ষের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করেন এসব শিক্ষক। অপসারণসহ নানান অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ যায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। গোপন তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বদলি করা হয় মাহবুবুর রশিদ তালুকদারকে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকদের ভাষ্য, বদলির আদেশ পাবার আগেই ৩ ফেব্রুয়ারী অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশিদ তালুকদার উপাধ্যক্ষ আখতারা শাহীনসহ ছয় শিক্ষকের বদলির জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে চিঠি পাঠান। এদের বিরুদ্ধে আনেন রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড ছাড়াও অসদাচরণের অভিযোগ।

অধ্যক্ষের জোর তদবিরে গত ২৭ মার্চ আতাউর রহমান, আফছার উদ্দিন ভূঁইয়া এবং আফজালুল হক প্রামানিকের বদলির আদেশ আসে। ওই দিনই এই তিন শিক্ষককে অবমুক্ত করেন অধ্যক্ষ। অথচ একই দিন নিজের বদলির আদেশ পেলেও থেকে যান স্বপদেই।

২০১২ সালের ১২ মার্চ থেকে রাজশাহী টিটিসিতে কর্মরত ছিলেন মাহবুবুর রশিদ তালুকদার। এই সময়ের মধ্যে পুরো টিটিসিকে নিজের ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেন। দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে থাকায় শিক্ষকদের একাংশ নিয়ে গড়ে তোলেন নিজস্ব বলয়। অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেন টিটিসিকে।

অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন কারখানা সহকারী হাসিবুল ইসলামকে পদাবনমন করে বাড়ির দারোয়ান বানান মাহবুবুর রশিদ তালুকদার। বার বার স্বপদে ফেরার আবেদন করেও ব্যর্থ হন হাসিবুল। শেষ পর্যন্ত তিনি ক্ষোভে অভিমানে আত্মহত্যা করেন।

গরু-ছাগলের খামারে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় দারোয়ান গিয়াস উদ্দিনের নামে সিসি টিভি ক্যামেরা চুরির মিথ্যে অভিযোগ আনেন অধ্যক্ষ। পরে স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে রাজি হওয়ায় সেই অভিযোগ তুলে নেন। অন্যদিকে, অধ্যক্ষের আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ করে স্বে”ছায় অবসরে যেতে বাধ্য হন শিক্ষক গ ম ফজলুর রহমান।

উল্টো আরেক দারোয়ান শহিদুল ইসলাম পলাশকে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) নিযুক্ত করেন। এর বাইরে শিক্ষক রাশেদ আলম, দেওয়ান মঞ্জুর, রাশেদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম সরদার, রেজাউল করিম ও সাঈদা মমতাজ নাহরিনা এবং স্টোর কিপার আবদুল জলিল, কারখানা সহকারী শহিদুল ইসলাম ও আবদুল মোত্তালেব, লাইব্রেরিয়ান শাহজাহান আলীকে দেন বাড়তি সুবিধা।

তাদের সাথে নিয়েই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন অধ্যক্ষ। বদলি হবার পরও এদের মাধ্যমেই রাজশাহী টিটিসিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির পায়তারা করছেন মাহবুবুর রশিদ তালুকদার। সর্বশেষ সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর ওয়ালিউর রহমানসহ আরো কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশীদ তালুকদার বলেন, আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি। এগুলো কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী মিথ্যা রটাচ্ছেন। তবে প্রতিষ্ঠানে শৃংখলা ফেরাতে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে থেকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করায় ওই পাঁচ শিক্ষকের বদলির সুপারিশ করেছিলেন। তদন্তে অধিদপ্তর এর প্রমাণ পেয়েছে। এর মধ্যে তিন শিক্ষকরে বদলির আদেশ দিয়েছেন।

নতুন যোগদান করায় প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি রাজশাহী টিটিসির বর্তমান অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আবদুর রহিম। তবে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রনালয়ের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. নূরুল ইসলাম বলেন, তাকে (মাহবুবুর রশিদ তালুকদার) নিয়মমেনেই বদলি করা হয়েছে। এরপরও তিনি আগের কর্মস্থালে অচলাবস্থার সৃষ্টি করছেন-বিষয়টি আমাদের জানা নেই। সেখানকার কেউ আমাদের জানায়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএ-১৬/২২-০৪ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

ভোটে লড়ছেন না অক্ষয়কুমার

সাধারণ নির্বাচনে ভোটে আদৌ লড়ছেন না অভিনেতা অক্ষয়কুমার ৷ তাঁর ভোটে লড়া নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল সেটা তিনি আজ পুরোপুরি উড়িয়ে দেন৷ তিনি যে রাজনীতিতে আসছেন না এবং ভোটেও দাঁড়াচ্ছেন না তা জানিয়ে এই অভিনেতা আজ টুইট করেছেন৷

টুইট করে অক্ষয়কুমার লিখেছেন, তিনি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ যারা আমার আগের টুইট দেখে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন কিন্তু এই বিষয় ঘিরে জল্পনার ব্যাপারে আমি ব্যাখ্যা দিচ্ছি- আমি ভোটে লড়ছি না৷’’

এমন জল্পনার কারণ হল তিনি এদিন সকালের টুইটে জানিয়েছিলেন- ‘‘অজানা অপরিজ্ঞাত অঞ্চলে আজ প্রবেশ করছি ৷ এমন কিছু করতে চলেছি যা আগে কখনও করিনি৷ একই সঙ্গে উত্তেজিত এবং স্নায়ুর চাপে পীড়িত ৷ এর আপডেটের জন্য টিউন করুন৷’’

অভিনেতাদের মধ্যে অক্ষয়কুমারকে প্রায়ই টুইটে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরকে ট্যাগ করে দিতে ৷ জনগনকে বেশি ভোট দেওয়ার কথা বলতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বার্তা দিয়ে ট্যাগ লাইন করা হয়েছে তাঁর ছবি ‘‘টয়লেট : এক প্রেম কথা’’৷

আবার মোদীও তাঁকে, ভূমি পেন্ডেকার এবং আয়ুসমান খুরানাকে বলেছিলেন, ‘‘থোড়া দম লাগাইয়ে আউর ভোটিং কো এক সুপারহিট কথা বানাইয়ে৷’’ সম্প্রতি অক্ষয়কুমারকে দেখা যাচ্ছে ‘কেশরী’ ছবিতে ৷

এসএইচ-২৩/২২/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)

বাড়ির টাকা হাতাতে অপহরণের নাটক

বাড়ির টাকা হাতাতে মামাতো ভাই ও তার বন্ধুর সঙ্গে ছক করে অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল এক কিশোর। পরে ৩ জনকেই কলকাতায় আনা হল। গোটা বিষয়টিই পূর্ব পরিকল্পিত। এর পেছনে কী কাহিনি তা দেখছে পুলিশ। জোড়াসাঁকো থানা এলাকা থেকে রবিবার আয়ুষ ভগৎ নামে এক কিশোরকে অপহরণ করা হয়। এরপর ওই কিশোরের ফোন নম্বর থেকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

জানা গেছে, আয়ু্ষ ভোজপুরী গায়ক। এরপর শেষপর্যন্ত ১৫ লক্ষ টাকায় রফা হয়। লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তরের গুন্ডাদমন শাখার অফিসাররা তদন্ত শুরু করেন। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ ইনস্পেক্টর সুব্রত পালের নেতৃত্বে একটু বড় পুলিশ বাহিনী আসানসোলের উদ্দেশে রওনা হয়। সঙ্গে আয়ুষের বাবা ও কাকাও যান। দুষ্কৃতীরা যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছিল, সেই পথেই তাঁরা যাচ্ছিলেন। এরপর যশিডি স্টেশনে পুলিশ নেমে যায়। এরপর অন্য একটি ট্রেনে চেপে ঝাঁঝা স্টেশনে পৌঁছয়।

দুষ্কৃতীদের বলে দেওয়া জায়গায় টাকা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা বলে, ছেলেকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তার পর বলে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে। তল্লাশিতে দেখা যায়, অপহৃত কিশোরের মামাতো ভাই মণীশ কুমার চৌরাসিয়া টাকা গুনছে। এর পরেই স্থানীয় লোকজনদের সাহায্যে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। জেরা করে সুমিতকুমার দুবে নামে আরেকজনকে ধরা হয়।

এদের দু’‌জনের বাড়ি বিহারের সিওয়ানে। পুরো টাকাটাই উদ্ধার হয়েছে। অপহৃত হওয়া কিশোরকে পাটনা থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। প্রায় তিন দফায় যানবাহন বদল করে কলকাতা পুলিশ পৌঁছেছিল দুষ্কৃতীদের সন্ধানে। মাঝে মাঝেই বদলে যাচ্ছিল তাদের অবস্থান। তাই প্রথম দিকে দুষ্কৃতীদের ধরতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে।

পরে জানা যায়, সবটাই সাজানো ঘটনা। কেন এই অপহরণের চক্রান্ত, তা কী শুধু টাকার জন্য নাকি অন্য কারণ আছে, তা দেখা হচ্ছে। ধৃতদের কলকাতায় আনা হচ্ছে।

এসএইচ-২২/২২/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

ত্রিদেশীয় সিরিজে সব ম্যাচ খেলবেন না মুস্তাফিজ !

সামনে আয়ারল্যান্ড সফর। যেখানে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তার দুই সপ্তাহ পরেই বিশ্বকাপ। মূলত বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতেই এই আয়ারল্যান্ড সফর টাইগারদের, দলের অবস্থা পরখ করে দেখারও।

তবে ওই সিরিজে সব ম্যাচে না-ও দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ দলের পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমানকে। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ চাইছেন না কোনো ধরণের ঝুঁকি নিতে। অ্যাঙ্কেলের চোট থেকে সেরে উঠার জন্য যেন কাটার মাস্টার পর্যাপ্ত সময় পান, সেজন্য তাকে আয়ারল্যান্ডে খুব বেশি খেলানোর পক্ষপাতী নন ওয়ালশ।

আয়ারল্যান্ড সফরের আগে ঢাকার মিরপুরে দলের প্রথম ট্রেনিং সেশন শেষে এমন কথা জানান ওয়ালশ। শুধু মুস্তাফিজকে নিয়ে নয়। বিশ্বকাপ দলে থাকা রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর আবু জায়েদ রাহিকে নিয়েও দুশ্চিন্তা আছে টাইগার বোলিং কোচের। রুবেল সাইড স্ট্রেইন, সাইফউদ্দিন টেনিস এলবো আর রাহি ছোট একটা চোটে ভুগছেন।

তবে দলের পেসারদের মধ্যে মুস্তাফিজকে নিয়েই বেশি সতর্ক ওয়ালশ। কারণটাও না বোঝার কথা নয়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের সেরা অস্ত্র তো এই কাটার মাস্টারই। তাকে নিয়ে কোনো ধরণের ঝুঁকি নয়।

মুস্তাফিজ ফিট থাকলে বিশ্বকাপে দলের জন্য বড় অবদান রাখতে পারবেন, বিশ্বাস করেন ওয়ালশ। তবে আয়ারল্যান্ড সিরিজে যেন তার উপর বাড়তি চাপ দেয়া না হয়, সেটাও মাথায় রাখতে বলছেন ক্যারিবীয় এই কিংবদন্তি।

ওয়ালশ বলেন, ‘(মুস্তাফিজ) বিশ্বকাপে বড় ভূমিকা রাখতে পারে, যদি সে ফিট থাকে। যদিও আমি মনে করি না, আমরা একজন খেলোয়াড়ের উপরই নির্ভর করব। সাকিব, ম্যাশ (মাশরাফি) এবং রুবেল ধারাবাহিক। ইনজুরির পর থেকে ফিজ (মুস্তাফিজ) পুরোপুরি ধারালো হয়ে ফিরেনি, তার কিছুটা চোট সমস্যা আছে।

পুরো ফিট মোস্তাফিজ আপনাকে ম্যাচ জেতাতে পারে, তবে তাকে যতটা সম্ভব ফিট রাখতে হবে। আমার উদ্বেগ হলো, আমরা যেন তার উপর বেশি চাপ দিয়ে না ফেলি। আয়ারল্যান্ডে যেন বেশি ব্যবহার না করি, সেটা হলে সে বিশ্বকাপে সতেজ হয়ে যেতে পারবে না।’

এসএইচ-২১/২২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা

খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, এ জন্যই সরকার তাকে আটকে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা ফোরাম।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকার ষড়যন্ত্র করে খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাবন্দি করে রেখেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার তার ‍মুক্তিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার কেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আটকে রেখেছে? এ অনির্বাচিত সরকার খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। বিএনপিকে ভয় পায়। ভয় পাওয়ায় কারণ হচ্ছে- খালেদা জিয়া দেশের সব থেকে জনপ্রিয় নেতা। তার ‘দোষ’ তিনি দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেন।

অবরুদ্ধে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে সবাইকে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সম্প্রতি আমাদের এক বোন নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মারা গেছেন। আজকে ঋণখেলাপির হাতে শেয়ারবাজার। দেশের কেউ নিরাপদ নয়। তাই আমাদের গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। সে জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই।

জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবুল নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

বিএ-১৫/২২-০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রাম থেকে স্বামী-স্ত্রীর যুগল লাশ উদ্ধার। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে বাবা ফজলুল হকসহ পরিবারের লোকেরা মেয়ে ফাহিমার (১৮) লাশ চৌকিতে ও তার স্বামী রিমন (২০) গলায় ওরনা পেঁচিয়ে ধরনাতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী- স্ত্রীর কলহে প্রথমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পরে স্বামী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

জানা যায়, টোক ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামের মনির হোসেনের পুত্র রিমন প্রায় ৯ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের আড়ালিয়া খালপাড় এলাকার ফজলুল হকের মেয়েকে বিয়ে করে। পেশায় অটোরিক্সা চালক রিমন বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে অধিকাংশ সময় শ্বৃশুরবাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ সে আর শ্বশুরবাড়িতে আসেন না।

রোববার রাতে স্ত্রী ফাহিমা ফোনে রিমনকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন।

ফাহিমার বাবা ফজলুল হক জানান, বিভিন্ন কারণে জামাই মেয়েকে নির্যাতন করত। সকালে মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে জামাইয়ের মোবাইল ফাহিমা ভেঙে ফেলে। পরে সকাল ১০টার দিকে তারা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।

দুপুর ১২ টার দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দোচালা টিনের ঘরের ভেঙে তাদের লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে রিমনের বাড়ির লোকজন তার শ্বুশুরবাড়িতে আসেন। ফাহিমারা ৩ ভাই ১ বোন এবং রিমন ৪ ভাইয়ের মাঝে তৃতীয়।

রিমনের বাবা মনির হোসেন জানান, বিয়ের পর থেকে ছেলে বেশিরভাগ শ্বশুরবাড়িতেই থাকত।

কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ফাহিমার বাবা বাদী হয়ে স্বামী রিমনসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা ও রিমন আত্মহত্যা করায় অপর একটি ইউডি মামলা রুজু করার প্রস্ততি চলছে।

বিএ-১৪/২২-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

শেয়ারবাজারের পতনের পেছনে কেউ আছে: অর্থমন্ত্রী

শেয়ারবাজারে চলমান মন্দার পেছনে কেউ না কেউ আছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোমবার বিকেলে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

টানা তিন মাস ধরে দেশের শেয়ারবাজারে মন্দাভাব চলছে। এতে তালিকাভুক্ত প্রায় তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০ হাজার কোটি টাকার ওপরে হাওয়া হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে চরম লেনদেন খরা।

শেয়ারবাজারের এমন ভয়াবহ মন্দার কারণে গত দুই সপ্তাহ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভ করেছেন। ফলে দুই সপ্তাহ ধরে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের বেশ দৌড়ঝাঁপ দেখা যায়। দফায় দফায় বৈঠক করেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

তবে অর্থমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেননি। যে কারণে শবে বরাতের বন্ধ থাকা সত্ত্বেও দেশে ফিরেই আজ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠক নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

বিএসইসির ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা বৈঠকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ওই রকম কোনো এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক করিনি। সামনে জাতীয় বাজেট। শেয়ারবাজারে দিকে আমাদের খেয়াল রয়েছে। অর্থনীতির সঙ্গে শেয়ারবাজারের একটা সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং শেয়ারবাজার ভালো হওয়া দরকার।

এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, বন্ধের দিনে বৈঠক করার কারণ কী? এর উত্তরে তিনি বলেন, আপনারাই তো পত্রিকায় লিখছেন, মার্কেট নাই হয়ে গেছে। কোথায় দেখলেন মার্কেট ফল (পতন) করছে? সূচক পাঁচ হাজার ৯০০ হয়ে গিয়েছিল। এখন পাঁচ হাজার তিনশ আছে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অর্থনীতি ভালো হলে শেয়ারবাজার ভালো হবে। শেয়ারবাজারে এমন ওঠা-নামা হতেই পারে। বাজারে এখন আমি খারাপ কিছু দেখি না। পাঁচ হাজার ৯০০ থেকে পাঁচ হাজার ৩০০ হয়েছে, এতে কী এমন হয়ে গেছে। সব জায়গায় শেয়ারবাজারে ওঠা-নামা আছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভয় দেখালে হবে না। আমাদের শেয়ারবাজার অন্য জায়গার থেকে ভিন্ন। বাইরে থেকে যারা শেয়ারবাজারে আসেন তারা বোঝেন এবং পড়ালেখা করে আসেন। কিন্তু দুঃখ্জনকভাবে আমাদের এখানে শেয়ারবাজার বোঝেন এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম। সবাই যদি বুঝতো তাহলে বাজার নিয়ে আমাদের এতো শক্তিশালী কমিশন দরকার ছিল না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে অনেক আইন-কানুন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে আমরা কাউকে জোর করে আনতে পারি না। এখানে যার খুশি সে আসবে। যার ইচ্ছা হবে না, সে আসবে না। তবে সামনে বাজেট, আমরা চাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা আসুক। ধীরে ধীরে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজারে বার বার এমন ঘটনা (পতন) ঘটছে, তার মানে এর পেছনে কেউ না কেউ আছে। একবার ১৯৯৬ সালে, আরেকবার ২০১০ সালে। ব্যবসায়ীদের জেলে পাঠানোর ঘটনা খুবই কম। কিন্তু আমাদের এখানে ব্যবসায়ীদের জেলে পাঠানো হচ্ছে।

শেয়ারবাজার বর্তমানে ভালো অবস্থানে আছে– এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভালো কোম্পানিগুলো এখানে আসবে না। আসলে খারাপ কোম্পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে তারাও খারাপ হয়ে যাবে। তবে আমি মনে করি, এ মুহূর্তে বাজার পরিস্থিতি খারাপ নয়। এখন মূল্য আয় অনুপাত (পিই) বেশ কম; ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে আছে। একসময় মূল্য আয় অনুপাত ৯০ হয়ে গিয়েছিল।

বিএ-১৩/২২-০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)