সন্ধ্যা ৬:১৬
মঙ্গলবার
৩০ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১৭ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

গেইল মানহানির মামলায় কোটি টাকা জিতলেন

ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল জাতীয় দলে আর নিয়মিত নন। ব্যাট হাতে বিশ্বব্যাপী টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলো মাতিয়ে চলছেন তিনি। যেখানে আছে অর্থপ্রাপ্তির মায়াবী হাতছানি।

সেই গেইলের জন্য সুসংবাদ বয়ে নিয় এসেছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস সুপ্রিমকোর্ট। একটি মানহানির মামলায় গেইলকে ৩ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার ওপরে।

ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়াকে। মিডিয়াটি ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এক নিবন্ধে তারা লিখেছিল, ২০১৫ সালে সিডনিতে নারী বিশ্বকাপের সময় অস্ট্রেলিয়া দলের ট্রেনিং সেশনে তাদের ড্রেসিং রুমে ম্যাসেজ থেরাপিস্ট লিন রাসেলকে ডেটিংয়ের প্রস্তাব দেন গেইল।

এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালেই ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন গেইল। বিচার শেষে চার সদস্যের জুরি বোর্ড ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়ার দাবীর সত্যতা খুঁজে পায়নি।

জুরি বোর্ডের প্রধান লুসি ম্যাককালাম জানিয়েছেন, নিজেদের দাবীর পক্ষে প্রমাণ হাজির করতে পারেনি ফেয়ারফ্যাক্স। বরং বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে তারা গেইলের বিরুদ্ধে এ ধরনের রিপোর্ট লিখেছে। এর প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে গেইলকে ৩ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ফেয়ারফ্যাক্সকে নির্দেশ দিয়েছে তারা।

তবে ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে তারা।

এসএইচ-১১/০৩/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

এবার পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ বিজিবি সদস্য আটক

কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবাসহ পাচারকারি আটকের বিষয়টি এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এবার ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ বিজিবির এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার রাত ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের বাসস্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক মো. এনামুল হক (৩৫) ঢাকা সেনানিবাসের ৩২৫ দক্ষিণ কাফরোল এলাকার বাসিন্দা। তিনি টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সৈনিক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ঢাকাগামী গাড়িতে করে এক যাত্রী ইয়াবা পাচার করছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়।

অভিযানকালে বেশকিছু ইয়াবার পুটলাসহ এক ব্যাক্তিকে আটক করা হয়। পরে গণনা করে তার কাছ থেকে ২ হাজার টিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

পরিচয় জানতে চাইলে আটক ব্যক্তি জানান তিনি বিজিবি সদস্য। ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে খরচ জোগাড়ের জন্য ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে সোমবার সকালে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।

এ বিষয়ে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল আছাদুজ্জামান জানান, আটক বিজিবি সদস্যকে তাদের নিজস্ব আইনের অধীনে বিচার করা হবে।

বিএ-০৬/০৩-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

অপমানিত হলেন কারিনা

দেখতে দেখতে শেষ পার্টি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন দীপ-বীর৷ রাজকীয় বিয়ের ছোঁয়া রেখেছিলেন প্রতিটি রিসেপশন৷ এবারেও তার অন্যথা হল না৷ লাল গোলাপে সাজানো বড়ো গেট, দীপিকার ব্লাড রেড গাউন, রনভীরের জেট ব্ল্যাক স্যুট৷ কোথাও কোনও কমতি নেই৷

বলিউড থেকে শুরু করে ক্রীড়াজগতেরও অসংখ্য তারকারা উপস্থিত ছিলেন রিসেপশনে৷ একে একে সেলেব্রিটিরা এসে লাল গোলাপে বাঁধানো গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পোজ দিচ্ছিলেন পাপারাৎজির ক্যামেরায়৷ রনভীর-দীপিকার রিসেপশন বলে কথা, মিডিয়ার নজর এড়িয়ে যায় কীকরে৷

কিন্তু এই গ্র্যান্ড পার্টি শুরু হওয়ার আগেই ঘটে গেল অঘটন৷ অঘটনের শুরু কারিনা-সইফের এন্ট্রি থেকে৷ না! মিডিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি৷ সোনমের বিয়েতে কারিনা-সইফের ফটো তোলা নিয়ে যেরকম সমস্যা শুরু হয়েছিল তেমনও কিছু ঘটেনি৷

তাহলে হঠাৎ হল কী পতৌডি জুটিকে নিয়ে! কারণ হল কারিনার পোশাক৷ মিসেস সইফ আলি খান পরেছিলেন একটি শিম্যরি ব্যাকলেস গাউন৷ যার ব্যাকটা একটু বেশিই কাটা৷ আর সেটাই হজম করতে পারল না সংবাদমাধ্যম৷

দীপ-বীর রিসেপশনের ভিডিওতে পরিষ্কার শুনতে পাওয়া গেল তাদের কুমন্তব্য৷ কারিনা পোজ দেওয়ার পর পেছন ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন৷ সেই সময় দু-একজন বলে উঠল, “ইচ্ছাকৃত পেছন ঘুরে দাঁড়ালেন করিনা, যাতে ব্যাক দেখাতে পারে৷” অতো হইচইয়ের মধ্যে এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই করিনা কিংবা সইফের কান অবধি পৌঁছয়নি৷

তবে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে কমেন্ট সেকশন৷ তাদের কথায়, ভারতীয় মিডিয়া যে কতটা নিম্নমানের তা প্রমাণ করে দিল৷ আজ যদি কোনও হিরো শার্টলেস হয়ে আসত তাহলে সকলে বাহবা দিত আজ একজন অভিনেত্রী ব্যাকলেস গাউন পরেছেন বলে এত সমস্যা৷

এসএইচ-১০/০৩/১২ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : কলকাতা২৪)

স্বাক্ষর না থাকলে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় না : সাবেক ইসি

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ছোটখাটো ভুল হলে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়না। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না দেয়া হলে তাকে ডেকে এনে আবার স্বাক্ষর দেয়ার সুযোগ দেয়া যেতে পারে।

রোববার রাতে একাত্তর টেলিভিশনের এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ার কারেণে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেজিস্টারে ক্লাসিফাইড লোন দেখাতে হবে, তা না হলে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এছাড়া কারো শিক্ষা সনদ না দেয়া এবং সম্পদের হিসাব না দিলে মনোনয়ন বাতিল হয়।

শাস্তির জন্য ২ বছরের বেশি সাজা নিম্ন আদালতে হয় তাহলে উচ্চ আদালতে সেই সাজা স্থগিত না করে, তাহলে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হতে পারে। মনোনয়ন নিয়ে আপিলের জন্য তিন দিন সময় দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আপিলে মনোনয়ন বাতিল হলে সর্বশেষ উচ্চআদালতের যেতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, কেউ যদি আপিলে বৈধ হয় তাহলে কেই তার বৈধতার বিরুদ্ধে যে কেউ আপিল করতে পারেন। তবে কেউ যদি তার শিক্ষা সনদ জমা না দেন তাহলে তাকে কয়েকদিন সময় দেয়া হয় সনদ জমা দেয়ার জন্য।

তিনি জানান, মানিকগঞ্জে ৩ টি আসনে ৭ জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারণ হিসাবে রির্টার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরের সাথে ওই স্বাক্ষরের মিল পায়নি তাই মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম লিখিতভাবে জানিয়েছে ওই স্বাক্ষর তার নিজের এবং তিনি ওই প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। তারপরেও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়ন জমা দেয়ার ক্ষেত্রে সময় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। কারণ মনোনয়ন জমার শেষ মুহুর্তে রিটার্নিং অফিসারের সামনে উপস্থিত থাকতে হবে। অফিস এরিয়ার মধ্যে থাকলেও মনোনয়ন গৃহীত হয় না।

বিএ-০৫/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।

ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার সংবিধানের ৬৫ ও ৯৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। তাই জনস্বার্থে তিনি এ রিট করেছেন। রিটে ইভিএমে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে শহরাঞ্চলের কিছু আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে। পরে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ছয়টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

সে অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে ছয়টি আসন নির্বাচন করা হয়েছে। আসনগুলো হচ্ছে— ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, খুলনা-২, রংপুর-৩ ও সাতক্ষীরা-২।

বিএ-০৪/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নবমবারের মত সংসদ নির্বাচনে মারফত আলী

অর্থ বা ক্ষমতার কারণে নয়, সামাজিক পরিবর্তন এবং কুষ্টিয়ার মিরপুরের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে লড়ে যাচ্ছেন ৭২ বছর বয়সী মারফত আলী মাস্টার। তিনি উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের নওদা আজমপুর এলাকার মৃত হাতেম আলীর ছেলে।

মারফত আলী বয়সের ভারে খুঁড়িয়ে চলেন। ১১ বার নির্বাচনের অংশ নিয়ে হেরেছেন। তবুও তিনি স্বপ্ন দেখেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বেঙ্গল ন্যাশনাল কংগ্রেস দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত মারফত আলী। তবে দল নিবন্ধন না পাওয়ায় তিনি বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হয়ে হারিকেন প্রতীকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।

১৯৮০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে লড়ে আসছেন মারফত আলী। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৮টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে একবারও জয়ী হতে পারেননি।

ছাত্রজীবনেই ১৯৬২ সালে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মারফত আলী। ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭০ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন দৌলতপুর উপজেলার ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

মারফত আলী জানান, মিরপুর-ভেড়ামার উপজেলা নিয়ে কুষ্টিয়া-২ সংসদীয় আসন। এই আসনে বেশি ভোট মিরপুর উপজেলায় তবে এই এলাকার মানুষেরা ভেড়ামারার মানুষের চেয়ে অবহেলিত। নির্বাচনে নেতৃত্বের অভাবে মিরপুরের মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের একটাই লক্ষ্য এই মিরপুরের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা।’

ইতিপূর্বের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মারফত আলী বলেন, ‘সর্বপ্রথম জাসদ ইনুর দলের হয়ে ১৯৮০ সালে সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খেজুরগাছ প্রতীকে অংশগ্রহণ করি। সে সময় মাত্র ২৬ ভোটে পরাজিত হই। তার পরে প্রতিজ্ঞা করি যতদিন বাঁচব নির্বাচন করে যাব। তারপর প্রথম ১৯৮৬ সালে ১৫ দলীয় জোটের হয়ে মাছ মার্কা প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সে সময় ১৩ হাজার ভোট পাই। ১৯৮৮ এবং ১৯৯১ সালে দুই বারই জাসদের (শাজাহান সিরাজ) হয়ে মাছ মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করি। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালে জনতা পার্টি (আতাউল গনি ওসমানী) থেকে হরিণ মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করি।’

‘এর পরে ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে কোনো দলের না হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করি। এর পর চলে যাই মিরপুর পৌর এলাকার খন্দকবাড়ীয়ায়। সেখানে জমি কিনে বসবাস শুরু করি। পৌর এলাকার সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ২০১০ সালে পৌর নির্বাচনে তালা-চাবি মার্কায় অংশ নিই। তারপর ২০১০ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করি। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জাসদ রব গ্রুপের তারা মার্কা প্রতীকে অংশ নিয়েছিলাম। পরে অর্থের অভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম।’

অর্থ ও রাজনৈতিক কারণেই তিনি নির্বাচনে পরাজিত হন বলে জানান মারফত আলী। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে না জিতলেও তরুণ প্রজন্মের কাছে একটা শিক্ষা দিতে চাই। যাতে তারা আগামীতে নেতৃত্ব দিতে পারে। শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার এবং সামাজিক একটা পরিবর্তন চাই। মিরপুরের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। অন্য কোনো কারণ নেই। আমি মূলত এমপি হতে চাই না। চাই ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করতে। এ জন্য যত দিন বাঁচব, নির্বাচনে অংশ নিয়ে যাব।’

এসএইচ-০৯/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : প্রিয়.কম)

জাপা থেকে হাওলাদার আউট, রাঙ্গা ইন

জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ থেকে আবারও ‘আউট হলেন’ এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা।

সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- ‘আপনাকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের পাশাপাশি আপনি এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

বিএ-০৩/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

আ’লীগ কোনো অবস্থাতেই একতরফা ভোট চায় না

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফা হোক-আওয়ামী লীগ কোনো অবস্থাতেই সেটি চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চেষ্টা করব লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সমতল ক্রীড়াভূমি) যেন নষ্ট না হয়। কোনো অবস্থাতেই একতরফা ভোট আমরা করতে চাই না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কাকে ভোট দেবে সেটি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দেব, প্রধানমন্ত্রী এটি কোনোভাবেই চান না।

বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল আইনি ও নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সংযোগ নেই।

সরকার সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চায় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটি ক্রেডিবল ইলেকশন করতে চাই। গতবার বিএনপি ভোটে না এসে যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল, আশা করি সেটি এবার হবে না। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষুণ্ন হোক-এটি আমরা চাই না।

আওয়ামী লীগ এক কথায় বিশ্বাসী-এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তো জনগণের মধ্যেই থাকতে হবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আমার একটি দায়িত্ব আছে। এখন এক কথা বলব, আজ থেকে ২৬-২৭ দিন পর যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তখন কি হবে। আমরা এক কথায় বিশ্বাসী।

বিএ-০২/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে কলঙ্কিত হতে চাই না

নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন এমন কর্মকর্তার উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় দৃঢ় থাকতে হবে। আইন প্রয়োগ ঠিকভাবে না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, আর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে কলঙ্কিত হতে চাই না।

সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণে দুই হাজার ২৬ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যয় ব্যক্ত করে মাহবুব তালুকদার বলেন, দেশে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, কখনও সেনাসমর্থিত সরকারের অধীন কিংবা কখনও দলীয় সরকারের অধীনে। তবে এবারের ভোট যেই প্রক্রিয়াই হোক না কেন-নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেবে না কমিশন।

সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের আগে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রার্থী যেন নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে, সুষ্ঠু ভোট হবে।

সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের চাওয়া খুবই সামান্য—একজন ভোটার যেন ভয়ডরহীনভাবে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেই আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের দায়িত্বে অবহেলা কমিশন বরদাশত করবে না বলে হুশিয়ার করেন মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, সাহসিকতার সঙ্গে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, যুদ্ধের ময়দানের মতো নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাফল্যের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন ব্যর্থ হবে যদি আপনারা ব্যর্থ হন। আপনারা সফল হলে উদ্ভাসিত হবে পুরো জাতি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।

বিএ-০১/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)

ভাড়ায় মিলছে ‘বয়ফ্রেন্ড’!

ভাড়ায় মিলছে বয়ফ্রেন্ড। কিছুদিন হলো এই রীতি চালু হয়েছে চীনে। রেন্ট আ বয়ফ্রেন্ড নামে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। শপিং মলে চালু হয়েছে এই ব্যবস্থা। ঘণ্টা মেপে নেওয়া হচ্ছে ভাড়া।

চীনের হিবাই প্রদেশে এমন ব্যবস্থা শুরু হওয়ায় খুশি অনেক নারীই। চীনের অনেক নারীই বিয়ের করার দিকে ঝুঁকছেন না। তাদের কথা ভেবে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। শপিং মলগুলোতে পুরষেরা দাঁড়িয়ে থাকছেন একের পর এক। পছন্দ মত তাদের বেছে নেওয়া যাচ্ছে অর্থের বিনিময়।

মূলত আধ ঘণ্টা বা ১ ঘণ্টার জন্যই এই ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরাসরি টাকা দিয়েই বন্ধু বেছে নেওয়া যাচ্ছে বা কিউআর কোড স্ক্যান করে দেওয়া যাচ্ছে টাকা। এই কাজ পাওয়ার জন্য পুরুষদের ব্যক্তিত্ব বিচার করা হচ্ছে। সুগঠন তো বটেই সঙ্গে অবিবাহিতরাই পাচ্ছেন এই সুযোগ।

শুধুমাত্র মল চত্বরেই এই বয়ফ্রেন্ডদের নিয়ে ঘুরতে পারবেন নারীরাই। নারীদের কেনাকাটা করতে বা মলে তাদের ব্যাগ বয়ে দেওয়ার কাজ করছেন এই সব সু-পুরুষেরা। এছাড়াও সঙ্গীকে কোন ড্রেস বা ব্যাগ মানাবে, সেটা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে পুরুষ বন্ধুটি।

ঘুরতে ঘুরতে তার ছবিও তুলে দেবেন। অর্থাৎ সঙ্গ দেওয়া ও মলে যেই নারীরা আসছেন তাদের সময়টা যাতে ভালো কাটে, সেটা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা। তবে সঙ্গীকে কোন রকম স্পর্শ একেবারেই করা যাবে না।

সাইকেল থেকে ছাতা, চীনে সবই ভাড়া পাওয়া যায়। এবার সেই তালিকায় পুরুষ বন্ধুও। কার্ড সোয়াইপ করেই পাওয়া যাচ্ছে এই সুবিধা। হাইকোউ ও হাইনানের বিভিন্ন মলেও শুরু হয়েছে এই ব্যবস্থা। কিন্তু এতে কোন রকম ভুল ধারণা যাতে তৈরি না হয়, সেটা বারবার বলছেন মল কর্তৃপক্ষ।

এসএইচ-০৮/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র: নিউজ১৮.কম)