সকাল ১১:৩১
মঙ্গলবার
২১ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৭ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৩ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

সিরাজগঞ্জে মামাদের পিটুনিতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে মামা এবং তাদের লোকজনের বেধড়ক পিটুনিতে কাওসার রহমান (২৮) ও মিল্টন রহমান (৩৫) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার ভোরে গুরতর আহতাবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে কাওসার ও চিকিৎসারত অবস্থায় দুপুরে মিল্টন মারা যান।

নিহত কাওসার ও মিল্টন চৌহালী উপজেলার খাসপুকুরিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কোদালিয়া গ্রামের আলতাফ আলীর ছেলে। পেশায় কাওসার গ্রাম্য পশু চিকিৎসক ও মিল্টন কৃষক। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার শিকার হন তারা।

এ ঘটনায় নিহতদের মা হায়াতন নেছা বাদী হয়ে তার চাচাতো ৩ ভাই নাসির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বকুলসহ রফিুকুলের স্ত্রী খাসপুকুরিয়া ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানা ও আত্মীয় ইসরাফিল আলীসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পরে পুলিশ শিরিন সুলতানাকে গ্রেফতার করে। অন্যরা বর্তমানে পলাতক।

চৌহালী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কাওসারের পরিবারের সঙ্গে মামা রফিকুল ইসলাম বকুলের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও বিরোধ ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে উভয় পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়।

এরই এক পর্যায়ে রফিকুল ইসলাম ও তার ভাইরা এবং তাদের লোকজন কাওসার ও তার ভাই মিল্টনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে গুরুতর আহোবস্থায় উদ্ধার করে কাওসার ও মিল্টনকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পথেই কাওসার ও দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় মিল্টন মারা যান।

পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

বিএ-০৮/০৮-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

রাতেই ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

এ বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের থেকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন অর্থাত বাকী ৯৪ আসনের প্রাথীদের নাম ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল।

ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে, রাতে যে কোন সময়ে ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ইতোমধ্যে ২০৬ আসনে বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বাকি ৯৪টি আসনের মধ্যে আরও কয়েকটি বিএনপির আসন রয়েছে বলে জানা গেছে।

গণফোরামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক লতিফুর বারী হামীম সাংবাদিকদের বলেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে। এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আজ যেকোনো সময় প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে।

বিএ-০৭/০৮-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

খালেদা জিয়ার ভোট করা হচ্ছে না

রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া; এতে তার ভোটে অংশ নেওয়ার পথ ‍খুলবে বলে আশায় ছিলেন বিএনপি নেতারা।

কিন্তু সেই আপিলও নাকচ হয়ে গেছে শনিবার, ফলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকল না কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের।

অবশ্য ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার পথ খোলা রয়েছে খালেদা জিয়ার। কিন্তু দুই বছরের বেশি সাজায় দণ্ডিতদের নির্বাচন করার পথ যে বন্ধ, তা ইতোমধ্যে আদালতেরই আদেশে এসেছে।

তিন যুগ আগে খালেদা জিয়া দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তাকে ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে বিএনপিকে। এই অবস্থাকে ‘দুর্দিন’ হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজার রায়ের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন ৭২ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। এর মধ্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায়ও তার সাজার রায়ও হয়।

তখন থেকে বিএনপির আইনজীবীরা বলে আসছিলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন খালেদা।

কিন্তু সম্প্রতি বিএনপির কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের এই আদেশে দণ্ডিতদের নির্বাচন অংশ নেওয়া আটকে যায়।

হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।

তার মধ্যে হাই কোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ভিন্ন আদেশ দিলেও আপিল বিভাগে গিয়ে তা আটকে গেলে দণ্ডিতদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ আর খোলেনি।

এর মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের সময় দণ্ডের কারণ দেখিয়ে তা বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন খালেদা; তার আগে ১৯৯১ সাল থেকে পরের তিনটি নির্বাচনে পাঁচটি আসনে ভোট করে সবগুলোতে জয়ী হয়ে আসছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা এবার মনোনয়নপত্র বাতিল করলে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, ভোটের দায়িত্বে আসা সরকারি ওই কর্মকর্তারা ‘সরকারের ইঙ্গিতেই’ ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

ইসিতে আপিলে ‘ন্যায়বিচারে’ দলীয় চেয়ারপারসন প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলে শনিবার দুপুরেও এক সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তার মধ্যেই নির্বাচন ভবনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন আপিল কর্তৃপক্ষ খালেদার আবেদনের শুনানি নেয়। এতে খালেদার পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

শুনানির সময় সিইসি নূরুল হুদা খালেদার আইনজীবীকে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরতে বলেন। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান আইনজীবীর কাছে।

শুনানি শেষে ইসি খালেদার বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিকালে দেবে বলে জানায়।

এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে জানিয়ে আসে, কোনো চাপের মুখে যেন সাংবিধানিক সংস্থাটি নতি স্বীকার না করে। এরপর সন্ধ্যায় ইসি সিদ্ধান্ত জানায় যে খালেদা জিয়া ভোট করতে পারছেন না।

এসএইচ-০৯/০৮/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিডিনিউজ)

এক নজরে ৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী তালিকা

আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু আসনে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এ তালিকায় কোনও পরিবর্তন হলে তা আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই করা হবে।

চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ২৪০, জাপা-৪০, যুক্তফ্রন্টের-৩, ওয়ার্কার্স পার্টি-৫, জাসদ (ইনু)-৩, জাসদ (আম্বিয়া)-১, তরিকত ফেডারেশন-২, এবং জেপি-২ আসন পেয়েছে। বাকি রয়েছে আরও চারটি আসন। শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে তালিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ৩০০ আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো-

ঢাকা বিভাগ

সালমান এফ রহমান (ঢাকা-১), কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), নসরুল হামিদ বিপু (ঢাকা-৩), আবু হোসেন বাবলা (জাতীয় পার্টি, ঢাকা-৪) হাবিবুর রহমান মোল্লা (ঢাকা-৫), কাজী ফিরোজ রশিদ (জাতীয় পার্টি, ঢাকা-৬), হাজী মোহাম্মদ সেলিম (ঢাকা-৭), রাশেদ খান মেনন (ওয়ার্কার্স পার্টি, ঢাকা-৮), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১), আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (ঢাকা-১২), সাদেক খান (ঢাকা-১৩), আসলামুল হক (ঢাকা-১৪), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লাহ (ঢাকা-১৬), চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (ঢাকা-১৭), সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮), ডা. এনামুর রহমান (ঢাকা-১৯), বেনজীর আহমেদ (ঢাকা-২০)। আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), ইকবাল হোসেন সবুজ (গাজীপুর-৩), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-৫), গাজী গোলাম দস্তগীর (নারায়ণগঞ্জ-১) নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২), লিয়াকত হোসেন খোকা (জাতীয় পার্টি, নারায়ণগঞ্জ-৩), এ কে এম শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), এ কে এম সেলিম ওসমান (জাতীয় পার্টি, নারায়ণগঞ্জ-৫), লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক (নরসিংদী-১), জহিরুল হক ভুঁইয়া মহন (নরসিংদী-৩), অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু (নরসিংদী-৫), এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ-১), মমতাজ বেগম (মানিকগঞ্জ-২), জাহিদ মালেক স্বপন (মানিকগঞ্জ-৩), মাহি বি. চৌধুরী (বিকল্পধারা, মুন্সিগঞ্জ-১), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (মুন্সীগঞ্জ-২), অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সীগঞ্জ-৩), ড. আবদুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), তানভীর হাসান (টাঙ্গাঈল-২), আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), হাসান ইমাম খান (টাঙ্গাইল-৪), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), খন্দকার আব্দুল বাতেন (টাঙ্গাইল-৬), একাব্বর হোসেন (টাঙ্গাইল-৭), জোয়াহেরুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-৮), সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-১), নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), মুজিবুল হক চুন্নু (জাতীয় পার্টি, কিশোরগঞ্জ-৩), রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক (কিশোরগঞ্জ-৪), আফজাল হোসেন (কিশোরগঞ্জ-৫), নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬), রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মঞ্জুর হোসেন বুলবুল (ফরিদপুর-১), সাজেদা চৌধুরী (ফরিদপুর-২), ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), কাজী জাফরউল্লাহ (ফরিদপুর-৪), লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২), শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩), নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১), শাজাহান খান (মাদারীপুর-২), আবদুস সোবহান গোলাপ (মাদারীপুর-৩), ইকবাল হোসেন অপু (শরীয়তপুর-১), এ কে এম এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-২), নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-৩), কাজী কেরামত আলী (রাজবাড়ী-১), জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২)।

চট্টগ্রাম বিভাগ

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), নজীবুল বশর মাইজভান্ডারী (তরিকত ফেডারেশন, চট্টগ্রাম-২), মাহফুজুর রহমান মিতা (চট্টগ্রাম-৩), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি, চট্টগ্রাম-৫), এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬), ড. হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), মঈনউদ্দিন খান বাদল (জাসদ-আম্বিয়া, চট্টগ্রাম-৮), মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯), সামশুল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২), সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (চট্টগ্রাম-১৩), নজরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (চট্টগ্রাম-১৫), জাফর আলম (কক্সবাজার-১), আশেকউল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), সাইমুম সরওয়ার কমল (কক্সবাজার-৩), শাহীন আক্তার চৌধুরী (কক্সবাজার-৪), দীপঙ্কর তালুকদার (রাঙামাটি), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি) ও বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (বান্দরবান)। মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া (কুমিল্লা-১), সেলিমা আহমাদ মেরী (কুমিল্লা-২), ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন (কুমিল্লা-৩), রাজি মোহাম্মদ ফখরুল (কুমিল্লা-৪), অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু (কুমিল্লা-৫), আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (কুমিল্লা-৬), অধ্যাপক আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), নুরুল ইসলাম মিলন (জাতীয় পার্টি, কুমিল্লা-৮), তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), আ হ ম মুস্তফা কামাল লোটাস (কুমিল্লা-১০), মো. মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১), ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (বাহ্মণবাড়িয়া-১), র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), এবাদুল করিম বুলবুল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মহীউদ্দীন খান আলমগীর (চাঁদপুর-১), নুরুল আমিন খান রুহুল (চাঁদপুর-২), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), শফিকুর রহমান (চাঁদপুর-৪), রফিকুল ইসলাম (চাঁদপুর-৫), এইচ এম ইব্রাহিম (নোয়াখালী-১), মোরশেদ আলম (নোয়াখালী-২), মামুনুর রশিদ কিরণ (নোয়াখালী-৩), একরামুল করিম চৌধুরী (নোয়াখালী-৪), ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), আয়েশা ফেরদাউস (নোয়াখালী-৬), মোহাম্মদ নোমান (জাতীয় পার্টি, লক্ষীপুর-১), আনোয়ার হোসেন (তরিকত ফেডারেশন, লক্ষীপুর-২), এ কে এম শাজাহান কামাল (লক্ষীপুর-৩), মেজর (অব.) এম এ মান্নান (বিকল্পধারা, লক্ষীপুর-৪), শিরীন আখতার (জাসদ-ইনু, ফেনী-১), নিজামউদ্দিন হাজারী (ফেনী-২), লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি, ফেনী-৩)।

খুলনা বিভাগ

পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল (খুলনা-২), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), আবদুস সালাম মুর্শেদী (খুলনা-৪), নারায়ণচন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), আকতারুজ্জামান বাবু (খুলনা-৬), শেখ হেলাল উদ্দিন (বাগেরহাট-১), শেখ সারহান নাসের তন্ময় (বাগেরহাট-২), হাবিবুন্নাহার (বাগেরহাট-৩), মোজাম্মেল হোসেন (বাগেরহাট-৪), মোস্তফা লৎফুল্লাহ (ওয়ার্কার্স পার্টি, সাতক্ষীরা-১), মীর মোশতাক আহমেদ রবি (সাতক্ষীরা-২), অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক (সাতক্ষীরা-৩), এস এম জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪)। আব্দুল হাই (ঝিনাইদহ-১), তাহজীব আলম সিদ্দিকী (ঝিনাইদহ-২), শফিকুল আজম খান চঞ্চল (ঝিনাইদহ-৩), আনোয়ারুল আজীম আনার (ঝিনাইদহ-৪), কবিরুল হক মুক্তি (নড়াইল-১), মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা (নড়াইল-২), ফরহাদ হোসেন দোদুল (মেহেরপুর-১), মো. সাহিদুজ্জামান খোকন (মেহেরপুর-২), সরোয়ার জাহান বাদশা (কুষ্টিয়া-১), হাসানুল হক ইনু (জাসদ, কুষ্টিয়া-২), মাহবুব-উল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), সেলিম আলতাফ জর্জ (কুষ্টিয়া-৪), সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (চুয়াডাঙ্গা-১), আলী আজগার টগর (চুয়াডাঙ্গা-২), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন (যশোর-২), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর-৫), ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬), সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১), বীরেন শিকদার (মাগুরা-২)।

ময়মনসিংহ বিভাগ

জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১), শরীফ আহমেদ (ময়মনসিংহ-২), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-৩), রওশন এরশাদ (জাতীয় পার্টি, ময়মনসিংহ-৪), কে এম খালিদ বাবু (ময়মনসিংহ-৫), অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী (ময়মনসিংহ-৭), ফখরুল ইমাম (জাতীয় পার্টি, ময়মনসিংহ-৮), আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন (ময়মনসিংহ-৯), ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু (ময়মনসিংহ-১১), আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-১), ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), মির্জা আজম (জামালপুর-৩), ডা. মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), রেজাউল করিম হিরা ও ইঞ্জি. মোজাফফর (জামালপুর-৫), আতিউর রহমান আতিক (শেরপুর-১), মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), এ কে এম ফজলুল হক চান (শেরপুর-৩), মানু মজুমদার (নেত্রকোনা-১), আশরাফ আলী খান খসরু (নেত্রকোনা-২), অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোনা-৩), রেবেকা মমিন (নেত্রকোনা-৪), ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (নেত্রকোনা-৫)।

রংপুর বিভাগ

মাজহারুল হক প্রধান (পঞ্চগড়-১), অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), রমেশচন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১), দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), ইয়াসিন আলী (ওয়ার্কার্স পার্টি, ঠাকুরগাঁও-৩), আফতাব উদ্দিন সরকার (নীলফামারী-১), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), কাজী ফারুক কাদের (জাতীয় পার্টি, নীলফামারী-৩), শওকত চৌধুরী (নীলফামারী-৪), আক্কাস আলী (জাতীয় পার্টি, কুড়িগ্রাম-১), পনির উদ্দিন আহমেদ (জাতীয় পার্টি, কুড়িগ্রাম-২), এম এ মতিন (কুড়িগ্রাম-৩), রুহুল আমিন (জাতীয় পার্টি-জেপি, কুড়িগ্রাম-৪), মোতাহার হোসেন (লালমনিরহাট-১), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), মশিউর রহমান রাঙা ( জাতীয় পার্টি, রংপুর-১), আবুল কালাম মো. আহসানুল হক (রংপুর-২), এইচ এম এরশাদ (জাতীয় পার্টি, রংপুর-৩), টিপু মুনশি (রংপুর-৪), এইচ এন আশিকুর রহমান (রংপুর-৫), শিরীন শারমিন চৌধুরী (রংপুর-৬), মনোরঞ্জন শীল গোপাল (দিনাজপুর-১), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (দিনাজপুর-৫), শিবলি সাদিক (দিনাজপুর-৬), শামীম হায়দার পাটোয়ারী (গাইবান্ধা-১), মাহাবুব আরা বেগম গিনি (গাইবান্ধা-২), ডা. ইউনুস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩), মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (গাইবান্ধা-৪), ফজলে রাব্বি মিয়া (গাইবান্ধা-৫)।

রাজশাহী বিভাগ

ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১), ফজলে হোসেন বাদশা (ওয়ার্কার্স পার্টি, রাজশাহী-২), আয়েন উদ্দিন (রাজশাহী-৩), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), মনসুর রহমান (রাজশাহী-৫), শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬), আবদুল মান্নান (বগুড়া-১), শরিফুল ইসলাম জিন্না (জাতীয় পার্টি, বগুড়া-২), নুরুল ইসলাম তালুকদার (জাতীয় পার্টি, বগুড়া-৩), রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ-ইনু, বগুড়া-৪), হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫), নুরুল ইসলাম ওমর (জাতীয় পার্টি, বগুড়া-৬), আলতাফ আলী (জাতীয় পার্টি, বগুড়া-৭), সাধনচন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), ছলিম উদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩), ইমাজ উদ্দিন প্রমাণিক (নওগাঁ-৪), ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল ডন (নওগাঁ-৫), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬), শহীদুল ইসলাম বকুল (নাটোর-১), শফিকুল ইসলাম শিমুল (নাটোর-২), অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), আব্দুল কুদ্দুস (নাটোর-৪), শামসুল আলম দুদু (জয়পুরহাট-১), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), ডা. সামিল উদ্দীন আহম্মেদ শিমুল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১), মু. জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), আব্দুল ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), ডা. হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), ডা. আব্দুল আজিজ (সিরাজগঞ্জ-৩), তানভীর ইমাম (সিরাজগঞ্জ-৪), আবদুল মমিন মণ্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), হাসিবুর রহমান স্বপন (সিরাজগঞ্জ-৬), শামসুল হক টুকু (পাবনা-১), আহমেদ ফিরোজ কবির (পাবনা-২), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), শামসুর রহমান শরীফ ডিলু (পাবনা-৪), গোলাম ফারুক প্রিন্স (পাবনা-৫)।

বরিশাল বিভাগ

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (বরিশাল-১), সোহেল রানা (জাতীয় পার্টি, বরিশাল-২), শেখ টিপু সুলতান (ওয়ার্কার্স পার্টি, বরিশাল-৩), পংকজ দেবনাথ (বরিশাল-৪), কর্নেল (অব.) জাহেদ ফারুক (বরিশাল-৫), নাসরিন জাহান রত্মা (জাতীয় পার্টি, বরিশাল-৬), অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১), শওকত হাচানুর রহমান রিমন (বরগুনা-২), অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া (পটুয়াখালী-১), আ স ম ফিরোজ (পটুয়াখালী-২), এস এম শাহজাদা (পটুয়াখালী-৩), মুহিবুর রহমান (পটুয়াখালী-৪), তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), আলী আজম (ভোলা-২), নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (ভোলা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), বজলুল হক হারুন (ঝালকাঠি-১), আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২), শ ম রেজাউল করিম (পিরোজপুর-১), আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (জাতীয় পার্টি-জেপি, পিরোজপুর-২), রুস্তম আলী ফরাজী (জাতীয় পার্টি, পিরোজপুর-৩)।

সিলেট বিভাগ

এ কে এম আব্দুল মোমেন (সিলেট-১), ইয়াহইয়া চৌধুরী (জাতীয় পার্টি, সিলেট-২), মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েস (সিলেট-৩), ইমরান আহমদ (সিলেট-৪), সেলিম উদ্দিন (জাতীয় পার্টি, সিলেট-৫), নুরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট-৬), ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), জয়া সেনগুপ্তা (সুনামগঞ্জ-২), এম এ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), পীর ফজলুর রহমান (জাতীয় পার্টি, সুনামগঞ্জ-৪), মুহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), শাহনেয়াজ মিলাদ গাজী (হবিগঞ্জ-১), আব্দুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), আবু জহির (হবিগঞ্জ-৩), মাহবুব আলী (হবিগঞ্জ-৪), শাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), এম এম শাহী (বিকল্পধারা, মৌলভীবাজার-২), নেসার আহমদ (মৌলভীবাজার-৩), আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪)।

বিএ-০৫/০৮-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের কাছে শেখ হাসিনার বিশেষ অনুরোধ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের যারা বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

এক চিঠিতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে আপনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটকে বিজয়ী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। আপনার ত্যাগ, শ্রম ও আন্তরিকতা সবকিছুই আমার বিবেচনায় আছে।’

শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠান। বিজ্ঞপ্তিতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর দেওয়া একটি চিঠি রয়েছে।

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা প্রার্থী হন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাঁরা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত হন।

চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের হিংস্র থাবা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে বাংলাদেশকে টেকসই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ কারণে আমরা সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আবারও বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে।

সেই বিজয়ের অংশীদার হবেন আপনিও। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার সাংগঠনিক শক্তি আর কারও নেই।

‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি, আগামী নির্বাচনে আপনার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে আপনার সকল সাংগঠনিক দক্ষতা, শক্তি ও সামর্থ্য আওয়ামী লীগের বিজয়কে সুনিশ্চিত করবে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের গত এক দশকের অর্জিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সংগঠনের একজন আদর্শবান, ত্যাগী ও বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ও সার্বিক কর্মকাণ্ডে আপনার স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রায় ৮০ জনের মতো বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ে কয়েকজন বাদ পড়েছেন। এ ছাড়া কেউ কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারও করেছেন।

এসব বাদ দিয়ে এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রায় অর্ধশত বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করার জন্য মাঠে আছেন। তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে এই চিঠি দিয়েছেন।

বিএ-০৪/০৮-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: প্রথম আলো)

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) এখন একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাডেমি। আর এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু একদিন যে স্বপ্ন দেখেছিলেন; তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে বিএমএর ৭৬তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি ক্যাডেটদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ২৫৪ জন বাংলাদেশী, ২ জন সৌদি এবং একজন শ্রীলংকান ক্যাডেটসহ মোট ২৫৭ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। এর মধ্যে ২১৭জন পুরুষ ও ৩৭জন নারী ক্যাডেট আছেন।

কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু একদিন যে স্বপ্ন দেখেছিলেন; আজ তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বিএমএ আজ একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাডেমি।

এখানে ক্যাডেটদের ইনডোর প্রশিক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। জাতির পিতার হাতে যে সেনাবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল, তার সুনাম আজ বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, গত ১০ বছরে সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি সক্ষমতা বহুলাংশে বেড়েছে। ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নসহ শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র ও সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণ ও তাদের পরিচয়পত্র তৈরীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশ-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে সেনাবাহিনী সব মহলের প্রশংসা অর্জন করেছে।

এসময় তিনি নবীন ক্যাডেটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরা এদেশের সন্তান, জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তোমাদের মানুষের সুখ-দু:খ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে। যেকোনো দুর্যোগ-দু:সময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

বিএ-০৩/০৮-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)

খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেছেন, খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা যে আদেশ দিয়েছেন আইনের দৃষ্টিতে তা বৈধ নয়, এটা অবৈধ।

আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন তা অনুধাবন করতে পারছেন। বিকেলে যথাযথ ও আইনগত আদেশ দেবেন। আশা করি বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রের যাচাই বাছাই শেষে খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল ঘোষণা করেন ফেনী ও বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তারা। পরে ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১ আসনের জন্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বগুড়া-৬ আসনের জন্য ব্যারিস্টার নওশাদ জমির এবং বগুড়া-৭ আসনের জন্য অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আপিল আবেদন জমা দেন।

শনিবার সেই আপিল আবেদনের ওপর নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানি শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, আর্টিকেল ১২/১ ঘ অনুসারে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। আমরা শুনানিতে বলেছি, রিটার্নিং কর্মকর্তা যে কারণ দেখিয়েছেন, ওই আইন অনুসারে বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল সঠিক হয়নি। কিন্তু সেটাই করা হয়েছে। আমরা সেসব কারণে আপিল করেছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে আমরা আইনের বিস্তারিত দিক তুলে ধরেছি। নির্বাচন কমিশন সব শুনে অন্যান্য মামলার মতো এ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। তারা বলেছেন, এ ব্যাপারে তারা বিকেল ৫টার দিকে তাদের মতামত ও সিদ্ধান্ত জানাবেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, সাংবিধানিক অধিকার প্রত্যেকটি নাগরিক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে বেগম জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার কোনো সুযোগ নাই। আইনগতভাবেই খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

তিনি বলেন, ১২/১ ঘ’-তে নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের কথা লেখা রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে অপরাধী হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রক্রিয়া তো এখনও শুরুই হয়নি। এখনও খালেদা জিয়া মার্কা নিয়ে রাস্তায় নামেননি। তাহলে নির্বাচন-সংক্রান্ত অপরাধ করার সুযোগই তৈরি হয়নি। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়া এমন কোনো অপরাধ করেননি যে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিধান দিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করা যায়।

কমিশন কি তাদের কোনো কনফিউশনের কথা বলেছেন, যেটি আরও পর্যবেক্ষণের দরকার রয়েছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদার আইনজীবী বলেন, না, এমন কিছু তারা বলেননি। এখন প্রসেস হচ্ছে ভেরি ইনিসিয়েল স্ট্যাজ। এ অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তা কি আদেশ দিয়েছেন শুধু সেটার উপরই নির্বাচন কমিশন আদেশ দিতে পারবেন। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন- ১২/১-এর ‘ঘ’ অনুসারে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। সেখানে যেসব সেকশন রয়েছে সেসব কানেক্টেড নির্বাচনী আচরণ-সংক্রান্ত।

এ ছাড়াও উদাহরণ দিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, নির্বাচনের মাঠে কেউ যদি কোনো অপরাধ করে যেমন- আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করলাম, নির্বাচনী প্রসেস শুরু হলো, কাউকে মারধর করলাম, কাউকে গুলি করলাম, ভোট কেন্দ্রে অরাজক অবস্থা তৈরি করে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলাম- এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিধিতে মনোনয়নপত্র বাতিল করা যায়। এখনো সে অবস্থাই তৈরি হয়নি।

বিএ-০২/০৮-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

যে কারণে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন না মনির খান

বিএনপির মনোনয়ন পেলেন

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান গান দিয়ে জয় করেছেন কোটি ভক্তের হৃদয়। রাজনীতির মাঠেও মানুষের ভালোবাসা পেতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে করতে চেয়েছিলেন।

তবে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দৌড়ে বাদ পড়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মনির খান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মনির খান।

তবে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতকে এ আসনটি ছেড়ে দেয়ায় তিনি বাদ পড়েছেন

এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন মতিয়ার রহমান, যিনি ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি।

জানা গেছে, মূলত এই আসনটিতে জামায়াতের ভোট বেশি হওয়ায় বিএনপির কোনো প্রার্থী দেয়া হয়নি।

বিগত পাঁচটি নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও এবার তার ব্যতিক্রম হল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঝিনাইদহের চারটি আসনের মধ্যে বিএনপির তিনজন প্রার্থীকে চিঠি দেয়া হলেও ঝিনাইদহ-৩ আসনে দলটির কাউকে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি।

আরএম-১৯/০৮/১২ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)

খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের আইন অনুযায়ী ২ বছরের অধিক দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন না।

নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগের রায়েও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। তাই তার নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই।

শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ওটার হাটে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভাঙা হাট আর মিলবে না। যত দিন যাচ্ছে ততই তাদের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছে। বিএনপি মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য করেছে। তাদের অনেক নেতাকর্মীও এ নিয়ে বিক্ষোভ করছে।

মন্ত্রীসভা সম্পর্কে কাদের বলেন, মন্ত্রীসভার আকার ছোট বা বড় কি ধরনের হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর গৃহীত হবে।

নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ঠিকই আছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গত কয়েকদিন দরে নেতাকর্মী নিয়ে এ এলাকায় গণসংযোগ করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। মওদুদ সাহেবের কোন জনপ্রিয়তা নেই। তিনি জনগণের কাছে কিভাবে ভোট চাইবেন?

গত ২২ বছর ২২টি কাজও তিনি দেখাতে পারবেন না। তারা নিজেদের গণসংযোগে নিজেরা বোমা ফাটিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তারা নিজেরা যেকোন ঘটনা ঘটিয়ে এর দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপাতে পারেন। তাই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

কাদের বলেন, আমাদের সরকার নোয়াখালী-৫ আসনে ৯৩% এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ প্রদান করেছে। বাটইয়া ইউনিয়নেও শতভাগ বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।

নোয়াখালীর দুঃখ নোয়াখালী খাল খনন করে এ এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বামনী ক্লোজারের কাজ মওদুদ আহমদ ২২ বছরেও করতে পারেননি। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুছাপুর ক্লোজারের কাজ শেষ করে এ এলাকার জনগণকে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

এ সময় নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. এবিএম জাফর উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. এ.কে.এম জাফর উল্লাহ, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, বাটইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএ-০১/০৮-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

ভোটের আগে যে দাবি তুললেন শাকিব খান

ভোটের আগে যে

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে দেশের চারদিকে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। এবারের নির্বাচনে শোবিজ জগতের তারকাদের অংশগ্রহণ বিগত সব জাতীয় নির্বাচনের থেকে বেশি। অনেক তারকা পেয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন দলের মনোনয়ন। আবার অনেকেই নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িয়েছেন নিজের নাম। নির্বাচন নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা জানালেন ‘ঢাকার কিং’খ্যাত নায়ক শাকিব খান।

কয়েকদিনের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনি ইশতেহার দিবে। চলচ্চিত্রের তারকা’ শাকিব খান আশা প্রকাশ করেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ইশতেহারে ৬৪টি জেলায় মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের বিষয়টি রাখবে।

শাকিব আরও বলেন, আমাদের যুগপোযোগী হতে হবে। পুরানো আমলের চিন্তাভাবনা করলে হবে না। মাল্টিপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকবে এফডিসির ওপর। সেন্ট্রাল সার্ভার, ই-টিকেটিং থাকবে। সবাই দেখবে, কার ছবি কেমন চলছে। এতে করে এখনকার জেনারেশন আবার হলমুখি হবে।

‘যুব সমাজের অবক্ষয় রক্ষায় সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পারিবারিক বন্ধন আরও জোড়াল করার জন্য সরকার এত এত কিছু করছে। কিন্তু যদি সিনেমার পরিস্থিতি ভালো থাকত তাহলে চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত।’

প্রসঙ্গত, শাকিব খান ‘একটু প্রেম দরকার’, ‘শাহেনশাহ’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন শাকিব খান। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার ‘নোলক’ ছবিটি। এছাড়াও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা কাজী হায়াতের পরিচালনায় ‘বীর’ ছবিতে অভিনয় করবেন এই তারকা।

আরএম-১৮/০৮/১২ (বিনোদন ডেস্ক)