রাত ১০:০২
শুক্রবার
৩ রা মে ২০২৪ ইংরেজি
২০ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

অন্তর্বাস প্রদর্শনে আয়ারল্যান্ডে বিক্ষোভ

১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার এক সপ্তাহ পর আয়ারল্যান্ডে এ সংক্রান্ত বিক্ষোভ চলছে।

বিচার চলাকালে আদালতে অভিযুক্ত-পক্ষের আইনজীবী বিচারকদের বলেন: “তার পোশাক কেমন ছিল সেটি আপনাদের দেখতে হবে। সে একটি থং (এক ধরনের আন্ডার গার্মেন্টস) পরা ছিল যার সামনের দিকে ছিল লেস লাগানো”।

২৭ বছর-বয়সী অভিযুক্ত ব্যক্তিটি এরপর ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হননি।

এই বিতর্কের জেরে একজন আইরিশ সংসদ সদস্য একটি লেসের তৈরি থং পার্লামেন্টে তুলে ধরেন এবং এর মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনায় “নিয়মিতভাবে ভুক্তভোগীকে দোষারোপের” ঘটনাকে সামনে তুলে ধরেন।

রুথ কোপিংগার আইরিশ পার্লামেন্টে নীল লেস লাগানো অন্তর্বাসটি তুলে ধরেন মঙ্গলবার।

“এখানে এভাবে এই থং প্রদর্শনের বিষয়টি নি:সন্দেহে বিব্রতকর…কিন্তু যখন একজন ধর্ষণের শিকার মানুষ বা একজন নারীর অন্তর্বাস আদালতে প্রদর্শন করা হয় সেই অন্যায্য ঘটনার ক্ষেত্রে তার কেমন অনুভূতি হয় বলে আপনারা মনে করেন?”

বিচারে কী ঘটেছে?

যে মামলায় অভিযুক্ত লোকটিকে ধর্ষণের ঘটনা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে, তা আইরিশ পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছিল।

অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন যে, তার এবং মেয়েটির মধ্যে যে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল সেটি ঘটেছিল দুজনের সম্মতিতেই। তার সিনিয়র পরামর্শক এলিজাবেথ ও’কনেল আদালতে তুলে ধরেন, যা ব্যাপকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং অনলাইনে সিরিজ ধারাবাহিক বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়।

“এই প্রমাণাদি কি এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে যে মেয়েটি আসামিকে আকৃষ্ট করেছিল এবং কারও সাথে সাক্ষাত করার জন্য এবং কারো সাথে থাকার জন্য ?” সে প্রশ্ন তোলে।

আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে যে সে কোন ধরনের কাপড় পরতো। সে এমন একটি থং পরেছিল যেটির সামনের দিকে লেস লাগানো।”

বিক্ষোভের শুরু যেভাবে

আদালতের রায়ের ওপর প্রকাশনাটি প্রকাশের পরপরই ব্যারিস্টারের যুক্তিতর্ক সমালোচনা করেন ডাবলিনের রেপ ক্রাইসিস সেন্টার-এর প্রধান। যদিও তিনি রায় নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেননি, তিনি আইনি ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি তুলেছেন।

অব্যাহত মিডিয়া নজরদারির মধ্যে আইরিশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা আদালতে এ ধরনের বক্তব্যে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে।

Counsel for man acquitted of rape suggested jurors should reflect on underwear worn by the 17yo complainant. Following this wholly unacceptable comment, we are calling on our followers to post a picture of their thongs/knickers to support her with the hashtag #ThisIsNotConsent pic.twitter.com/ZkVU0GVAIN

— I Believe Her – Ireland (@ibelieveher_ire) November 10, 2018
আদালতে এ ধরনের কৌশল উপস্থাপনের প্রতিবাদে আইরিশ নারীরা ‘হ্যাশট্যাগ দিস ইজ নট কনসেন্ট’ দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাদের আন্ডার গার্মেন্টস এর আকৃতি, রং এবং ম্যাটেরিয়াল এর ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকেন।।

অনেকেই অন্যান্য দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন যেসব দেশের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং ধর্ষণের বিচারে কী ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারকরা তাদের অপরাধ বিবেচনায় নিতে পারেন।

আয়ারল্যান্ডের জাতীয় পার্লামেন্টে লেস লাগানো আন্ডারওয়্যার প্রদর্শনের পর মিজ কপিংগার একজন সমর্থককে বলেন, বিচারক এবং কৌসুলিদের জন্য বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ চালু করতে হবে।

এই বিচারকে ঘিরে বিতর্ক স্মরণ করিয়ে দেয় দুজন হাই-প্রফাইল রাগবি খেলোয়াড়ের বিচারকে ঘিরে বিক্ষোভের কথা। তাদেরকে এই বছরের শুরুর দিকে ধর্ষণের ঘটনায় নির্দোষ বলে উত্তর আয়ারল্যান্ডের আদালত। এই ঘটনা সীমান্তের দুইদিকেই ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটায়।

Thongs are being hung up outside the Spire in Dublin as part of the protest calling for an overhaul in the way rape trials are conducted #rape #consent #rosa pic.twitter.com/zGfl7HFNrW

— Stephanie Rohan (@StephGrogan3) November 14, 2018
বুধবার বিভিন্ন আইরিশ শহরে বিক্ষোভ থেকে যে দাবি তোলা হয়েছে আদালতে ভূক্তভোগীকে দোষারোপের ইতি টানতে হবে।

কর্ক- যেখানে এই বিতর্কিত বিচারকাজ চলেছে সেখানে আনুমানিক ২০০ মানুষ জড়ো হয়েছে কোর্ট-ভবন এর উদ্দেশ্যে পদযাত্রার জন্য এবং এ‌ যাত্রায় আন্ডারওয়্যার থাকবে।

বুধবার পশ্চিমাঞ্চলীয় লিমারিক শহরে বিক্ষোভ হয় এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় ওয়াটারফোর্ড শহরে বিক্ষোভ শুক্রবার।

এসএইচ-২৬/০৩/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিবিসি)

অল্পের জন্য বাঁচলো আন্দালিব রহমান পার্থের মনোনয়ন

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ আসনে লড়বেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।

রোববার যাচাই বাছাইয়ের পর তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।

তবে, অনেক প্রার্থীর মতো তারও মনোনয়ন বাতিল হতে পারতো বলে জানিয়েছেন আন্দালিব রহমান পার্থ।

সোমবার বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে পার্থ লিখেছেন,

‘কাল্পনিক টেলিফোন বিল বানানো, কোন নাম নাই বিলে …শুধু লিখা ভোলা ১ এম পি …এবং তারিখ যেই সময় আমি সংসদ সদস্য ছিলাম …। এই ফোন আমার না আর এই নাম্বার ও আমি চিনি না… বিলে ঠিকানাও নাই ।

আমার এক শুভাকাঙ্ক্ষী বিল টা দেখে বা জানতে পেরে আমাকে জানায় ..আর .আমার মনোনয়ন টা বেচে যায় ……।।’

স্ট্যাটাসের সঙ্গে তিনি টেলিফোন বিলের দুইটি কপিও যোগ করেছেন।

বিএ-১৮/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

চার বছরের শিশু যেভাবে মায়ের প্রাণ বাঁচাল

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে একটি শিশুর বুদ্ধিমত্তার কারণে বেঁচে গেছে তার মায়ের জীবন। চার বছরের ওই ছোট্ট মেয়েটির নাম কেইটলিন রাইট। দেশটির ডোরসেট অঞ্চলের ছোট গ্রাম আসকার্সওয়েলের বসবাস করে কেইটলিন রাইট ও তার পরিবার।

গত মাসের শুরুর দিকে কেইটলিনের মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান। ঘটনার দিন কেইটলিন তার মা শার্লিনের সঙ্গে বাড়িতেই ছিল। এক পর্যায়ে মা শার্লিন জ্ঞান হারান। এমন ঘটনায় ঘাবড়ে যায়নি কেইটলিন। বরং সে স্থানীয় জরুরি নম্বরে ৯৯৯ এ ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে নেয়। খবর বিবিসির।

এতো ছোট বয়সে এমন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়ায় কেইটলিনের প্রশংসা করছেন সকলে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাউথ ওয়েস্টার্ন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস- সোয়াস কর্তৃপক্ষ জানান, ‘এতোটুকু বয়সে এই মেয়েটি যে বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে, সেটা তুলনাহীন। সে যেভাবে ফোনের অপর-প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে, তার মায়ের অবস্থা ব্যাখ্যা করেছে সেটা আশ্চর্য হওয়ার মতোই।’

পরে প্যারামেডিক্সরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শার্লিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসটি শিশুটির সঙ্গে তাদের টেলিফোনের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেছে। সেখানে কেইটলিনকে বলতে শোনা যায় যে, ‘মা অজ্ঞান হয়ে পড়েছে এবং তার দেখাশোনা করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসটির মুখপাত্র জানান, ‘চার বছরের শিশু আমাদের ফোন করে তার উপস্থিত বুদ্ধি, প্রজ্ঞা আর ভীষণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।’ এ ব্যাপারে ওই মা তার মেয়ে কেইটলিনকে ‘লিটল গার্ডিয়ান এঞ্জেল’ বা ‘ক্ষুদে রক্ষাকারী পরী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সেই দিনটার কথা আমার এতোটুকুই মনে আছে যে, কেইটলিনের বাবা কেইটলিনকে বাসায় নিয়ে এসেছেন আর আমার কাছে জানতে চেয়েছেন বাজার করার প্রয়োজন আছে কিনা। তারপর কেইটলিনের বাবা চলে গেলেন। পরে শুধু এটাই মনে আছে যে একজন প্যারামেডিক আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।’

তিনি প্রায়ই এভাবে অসুস্থ হয়ে হাত পা কাঁপিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। এ কারণে তার এমন পরিস্থিতির বিষয়ে আশেপাশের মানুষ বেশ সচেতন। এ বিষয়ে কেইটলিনের মা বলেন, ‘আমি প্রায় দিনই এভাবে অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার তিন সন্তানই জানে যে সে সময়ে ঠিক কি করতে হবে। আমরা তাদের সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শিখিয়ে-পড়িয়ে রেখেছি।’

কেইটলিনের বাবা সায়মন রাইট বলেন, ‘আমরা কেইটলিনকে এটুকুই শিখিয়েছি যে, টেলিফোনের একটি ছোট বোতাম তিনবার চেপে এবং এরপর একটি সবুজ বোতাম চেপে, কিভাবে সাহায্য চাইতে হয়। এই ছোট শিক্ষাটাই আজ শার্লিনকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে এনেছে। যদি কেইটলিন এমনটা না করতো, তাহলে তো আমাদের আজকে এভাবে একসঙ্গে বসে থাকা সম্ভব হতো না। এটা সত্যিই বিস্ময়কর।’

ওই নারী বলেন, ‘আমার প্রথম চিন্তা এটাই ছিল যে, আমি আমার তিন সন্তানের সাথেই নিরাপদ। এটি সম্ভবত বিশ্বের সেরা অনুভূতিগুলির মধ্যে একটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি অসুস্থ বা বিপর্যস্ত থাকেন, দুর্বল হন বা শারীরিক পরিস্থিতি ভাল না হয়, তাহলে এ বিষয়টা খুবই ভীতিকর। কিন্তু আমি জানি যে আমার এই ছোট মেয়েটাও আমার জীবন বাঁচাতে পারে। আমাকে সেদিন বাঁচিয়েছে, আসলে এমন অনেক কিছুই ঘটতে পারত যখন সেখানে কেউ ছিল না।’

কেইটলিনের সেই জরুরি ফোন কলটির জবাব দিয়েছিলেন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের কর্মকর্তা জেস হডকিনসন। তিনি ঘটনার দিন তিনি এই ছোট্ট শিশুর বুদ্ধিমত্তা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘কেইটলিনের সেই বাচ্চা কণ্ঠের আধো আধো বোল শুনে আমি প্রথমে খুব অবাক হয়েছিলাম। তাই শুনেই বুঝেছি যে কোন একটি ছোট শিশু ফোন দিয়েছে। তবে কেইটলিন ছিল ভীষণ সাহসী। সে আমার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর স্পষ্টভাবে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে জানিয়েছে এবং সে জানত যে জরুরী অবস্থায় কী করতে হয়।’

কেইটলিনের এমন কাজের জন্য তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশংসা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর ব্রিস্টলের বাছে সোয়াসের ৯৯৯ কন্ট্রোল সেন্টারে ঘুরতে যায় কেইটলিন।

এসএইচ-২৫/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

মিরাজ ক্যারিয়ার সেরা র‌্যাঙ্কিংয়ে

ঢাকা মিরপুর টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। ১১৭ রানে নেন ১২ উইকেট। ওদিকে ২-০ ব্যবধানে জেতা সিরিজে সাকিব আল হাসান পেয়েছেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। দুজনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে র‌্যাঙ্কিংয়েও। বেশ বড়সড় লাফ দিয়েছেন দুজন।

ঢাকা মিরপুরে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট শেষে আপডেট করা হয়েছে র‌্যাঙ্কিং। যেখানে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৪ ধাপ উপরে উঠে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বর্তমান ১৬তম স্থানে অবস্থান তার। যা তার ক্যারিয়ার সেরা র‌্যাঙ্কিং। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান মিরপুরে ৮০ রানের ইনিংসের সুবাদে ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১ নম্বরে উঠে এসেছেন। সাত ধাপ এগিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক।

ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৫ ধাপ উপরে উঠে এসেছেন ১৩৬ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বর্তমানে ৪৮ নম্বরে অবস্থান করছেন তিনি। তবে দুই ধাপ নিচে নেমে গেছেন মুমিনুল হক। ২৬তম স্থানে আছেন তিনি। সাত ধাপ নিচে নেমে ২৮তম স্থানে আছেন মুশফিকুর রহীম।

ক্যারিবীয়দের মধ্যে ব্যাটিংয়ে শিমরন হেটমায়ার ও বোলিংয়ে জোমেল ওয়ারিকান উপরে উঠে এসেছেন। মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানের ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন হেটমায়ার। এই পারফরম্যান্সে র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন ক্যারিয়ার সেরা অবস্থান তার। ২৮ ধাপ উপরে উঠে ৫২তম স্থানে অবস্থান করছেন তিনি। ওদিকে বোলারদের মধ্যে ওয়ারিকান দুই ধাপ উপরে উঠে ৬৯তম স্থানে অবস্থান করছেন। বাকীদের বেশিরভাগই র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছেন।

ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে যথারীতি বিরাট কোহলি। বোলিংয়ে শীর্ষে কাগিসো রাবাদা। অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন সাকিব আল হাসান।

এসএইচ-২৪/০৩/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

নিহত চঞ্চলের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন এমপি এনামুল

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে নিহত যুবলীগ কর্মী চঞ্চল কুমার সরকারের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। সোমবার তিনি নিহত চঞ্চল সরকারের বাড়িতে যান।

এসময় নিহতের স্বজনদের হাতে সহায়তার নগদ এক লাখ টাকা তুলে দেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনিল কুমারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার দুপুরে ছুটিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন তাহেরপুর পৌর এলাকার মাস্টার পাড়ার মৃত নরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে চঞ্চল কুমার সরকার। সাড়ে তিন বছর বয়সী তার এক ছেলে রয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান চঞ্চল।

নিহত চঞ্চলের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন এনামুলনিহতের স্বজনদের ভাষ্য, নিহত চঞ্চল তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালামের অনুসারী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই মেয়র ও এমপি এনামুলের রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে জেরেই এমপির সমর্থকরা এই হত্যাকণ্ড ঘটান। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন এমপি এনামুল হকের সমর্থক সুমন, বিপ্লব ও মাসুদের নেতৃত্বে পরিরল্পিত এই হামলা হয়।

এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে নিহত চঞ্চলের স্ত্রী পপি রানী সরকার বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এজাহারনামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে, মামলার তদারকিতে সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান রাজশাহীর জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ। এসময় তিনি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। পরে তিনি নিহত চঞ্চল কুমার সরকারের বাড়িতে যান।

তার স্বজনদের হাতে সহায়তার ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এসময় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।

বিএ-১৭/০৩-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বে কে কোন গ্রুপে

রোববার আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ২০২০ সালের ইউরো কাপের বাছাইপর্বের ড্র। ইউরোপ অঞ্চলের ৫৫টি দল ১০টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে এই বাছাইপর্ব। টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ থেকে। চলবে নভেম্বর পর্যন্ত।

দশটি গ্রুপের মধ্যে প্রথম ৫টি (এ, বি, সি, ডি, ই) গ্রুপে থাকে পাঁচটি করে দল। আর পরবর্তী ৫ গ্রুপে (এফ, জি, এইচ, আই, জে) খেলবে ৬টি করে দল।

প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুইটি দল সরাসরি খেলবে মূল পর্বে। আর প্লে-অব থেকে নেয়ো হবে আরও চারটি দল।

ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বের ড্র :

গ্রুপ ‘এ’ : ইংল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, বুলগেরিয়া, মন্টেনেগ্র, কসোভো।
গ্রুপ ‘বি’ : পর্তুগাল, ইউক্রেন, সার্বিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ।
গ্রুপ ‘সি’ : নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, এস্তোনিয়া, বেলারুশ।
গ্রুপ ‘ডি’ : সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড, জর্জিয়া, জিব্রাল্টার।
গ্রুপ ‘ই’ : ক্রোয়েশিয়া, ওয়েলস, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, আজারবাইজান।

গ্রুপ ‘এফ’ : স্পেন, সুইডেন, নরওয়ে, রোমানিয়া, ফরো আইল্যান্ড, মাল্টা।
গ্রুপ ‘জি’ : পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ইসরায়েল, স্লোভেনিয়া, মেসেডোনিয়া, লাটভিয়া।
গ্রুপ ‘এইচ’ : ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, তুরস্ক, আলবেনিয়া, মলদোভা, এন্ডোরা।
গ্রুপ ‘আই’ : বেলজিয়াম, রাশিয়া, স্কটল্যান্ড, সাইপ্রাস, কাজাখাস্তান, সান ম্যারিনো।
গ্রুপ ‘জে’ : ইতালি, বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভেনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রিস, আরমেনিয়া, লিচটেন্সটেইন।

এসএইচ-২৩/০৩/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বিএনপি ১০০ আসনে ছাড় দেবে ঐক্যফ্রন্টকে

ফাইল ছবি

আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অনড় অবস্থানে নেই বলে জানিয়েছেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

সোমবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এ কথা বলেন।

এর আগে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

বৈঠক শেষে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসন বণ্টন নিয়ে অনড় অবস্থানে নেই। যোগ্য প্রার্থী পেলে প্রয়োজনে বিএনপি ১০০ আসনে ছাড় দেবে।

মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রার্থিতা বাতিলের মধ্য দিয়ে সরকার একতরফা নির্বাচনের নীলনকশার পরিকল্পনা করছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি ও ইশতেহার চূড়ান্ত করতেই মূলত বৈঠক করেন জাতীয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। আসন ভাগাভাগির বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করতে পারেননি তারা। এ নিয়ে আরও বৈঠক করবে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। তবে আগামী ৮ ডিসেম্বরের পর ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিকে বিকাল ৩ টায় গণফোরামের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল অফিসে যান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সেখানে তিনি প্রায় ১ ঘণ্টা অবস্থান করেন। তবে তাদের মধ্যে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- তা জানা যায়নি।

পরে ‘ছাত্র অধিকার আন্দোলন’ কোটা আন্দোলনের নেতারা ড. কামাল হোসেনের অফিসে যান। সেখানে তারা ড. কামালকে অনুরোধ করেন ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে তাদের দাবি-দাওয়া সম্পৃক্ত করতে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো ২৪০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ১০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে গণফোরাম। জেএসডি জমা দিয়েছে ৬০ আসনে। নাগরিক ঐক্য ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জমা দিয়েছে ৪০টি করে আসনে।

৪০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বিএনপির কাছ থেকে সম্মানজনক আসন পেতে দরকষাকষি করছে ঐক্যফ্রন্টের শরিক চার দল। ফ্রন্টের শরিক নাগরিক ঐক্য ৯টি আসনে ধানের শীষ নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে এ দলটিকে সর্বোচ্চ দুটি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে।

ওই দুটি আসন হচ্ছে-মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-২ আসন আর এসএম আকরামকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সারা দেশে দলীয়ভাবে ৪০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের সিদ্দিকীর দলকে দুটি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে।

কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইল-৪ কিংবা টাঙ্গাইল-৮ আসনে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। তার দলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকীকে গাজীপুর-৩ আসনটি দেয়া হতে পারে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, দলীয়ভাবে আমরা ৪০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির সঙ্গে যেসব আসনে সমঝোতা হবে, সেগুলো রেখে বাকি প্রত্যাহার করা হবে। ফ্রন্টের আরেক শরিক জেএসডি দলীয়ভাবে ৬০টি মনোনয়পত্র জমা দিয়েছে। তবে তাদের সর্বোচ্চ দুটি বা তিনটি আসনে ধানের শীষ দেয়া হতে পারে।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে লক্ষীপুর-৪ আসনে আর তানিয়া রবকে ঢাকার একটি আসন দেয়া হতে পারে। দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনকে কুমিল্লা-৪ আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি।

এ প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে বাকি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হবে।

গণফোরামের পক্ষ থেকে সারা দেশে শতাধিক আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ২০ আসনে ছাড় দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

আসন বণ্টন নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ২০-দলীয় জোটের শরিক ও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এ নিয়ে কোনো সংকট হবে না।

তিনি আরও বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হয়নি। আশা করি প্রত্যাহারের আগে এ ব্যাপারে আমরা একটা সমঝোতায় আসতে পারব।

বিএ-১৬/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)

মনোনয়ন বাতিল হওয়া ৮২ প্রার্থী ইসিতে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ৮২ জন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সংক্ষুব্ধদের আপিল গ্রহণ করে কমিশন।

তবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে কেউ আপিল করেননি। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তার তিনটি আসনের মনোনয়নই বাতিল করা হয়। ইমরান এইচ সরকার কমিশনে আসলেও আপিল আর করেনি।

ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এসব আপিল গ্রহণ করা হয়। সেসব প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬, ৭, ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

এক শতাংশ ভোটার না থাকায়, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন, লাভজনক পদে থাকার জন্য, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায়, ঋণ খেলাপির অভিযোগ, দণ্ডপ্রাপ্ত এবং অন্যান্য কারণেও এদের মনোনয়নয়ন বাতিল করা হয়েছিল।

খালেদা জিয়ার আপিল সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির জাগো নিউজকে বলেন, খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের ব্যাপারে সোমবার কোনো আপিল করা হয়নি। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আপিল করা হতে পারে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া ছেলে রেজা কিবরিয়া, গোলাম মাওলা রনি (পটুয়াখালী-৩), মো. মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান (কিশোরগঞ্জ-২), আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম (বগুড়া-৪), ঢাকা-১ আসনের খন্দকার আবু আশফাক, চাপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৭ থেকে খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি থেকে আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদাহ-১ থেকে আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ থেকে তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ থেকে মোহাম্মদ আফসার আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ থেকে মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ থেকে মোকারম হোসেন, ঝিনাইদাহ-২ লেফটেন্যান্ট (অব.) আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ থেকে ফরিদুল কবির তালুকদার,পটুয়াখালী-৩ থেকে মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ থেকে মো. সুমন সন্যামাত, দিনাজপুর-১ থেকে পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ থেকে জহিরুল ইসলাম মিন্ট, সিলেট-৩ থেকে কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে এসএম খলিলুর রহমান ও জয়পুরট-১ থেকে মো. ফজলুর রহমান প্রমুখ আপিল করেন।

আপিলকারী মীর নাছির উদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সরকারের চাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। আপিলে প্রার্থীতা দেবে আশা করি।

গোলাম মওলা রনি বলেন, সামান্য ভুলের কারণে বাতিল হয়েছে। এটা বাতিলের মতো ভুল ছিল না, যেখানে ইসি থেকে ছোট ভুলে জন্য বাতিল না নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে আশবাদী। কমিশনের প্রতি আস্থা আছে। আশা করি, আমি নির্বাচন করার সুযোগ পাবো।

হিরো আলম বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশেনে ন্যায় বিচার পাবো। অন্যথায় আমি আদালতে যাবো। মন্ত্রী-এমপিরা চায় না। রাজারা চায় না প্রজারা রাজা হোক। জিরো থেকে হিরো হয়েছি। ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।

ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিকেলে আপিলকারীদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি অন্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করার জন্য স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারাদেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে।

বিএ-১৫/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ)

চ্যাপেল ভারতীয় দলকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন!

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেলের কথা উঠলেই অবধারিতভাবে চলে আসে সৌরভ গাঙ্গুলির নাম। ভারতে অন্যতম সেরা এই অধিনায়কের ক্রিকেট ক্যারিয়ারটাই শেষ হয়ে গিয়েছিল চ্যাপেলের কারণে। একথা বহুবার বহুভাবে বলেছেন ‘দাদা’ সৌরভ।

এবার অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সৌরভের সতীর্থ ভিভিএস লক্ষ্মণ। সম্প্রতি প্রকাশিত নিজের আত্মজীবনীতে লক্ষ্মণ লিখেছেন, কোচ থাকাকালীন ভারতীয় দলকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছিলেন চ্যাপেল।

শচীন, সৌরভ, দ্রাবিড়দের সাথে একসময় ভারতীয় দলের ব্যাটিং স্তম্ভ ছিলেন লক্ষ্মণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গেছেন ২০১২ সালে। সম্প্রতি লিখেছেন আত্মজীবনী। নাম—‘২৮১ ও তার পর’। এই আত্মজীবনীতেই লক্ষ্মণ দাবী করেছেন, ‘অনমনীয়’ ‘একগুঁয়ে’ চ্যাপেল ভারতীয় দলকে ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন।

২০০৫ সালের মে থেকে ২০০৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন চ্যাপেল। নিয়োগের পর থেকেই অধিনায়ক সৌরভের সাথে তার তিক্ততা বাড়তে থাকে। ভারতের এই দাপুটে অধিনায়ককে ধীরে ধীরে দলে কোণঠাসা করে ফেলেন চ্যাপেল। অথচ চ্যাপেলকে কোচ করার জন্য সৌরভেরই আগ্রহ বেশি ছিল।

এবার লক্ষ্মণের দাবী তার ক্যারিয়ারেও পড়েছিল চ্যাপেলের কালো ছায়া। কোচ হিসেবে চ্যাপেলের ভূমিকা নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘কোচ দলের মধ্যে কয়েক জনকে পছন্দ করতেন। তাঁদেরই তিনি দেখতেন। বাকিদের সব কিছুই নিজেদের করতে হত। আমাদের চোখের সামনে দলটা ভেঙে গিয়েছিল।’

ভারতের হয়ে ১৭ টেস্ট সেঞ্চুরির করা এই ব্যাটসম্যান আরো লিখেছেন, ‘গ্রেগের পুরো মেয়াদটাই তিক্ততায় ভরা। উনি অনমনীয় ও একগুঁয়ে মানসিকতা নিয়ে কাজ করতেন। একটা আন্তর্জাতিক দল কী ভাবে চালাতে হয়, জানতেন না।’

আত্মজীবনীতে লক্ষ্মণ লিখেছেন, অনেক শুভেচ্ছা ও সমর্থন নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন চ্যাপেল। কিন্তু তিনি দলের দায়িত্ব নিয়েই দলের মধ্যে বিভাজনের বীজ বুনতে শুরু করেন, ‘অনেক শুভেচ্ছা আর সমর্থন নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন গ্রেগ। কিন্তু উনি এসে দলটাকে ধ্বংস করে দেন। আমার ক্রিকেট জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ের জন্য ওরও অবদান ছিল।’

এসএইচ-২২/০৩/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

দল ও জোটের প্রার্থী চুড়ান্ত করতে নির্দেশ ইসির

দল ও জোটের একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে একজনকে চূড়ান্ত মনোনয়নের তথ্য ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে দল ও জোটের একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে একজনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে বলেছে। অন্যথায় কোনো এক দল অন্য দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না।

ইসি সচিবালয়ের উপ-সচিব আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ ও ধারা অনুযায়ী, জোটের প্রার্থী বা দলের একাধিক প্রার্থী হলে তা একক করে ৯ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে।’

নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাসসকে বলেন, যাদের দল ইসিতে নিবন্ধিত নয়, কিন্তু অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে চান, তাদের সংশ্লিষ্ট নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

ইতোমধ্যে ৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে তিন হাজার ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার বাছাই করে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে। ওইদিন যেসব দল বা জোট একাধিক প্রার্থী দিয়েছে, তাদের একজন প্রার্থীর নাম জানাতে হবে। অন্যগুলো বাতিল হয়ে যাবে।

আর কোন প্রার্থীর নাম না জানালে জোটের বৈধ প্রার্থীরা সকলেই যার যার প্রতীকে ভোট করবেন। এক্ষেত্রে কোন দলের একাধিক প্রার্থী থেকে গেলে সংশ্লিষ্ট আসনে ওই দলে সবার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

বিএ-১৩/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: বাসস)