সন্ধ্যা ৬:৫১
মঙ্গলবার
১৯ শে আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
৪ ঠা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

সংসদ নির্বাচনের জন্য বৈধ হলেন যারা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থিতার পক্ষে-বিপক্ষে করা আপিলের ওপর শুনানি চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নির্বাচন ভবনে এ শুনানি শুরু হয়।

এর মধ্যে ৫৬ জন বৈধ, ৪০ জন বাতিল ও দুইজনের আবেদন স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর বিষয়ে দুটি আপিল আবেদন করা হলেও অনুপস্থিত থাকায় শুনানি হয়নি।

প্রথম দিন দুপুরের বিরতির আগে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টন, ঢাকা-২০ আসনে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তমিজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, চাপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে তৈয়ব আলি, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক, জামালপুর-৪ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, পটুয়াখালী-৩ মোহম্মদ শাহজাহান, পটুয়াখালী-১ মো. সুমন সন্যামত, মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, জয়পুরহাট-১ ফজলুর রহমান, পাবনা-৩ হাসাদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-২ আবিদুর রহমান খান, নাটোর-১ আসনে বীরেন্দ্রনাথ সাহা, সিরাজগঞ্জ-৩ আয়নাল হক, গাজীপুর-২ মাহবুব আলম, গাজীপুর-২ জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ জেসমিন নূর বেবী, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম, খুলনা-৬ এসএম শফিকুল আলম, হবিগঞ্জ-২ আসনে মো. জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ-১ জুবায়ের আহমেদ, ময়মনসিংহ-৭ জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আবদুল্লাহ আল হেলাল, ময়মনসিংহ-২ মো. আবু বকর সিদ্দিক, শেরপুর-২ আসনে এ কে মুখলেসুর রহমান, হবিগঞ্জ-৪ মাওলানা মোহাম্মদ সোলায়মান খান রাব্বানী, নাটোর-৪ আলাউদ্দিন মৃধা, কুড়িগ্রাম-৪ মো. ইউনুছ আলী, বরিশাল-২ আনিচুজ্জামান, ঢাকা-৫ সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৩ এ কে এম মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ মো. তোজাম্মেল হক, সিলেট-৫ ফয়জুল মনির চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৩ আহম্মদ তাইবুর রহমান, ঝিনাইদহ-৪ আব্দুল মান্নান, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-৩ সৈয়দ আনুর আহমদ লিটন, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-৫ মো. মামুনুর রশিদ, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-২ আবু আসিফ, ঢাকা-১৪ মো. জাকির হোসেন, পঞ্চগড়-২ মো. ফরহাদ হোসেন, মানিকগঞ্জ-৩ মো. আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ-৮ এম এ বাশার, ঢাকা-১৪ সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম-৩ আব্দুল খালেক, কুড়িগ্রাম-৪ মো. মাহফুজার রহমান, চট্টগ্রাম-১ মি. নূরুল আমিন, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-২ মুখলেসুর রহমান, লক্ষ্মীপুর-১ মো. মাহবুব আলম, কুমিল্লা- ৫ মো. ইউনুছ, চাঁদপুর-৫ মো. নেয়ামুল বশির, বরিশাল-২, মোয়াজ্জেম হোসেন, চট্টগ্রাম-৩ মোস্তফা কামাল পাশা।

দুপুরের পর আরও বৈধতা পেয়েছেন রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান এবং গাইবান্ধা-৩ থেকে মো. আবু জাফর।আরও বৈধতা পেয়েছেন রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান এবং গাইবান্ধা-৩ থেকে মো. আবু জাফর।

গত তিন দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোট ৫৪৩টি আপিল জমা পড়ে। বুধবার শেষ দিনে ২২২টি আপিল জমা পড়ে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রথম দিন ৩ ডিসেম্বর ৮৪, দ্বিতীয় দিন ৪ ডিসেম্বর ২৩৭ এবং শেষ দিন বুধবার ২২২টি আপিল জমা পড়ে।

শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনার, ইসির সচিব ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত আছেন।

এ উপলক্ষে নির্বাচন ভবনের ১১ তলায় ট্রায়াল রুম তৈরি করেছে ইসি।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার প্রথম দিন ১ থেকে ১৬০, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ১৬১ থেকে ৩১০ এবং তৃতীয় দিন শনিবার ৩১১ থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল।

গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের পর নানা কারণে ৭৮৬টি বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

এসএইচ-১০/০৬/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

খালেদার জামিন নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিলের নির্দেশ

কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আগামী ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিলের (লিভ টু আপিল) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম সামছুল আলম এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরের পৌর এলাকার হায়দারপুল এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানে আগুনদেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরদিন ২৬ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ২০ দলের স্থানীয় ৩২ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়।

এসএইচ-০৯/০৬/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সোহরাওয়াদী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা সোমবার

ঢাকার সোহরাওয়াদী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সোমবার জনসভা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ওই দিন দুপুর ২টায় শুরু হবে এ জনসভা।

বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনসমর্থন শূন্য, তাই একতরফা নির্বাচনের সমস্ত কলা কৌশল অবলম্বন করছে।

আর এ কাজে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।

সরকার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।

এসএইচ-০৮/০৬/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

কোহলি ফোবস তালিকায় ‘সেকেন্ড বয়’

বাইশ গজে ব্যাটিং দাপটের মতোই অর্থ ভান্ডারও ক্রমশ বেড়ে চলেছে বিরাট কোহলির৷ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগের দিন ফোবস তালিকায় ১০০ জন ভারতীয় সেলিব্রিটির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন৷ এক নম্বরে রয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান৷

বার্ষিক আয়ের ভিত্তিতে পাঁচ নম্বরে রয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ আর ৯ নম্বরে রয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার৷ প্রথম ১০-এ বিরাট, ধোনি ও শচিন ছাড়া জায়গা হয়নি কোনও ক্রীড়াবিদের৷ ২০১৮ বিরাটের আয় ২২৮.০৯ কোটি৷ দু’ নম্বরে রয়েছেন ক্যাপ্টেন কোহলি৷ বিরাটের থেকে অবশ্য বেশি আয় করে এক নম্বরে রয়েছেন সালমান৷ বলিউড তারকার চলতি বছরে বার্ষিক আয় ২৫৩.২৫ কোটি৷

দু-দু’টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্যাপ্টেন ধোনির চলতি বছর আয় ১০১.৭৭ কোটি টাকা৷ ভারতীয় দলের নেতৃত্ব হারানো এবং সম্প্রতি টি-২০ দল থেকে বাদ পড়লেও এখনও ব্র্যান্ড ভ্যালু বিশেষ কমেনি ধোনির৷ আর পাঁচ বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানানো শচিনের আয় ৮০ কোটি৷ বাইশ গজে কেরামতি এখন আর দেখা না-গেলেও ব্র্যান্ড ভ্যালুতে এখনও অন্যদের টক্কর দিচ্ছেন লিটল মাস্টার৷

বিশ্বক্রিকেটে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড বিরাট৷ ভারত অধিনায়কের ব্যাটে রানের মতোই ক্রমশ ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ছে কোহলি৷ ইতিমধ্যেই ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৩৮টি শতরানের মালিক বিরাট শচিনের পিছনে ধাওয়া করছেন৷ শচিনের ওয়ান ডে সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫১টি৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কোহলি৷ গত বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে রান করে চলেছেন বিরাট৷ চলতি বছরে ১০টি টেস্টে বিরাটের রান ১০৫৯ এবং ২৬টি ওয়ান ডে ম্যাচে ১৪৬০ ও ১০টি টি-২০ ম্যাচে ২৯৯ রান করেছন ভারত অধিনায়ক৷

বৃহস্পতিবার থেকে অ্যাডিলেড ওভালে টেস্ট খেলতে নামছে ভারত৷ অ্যাডিলেডে মাত্র ৮ রান করলেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক হাজার রানের মাইলস্টোন ছুঁবেন কোহলি৷ ৮টি টেস্টে এখনও পর্যন্ত ৯৯২ রান করেছেন বিরাট৷ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১০০০ রানের মাইলস্টোন টপকেছেন শচিন, দ্রাবিড় ও লক্ষ্ণণ৷ এটি বিরাটের তৃতীয় অস্ট্রেলিয়া সফর৷ ২০১২ ও ২০১৪ দু’বার চারটি করে আটটি টেস্ট খেলেছেন দিল্লির এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান৷ করেছেন ৫টি সেঞ্চুরি৷ গড় ৬২৷ শেষবার অর্থাৎ ২০১৪-১৫ মৌসুমে চারটি সেঞ্চুরি এসেছিল বিরাটের ব্যাট থেকে৷ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিরাটের সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর ১৬৯৷

এসএইচ-০৭/০৬/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

আইপিএলের নিলামে বাংলাদেশি দশ ক্রিকেটার

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বাদশ আসরের নিলাম হবে ১৮ ডিসেম্বর। সেই নিলামে এক হাজার ৩ জন ক্রিকেটারের নাম উঠবে। এর মধ্যে ভারতীয় ৭৪৬ জন এবং বিদেশি ২৩২ জন। বিদেশি ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছেন দশ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার।

ইতিমধ্যে খেলোয়াড় ধরে রাখা এবং ছেড়ে দেয়ার কাজ সেরে ফেলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বাকি আছে ৭০ জনের জায়গা। এ জায়গায় লড়বেন এক হাজার ৩ জন ক্রিকেটার। এর মধ্যে ৮০০জন ক্রিকেটারের অভিষেকই হয়নি।

প্রথমবারের মতো আইপিএলে ভারতের ৯টি রাজ্য থেকে ক্রিকেটাররা নিবন্ধন করেছেন। রাজ্যগুলো হল-অরুণাচলপ্রদেশ, মনিপুর, বিহার, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, সিকিম, উত্তরখণ্ড ও পুদুচেরি।

নিলামের জন্য বিদেশি তালিকায় সবচেয়ে বেশি ৫৯ খেলোয়াড় নিবন্ধন করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ জন অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ জন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এ ছাড়া শ্রীলংকার ২৮, টেস্ট ক্রিকেটের নবাগত সদস্য আফগানিস্তানের ২৭, নিউজিল্যান্ডের ১৭, ইংল্যান্ডের ১৪, বাংলাদেশের ১০ জন এবং জিম্বাবুয়ের পাঁচ ক্রিকেটার নিবন্ধন করেছেন। এ তালিকায় হংকং, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্রের একজন করে খেলোয়াড় আছেন।

তবে প্রাথমিক তালিকায় কোন কোন ক্রিকেটার আছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি। এখান থেকে চূড়ান্ত তালিকা করা হবে। বাংলাদেশের কোন ১০ জন ক্রিকেটার আছেন তাও জানা যায়নি।

এসএইচ-০৬/০৬/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বাজার করতে গিয়ে কোটিপতি!

বাবার কথায় বাঁধাকপি কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন ভ্যানেসা ওয়ার্ড। সেখানে বাঁধাকপির সঙ্গে একটি লটারির টিকিটও কিনে ফেলেন তিনি। আর তাতেই খুলে গেলো কপাল! মূহুর্তে হয়ে গেলেন কোটিপতি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে ঘটেছে এই ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, ভার্জিনিয়া লটারির একটি টিকিট কিনেছিলেন ভ্যানেসা। বাসায় ফেরার পর ওই লটারির কার্ড স্ক্র্যাচ করে দেখতে পান, ১ থেকে ৫ লাখ ডলার জেতার সম্ভাবনা আছে তাঁর। পরে চূড়ান্ত ফলাফলে ভ্যানেসা জেতেন ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এটি দাঁড়ায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি।

লটারিতে জেতা অর্থ অবসর সময়ের জন্য সঞ্চয় করবেন বলে জানিয়েছেন ভ্যানেসা ওয়ার্ড। বহুদিনের শখের জায়গা ডিজনি ওয়ার্ল্ডেও বেড়াতে যেতে পারেন তিনি।

মেরিল্যান্ডে অধিবাসীদের মধ্যে আগেও লটারিতে অর্থ জেতার মতো ঘটনা ঘটেছে। গত জুলাইয়েই লটারির জ্যাকপট জিতেছিলেন আরেক নারী।

এসএইচ-০৫/০৬/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : এনডিটিভি)

শেখ হাসিনা প্রভাবশালী নারীর তালিকায় আরো চার ধাপ এগিয়ে

বিশ্বের প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আগের অবস্থান থেকে কয়েকধাপ এগিয়ে গেলেন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা ২০১৮ সালের তালিকায় আগের চেয়ে চার ধাপ এগিয়ে তার অবস্থান ২৬ নম্বর হয়েছে।

মঙ্গলবার বিশ্বের একশ প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করে ফোর্বস ম্যাগাজিন। গত বছরের তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ৩০তম স্থানে। ২০১৬ সালের তালিকায় তিনি ছিলেন ৫৯ নম্বরে।

ফোর্বসের তালিকায় শেখ হাসিনাকে স্থান দেয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হওয়া বাস্তচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। কাকতালীয় বিষয় হলো, দুই বছর আগেফোর্বসের এই তালিকায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ২৬তম অবস্থানে ছিলেন। গত বছর তার অবস্থান সাত ধাপ পিছিয়ে যায়। আর এবার শেখ হাসিনা ২৬তম স্থানে উঠে এলেও সু চির স্থান হয়নি ১০০ জনের মধ্যে।

এর আগে টাইম ম্যাগাজিনের করা প্রভাবশালীদের তালিকায় স্থান পান শেখ হাসিনা। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফরচুনের করা বিশ্বের প্রভাবশালী শীর্ষনেতাদের তালিকাতেও ছিলেন তিনি।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিশ্বের একশ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় এবারও শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড।যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মটরসের চেয়ারপারসন ও সিইও মেরি বারা চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ।পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টসের সিইও আবিগেইল জনসন।

ফোর্বসের এই তালিকায় প্রতিবছর বিভিন্ন সেক্টরের সফল নারীদের নাম দেখা যায়। শোবিজ-তারকাদেরপ্র ভাবশালী নারীর তালিকায় এগিয়ে আছেন হলিউডের সবচেয়ে দামি অভিনেত্রী টেইলর সুইফট। তালিকার ৬৮ নম্বর নামটি তার। বলিউড তারকা প্রিয়াংকা চোপড়া আছেন ৯৪তম অবস্থানে। ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের মধ্যে এগিয়ে থাকা টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়াম রয়েছেন ৭৯তম স্থানে।

এসএইচ-০৪/০৬/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

লতিফ সিদ্দিকীর কোনও বাড়ি নেই

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন সাবেক মন্ত্রী। তিনি টাঙ্গাইল রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে তিনি হলফনামা জমা দিয়েছেন।

হলফনামা থেকে জানা যায়, সাবেক এই মন্ত্রীর নামে কোনো বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দালাল, দোকান বা বাণিজ্যিক কোনো ভবন নেই। ব্যবসা থেকেও তার বাৎসরিক কোনো আয় নেই। যদিও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় তিনি ব্যবসা থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা আয় করেন বলে উল্লেখ করেছিলেন।

এ ছাড়া শিক্ষকতা, লেখক সম্মানী থেকে লতিফ সিদ্দিকীর বাৎসরিক ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য (ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সুদ) ১৪ হাজার ৬৩৯ টাকা আয় করেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। তার নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৭ টাকা। তবে তার স্ত্রী এবং ছেলের নামে কোনো নগদ টাকা নেই। ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৯ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৯ টাকা।

এমপি কোটা থেকে তার একটি টয়োটা জিপ গাড়ির মূল্য ৬৫ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। যার মূল্য ১০ হাজার টাকা (১৯৭৩ সালে বৈবাহিক সূত্রে প্রাপ্ত উপহার)। ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে ফ্রিজ এবং টিভি রয়েছে। যার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। আসবাবপত্রের মধ্যে রয়েছে, সোফা একটি, খাট ২টি ড্রেসিং ও ডাইনিং টেবিল। যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা।

এছাড়া নিজ নামে ৩৯ শতাংশ জমি রয়েছে। যার মূল্য ৩২ হাজার টাকা (১৯৯০ সাল)। স্ত্রীর নামে ৫ দশমিক ২৮ একর জমি রয়েছে। যার মূল্য ২ কোটি টাকা। অকৃষি জমি এবং অর্জনকালীন ১ একর ৮৭ শতাংশ জমি রয়েছে। যার মূল্য ৬৫ লাখ টাকা। লতিফ সিদ্দিকীর কোনো দালান, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন না থাকলেও তার স্ত্রীর একটি রয়েছে এবং অপর একটি নির্মাণাধীন।

এসএইচ-০৩/০৬/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেতে প্রহর গুনতে থাকে মুক্তিপাগল মানুষ

স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের অনন্য ও ঐতিহাসিক দিন আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। একাত্তরের রক্তক্ষরা এই দিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। ভারতের স্বীকৃতি বাংলাদেশের মুক্তির লড়াইয়ের গন্তব্য আরও নিশ্চিত করে দেয়। রণযুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধেও পরাজিত হতে থাকে হানাদাররা। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিতে প্রহর গুনতে থাকে বাংলার মুক্তিপাগল দামাল ছেলেরা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর চিঠিতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের ঘোষণা দিয়ে লিখেন- ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বর্তমান যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার প্রেক্ষাপটে ভারত সরকার আপনাদের স্বীকৃতিদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। …পথ যতই দীর্ঘ হোক না কেন এবং ভবিষ্যতে আমাদের জনসাধারণের যতই ত্যাগ স্বীকার করতে হউক না কেন, বিজয়মালা আমরা বরণ করবই।’

স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। নিজেদের পরাজয় ঠেকাতে পাক হানাদার বাহিনী যুদ্ধের মাঠে এবং পাকিস্তান সরকার কূটনৈতিক পর্যায়ে মরণকামড় দিচ্ছিল। কিন্তু যুদ্ধের মাঠের মতো কূটনৈতিক পর্যায়েও একের পর এক পরাজয় ঘিরে ফেলে পাক জান্তাদের। অন্যদিকে সম্মুখযুদ্ধে একের পর এক জেলা জয় করে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা জয় করতে ক্রমশঃ এগিয়ে আসতে শুরু করে।

ভারতের স্বীকৃতি মুক্তিসেনাদের মনোবল বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। নতুন রাষ্ট্র তথা জন্মভূমি আদায়ের অভিলাষে শহর আর গ্রামের বাড়িঘর, মুক্তিসেনা ক্যাম্পগুলোতে উল্লাস বয়ে যায়। রক্তাক্ত ও নিষ্ঠুর একটি যুদ্ধের সূচনাকারী পাক হানাদারদের বিমান-তৎপরতা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডের কাছে স্বাধীন হয় বাংলার আকাশ।

বাংলাদেশে পাক বিমানবাহিনীর প্রায় সব বিমান এবং বিমানবন্দরই তখন বিধ্বস্ত। গোটা দিন ভারতীয় জঙ্গীবিমানগুলো অবাধে আকাশে উড়ে পাক সামরিক ঘাঁটিগুলোতে প্রচ- আক্রমণ চালাল। ভারতীয় বিমানবাহিনীর হিসেব মতে, ১২ ঘণ্টায় ২৩০ বার আক্রমণ চালানো হয় পাক ঘাঁটিগুলোতে। তেজগাঁও ও কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটিতে ৫০ টনের মতো বোমা ফেলা হয়। তীব্র বিমান আক্রমণে বড় রাস্তা দিয়ে পাক সেনাবাহিনীর যাতায়াতও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

বলতে গেলে পুরো আকাশ ভারতীয়, মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দখলে চলে আসে। শুধু আকাশেই নয়, স্থলেও মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী ঢাকার দিকে এগিয়ে চলে বীরদর্পে। একে একে জেলাগুলো শত্রুমুক্ত হচ্ছে, উড়ছে রক্তস্নাত মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। চলছে জেলায় জেলায় বিজয় উল্লাস, আর নতমস্তকে হানাদারদের আত্মসমর্পণের চিত্র।

যুদ্ধের বাস্তব অবস্থা বুঝতে পারল পাক জল্লাদ জেনারেল নিয়াজীও। চতুর্দিক থেকে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রগতির খবর পৌঁছল ঢাকায়। সেই সঙ্গে আসতে থাকল দেশের অধিকাংশস্থানে পাকবাহিনীর বিপর্যয়ের খবর। নিয়াজী আরও জানতে পারল মিত্রবাহিনীর সবক’টা কলাম মূল পাক ঘাঁটি এবং সুরক্ষিত পথগুলো এড়িয়ে এগিয়ে এসেছে। নিয়াজীসহ পাক সমর নায়করা বুঝলেন, মিত্রবাহিনী ঢাকার দিকে এগোবেই। নিয়াজী তাই অন্য পাক সমর নায়কদের সঙ্গে পরামর্শ করে সেদিনই সর্বত্র হুকুম পাঠিয়ে দিলেন- পুল ব্যাক। নিয়াজীর এমন নির্দেশ পেয়েই বাংলাদেশের পাক হানাদার বাহিনী একেবারেই ভেঙ্গে পড়ল।

পাক হানাদাররা এতদিন সীমান্ত লড়াইয়ের জন্য তৈরি হয়েছে। এখন হঠাৎ এলো পিছু হটার নির্দেশ! কিন্তু পিছু হটাও যে তখন সহজ নয়। কারণ ততক্ষণে বিভিন্ন এলাকার পাকিস্তানী বাহিনী খবর পেয়ে গেছে যে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেখছে আকাশে উড়ছে ভারতীয় জঙ্গীবিমান। এ দিন সূর্য ওঠার আগ থেকে পাক বাহিনীর পিছু হঠা শুরু হয়ে যায়। পাকিস্তানী নবম ডিভিশনের পলায়নপর্বও দেখার মতো। এমনভাবে জীবন বাঁচাতে হানাদাররা ছুটছে যেন গোটা বাহিনীটাই ঢাকার দিকে পালাবে। কিন্তু তা তারা পারল না। কারণ ততক্ষণে ভারতীয় চতুর্থ ও নবম ডিভিশন যশোর-ঢাকা মহাসড়কের দুটো অঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের শানিত আক্রমণে প্রত্যেকস্থানেই ছত্রভঙ্গ অবস্থা হানাদারদের। যাতে কোথাও হানাদাররা একসঙ্গে জড়ো হতে না পারে।

এদিকে পশ্চিম পাকিস্তানের একটি কারাগারে পায়চারী করছেন দীর্ঘদেহী একজন। প্রহসনের বিচার শেষ হয়েছে মাত্র দু’দিন আগে। ইয়াহিয়া সব বিচারক অর্থাৎ লেফটেন্যান্ট, কর্নেল, ব্রিগেডিয়ারকে রাওয়ালপিন্ডিতে ডেকে পাঠিয়েছেন। সামরিক ফরমানে দ্রুত রায় লিখতে বলা হয়েছে। পায়চারীর এক পর্যায়ে চোখে পড়ে গর্ত খোঁড়ার দৃশ্য। কবর? কার? উত্তর তার জানা। ওই দীর্ঘদেহী ব্যক্তিটি আর কেউ নন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই বিজয়ের এই মাসে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ বাঙালী জাতি তাদের প্রাণের শ্রদ্ধা-ভালবাসা নিবেদন করছেন জাতির জনকের প্রতি।

এসএইচ-০১/০৬/১২ (অনলাইন ডেস্ক) 

বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে!

বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে মাদারীপুরের শিবচরে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করে বৌ নিয়ে গেলেন বর অ্যাডভোকেট মো. উজ্জল মিয়া। এই বিয়েকে কেন্দ্র করে বিয়েবাড়িসহ আশপাশের গ্রামজুড়ে ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। ছিল বাদ্যের ঝংকার, হরেক রকম খাবারের আয়োজন।জানা গেছে, উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর গ্রামের প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন চোকদারের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া আক্তার লিজার সাথে শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিলদেওয়ানিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান মোল্লার একমাত্র ছেলে অ্যাডভোকেট মো. উজ্জল মিয়ার সাথে গত ২২ জুন বিয়ের কাবিন হয়। বর উজ্জল পরিবারসহ ঢাকার লালবাগে বসবাস করেন। তবে বরের মামা বাড়ি কনের বাড়ির পাশাপাশি হওয়ায় এই এলাকায় ছেলের যাতায়াত ছিল।

ছেলের বাবার পূর্বে থেকেই ইচ্ছে ছিল তার একমাত্র ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়ে শশুর বাড়ি পাঠাবে ও ছেলের বউকে একইভাবে নিজের বাড়ি আনবে। সেই মোতাবেক বাবার ইচ্ছা পূরনে বর উজ্জল বুধবার দুপুরে প্রায় ২শ বরযাত্রীসহ কনেকে নিতে শিবচর আসে। বরযাত্রীরা তিনটি বাসে চড়ে কনে বাড়ি আসলেও বর আসে হেলিকপ্টারে চড়ে। প্রত্যন্ত গ্রামে হেলিকপ্টারে বর আসাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ।

একাধিক গেটে ছিল বর-কনের ছবি সংবলিত ব্যানার। ছিল বাদ্যকার দলসহ নানান আয়োজন। বরযাত্রী ও গ্রামাবাসীদের আপ্যায়নেও ছিল ভিন্নতর সংযোজন। তবে এতসব আয়োজনেও কনের বাবা ছিল প্রবাসে। প্রবাসে থেকেও এই বাবা আয়োজনে কোনো কমতি রাখেনি। যা প্রশংসা কুড়িয়েছে আগত সকলের। ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন সামাল দিতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও থানা পুলিশের টিম।

বর অ্যাডভোকেট উজ্জল মিয়া বলেন, বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের হেলিকপ্টারটি ভাড়া আনা হয়। হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে এসে নববধূকে নিয়ে আবার সেখানেই ফিরে এসেছি।

কাদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে এই বিয়েকে কেন্দ্র করে আমাদের গ্রামে সকাল থেকেই উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বর নির্বিঘ্নে এসে নববধূকে নিয়ে ফিরে গেছে।

বিএ-২১/০৫-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)