সন্ধ্যা ৬:০৪
রবিবার
১৭ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২ রা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২২ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

যে ৬টি ভুলে শীতকালে নষ্ট হতে পারে চুল

নষ্ট হতে পারে চুল

শীতকালের শুষ্ক তাপমাত্রায় ত্বক খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, চুলের জন্যেও এই আবহাওয়া ক্ষতিকর। চুলে থেকেও আর্দ্রতা কেড়ে নিতে পারে শুষ্ক বায়ু, এতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়, সহজেই ছিঁড়ে যায়। শুধু তাই নয়, শীতকালের কিছু অভ্যাসেও আমাদের চুলের জন্য খারাপ। দেখে নিন আপনার কী কী অভ্যাসে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই মৌসুমে-

১) ভেজা চুলে বাইরে যাওয়া

ভেজা চুলে বাইরে গেলে অনেকেরই ঠাণ্ডা লেগে যায়। ঠাণ্ডা না লাগলেও, ভেজা চুলে বাইরে যাওয়াটা আসলে আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকর। এ সমস্যা সমাধানে দুইটি কাজ করা যেতে পারে। রাত্রে গোসল করে ঘুমাতে পারেন। অথবা সকালে গোসল করলে ব্লো ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে তারপর বাইরে বের হতে পারেন। ড্রায়ার ব্যবহার করলে অবশ্য হেয়ার প্রটেক্টিং স্প্রে বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

২) চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার না করা

শীতকালে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে হাইড্রেটিং কন্ডিশনার, মাস্ক ও ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করা উচিত। এসব ব্যবহারে ত্বক সুস্থ থাকবে। এ সময়ে চুলে তেল ব্যবহার করাটাও উপকারী। এসব ব্যবহারে ত্বক পরিবেশের শুষ্কতা থেকে নিরাপদ থাকবে।

৩) গরম পানিতে চুল ধোয়া

গরম পানি যেমন ত্বক শুষ্ক করে দিতে পারে, তেমনই তা চুল ও মাথার তালু থেকেও আর্দ্রতা কেড়ে নিতে পারে। মাথা ধোয়ার জন্য ঠাণ্ডা বা একদম হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে চুল ভালো থাকবে। একেবারে ঠাণ্ডা বা খুব গরম পানি দুটোই ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষতিকর।

৪) চুল বেশি ধোয়া

অনেকেই প্রতিদিন শ্যাম্পু করেন। কিন্তু শীতকালেও তা করাটা উপকারী নয়, বরং ক্ষতিকর। যাদের চুল কোঁকড়া, তাদের জন্য এটা বেশি ক্ষতিকর। স্ট্রেইট চুল শ্যাম্পু করা দরকার ২-৩ দিন পর পর। আর কোঁকড়া চুল শ্যাম্পু করা দরকার ৪-৫ দিন পর পর। যাদের চুল তৈলাক্ত, তারা ভাবেন ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে চুল ভাল থাকবে। আসলে শ্যাম্পু বেশি করার কারণে মাথার তালুতে তেলের উৎপাদন আরও বেড়ে যায়। চুলে যেভাবে কন্ডিশনার মাখেন, সেভাবেই শ্যাম্পু মাখুন। এরপর চুল ধুয়ে কন্ডিশনার দিন। কন্ডিশনার মেখে এরপর চুল উঁচু করে বেঁধে রাখুন কয়েক মিনিট। এরপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন ও কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলুন।

৫) অ্যালকোহলযুক্ত পণ্য ব্যবহার

শীতে শুষ্ক চুলের জন্য অ্যালকোহলযুক্ত পণ্য খুবই ক্ষতিকর কারণ তা চুলকে আরও শুষ্ক করে দিতে পারে। কিছু কিছু পণ্যে সাধারণত অ্যালকোহল থাকে যেমন হেয়ারস্প্রে, হিট প্রটেক্টিং স্প্রে এমনকি সল্ট স্প্রে। এগুলো শীতকালে এড়িয়ে চলা উচিত। পণ্যের উপাদানের লিস্ট পড়ে দেখুন। পণ্যে ইথানল, ইথাইল অ্যালকোহল, প্রোপানল, ইয়াসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, আইসোপ্রোপানল, ডিন্যাচারড অ্যালকোহল ও বেনজাইল অ্যালকোহল সহজে চুলের ক্ষতি করে।

তবে অন্যদিকে কিছু কিছু অ্যালকোহল চুলের জন্য উপকারীও হতে পারে, যেমন সেটাইল, স্টিয়ারিল, সেটিয়ারিল, মাইরিস্টিল, বেহেনাইল ও লরাইল অ্যালকোহল।

৬) বেশি সময় টুপি পরে থাকা

শীতকালে কান ও মাথা গরম রাখতে নারী-পুরুষ সবাই ব্যবহার করেন উলের বা অন্য কোনো গরম কাপড়ের হ্যাট। কিন্তু এসব টুপি চুলের ক্ষতি করতে পারে। বারবার টুপি খোলা ও পরার কারণে চুল ছিঁড়ে যেতে পারে। সারাদিন টুপি পরে থাকলে ঘর্ষণ থেকে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাহলে কী করবেন? হ্যাট পরা বন্ধ করে দেবেন? না, বরং ব্যবহার করুন মসৃণ কাপড়ে তৈরি টুপি যাতে চুল ভালো থাকে। হ্যাটের ভেতরের দিকে সিল্ক বা সাটিনের লাইনিং দেওয়া থাকলে ভাল। সারাদিন না পরে থেকে কিছু সময় মাথা খুলে রাখুন। এছাড়া একই জায়গায় বারবার সিঁথি না করে সিঁথির জায়গা পাল্টান।

আরএম-২৭/০৪/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট)

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে প্রতি সপ্তাহে করুন এই একটি কাজ

হৃদরোগের ঝুঁকি

হৃদরোগের ঝুঁকি আপনি কমাতে পারেন সঠিক খাদ্যভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে। এর পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে মাত্র এক ঘণ্টার একটি কাজে আপনি এই ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। কী সেই কাজ? তা হলো স্ট্রেংথ ট্রেইনিং।

অ্যারোবিক এক্সারসাইজ বা কার্ডিও হলো হাঁটা, সাইক্লিং ও সাঁতারের মতো ব্যায়াম। এসব ব্যায়ামকে কার্ডিও বলা হয় কারণ তা হৃদযন্ত্রের উপকারে আসে। কিন্তু আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা বলছে, কার্ডিও ছাড়াও স্ট্রেংথ ট্রেইনিং বেশ কাজে আসে। এই স্ট্রেংথ ট্রেইনিং সপ্তাহে মাত্র এক ঘণ্টা করলেই আপনি উপকার পাবেন।

এই গবেষণায় ১৩ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের স্বাস্থ্য, হৃদযন্ত্র ও ব্যায়ামের অভ্যাসের তথ্য নেওয়া হয়। মূলত হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও সাধারণ হৃদরোগের তথ্য নেওয়া হয়। এছাড়া এসব কারণে মৃত্যুর ঘটনার তথ্যও নেওয়া হয়।

গবেষণা থেকে দেখা যায়, যারা নিয়মিত স্ট্রেংথ ট্রেইনিং করেন, তাদের এই তিনটি স্বাস্থ্য সমস্যা কম হতে দেখা যায়। প্রতি সপ্তাহে ঘণ্টাখানেক ভারোত্তোলন করলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায় ৪০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত।

গবেষক ডাক-চুল লি জানান, মানুষ মনে করে ভারোত্তোলন করতে হয় অনেকটা সময় ধরে। আসকে কিন্তু তা নয়। পাঁচ মিনিটেরও কম সময় ব্যয় করে ভারোত্তোলন করলে সেটাও কার্যকরী হবে।

গবেষক লি জানান, সপ্তাহে প্রতিদিন আধা ঘণ্টা করে কার্ডিও করার কথা বলে অনেকে। তা করলে আপনি উপকার পাবেন বটে, কিন্তু এরথেকে কম করলেও উপকার পাওয়া যাবে। দিনের পর দিন ভারোত্তোলন করার ধৈর্য থাকে না সবার।

হাঁটা বা সাইক্লিং যদিও দৈনিক অভ্যাস পরিণত করা যায়, ভারোত্তোলনের অভ্যাস গড়ে তোলা তেমন সহজ নয়। তাই স্টেংথ ট্রেইনিং করতে হবে সপ্তাহে অন্তত এক ঘণ্টা। এর পাশাপাশি বাগান করা ও ভারী বাজারের ব্যাগ টানার অভ্যাস করলেও উপকার পাওয়া যায়।

আরএম-২৬/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট)

জাকিরের প্রেম-প্রতারণায় ‘২৮৬’ নারী

জাকিরের প্রেম

‘আমি মসজিদ ছুঁয়ে শপথ করছি, তোমাকে কোনোদিন ছেড়ে যাব না। তোমাকে ছাড়া আমার জীবন বৃথা, তোমাকে না পেলে আমি এখনই আত্মহত্যা করব’—এসব কোনো সিনেমায় নায়িকার উদ্দেশে দেওয়া নায়কের ডায়ালগ নয়; বাস্তব জীবনে ‘২৮৬ নারীর’ সর্বনাশকারী জাকির হোসেন বেপারি নামের এক ব্যক্তির মিষ্টি বাক্য।

জাকির হোসেন বেপারির গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায়। শুধু মিষ্টি মিষ্টি কথার মোহে ভুলিয়ে এই ব্যক্তি অনেক নারীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন, এরপর তাদের বিয়ের নাম করে ধর্ষণ করতেন। তার প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়া এমন কয়েকজন নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

নায়কের মতো সুদর্শন চেহারার অধিকারী হওয়ায় খুব সহজেই নাকি জাকির এসব কথা বলে সুন্দরী, উচ্চশিক্ষিত ও চাকরিজীবী নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন। অবশ্য তার প্রেমে পড়া অধিকাংশ নারীর দাবি, এই ব্যক্তি নাকি কোনো সম্মহোনী শক্তি বা ম্যাজিক জানতেন, যার ফলে তার ছুড়ে দেওয়া প্রেমের আবেদন কোনো নারীই প্রত্যাখ্যান করতে পারতেন না। ফলে অধিকাংশ নারীই তার সাথে সারা জীবন কাটাতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতেন। কিন্তু সেই বিয়ের প্রক্রিয়াটা ছিল পুরোটাই ভুয়া। অর্থাৎ, বিয়েতে কাজি, মৌলভি, বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই উপস্থিত থাকতেন। তবে তারা কেউই আসল নন।

ভুয়া বিয়ের পরে সুদর্শন জাকির মাত্র অল্প কয়েক দিন পরই বউদের কাছ থেকে কৌশলে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও অন্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে কেটে পড়তেন। আর সবকিছু হাতিয়ে নেওয়ার পরেও শান্তিতে থাকতে দিতেন না প্রতারণার শিকার নারীদের। বিয়ের পরে তোলা নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীদের কাছ থেকে আরও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতেন তিনি।

প্রতারণার শিকার নারীদের ভাষ্য, জাকির এ পর্যন্ত ২৮৬ জন নারীর সর্বনাশ করেছেন। আর তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিত। কারণ জাকিরের মূল টার্গেটেই ছিল সমাজের প্রতিষ্ঠিত নারীরা।

জাকির সর্বশেষ গত ৮ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকার এক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়েন। তাকে আটকের পরে ওই নারীর মাধ্যমে যোগাযোগ করে প্রতারণার শিকার আরও চার নারী মিলে জাকিরকে প্রকাশ্যে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এরপর ওই দিনই এক নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জাকিরকে গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

চাকরি চাইতে গিয়ে সর্বনাশ

জাকিরের প্রতারণার শিকার টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের এক নারী বলেন, ‘আমার জানা মতে আমার আগে পুষ্প (ছদ্মনাম) নামের এক মেয়ের সাথেও একই ধরনের প্রতারণা করেছে জাকির। গত বছরের এপ্রিল মাসে আমি একটা গ্রুপের কল্যাণ অফিসার হিসেবে চাকরি করতাম। সেখানে এক লোকের মাধ্যমে খবর পাই যে একটা বড় ফ্যাক্টরিতে লোক নেওয়া হবে। সেই ব্যক্তি আমাকে জাকিরের কাছে পাঠান। জাকির তখন নিজেকে ওই কোম্পানির জিএম পরিচয় দেন। আমি তার কাছে আমার সিভিটা জমা দিয়ে আসি। এরপর থেকে জাকির বিভিন্নভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করত। তার সাথে ওই পরিচয়ের সূত্র ধরেই আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সম্পর্কের মাত্র এক মাস পরেই স্থানীয় এক কাজির মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। এখন পর্যন্ত তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নাই।’

ওই নারী আরও বলেন, ‘উনি (জাকির) আমাকে বলেছিল তার নাকি হাউস লোন আছে। তারা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে, এই বলে আমার কাছ থেকে দফায় দফায় পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে। এরপর আরও পাঁচ লাখ টাকা চেয়েছিল। কিন্তু সেটা দিতে পারি নাই বলেই তো আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমার কাছ থেকে সে প্রায় এক বছর আগে চলে গেছে। আমি তাকে বলেছিলাম আমি তোমাকে জেলের ভাত খাওয়াব। তখন সে আমাকে বলে, ‘‘আমার কিছুই করতে পারবি না, আমি কাঁচা খেলোয়াড় না। এ পর্যন্ত তোর মতো ২৮৬টা মেয়ের সাথে এ রকম হয়েছে’’।’

জাকিরের চক্রের বর্ণনা দিয়ে ওই নারী আরও বলেন, ‘জাকির বলত তার বাবা-মা কেউ নেই। তাই তার বাড়িতে কেউই নেই। তিনি কোনোদিন বাড়িতেও যান না। তার এই কাজের সাথে সে একা নয়। তার একটা বড় চক্র আছে, যারা সবাই একসাথে কাজ করে। এক মেয়ে আমার সাথে ভিডিও কলে কথা বলত জাকিরের বোন পরিচয় দিয়ে। এখন শুনি সে নাকি জাকিরের বউ। আবার বাদল নামের একজন ওর ভাই পরিচয় দিয়ে আমার সাথে অনেকবার কথা বলেছে। এখন জানতে পারছি সে নাকি জাকিরের চক্রের বস। জাকির আমার সাথে তাদের ভাই ও বোন হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছিল। সব মেয়ের সাথে একই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।’

আমি আমার পরিবারকে এত দিন বোঝাতে পারিনি যে আমি কীভাবে প্রতারিত হয়েছি। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে। আমার পরিবার আমার পাশে আছে, তাই আমি জাকিরের বিরুদ্ধে খুব শিগগির আইনি ব্যবস্থা নিব।’

ভুয়া বিয়ে

জাকিরের প্রতারণার শিকার রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বসবাসকারী এক নারী জানান, তিনি উত্তরা এলাকার একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে বড় পদে চাকরি করতেন। একই এলাকায় চলাফেরা করার সুবাদে রাস্তায় মাঝেমধ্যে জাকিরের সাথে তার দেখা হতো। এরপর ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের দিকে জাকির একদিন তার কাছে গিয়ে মোবাইল নাম্বার চেয়ে নেন। জাকির তখন নিজেকে একটি বড় প্রতিষ্ঠানের জিএম হিসেবে পরিচয় দেন। মোবাইলে কথা বলার সুবাদে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।

ওই তরুণী বলেন, ‘কিছুদিন পরেই জাকির আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই সময়ে আমার বাবা-মা হজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তাই আমি তখন বিয়ে করতে রাজি হইনি। হঠাৎ জাকির একদিন আমাকে ডেকে উত্তরা এলাকার একটি মসজিদের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সে মসজিদের দেয়াল ছুঁয়ে আমাকে বলে, ‘‘আমি মসজিদ ছুঁয়ে শপথ করছি তোমাকে কোনোদিন ছেড়ে যাব না, তোমাকে ছাড়া আমার জীবন বৃথা, তোমাকে না পেলে আমি এখনই আত্মহত্যা করব’।” তার এমন আকুতি শুনে আমি বিয়েতে রাজি হয়ে যাই। সেই দিনই সে একটি প্রাইভেট কারে আমাকে নিয়ে গাজীপুরের কোনো একটি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে এক বাসায় তার সাথে আমার বিয়ে পড়ানো হয়। ওই বাসায় আগে থেকেই কাজি রেডি করা ছিল। আর সাক্ষী হিসেবে একজন নারী ও একজন পুরুষ ছিল। জাকির তাদের সহকর্মী বলে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।’

প্রতারণার বর্ণনা দিয়ে ওই তরুণী বলেন, ‘আমার প্রথম খটকা লাগে। জাকির বিয়ের পরেই আমার কাছে ওই বাসাতে টাকা চায়। সে আমাকে বলে যে তার কার্ড ব্লক হয়ে গেছে তাই সে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছে না। আমি তখন আমার কাছ থাকা ১১ হাজার টাকা তাকে দেই। সে আমার টাকা নিয়ে ওই কাজিকে টাকা দিয়ে দেয়। পরে জানতে পারি ওই কাজি ছিল ভুয়া। আর সাক্ষীদেরও কোনো সন্ধান নেই।’

বিয়ের পরের কয়েক মাসে জাকির ওই তরুণীর কাছ থেকে নানা অজুহাতে প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এবং সর্বশেষ তার দুটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে জাকির চম্পট দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী।

নারী পটানোর জাদু জানেন জাকির?

ভুক্তভোগী কয়েকজন নারীর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিত ও ভালো চাকরিজীবী। তবে সবাই কীভাবে এমন প্রতারণার শিকার হলেন, জানতে চাইলে সবার উত্তর প্রায় একই রকমের ছিল যে, ‘জাকির নিশ্চয় মেয়ে পটানোর জন্য বিশেষ কৌশল বা কোনো জাদুমন্ত্র অথবা অন্য কিছু একটা জানত।’

ভুক্তভোগী এক তরুণী বলেন, ‘আমরা যতগুলো মেয়ে তার মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছি, খোঁজ নিয়ে দেখুন প্রতিটা মেয়েই উচ্চ শিক্ষিত। কিন্তু জাকির কীভাবে সবাইকে রাজি করাত, ফাঁদে ফেলত তা কেউই বুঝতে পারে নাই। আমার মনে হয় সে কিছু একটা জাদু-ম্যাজিক বা অন্য কিছু জানে।’

সুদর্শন চেহারা ও আভিজাতিক চলাফেরার কারণে অনেক নারীই নিজে থেকে তার প্রেমে পড়ে যেতেন বলে শিকার করেছেন।

যেভাবে ধরা পড়লেন জাকির

নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করতে নানা ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করতেন জাকির, যার মধ্যে একটি ছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক। এই ফেইসবুকের মাধ্যমে জাকির অনেক নারীর সাথে পরিচিত হয়ে তাদের সর্বনাশ করতেন। কিন্তু সম্প্রতি ফেইসবুকে পাতানো এক প্রতারণার ফাঁদেই ধরা খেয়েছেন তিনি। কারণ তার দ্বারা প্রতারণার শিকার কয়েকজন নারী ফেইসবুকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে একত্রিত হয়েছিলেন। তারা জাকিরকে যেকোনো মূল্যে পুলিশের হাতে তুলে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করেন। অবশেষে ৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী কয়েকজন নারী এক হয়ে জাকিরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আর সর্বশেষে মিরপুর পাইকপাড়া এলাকার যে নারীর সঙ্গে জাকির প্রতারণা করেছিলেন, সেই নারীই বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেছেন, ব্যবসায়িক পরিচয়ের সূত্র ধরে মাত্র চার মাস আগে জাকিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর গত ২২ আগস্ট বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন জাকির। এরপর ওই নারী জাকিরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে জাকির নানাভাবে তা এড়িয়ে যান। আর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে বারবার ধর্ষণ করতে থাকেন। এরই মধ্যে ওই নারীর কাছে থেকে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা ও প্রায় এক লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেন জাকির। নিজে প্রতারিত হচ্ছেন এমনটা যখন বুঝতে পারেন তখন অন্য প্রতারিত নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এরপরই গত ৮ নভেম্বর পাইকপাড়া এলাকার একটি বাসায় জাকিরকে আটক করেন তারা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাকিরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামিউর ইসলাম বলেন, ‘গ্রেফতারের পরে জাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক নারীর সাথে এমনভাবে প্রতারণা এবং বহুবিবাহ করেছেন বলে শিকার করেছে।’

এসআই আরও বলেন, ‘গ্রেফতারের পরে জাকিরকে আদালতে নেওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে জাকিরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অন্যান্য অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।’

আরএম-২৫/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: প্রিয়.কম)

নাটোরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, আহত ৩

নাটোরে চাঁদাবাজীকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের এক নেতা গুলিবিদ্ধ এবং সভপতিসহ তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এঘটনাটি ঘটে।

গুলিবিদ্ধ নাটোর এনএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রিয়নকে সদর হাসপাতালে এবং আহত ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম জ্ব্যাম্বসকে ও কর্মী রুবেলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম জ্ব্যাম্বস ট্রাক ব্যবসায়ী বড়গাছা এলাকার ভাড়া বাড়িতে বসবাসরত মনিরুজ্জামান সেন্টুর কাছে ১০ লাখ টাকা পায় দাবি করে জোর করে ট্রাকটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী রোজী বেগম প্রতিবাদ করলে জ্ব্যাম্বস তাকে ধাওয়া করে।

এসময় রোজীর আত্মীয় নাটোর এসএস সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহলিয়ার রিয়ন বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে রিয়ন গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও এক কর্মী। তাদের নাটোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম বলেন, এটি ব্যবসা জনিত পারিবাবরিক বিরোধ। এই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।

এ বিষয়ে নাটোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।

বিএ-১৫/০৪-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

নায়িকার সঙ্গে পুলিশের ডিস্কো ড্যান্স (ভিডিও)

নায়িকার সঙ্গে পুলিশের

পুলিশের পোশাক পরে দু’হাত তুলে নাচছেন অফিসার। ‘কিসি ডিস্কো মে’ গানে তিনি কোমর দোলাচ্ছেন এক নারীর সঙ্গে। প্রকাশ্যে আসতেই ভিডিও ভাইরাল। সঙ্গে সঙ্গেই সাসপেন্ড ওই অফিসার। তার নাম আরশাদ। ভিডিওর মতোই খবরও ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। কিন্তু পিছনের সত্যিটা একেবারেই আলাদা।
‘পাকিস্তান টুডে’কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ওই অফিসার। জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পুলিশ নন। তিনি একজন অভিনেতা। আর তার নাম আরশাদ নয়, শাহজাদ। মঞ্চে অভিনয় করাই তার পেশা। বাকি যা রটেছে তা নিখাদ গুজব ছাড়া কিছু নয়।

পুলিশের পোশাক পরে ওই অভিনেত্রীর সঙ্গে নাচ অনুশীলন করেছিলেন শাহজাদ। সেই সময় তার ভাতিজা নাচের ভিডিও তুলে নেয়। এর পর সে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতেই ভাইরাল হয়ে যায়।

নারীর সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরে অফিসারের নাচ ও সেই কারণে তার বরখাস্ত হওয়ার খবর পরিবেশিত হয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে। অবশেষে আসল সত্যি জানা গেল। তবে হ্যাঁ, ‘যা রটে তার কিছু তো বটে।’

পাকপাটনের কলয়ানা থানার ডিপিওকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তিনি কোমন দুলিয়ে নেচেছেন, এমন কোনও খবর নেই। তার গ্রেফতারি ও শাহজাদের নাচ মিলেমিশে তৈরি হলো আশ্চর্য খবর।

আরএম-২৪/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি যাঁরা

বিশ্বের সবচেয়ে

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আট জন ব্যক্তির হাতে যতো সম্পদ আছে সেই সম্পদের পরিমাণ দুনিয়ার অর্ধেক মানুষের সম্পদের সমান, বলছে আন্তর্জাতিক এক দাতব্য সংস্থা অক্সফ্যাম। সংস্থাটি এসংক্রান্ত যেসব তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান ক্রমশই বাড়ছে। এবং এই ব্যবধান যতো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিলো আসলে তার চাইতেও অনেক বেশি।

সবচে ধনী এই আট জনের মধ্যে রয়েছেন বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ এবং ওয়ারেন বাফেট।অক্সফ্যাম বলছে, এই আট জনের হাতে যতো সম্পদ রয়েছে তার পরিমাণ বিশ্বের ৩৬০ কোটি দরিদ্র মানুষের সম্পদের সমান।

তবে অনেকেই অক্সফ্যামের এই তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, প্রতি বছর অক্সফ্যাম সম্পদের যে পরিসংখ্যান তুলে ধরছে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু সংস্থাটি এর যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে সেটি ঠিক নয়।গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অফ ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের একজন গবেষক মার্ক লিটলউড বলেছেন, অক্সফ্যামের উচিত প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উপায়ের দিকে জোর দেওয়া।

অক্সফ্যামের প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশ করা হলো যখন সুইজারল্যান্ডে শুরু হয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলন। এই সম্মেলনে বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীরা অংশ নিচ্ছেন।অক্সফ্যামের একজন কর্মকর্তা ক্যাটি রাইট বলেছেন, এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ডাভোস সম্মেলন শুধু ধনী লোকেদের কথার ফুলঝুরির সম্মেলন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কারা এই ধনী ব্যক্তি

১. যুক্তরাষ্ট্রের বিল গেটস, মাইক্রোসফটের একজন সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা। তার সম্পদের পরিমাণ ৭৫ বিলিয়ন ডলার।

২. স্পেনের ব্যবসায়ী আমানচিও ওরতেগা। জারার প্রতিষ্ঠাতা এবং ইনটিডেক্সের মালিক। তার সম্পদ ৬৭ বিলিয়ন ডলার।

৩. যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট, বার্কশায়ার হাথেওয়ের সবচে বেশি শেয়ারের মালিক। সম্পদ ৬১ বিলিয়ন ডলার।

৪. মেক্সিকোর ব্যবসায়ী কার্লোস স্লিম হেলু। গ্রুপো কারসোর মালিক। সম্পদ ৫০ বিলিয়ন ডলার।

৫. যুক্তরাষ্ট্রের জেফ বেজোস। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। সম্পদের পরিমাণ ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

৬. যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক জাকারবার্গ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একজন প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। সম্পদ ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

৭. যুক্তরাষ্ট্রের ল্যারি এলিসন। সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরাকলের একজন প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। ৪৪ বিলিয়ন ডলার।

৮. যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল ব্লুমবার্গ। ব্লুমবার্গ এলপির মালিক। তার সম্পদের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার।

অক্সফ্যাম বলছে, ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার কারণে জনরোষ বাড়ছে। এর ফলে বড় ধরনের রাজনৈতিক আলোড়নও হতে পারে।অক্সফ্যামের ক্যাটি রাইট বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোটও তার একটি ফল।

তিনি বলেন, লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। এবং তারা বিকল্প কিছুর দাবি জানাচ্ছে। কারণ কঠোর পরিশ্রমের পরেও তারা পিছিয়েই থাকছে।ধনী এই আট ব্যক্তির অনেকেই তাদের কিছু কিছু সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছেন।বিল গেটস এবং তার স্ত্রী মেলিন্ডা প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি দাতব্য ফাউন্ডেশন। মার্ক জাকারবার্গ এবং তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানও তাদের কিছু সম্পদ বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আরএম-২৩/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

সিরাজগঞ্জে দিনে-দুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে সুমন শীল (৩০) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সুমন ওই গ্রামের মৃত নিমাই শীলের ছেলে। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি।

নিহতের ভাই পরিতোষ শীল জানান, প্রতিদিনের মতো তারা ৩ ভাই সকালে বাড়ি থেকে কাজে বের হন। সুমন ও আরেক ভাই খুকনী বাজারের সেলুনে কাজ করতেন। দুপুরে সুমন বাড়ি ফেরার পথে বাঁশবাড়িয়া নতুন পাড়ায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। তার গলা কেটে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরিতোষ শীল আরও বলেন, সুমনের কোন শত্রু ছিল না। তাকে এভাবে কেন হত্যা করা হলো জানি না। আমরা দোষীদের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাজা গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি জেনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএ-১৪/০৪-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

যে কারণে রণবীরকে বিয়ে করেছেন দীপিকা

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। গত ১৪ ও ১৫ নভেম্বর ইতালির লেক কোমোর কাস্টা ডিভা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা-তে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।

সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দীপিকা। এ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে চান না এজন্যই বিয়ে করেছেন তিনি। পদ্মাবত অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রথমে লিভ ইন করব তারপর বিয়ে করব-এমন ভাবনা আমার ছিল না। এখন অন্য যে কোনো নবদম্পতির ক্ষেত্রে যেমন-স্থান ভাগাভাগি করা, বিল পরিশোধ করা ইত্যাদি ব্যাপার হয়, আমিও তেমনটাই আশা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১৮ বছর, তখন থেকেই একটি সংসার চালিয়ে আসছি। আমার মনে হয় না সেই দিক বিবেচনা করলে বেশি কিছু পরিবর্তন হবে। তবে অবশ্যই, দুটি মানুষ যখন নতুন জীবন শুরু করে তখন যা পরিবর্তন হয় তা হবে।’

রণবীরকে বিয়ে প্রসঙ্গে দীপিকা বলেন, ‘যখন আপনি যা চান তা একজন মানুষের মধ্যে পাবেন, আমার মনে হয় তখন আপনার বুঝতে সমস্যা হবে না বাকি জীবন তার সঙ্গে কাটাতে চান। রণবীর আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, সঙ্গী, সহ-অভিনেতা, আমার আত্মবিশ্বাস। আমি তার সামনে ছেলেমানুষি, বোকামি করতে পারি, অসুস্থ হতে পারি, এক কথায় যা খুশি তাই করতে পারি।’

এক ফ্রেমে বন্দি রণবীর-দীপিকা

বিয়ের অনুষ্ঠানে হাস্যজ্জ্বল দীপিকা

প্রার্থনারত বর-কনে

প্রার্থনারত রণবীর, পাশে হাস্যজ্জ্বল দীপিকা

দক্ষিণ ভারতীয় রীতিতে বিয়ের আচার পালন করছেন রণবীর-দীপিকা

ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে মেহেদি হাতে রণবীর-দীপিকা

রণবীর সিংয়ের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন নববধূ দীপিকা

বিয়েতে নাচছেন রণবীর

আরএম-২২/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

সুলতান মনসুরের বাড়ি-গাড়ি নেই

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের কোন বাড়ি নেই। নেই কোন গাড়িও। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আছে কেবল ছয় একর কৃষিজমি। তাও সেই জমি থেকে নেই কোন আয় উপার্জন।

নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় এমন তথ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংসদ। সুলতান মনসুর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। হলফনামায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর পেশা হিসেবে ‘সমাজকর্মী’ উল্লেখ করেছেন।

সুলতান মনসুরের পরিবারে আছে একটি টয়োটা গাড়ি। গাড়িটির মূল্য ২০ লাখ টাকা। তবে গাড়ির মালিক তিনি নন, মালিক তাঁর স্ত্রী। স্ত্রীর সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে ২৫ লাখ টাকা।

পরিবারে লাখ টাকা মূল্যের যে ইলেকট্রনিক সামগ্রী আছে, তাও স্ত্রীর নামে। সাত শতক জমি আর ২০ ভরি স্বর্ণও আছে স্ত্রীর নামে। এই স্বর্ণ তিনি পেয়েছিলেন বিয়ের দান হিসেবে।

গাড়ি যেমন স্ত্রীর, একটি বাড়ি আছে, সেটির মালিকও স্ত্রী। বাড়িটির আর্থিক মূল্য ৩০ লাখ টাকা। তবে তিনটি দালানের ৯ দশমিক ৫ অংশের মালিক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এর আর্থিক মূল্য ২ লাখ ৬৩ হাজার ১৫৭ টাকা।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি বলেছেন, কৃষি, বাড়ি ভাড়া, ব্যবসা, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত, চাকরি বা অন্য কোনো খাত থেকে তাঁর কোনো আয় নেই। তবে তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৬ লাখ ৬২ হাজার ৪০০ টাকা। তবে এই আয় বছরে, নাকি মাসে তা হলফনামায় দেওয়া তথ্য থেকে স্পষ্ট হওয়া যায়নি।

সুলতান মনসুরের নগদ টাকা আছে ৫৫ লাখ। একই পরিমাণ টাকার সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে তাঁর। আর যে আসবাব আছে, তার আর্থিক মূল্য মাত্র দুই লাখ টাকা।

এসএইচ-২১/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

সৌদি যুবরাজকে ‘জানোয়ার’ বলতেন খাশোগি

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘জানোয়ার’ ও ‘প্যাক-ম্যান (খাদক মানব) বলে মন্তব্য করেছিলেন হত্যার শিকার সাংবাদিক জামাল খাশোগি। হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে কানাডার মন্ট্রিলভিত্তিক অধিকার কর্মী ওমর আব্দুল আজিজের কাছে পাঠানো বার্তায় এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন খাশোগি।

খাশোগির পাঠানো চার শতাধিক বার্তা বিশ্লেষণ করে সোমবার সিএনএন অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

খাশোগি প্রায়ই তার পাঠানো বার্তায় যুবরাজকে ‘জানোয়ার’ ও ‘প্যাক-ম্যান (খাদক মানব) বলে উল্লেখ করতেন। যুবরাজ সমর্থক ছাড়াও তার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করতেন খাশোগি।

গত মে মাসে পাঠানো এক বার্তায় যুবরাজের দিকে ইঙ্গিত করে খাশোগি বলেছিলেন, ‘যত শিকার সে খাবে আরো বেশি সে চাইবে।’

এক দল সৌদি মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে খাশোগি বলেছিলেন, ‘যারা তাকে সমর্থন করছে তাদেরকেও যদি ধরপাকড় করা হলে আমি বিস্মিত হব না।’

এসএইচ-২০/০৪/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)