সকাল ৬:২০
বুধবার
৬ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২২ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১১ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

হালকা মেকআপেই গর্জিয়াস হতে চাইলে

হালকা মেকআপেই

চারদিকে এখন ন্যাচারাল লুকের জয়জয়কার। ভারী মেকআপের চল অনেকটাই কমেছে বলতে হবে। সেখানে জায়গা দখল করেছে হালকা মেকআপ। সাজতে সময় কম লাগে আবার দেখতে অনন্যা, এমন মেকআপই তো চাই! চলুন জেনে নেই ঝটপট হালকা মেকআপে কিভাবে সাজবেন-

মুখ পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজ করার পর প্রথমে সারা মুখে ম্যাটিফায়িং প্রাইমার লাগিয়ে নিন। তাতে মুখ সহজে তেলতেলে দেখাবে না। তার উপর লাগান ফাউন্ডেশন। খুব ভালো করে ব্লেন্ড করুন যাতে কোনোরকম দাগছোপ না থাকে বা ফাউন্ডেশন কেকের মতো না দেখায়।

গালের উপরের হাড়ে, ভুরুর নিচে, নাকের উপরে অল্প হাইলাইটার লাগিয়ে নিন।

গালের হাড়ের নিচে নরম অংশে হালকা ব্লাশারের প্রলেপ দিন।

ভুরু খুব ভালো করে ব্রাশ করে নিন। চোখের পাতায় বাইরের দিকে হালকা কপার-ব্রাউন আইশ্যাডো লাগান। ভিতরদিকে লাগান শুধু ব্রাউন শ্যাডো। মাঝখানটায় খুব ভালো করে দুটো রং মিশিয়ে দিন যাতে খাপছাড়া না দেখায়। উপরের আইল্যাশ বরাবর কাজল পেনসিল দিয়ে খুব সরু করে রেখা টেনে নিন। আইল্যাশে মাস্কারা লাগান।

ঠোঁটে ন্যুড পিঙ্ক লিপস্টিক লাগিয়ে নিলেই আপনি তৈরি!

আরএম-২৮/০২/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

মড্রিচই পাচ্ছেন ব্যালন ডি’অর!

তাহলে বিশ্ব ফুটবলে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর রাজত্ব শেষই হতে চলেছে? মেসি-রোনালদোর রাজত্বে হানা দিয়ে লুকা মড্রিচই জিততে যাচ্ছেন ব্যালন ডি’অর? এই প্রশ্নগুলোর আনুষ্ঠানিক উত্তর মিলবে সোমবার রাতেই। তবে এরই মধ্যে ভাসা ভাসা উত্তর মিলেছেও। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো নাকি এরই মধ্যে জেনে গেছেন, তিনি নন, বছরের অন্য সব ব্যক্তিগত বড় পুরস্কারের মতো সবচেয়ে মর্যাদার ব্যালন ডি’অরটাও জিততে যাচ্ছেন মড্রিচ। ইতালির ক্রীড়া দৈনিক স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়া এ নিয়ে প্রতিবেদনও ছাপিয়েছে। ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে রোনালদোর মতো রিয়াল মাদ্রিদও জেনে গেছে-লুকা মড্রিচের হাতেই উঠতে যাচ্ছে ব্যালন ডি’অর।

নয়তো মড্রিচকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য রিয়াল এমন প্রস্তুতি নিয়ে ফেলবে কেন? হ্যাঁ, সম্ভাব্য বিজয়ী ধরে মড্রিচকে শুভেচ্ছা জানানোর সমস্ত প্রস্তুতিই সেরে ফেলেছে তার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। আগামীকাল প্যারিসের অনুষ্ঠানে মড্রিচকে শুভেচ্ছা জানাতে তার সঙ্গে যাবেন রিয়ালের ৪ প্রতিনিধি। রিয়ালের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, অধিনায়ক সার্জিও রামোস ছাড়াও মড্রিচের সঙ্গে প্যারিসে যাবেন সাবেক দুই তারকা রবার্তো কার্লোস ও রাউল গঞ্জালেস। উল্লেখ্য, গত বছর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জয়ের সময়ও তার সফরসঙ্গী হয়ে প্যারিসে গিয়েছিল রিয়ালের ৪ প্রতিনিধি।

শুধু ক্লাব রিয়াল নয়। সম্ভাব্য বিজয়ী মড্রিচকে শুভেচ্চা জানানোর জন্য প্রস্তুত তার পুরো পরিবারও। এরই মধ্যে দেশ ক্রোয়েশিয়া থেকে মড্রিচরে পরিবার মাদ্রিদে পৌঁছেছে। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে মড্রিচের সঙ্গে প্যারিসে যাওয়ার। ক্লাব এবং পরিবারের সদস্যদের এই প্রস্তুতিই স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে সব। মড্রিচের বিজয়ের ঘোষণা মিলে মেসি এবং রোনালদোর শুভাকাঙ্খিদের হতাশার সুরেও।

রোনালদো তবু সম্ভাবনার দৌড়ে আছেন। মেসির এবার ব্যালন ডি’অর জয়ের কোনো সম্ভাবনাই নেই। বছরে এ পর্যন্ত দেওয়া ৪টি বড় পুরস্কারের কোনোটিতেই পদক মঞ্চে উঠতে পারেননি মেসি। ব্যালন ডি’অরের দৌড়েও তিনি নেই। কিন্তু এই বিষয়টি মানতেই পারছেন না বার্সেলোনার কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে, ‘অন্যদের মতো আমিও বিস্মিত যে, সে পদক মঞ্চে উঠতে পারবে না।’

মেসি পদক মঞ্চেই যেতে পারবেন না। রোনালদোও জেনে গেছেন, তিনি জিততে পারবেন না। সত্যি সত্যিই যিদি তেমনটা ঘটে, তাহলে বিশ্ব ফুটবলে মেসি-রোনালদোর রাজত্বে আনুষ্ঠানিকভাবেই যবনিকা ঘটবে। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার, উয়েফা ও ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার-বছরের এই ৪টি বড় পুরস্কারই জিতে নিয়েছেন মড্রিচ।

ফলে মেসি-রোনালদোর রাজত্বে ফাটল এরই মধ্যে ধরিয়েছেন। তবে মেসি-রোনালদোর রাজত্বের আনুষ্ঠানিক পতনটা হবে মড্রিচ সত্যি সত্যিই ব্যালন ডি’অরটা জিততে পারলে। কারণ ব্যক্তিগত পুরস্কারগুলোর মধ্যে ব্যালন ডি’অরের মর্যাদার সবচেয়ে বেশি। যে পুরস্কারটি গত ১০ বছর ধরে নিজেদের সম্পতি বানিয়ে ফেলেছিলেন মেসি-রোনালদো।

২০০৮ থেকে ২০১৭-টানা ১০ বছর পুরস্কারটি ভাগাভাগি করেছেন। জিতেছেন সমান ৫টি করে। এই ব্যালন ডি’অর জয়ের মধ্যদিয়েই তারা বিশ্ব ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন দ্বি-রাজত্ব।

এখানে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে রাখা উচিত। উয়েফা এবং ফিফা বর্ষসেরা-এই দুটি পুরস্কারের দৌড়েই ভোটে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় হয়েছেন রোনালদো। তৃতীয় হয়েছেন লিভারপুলের মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। ব্যালন ডি’অরের সেক্ষেত্রেও এই তিনজনকেই ফেভারিট মনে করা হচ্ছিল।

কিন্তু স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার খবর, রোনালদো ও মোহামেদ সালাহ ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে। মানে সেরা তিনে তারা নেই। সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই পুরস্কারের দৌড়ে সেরা তিনে নামি মড্রিচের সঙ্গে দুই ফরাসি-অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড আতোইন গ্রিজমান ও রিয়ালের ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে।

রোনালদো ও সালাহকে টপকে গ্রিজমান ও ভারানের সেরা তিনে ঢুকে পড়ার কারণটাও স্পষ্টই। বছরের অন্য পুরস্কার গুলো দেওয়া হয়ে মৌসুমভিত্তিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। তাতে রোনালদো ও সালাহ গত মৌসুমটিতে নিজ নিজ দলের হয়ে দুর্দান্ত করেছেন। কিন্তু ব্যালন ডি’অরটা দেওয়া হয় বছর ভিত্তিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। মানে ২০১৮ সালের পারফরম্যান্সই এখানে বিবেচ্য বিষয়। তার চেয়েও বড় কথা, বিশ্বকাপের বছরে ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষ বিশ্বকাপকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

আর এখানেই এগিয়ে গেছেন গ্রিজমান ও ভারানে। ফ্রান্সের দ্বিতীয় বারের মতো বিম্বকাপ জয়ের পেছনে তাদের অবদান অপরিসীম। বিশ্বকাপের নজর কাড়া পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবেই গ্রিজমান-ভারানে জায়গা করে নিয়েছেন ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে। পুরস্কার প্রাপ্তির দৌড়ে আছেন বিশ্বজয়ী ফ্রান্সের আরও একজন। তিনি পিএসজির তরুণ বিস্ময় কিলিয়ান এমবাপে। বছরের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘কোপা’ ট্রফিটা পাচ্ছেন তিনিই।

এসএইচ-১১/০২/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

দেশের উন্নয়ন আর কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে ইলেকশন-কী হবে বলতে পারি না। তবে দেশকে আমরা একটি সিস্টেমে নিয়ে এসেছি। যেই আসুক, বাংলাদেশের উন্নয়নে আর কেউ বাধা দিতে পারবে না।

রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের বলরুমে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের যে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি, সেটি কাজে লাগিয়ে আপনারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, শিল্পায়ন ছাড়া কোনো জাতির অর্থনৈতিক উন্নতি হয় না। এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইপিজেড তৈরি করে দিচ্ছি। গোটা বাংলাদেশ যাতে উন্নত হয়-সেই দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য করতে ক্ষমতায় আসে না। আর আমি তো ব্যবসাটা বুঝিও না। আমরা সরকারে এসে ব্যবসা-বাণিজ্যটা যাতে ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ হয়, সেই ব্যবস্থাটা করে দিই।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অনেকে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, জিএসপি সুবিধা দিয়েছে। অন্তত আমি এটুকু দাবি করতে পারি-যেখানেই আলাপ করেছি, সঙ্গে সঙ্গে সেই সুযোগগুলো পেয়ে গেছি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেশ-বিদেশে ঘোরেন, আপনারাও খুঁজে বের করুন কোন দেশে কোন কোন পণ্যটা আমাদের দেশে উৎপাদন করে সেটি রফতানি করতে পারি। বাজারকে খুঁজে নেয়া এবং পণ্যটাকে তৈরি করা, সেটিও কিন্তু আপনাদেরও একটি দায়িত্ব।

সে ক্ষেত্রে যদি কোনো রকম সহযোগিতা লাগে, অবশ্যই সরকার হিসেবে আমরা তা করব। যদিও সময় এখন সীমিত। আগামীতে ইলেকশন-কী হবে বলতে পারি না। যতক্ষণ আছি, ততক্ষণে যা যা প্রয়োজন সেটি করে দিতে পারব।

বিএ-০৯/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সেই অপবাদ মুছে ফেলল বাংলাদেশ

Bangladesh cricketer Mehidy Hasan (2nd L) celebrates with his teammates after the dismissal of the West Indies cricketer Devendra Bishoo (C) during the third day of the second Test cricket match between Bangladesh and West Indies at the Sher-e-Bangla National Cricket Stadium in Dhaka on December 2, 2018. (Photo by MUNIR UZ ZAMAN / AFP) (Photo credit should read MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images)

ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য খুব বেশি নয়। তবে একেবারে কমও নয়। টেস্ট এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেট মিলিয়ে মিলেছে অনেক ‘প্রথম’-এর তৃপ্তি। প্রথম ওয়ানডে জয়, প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া, বিশ্বকাপে প্রথম জয়, প্রথম টেস্ট জয়, প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়, প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়, প্রতিপক্ষকে প্রথম হোয়াইটওয়াশ করা, বিশ্বকাপে প্রথম দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠা, প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম সেমিফাইনালে উঠা-এই প্রতিটা ‘প্রথম’ই বিশেষভাবে উদ্বেলিত করেছে দেশবাসীকে। এতো এতো ‘প্রথম’-এর হাত ধরে এবার মিলল আরও একটি ‘প্রথম’এর স্বাদ। টেস্টে প্রথম বারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ।

মর্যাদার মাপকাঠিতে আগের সব ‘প্রথম’কে ছাপিয়ে নিশ্চিতভাবেই এই ‘প্রথম’কে সবার উপরে রাখবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দীর্ঘ ১৮ বছরের চেষ্টা, সংগ্রাম, লড়াই, সাধনার পর অর্জন যে ‘প্রথম’ তাকে তো উপরে রাখতেই হয়। তাছাড়া টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয় মানেই মাঠে প্রতিপক্ষকে নাস্তানুবাদ করার ছাড়পত্র। কোমর সোজা করে দাঁড়াতে না দেওয়া, চোখ রাঙিয়ে কথা বলতে না দেওয়ার প্রমাণ। সর্বোপুরি মাঠে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখানো!

ঢাকা টেস্টে এর সবকিছুই প্রমাণ করেছে সাকিব আল হাসানের দল। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাস্তানুবাদ করেছে। তিন দিনেরও কম সময়ে টেস্টের যবনিকা টেনে দিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে সাকিবের বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ-একবারের জন্যও ক্যারিবীয়ানরা চোখ রাঙাতে পারেননি। উল্টো বাংলাদেশি বাঘদের সামনে পুরো ম্যাচেই ভয়ে কেঁপেছে এক সময়ের বিশ্বের পরাশক্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশিরা একবার ব্যাটিং করে যে রান করেছে, ক্যারিবীয়রা দুদফা ব্যাটিং করেও তার ধারের কাছে যেতে পারেনি। বাংলাদেশের স্পিনারদের স্পিন আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে অলআউট হওয়া ক্যারিবীয়রা দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পেরেছে ২১৩ রান। একবার ব্যাটিং করা বাংলাদেশ তাই ম্যাচটা জিতেছে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।

বিশাল এই জয়ে মিলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরও একবার হোয়াইটওয়াশ করার তৃপ্তিও। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটা জিতে নিল ২-০ ববধানে। তাতে মুছে গেল ২০০৯ সালে জেতা সেই সিরিজ জয়ের সঙ্গে অদৃষ্টে মিশে থাকা অপবাদটুকুও। টেস্ট সিরিজে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই প্রথম বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০০৯ সালে জেতা সেই সিরিজ জয়ের সঙ্গে একটু অপবাদ মিশে ছিল।

আর্থিক কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা বোর্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল। আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বোংলাদেশের সিরিজটি বয়কট করেছির তারা। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাধ্য হয়ে জুনিয়রদের নিয়ে দল গড়েছিল। ফলে বাংলাদেশের জয়টা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় সারির দলের বিরুদ্ধে=এই অপবাদটুকু সহ্য করতে হয়েছে।

ওই অপবাদটা মুছে ফেলতে তাই দরকার ছিল পূর্ণ শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করা। দেরিতে হলেও সেটা প্রমাণ করে ছাড়ল সাকিব আল হাসানের দল। ইনিংস ব্যবধানে জেতাটা বাংলাদেশের জন্য কত বড় প্রাপ্তি বা অর্জন-সেটা একটা তথ্যেই স্পষ্ট হবে।

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া বাংলাদেশর একটা সময় পর্যন্ত যেন নিয়তিই ছিল টেস্টে ইনিংস ববধানে হারা। বড় দলগুলোর মুখোমুখি হলেই মাঠ ছাড়তে হতো ইনিংস হারের লজ্জা নিয়ে। এই ঢাকা টেস্টসহ এ পর্যন্ত ১১২টি টেস্ট খেলল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৮৩টি টেস্টেই মিলেছে হারের তেতো স্বাদ।

এই ৮৩ হারের মধ্যে ৩৮টিতেই আবার ইনিংস হার। বিপরীতে প্রতিপক্ষকে ইনিংস ব্যবধানে হারানোর স্বাদ পায়নি কখনোই। ইনিংসে জেতা দূরের কথা, একটা সময় প্রতিপক্ষকে ইনিংস ব্যবধানে হারানোর কল্পনা করাটাও বাংলাদেশের জন্য ছিল কঠিন। এমন উচ্চাবিলাসী কল্পনা করা এখনো কঠিন। তবে ঢাকা টেস্টের মাধ্যমে যাত্রাটা শুরু হলো। জন্ম নিল ‘আমরাও ইনিংস ব্যবধানে জিততে পারি’ বিশ্বাস।

এখন দরকার অনেক চেষ্টায় অর্জিত এই বিশ্বাসকে পাথেয় করে সামনের পথে এগিয়ে যাওয়া। বিশ্বাসটাকে দৃঢ় করে আরও আরও ইনিংস জয়ের উন্মুক্ত করা। অনেক মর্যাদার এই ‘প্রথম’ রোমাঞ্চিত হয়ে সাকিব আল হাসানের দলও নিশ্চয় এখন নিজেদের বিশ্বাসের দরজাটা বিশ্ববাসীর সামনে ‍খুলে দিতে বদ্ধপরিকর।

এসএইচ-১০/০২/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

প্রতিদিন কেন খেজুর খাবেন?

প্রতিদিন

আমরা সাধারণ রমজান মাসে খেজুর খেয়ে থাকি। খেজুরের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। কাস্টার্ডে মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন খেজুর। আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে খেজুর খান তবে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন। তাই শুধু রোজায় নয়। প্রতিদিন একটি করে খেজুর খান।

আসুন জেনে নেই প্রতিদিন কেন একটি খেজুর খাবেন?

খেজুরের পুষ্টিগুণ

খেজুর সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি। যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

আসুন জেনে নেই প্রতিদিন কেন খেজুর খাবেন?

হৃদরোগের ঝুঁকি

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।এছাড়া হৃৎপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা দূর করে

খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর নিয়মিত খেলে দূর হয় হজমের সমস্যা।

ক্যান্সার প্রতিরোধ

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ

খেজুরে থাকা আয়রন ও ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।প্রচুর পটাসিয়াম পাওয়া যায় খেজুর থেকে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া মাত্র কয়েকটি খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অল্পতেই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় খেজুর। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গ্লুকোজের পাশাপাশি প্রাকৃতিক চিনি পাওয়া যায় খেজুর থেকে যা এনার্জি বাড়ায়। খেজুরে থাকা ভিটামিন সি ও ডি ত্বক ভালো রাখে। এছাড়া খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে রাতকানা প্রতিরোধেও সহায়ক।

মায়ের বুকের দুধ

খেজুর বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য সমৃদ্ধ এক খাবার, যা মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ আরও বাড়িয়ে দেয় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এছাড়া ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে।

সংক্রমণ রোধ

যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এ ছাড়া গলাব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি ও ঠাণ্ডায় বেশ কাজ দেয়। এছাড়া অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর বেশ সহায়ক। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।

শিশুদের রোগবালাই

খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ করে। তাই শুধু রমজান মাসে কেন, বছরজুড়েই খাদ্য তালিকায় থাকুক খেজুর।

আরএম-২৭/০২/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

রাজশাহীতে মামলার তথ্য গোপনে নাদিম, পদে থাকায় চাঁদের মনোনয়ন বাতিল

মনোনয়নপত্রে ১০টি মামলার তথ্য গোপন করেছেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা। এছাড়া ঋণ খেলাপীও হয়েছেন তিনি।

এসব কারণেই নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

যাচাই-বাছাই শেষে রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদের। তিনি বলেন, ১০টি মামলার তথ্য গোপন করেছেন নাদিম মোস্তফা।

এর মধ্যে পুঠিয়া থানার ৫টি, দুর্গাপুর থানার দুটি এবং বাগামারা থানার তিনটি মামলার তথ্য গোপন করেছেন তিনি। এছাড়া বেসিক ব্যাংকের ঋণ খেলাপী তিনি। এসব কারণেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া দলীয় মনোনয়নের চিঠি না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবাইদুর রহমান, মনোনয়নপত্রে ত্রুটি থাকায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রুহুল আমিনের এবং হলফ নামায় সাক্ষর না থাকায় বিএনপির প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

এই আসনে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মুনসুর রহমান, বিএনপির দুই প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল ও মাহমুদা হাবীবা, জাতীয় পার্টির আবুল হোসেন, বিএনএফের প্রার্থী মখলেসুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম মো: ফারুকের।

নির্বাচন দপ্তর বলছে, রোববার সকাল থেকে রাজশাহীর ছয় সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টির মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী-১ এ ৮ জন, রাজশাহী-২ এ দুজন, রাজশাহী-৩ এ ৫ জন এবং রাজশাহী-৪ এ দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

এবার রাজশাহী-১ এ ১২ জন, রাজশাহী-২ এ ৮জন, রাজশাহী-৩ এ ১০ জন এবং রাজশাহী-৪ এ ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৬৭ জন। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৪৩ প্রার্থী।

অপরদিকে, রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু সাইদ চাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। চারঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয় তার।

যাচাই-বাছাই শেষে আবু সাইদ চাঁদের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদের।

তিনি বলেন, পদত্যাগ না করেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আবু সাইদ চাঁদ। তা ছাড়া একটি মামলার তথ্য গোপন করেছেন তিনি। এ জন্য তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া হলফ নামায় সাক্ষর না থাকায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী আবদুর রাজ্জাকের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

এই আসনে বৈধ প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহরিয়ার আলম এমপি, বিএনপির প্রার্থী জেলা বজলুর রহমান ও নুরুজ্জামান খান মানিক, জাতীয় পার্টির ইকবার হোসেন ও ইসলামী আন্দোলনের আব্দুস সালাম সুরুজ।

জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবু সাইদ চাঁদ কারাগারে থেকেই নির্বাচনে অংশ নেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সভাস্থল মাড়িয়া ঈদগার পাশ থেকে ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন বিস্ফোরক মামলায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

সেই থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন চাঁদ। সর্বশেষ গত ২৬ নভেম্বর আদালতে জামিন আবেদন করেন চাঁদ। কিন্তু তার সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। বিএনপির এই কেন্দ্রীয় সদস্যের নামে সব মিলিয়ে ২৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিএ-০৮/০২-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

যে কারণে স্বপ্ন পুরোটা দেখার আগেই ঘুম ভেঙে যায়

যে কারণে স্বপ্ন

বলা হয়, স্বপ্ন নাকি কোন দিনই পূরণ হয় না। অর্থাৎ একটি ব্যাখ্যা হল, স্বপ্ন কখনওই সম্পূর্ণ হয় না। স্বপ্নে কোন ঘটনাক্রম তার উপসংহারে আসার আগেই ঘুম ভেঙে যায়।

একটি নয়, এমন অসম্পূর্ণ স্বপ্ন-দর্শনের নেপথ্যে সক্রিয় একাধিক কারণ। প্রথমত, আমরা ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি। ঘুমালে অনিবার্যভাবে ঘুম ভাঙবে। ঘুম যত পাতলা হতে থাকে, ততই ঘুম থেকে ওঠার বিষয়টি মনের গহীনে উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে।

একদিকে স্বপ্ন, অন্যদিকে বাস্তবের টানাপোড়েন শুরু হয়। এই অবস্থায় স্বপ্ন ক্রমশ ফিকে হতে শুরু করে। সেই কারণেই স্বপ্ন পুরোপুরি দেখা যায় না।

দ্বিতীয় একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়, চোখের র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট বা আরইএম এর জন্য দায়ী। ঘুম ভাঙার ঠিক আগের মুহূর্তের আরইএম সবথেকে দীর্ঘ হয়। আরইএম সাইকেলে স্বপ্ন দেখা সম্ভব নয়।

অর্থাৎ সেই ধোঁয়াশাপূর্ণ ক্ষেত্র যেখানে স্বপ্ন আর বাস্তবের সীমারেখা রীতিমতো ধূসর। ফলে স্বপ্নের একেবারে শেষের অংশ ক্রমশ মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে যেতে থাকে। এই কারণেই কোন স্বপ্নের শেষটা কারও পক্ষে দেখা সম্ভব হয় না।

আরএম-২৬/০২/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

রাজশাহী সদর আসনে লড়বেন বাদশা-মিনু

রাজশাহী সদর আসনে ভোটের লড়াইয়ে রইলেন বিএনপির প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। বর্তমান সংসদ সদস্য মহাজোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার সাথে লড়াই হবে তার। আভাস মিলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের।

যাচাই-বাছাইয়ে রোববার এই দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদের। সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলছে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই।

এই আসনে বৈধ তালিকায় থাকা অন্য প্রার্থীরা হলেন- বিএনপির প্রার্থী সাহিদ হাসান, জাতীয় পার্টির খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের ফয়সাল হোসেন এবং সিপিবির এনামুল হক।

তবে মনোয়নপত্রের সাথে দাখিল করা ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে এনপিপির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ রানার।

জানা গেছে, রাজশাহী-২ আসনের সঙ্গে আগে পবা উপজেলা যুক্ত ছিলো। ২০০৮ সালে কেবল রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে সীমানা পুনর্নিধারণ করা হয়। এই আসনে নব্বই-উত্তর গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রথম নৌকার জয় হয় ২০০৮ সালে।

নৌকা প্রতীকে সেই জয় এনে দেন ফজলে হোসেন বাদশা। সেই বার বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুকে পরাজিত করেন বাদশা। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী জোটের প্রার্থী হন তিনি।

কিন্তু সেই নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি জোট। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ফজলে হোসেন বাদশা। এর আগে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান মিনু। এছাড়া টানা ১৭ বছর তিনি রাজশাহী সিটি মেয়র ছিলেন। এবারও এই আসনে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লাড়ই হবে।

নির্বাচন দপ্তর বলছে, রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীর ছয় সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটির মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী-১ এ ৮ জন, রাজশাহী-৩ এ ৫ জন এবং রাজশাহী-৪ এ দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এবার রাজশাহী-১ আসনে ১২ জন, রাজশাহী-৩ আসনে ১০ জন এবং রাজশাহী-৪ আসনে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

দুপুরের পর রাজশাহী-৫ ও রাজশাহী-৬ আসনের মনোনয়পত্র যাাচাই-বাছাইয়ের কথা। এই কার্যক্রম চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৬৭ জন। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৪৩ প্রার্থী।

বিএ-০৭/০২-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

ইসুবগুলের ভুসির স্বাস্থ্য উপকারিতা

ইসুবগুলের ভুসির

ঘুমানোর আগে আমরা অনেকে ইসুবগুলের ভুসি খেয়ে থাকি। ইসুবগুলের ভুসি রাতের খাবারের পরে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে না রেখে পানি দিয়ে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হয়। এতে ভালো ফল দেয়। ইসবগুলের ভুসির কার্যকারিতা জেনে নেয়া যাক—

১. পেটের প্রায় সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসুবগুল হতে পারে এক উত্তম ওষুধ। পেট ঠাণ্ডা রাখতে ইসুবগুল ভুসির ভূমিকা অনন্য।

২. তাছাড়া পেট ব্যথা দূর করতে ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারেন। এর মিউসিলেজিনাস ভূমিকার কারণে আলসারজনিত পেট ব্যথা কম মনে হয়।

৩. ইসবগুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামিনো এসিড রয়েছে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এক গ্লাস পানিতে চিনি বা গুড় মিশিয়ে খালি পেটে এ ভুসি খান। প্রতিদিন দুই থেকে তিন চা চামচ ইসবগুল ভুসি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দুই থেকে চারবার খেতে পারেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সমাধান পাবেন।

৪. আঁশসমৃদ্ধ খাবার ইসুবগুল। নিয়মিত ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আমাশয় কিংবা অর্শ রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। দ্রুত ফল পেতে দইয়ের সঙ্গে ইসুবগুল মিশিয়ে খেতে পারেন।

৫. হজমের সমস্যায় ভুগছেন? এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারেন

৬. কোলেস্টেরল ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে চাইলে ইসুবগুলের ভুসি খেয়ে যান। পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটা এক দারুণ পথ্য।

৭. ডায়রিয়া উপশমে বেশ উপকারে আসে ইসুবগুল ভুসি। এজন্য ৭-২০ গ্রাম ভুসি দিনে দুবার খাওয়া যেতে পারে।

৮. পাইলস রোগীদের জন্য সুখবর। এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রতিদিন তিন থেকে চারবার ইসুবগুলের ভুসির শরবত খেয়ে যান।

৯. নির্দিষ্ট মাত্রায় ইসবগুল খেলে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা ভালো।

আরএম-২৫/০২/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

বাচ্চাদের স্তন্যপান করায় নতুন প্রজাতির মাকড়সা

বাচ্চাদের স্তন্যপান

নতুন প্রজাতির মাকড়সা এবার সামনে এলো! সন্ধান মিলল এমন এক ধরনের মাকড়সার, যে তার বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে বড় করে তোলে! চীনের এক দল গবেষকের দাবি এমনটাই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তাইওয়ানে এক নতুন প্রজাতির মাকড়সার খোঁজ মিলেছে। এই মাকড়সার নাম ‘জাম্পিং স্পাইডার’। স্তন্যপায়ীদের মতো এরাও এদের সন্তানদের দুধ খাওয়ায়।

ইউন্নানে অবস্থিত ‘চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’-এর এক দল গবেষক এই নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁরা খুঁটিয়ে দেখছিলেন এই মাকড়সাগুলি কীভাবে তাদের বাচ্চাদের পরিচর্যা করে।

আর দেখতে গিয়েই চমক! মা-মাকড়সা দুধ খাওয়াচ্ছে কচি মাকড়সাদের। প্রথম প্রথম মা ওই দুধ মাটিতে ফেলে দিচ্ছিল। আর বাচ্চারা সেটাই খাচ্ছিল। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই তারা সরাসরি মা-মাকড়সার কোলে উঠে সরাসরি দুধ পান করছিল।

প্রথম প্রথম মাকড়সার দেহ নিঃসৃত তরলটি কী, তা বুঝে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। পরে তাঁরা চমকে উঠে আবিষ্কার করেন, সেটি দুধ ছাড়া আর কিছু নয়!

আরএম-২৪/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)