কতটা ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক ? কতটা অস্বাভাবিক? জেনে আজ থেকেই সতর্ক হন

কতটা ভুলে যাওয়া

পথে পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা, অথচ নামটা কিছুতেই মনে পড়ল না! হাজার চেষ্টাতেও না! এরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা কম বেশি প্রায় সবারই রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়স যা-ই হোক না কেন, দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ভুলে যাওয়া মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে পড়ার লক্ষণ..

নতুন পরিচিত হওয়া মানুষটার নাম কয়েক ঘণ্টা পর আর মনে করতে পারছেন না কিংবা কাউকে ঠিকানা বলতে গিয়ে আবিষ্কার করলেন রাস্তার নামটা মনে পড়ছে না অথবা অফিসে গিয়ে দেখলেন ল্যাপটপ বাড়িতে ফেলে এসেছেন ! মনে প্রশ্ন আসতে পারে, তবে কি ভুলোমনা হয়ে যাচ্ছি?

কম বয়সে হয়ত বিষয়টা গুরুতর নাও হতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে ব্যাপারটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মস্তিষ্কের কিছু পরিবর্তণ আসা স্বাভাবিক। কিন্তু তার মোকাবিলা করতে, কোন বয়সে পরিবর্তণ আসছে সেটা বিবেচনায় রাখা জরুরি। এবং অবশ্যই মাথায় রাখবেন, মস্তিষ্কজনীত সকল জটিলতাই ‘ডিমেনশিয়া’ বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ নয়!

ভুলে যাওয়া কখন আশঙ্কাজনক? আচমকা কোনও কিছু ভুলে যাওয়া অবশ্যই চিন্তার বিষয়। বিশেষ করে এই ভুলে যাওয়ার কারণে যদি দৈনন্দিন জীবনের কাজ বাধা পায় এবং সেটার মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে।

কোন কোন ‘ভুলে’ যাওয়া স্বাভাবিক – দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হয়না এমন কিছু ভুলে যাওয়া। কখন কিছু ভুলে গিছেন সেটা বলতে পারা। পরিচিত রাস্তায় দিক নির্দেশনা মনে করতে সময় লাগে তবে হারিয়ে যান না। স্বাভাবিক আলাপচারিতা চালাতে পারেন, তবে সঠিক শব্দ খুঁজে পেতে সমস্যা হওয়া। সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয় না।

কোন কোন ‘ভুলে’ যাওয়া অস্বাভাবিক- একেবারে চেনা রুটিনের দৈনন্দিন কাজ ভুলে যাওয়া। যেমন- জামাকাপড় পরা, বিল পরিশোধ করা, স্বাভাবিক আলাপচারিতায় অসুবিধা, শব্দচয়নে দেরি কিংবা বেঠিক ব্যবহার, একই কথা বার বার বলা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা।

আরএম-২৩/১৩/০১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)