ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে যে মহৌষধ!

ফুসফুস ক্যান্সার

ফুসফুস মানবদেহের খুব উপকারী একটি অঙ্গ। এর সাহায্যে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকি। ফুসফুস আমাদের দেহে যেকোনো রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে লড়াই করে। কিন্তু অনেকেই এর ব্যাপারে খুব একটা সচেতন না।

ফুসফুসের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক উপাদান হলো নিকোটিন। ধূমপান বা অন্যদের ধূমপানের ফলে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া নিকোটিন ফুসফুসের ক্ষতির কারণ। এসব উপাদান ফুসফুসে জমা হয়ে বিষক্রিয়া করে ফুসফুসকে ধ্বংস করতে থাকে। নিকোটিন দেহে প্রবেশ করা মাত্রই রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোকে সংকুচিত করতে থাকে।

নিকোটিন ফুসফুসের বায়ুথলিগুলোতে জমা হয়ে সেগুলোর বাতাস বিশুদ্ধকরণের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে। ফুসফুসের এসব বিষাক্ত উপাদানকে পরিষ্কার করতে প্রাচীন একটি কার্যকর প্রাকৃতিক মহৌষধি আছে।

চলুন জেনে নেয়া যাক সেই মহৌষধিটির তৈরি ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে-

মহৌষধিটির উপাদান

১ লিটার পানি, ৪০০ গ্রাম পেঁয়াজ বাটা, ২ চামচ আদা বাটা, ২ চামচ হলুদ গুঁড়া, ৪০০ গ্রাম মধু।

বানানোর পদ্ধতি

পানির সঙ্গে বাটা পেঁয়াজটুকু মিশিয়ে হালকা আগুনে সেদ্ধ করুন। এর সঙ্গে দুই চামচ আদা বাটা ও হলুদ গুড়া মেশান। ১০ মিনিট ধরে সেদ্ধ করার পর তাতে মধু মিশিয়ে দিন। এরপর ভালোভাবে নেড়ে নেড়ে মেশান। মিশ্রণটি আরো ভারী করতে চাইলে আরো বেশি সময় ধরে আগুনে সেদ্ধ করুন।

এই মিশ্রণটি থেকে প্রতিদিন সকালে দুই চামচ আর রাতে ঘুমানোর আগে দুই চামচ করে খান। এই মিশ্রণটি আপনার ফুসফুস থেকে সবধরনের বিষাক্ত উপাদান পরিষ্কার করতে সক্ষম।

প্রাচীন কাল থেকেই ভারত উপমহাদেশিয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় এই মহৌষধিটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে। এই মিশ্রণটি সেবন শুরু করার পর প্রথমদিকে হালকা কফ দেখা দিতে পারে। যা খুবই স্বাভাবিক। ওই কফের সঙ্গে ফুসফুসে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদানগুলো বের হয়ে আসতে শুরু করবে।

আপনি যতদিন ইচ্ছা এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, আদা রক্তকে পাতলা করে। ফলে আপনার যদি এই সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে আগে পরামর্শ করে নিবেন।

আরএম-২৯/২০/১০ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)