লক্ষণ প্রকাশের আগেই একটি থেকে লাখো করোনাভাইরাস শরীরে জন্ম নেয়!

লক্ষণ প্রকাশের

করোনাভাইরাস হাঁচি বা কাশির মাধ্যমেই অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আসলে অনেক ভাইরাস কোটি কোটি বছর ধরেই বেঁচে না থেকেও বেঁচে থাকতে পারে৷ যদিও বিষয়টি বিশ্বাস করা কঠিন! করোনা পৃথিবীতে যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে তা দেখে বিজ্ঞানীদের এমনই ধারণা।

করোনাভাইরাসটির আসলে নেই কোনো আকার, অনেকটা অদৃশ্য এক শক্তি। কীভাবে করোনা ভাইরাস দেহে ছড়ায়? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ভাইরাসটির সেই অর্থে নির্দিষ্ট কোনো চেহারা নেই৷ এটি দেহে যদি একটি ঢোকে, তারপরেই কোষের মধ্যে ধীরে বংশ বিস্তার করতে শুরু করে৷ একটি ভাইরাস থেকে কয়েক দিনের মধ্যেই কয়েক লাখে পরিণত হয়।

করোনাভাইরাস শরীরে বংশবিস্তার করার কয়েকদিন পর থেকে এর উপসর্গ প্রকাশ পায়। অথচ যখনই এই লক্ষণগুলো শরীরে প্রবেশ করে তখন শরীরে একটি থেকে লাখো ভাইরাস তৈরি হয়ে গেছে। প্রথমে রেসপিরেটরি সিস্টেমকেই টার্গেট করে সার্স-এর মতো ভাইরাস৷ নাক ও গলা৷ কিংবা ফুসফুসের নীচের দিকে৷ আসলে ওই অংশে সহজেই ছড়াতে পারে ভাইরাস৷ যা মারণ নিউমোনিয়ার দিকে নিয়ে যায়৷

তবে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকৃতি একটু আলাদা৷ এটি আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে বাড়তে থাকে৷ ফলে হাঁচি বা কাশির জেরেই আরেক জনের শরীরে চলে যায়৷ যখন ভাইরাসটি ফুসফুসে একেবারে ছেয়ে যায়, তখনই মৃত্যুর সম্ভাবনা ঘনাতে থাকে৷ এমনকি আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি নাও জানে তবুও তার সংস্পর্শে এলে অন্যের শরীরে ঢুকে পড়ে করোনা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা এমন একটি ভাইরাস, যা আসলে মানুষখেকোর মতো৷ তাই একে ধ্বংসও করা যাচ্ছে না৷ ফলে পুরোটাই নির্ভর করছে কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরে৷ এই ভাইরাসকে মানবদেহই হারাতে পারে৷

বিশ্বে গত ১০০ বছরে একাধিক ভাইরাস মহামারি ঘটিয়েছে৷ ১৯১৮, ১৯৫৭ ১৯৬৮৷ সার্স, মার্স ও ইবোলা-ও রয়েছে৷ এই সব ভাইরাসই অন্য জন্তুর শরীর থেকে এসেছে মানব শরীরে৷

আরএম-২৭/২৭/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)