রাত ২:০০
সোমবার
২০ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৫ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

মাকে হত্যা করে নদীতে ফেলল ছেলে

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মাকে কুপিয়ে ও আঘাত করে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে এসেছে ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে ফারুককে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানায়, পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিজপাড়া মহল্লায় মৃত সিরাজ আলীর স্ত্রী নুর বানু (৭৫) তার ছেলে ফারুককে নিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতেন। অপর ছেলে মনিরুল ঢাকায় কাজ করেন। মা নুর বানু এক সময় চাতালে কাজ করতেন। এখন বয়সের কারণে ও চাতাল মিল বন্ধ হওয়ার কারণে আর কাজ করতে পারেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চেয়ে কোনো রকম দিনযাপন করে আসছিলেন।

ফারুক মানসিকভাবে কিছুটা অস্বাভাবিক এবং গাঁজার নেশায় আসক্ত হওয়ায় টাকার জন্য প্রায়ই তার মাকে মারধর করত। বৃহস্পতিবার প্রতি রাতের মতো মা-ছেলে তাদের ঝুপড়ি ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতের কোনো এক সময় দা দিয়ে কুপিয়ে এবং শীল ও বেলনা দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে মরদেহ টেনে পাশের ভোগাই নদীতে ফেলে রাখে ফারুক। শুক্রবার ভোরে স্থানীয়রা রাস্তায় রক্তের দাগ দেখে নদীর দিকে গিয়ে দেখে একটি লাশ নদীতে ভাসছে। পরে কাউন্সিলরকে খবর দিলে তিনি গিয়ে লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফরোজা নাজনীন জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদলসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করেন। তবে অভিযুক্ত ছেলে ফারুক পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়।

সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ললিতা বেগম বলেন, আমার বাড়ির কাছেই এ ঘটনা ঘটে। ছেলেটি এমনিতে আধা-পাগল। গাঁজাও খায় শুনেছি।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ছেলেকে আটক এবং হত্যায় ব্যবহৃত দা, শীল ও বেলনা জব্দ করা হয়েছে।

এসএইচ-১০/০৩/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

জনি ডেপকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অর্থ নেই, সংকটে অ্যাম্বার হার্ড!

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় জিতেছেন মার্কিন অভিনেতা জনি ডেপ। আদালত মেনে নিয়েছে জনিকে ‘কালিমালিপ্ত’ করার চেষ্টা করেছেন অ্যাম্বার। এ জন্য অ্যাম্বারকে বিপুল অঙ্কের অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।

আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বার গার্হস্থ্য হিংসার যে অভিযোগ জনির বিরুদ্ধে এনেছিলেন তা মিথ্যা এবং অবমাননাকর। সেই আদালত অ্যাম্বারকে নির্দেশ দিয়েছেন জনি ডেপকে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা) পরিশোধ করতে। এর মধ্যে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা) জরিমানা এবং বাকি ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা) শাস্তি হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।

তবে শুনানি চলাকালীনই অ্যাম্বার হার্ডের আর্থিক সমস্যার কথা জানা গিয়েছিল। সম্ভাবনার অভিনেত্রীর আইনজীবী বলেছিলেন, ‘না, হার্ড কোনওভাবেই ক্ষতিপূরণের অর্থপ্রদানে সক্ষম নন।’ এমনকী মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হার্ড আবেদনের ইচ্ছেপ্রকাশ করবেন বলেও জানিয়েছেন তার আইনজীবী এলানি ব্রেডহফট।
২০১৮ সালে জনির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী আম্বার হার্ড।

এরপরই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জনি। অভিনেতা মিথ্যা বলছেন দাবি করে পাল্টা মামলা করেন অ্যাম্বারও। এই জোড়া মামলার শুনানিতে বিস্তর কাদা ছোড়াছুড়ি দেখেন আদালত। উত্তাল ছিল দু’পক্ষের অনুরাগী মহলও। তবে জনির আইনজীবী অ্যাডাম ওয়াল্ডম্যান এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে অ্যাম্বারের আনা গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ ‘ধাপ্পাবাজি’ ছাড়া আর কিছুই নয়।

তবে জনির বিরুদ্ধে দায়ের পাল্টা মামলায় আম্বারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিনদিন ধরে সাত সদস্যের জুরি প্রায় ১৩ ঘণ্টার উপর আলোচনা করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান।

এসএইচ-০৯/০৩/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

অর্ধশতাধিক হলে আসছে বুবলী-আদরের ‘তালাশ

আগামী ১৭ জুন দেশের অর্ধশতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা সৈকত নাসিরের নতুন ছবি ‘তালাশ’। রোমান্টিক-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা বুবলীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন নবাগত চিত্রনায়ক আদর আজাদ।

ট্রেলার প্রকাশের পর থেকে বুবলীর ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা মুগ্ধতা ছড়িয়েছে দর্শকদের মাঝে, নজর কেড়েছেন নবাগত আজাদও। মুক্তির এক সপ্তাহ আগেই ‘তালাশ’ সিনেমা ৫০টি হলে বুকিং নিশ্চিত হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছবির নির্মাতা সৈকত নাসির নিজেই।

তিনি বলেন, ‘এ সিনেমার গল্পই মূল আকর্ষণ। বাজেট এখানে সাবজেক্ট না। বুবলী ও আদরসহ সবাই ভালো অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির গান ও ট্রেলার দর্শক খুবই পছন্দ করছে। এরই মধ্যে বড় বড় প্রেক্ষাগৃহগুলো বুকিং হয়েছে। সামনে দুই সপ্তাহে ৫০ এর সংখ্যা বেড়ে ৭০ হয়ে যাবে আশা করি।’

সিনেমাটি নিয়ে নায়িকা বুবলী বলেন, ‘করোনার দুঃসময় কাটিয়ে গেল ঈদুল ফিতর থেকে আবারও সিনেমা হলে দর্শক ফিরতে শুরু করেছে। এটি আমাদের সিনেমার জন্য আশীর্বাদ। এ ধারা অব্যাত থাকলে বেশি দিন লাগবে না আমাদের সিনেমার ক্রান্তিকাল দূর হতে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের জুটির প্রথম সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। নিজেদের সেরাটা দিয়ে কাজ করেছি। আশা করি, দর্শকরা নিরাশ হবেন না।’

ক্লিওপেট্রা ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির কাহিনি পরিচালকের সঙ্গে যৌথভাবে লিখেছেন আসাদ জামান। এ সিনেমাটিতে পাঁচটি গান রয়েছে। সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন আসিফ আহসান খান, মাসুম বাশার, মিলি বাশার ও যোজন মাহমুদসহ আরও অনেকে।

এসএইচ-০৮/০৩/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

স্ত্রীর লাশ ঘরে রেখে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী

রংপুরের পীরগাছায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মাঈনুদ্দিন মিয়া। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম আয়শা বেগম (৩৬)। আয়শা ওই গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে। মাঈনুদ্দিন ঠাকুরগাঁও জেলার ভেলাজান ইউপির বাঁশ গাড়া গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে। মাইনুদ্দিন শ্বশুর বাড়ির পাশে নিজে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করতেন। তাদের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। মাইনুদ্দিন আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করলেও কিছুদিন থেকে নিজ এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ( সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, নিহত আয়শা বেগমের সঙ্গে পীরগাছা উপজেলার মমিন বাজার জগজীবন গ্রামের ফজল হক মেম্বারের ছেলে ফারুক হোসেনের (২৬) সাথে দুবছর ধরে আয়শা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। এর আগে একবার গ্রামের লোকজন ওই দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছিল।

এ ঘটনার পর মাইনুদ্দিন তার স্ত্রীকে ভালো করার চেষ্টা করেও কোনো ফল পাননি। একপর্যায়ে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান মাইনুদ্দিন। গত ২৯ মে তারা গ্রামের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফারুকের সঙ্গে স্ত্রীর মুঠোফোনে কথা হয়।

বিষয়টি জানার পর রাত তিনটার দিকে শাবল ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আয়শাকে হত্যা করেন মাইনুদ্দিন। পরে শুক্রবার সকালে পীরগাছা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাইনুদ্দিন পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম পলাশ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এসএইচ-০৭/০৩/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

মেসিদের নাচ দেখে যা বললেন নেইমার

কাতার বিশ্বকাপের মাত্র কয়েক মাস আগে দুর্দান্তভাবে ফাইনালিসিমা ট্রফি জিতে বাকি বিশ্বকে সতর্কবার্তা দিল আর্জেন্টিনা। লাউতারো মার্টিনেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া এবং পাওলো দিবালার গোলে ইতালিকে ৩-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা।

লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ও কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের এ লড়াইয়ে শুরু থেকেই আধিপত্য রেখে খেলেছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালিসিমায় অপ্রতিরোধ্য ছিলেন লিওনেল মেসিও। ইতালির বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। ফাইনালিসিমা ট্রফি জেতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে মেসিদের ড্রেসিংরুমেও। এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় শিরোপার উল্লাসে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকেও টেনে আনে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ব্রাজিলকে খুঁচিয়ে গান গাইছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। সেই গানের কথাগুলো ছিল এমন, ‘কী হলো ব্রাজিল? পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা কি ভয় পেয়ে গেলো?’ আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের এমন উদযাপন স্বাভাবিকভাবেই ভালোভাবে নেয়নি ব্রাজিলের ভক্ত-সমর্থকরা।

ব্রাজিলকে খোঁচা দেওয়ায় সমালোচনাও শুনতে হয়েছে আলবিসেলেস্তেদের। এ নিয়ে নিরবতা ভেঙেছেন ব্রাজিল তারকা নেইমার জুনিয়রও। ইনস্টাগ্রামে “futility” নামের একটি প্রোফাইল থেকে আপলোড করা হয় আর্জেন্টিনার সেই গান গেয়ে উদযাপনের স্থিরচিত্র। সেখানে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াদের কটাক্ষ করে মন্তব্যের ঘরে নেইমার লিখেছেন, “Ganharam a copa do mundo?” পর্তুগিজ এই মন্তব্যের অর্থ দাঁড়ায় ‘ওরা কি বিশ্বকাপ জিতে গেছে?’

মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে নেইমারের এই কমেন্ট। তার এই কমেন্টে লাইক পড়ে ২৮ হাজারেরও বেশি। সেখানে নেইমারের ওই মন্তব্যেও লাইক পড়ে ২৮ হাজারের বেশি। যদিও পরে সেই মন্তব্যটি মুছি দিয়েছেন নেইমার। উল্লেখ্য, অবশ্য ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ ব্যতীত ব্যক্তি ও খেলোয়াড়ি জীবনে মেসি ও নেইমার খুবই কাছের বন্ধু। দীর্ঘদিন একসঙ্গে বার্সেলোনায় খেলেছেন তারা। এখন রয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে। যেখানে মেসি ছাড়াও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লেওনার্দো পারেদেসদের সঙ্গে খেলেন নেইমার।

এসএইচ-০৬/০৩/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মৃত্যুর পর কেকের পেটে পাওয়া গেছে ১০ ধরনের ওষুধের নমুনা

অনুষ্ঠান করতে করতে কেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেকে? প্রচণ্ড গরম, ভিড় এগুলোই কি আসল কারণ? চিকিৎসকরা বলছেন, না। সমস্যা একদিনের নয়, কেকের হৃদযন্ত্রে মারণরোগ বাসা বেঁধেছিল আগে থেকেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই কপালে ভাঁজ চিকিৎসকদের।

দেখা গেছে, কেকের হৃদপিণ্ডের চারপাশে পুরু মেদের আস্তরণ। সেটি সাদা হয়ে গিয়েছিল। হৃদপিণ্ডের মোড়ক খুলতেই দেখা যায় ভাল্বকাগুলো অস্বাভাবিক রকম শক্ত হয়ে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে সেই খবর সামনে এসেছে বৃহস্পতিবার।

শুধু তাই নয়, কেকের শরীরে ১০ রকম হজমের ওষুধ এবং ভিটামিন সি পাওয়া গেছে। হজমের সমস্যার জন্য কেকে নিয়মিত মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতেন বলেও জানা গেছে। তার রক্তেও সেই নমুনা পাওয়া গেছে। কেবল অ্যালোপ্যাথি নয়, আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথি ওষুধেরও হদিস মিলেছে প্রয়াত গায়কের পাকস্থলিতে।

অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গের খুঁটিনাটি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে আরও বিশদে যেতে চাইছেন চিকিৎসকরা। কেকের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা হিস্টোপ্যাথলজিকাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। হিস্টোপ্যাথোলজি হল কোষের বিশদ পরীক্ষা, যেখানে যাবতীয় অস্বাভাবিকতা, ব্লক জনিত ত্রুটি খতিয়ে দেখা যাবে।

ডাক্তাররা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদপিণ্ডে কাঠিন্য দেখা যায়। তবে কেকের হৃদপিণ্ডের যে চেহারা ধরা পড়েছে তা স্বাভাবিক নয়। কোথায় কোথায় ধমনীর পথ আটকে গিয়েছিল সেসব জানতে হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩১ মে সকালে কেকে তার ম্যানেজারকে বলেছিলেন শরীরে জোর পাচ্ছেন না। সেই রাতেই, অর্থাৎ মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে, তিনি স্ত্রীকে বলেছিলেন, “কাঁধ এবং বাহু টনটন করছে।” সেই অবস্থাতেই মঞ্চে ওঠেন কেকে। অসুস্থ অবস্থাতেই অনুষ্ঠান করে যান। তারপর অনুষ্ঠান শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হোটেলে ফিরে সোফায় বসতে গিয়ে মেঝেতে বসে পড়েন গায়ক। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এসএইচ-০৫/০৩/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

দ্বাদশ নির্বাচন: কূটনীতিকদের প্রকাশ্যেই ব্রিফিং করবে বিএনপি, চলছে তদবির

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন অংশ নিতে চায় না, সে বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রকাশ্যেই ব্রিফিং করতে চায় বিএনপি। এ জন্য দুদিন ধরে দলটির সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন দূতাবাসে ব্যাপক তদবির করছেন। দলটির বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢের সময় বাকি থাকলেও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা ততই ফুটে ওঠছে রাজনীতির মাঠে। নির্বাচন কেমন হবে বা কার অধীন হবে, তা ঠিক করতে কথার চালাচালি হচ্ছে বেশ।

বিরোধী পক্ষ বলছে, বর্তমান সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনে যাবে না তারা। তাদের দাবি, সরকারকে পদত্যাগ করে দিতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী হবে আগামী নির্বাচন। নির্বাচনে না এলে প্রধান বিরোধী পক্ষ বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে, মন্তব্য সরকার দলীয় নেতাদের।

এমন অবস্থায় বিরোধী দল বিএনপি কেন নির্বাচনে যেতে চায় না, তা বিভিন্ন মাধ্যমে ইতোমধ্যে পরিষ্কার করেছে তারা। তবে দেশের রাজনীতিতে পরোক্ষভাবে গুরুত্ব বহন করে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। তাদের কাছে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন হওয়া দরকার ও নির্বাচনে না যাওয়ার কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরতে ব্রিফিং করতে যাচ্ছে বিএনপি।

সূত্র বলছে, শিগগিরই দেশে নিযুক্ত সব কূটনীতিককে একত্রে বসাতে যাচ্ছে বিএনপি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাসে দাওয়াতও পাঠিয়েছে তারা। এ জন্য বিভিন্ন দূতাবাসে ব্যাপক তদবির করছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।

সূত্রের খবর, সেই আয়োজনে আসতে ইতোমধ্যে সুইডেন, নরওয়ে ও ভারতসহ অন্তত ছয়টি দেশের কূটনীতিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জুন) ভারতীয় হাইকমিশনে অবস্থান করছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সেখানে ছিলেন তারা। এছাড়া এদিন বিকেলে গুলশানের ‘বে-টাওয়ারে’ অবস্থিত অন্তত পাঁচটি দূতাবাসে গিয়েছিলেন শামা ওবায়েদ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতা সময় সংবাদকে জানিয়েছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হবে সম্ভাব্য সেই ব্রিফিংয়ে। দলীয় সরকারের অধীন কেন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, তা অতীতের নির্বাচনের পরিস্থিতি তুলে ধরে জানানো হবে তাদের। দেশের রাজনীতিতে বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও জেলসহ বিগত বছরগুলোয় গুম ও খুন হওয়া ব্যক্তিদের তথ্য তুলে ধরা হবে ব্রিফিংয়ে।

বর্তমান সরকারের অধীন বিরোধী কর্মীদের সভা-সমাবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগটিও তুলে ধরতে চায় তারা। সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে দেশের পরিস্থিতি কেমন রয়েছে, তার একটি সম্মুখ ধারণা কূটনীতিকদের দিতে চায় বিএনপি। সে লক্ষ্যে ২০১৪ সালে কেন তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়েও বিএনপি সেই ভোটকে কেন অবৈধ বলছে, তা উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তারা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসলেও কেন তারা বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচনে যেতে চায় না, তারই একটি ধারণা তুলে ধরতে চায় দলটি।

বিএনপির একাধিক নেতা জানান, সেই কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির নেতাদের থাকার কথা রয়েছে। তবে কখন-কোথায় অনুষ্ঠানটি হবে, তা এখনো জানা যায়নি। শিগগিরই একটি পাঁচ-তারকা মানের হোটেলে ব্রিফিং হতে পারে বলে বিএনপির একটি সূত্র জানায়।

এসএইচ-০৪/০৩/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

দূরপাল্লার পণ্যবাহী যান চালকদের জন্য বিশ্রামাগার

সিরাজগঞ্জে হচ্ছে দেশের প্রথম দূরপাল্লার পণ্যবাহী যান চালকদের জন্য পার্কিং ও বিশ্রামাগার। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের পাশে প্রায় ১৪ একর জায়গার ওপর বিশ্রামাগারটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মহাসড়কের পাশেই এমন উদ্যোগে খুশি চালকরা। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এ প্রকল্প বড় ভূমিকা রাখবে।

মহাসড়কের পাশে ট্রাকচালকদের বিশাল পার্কিং। সঙ্গে রয়েছে আধুনিক সুবিধা সংবলিত বিশ্রামাগার।

টেকসই ও নিরাপদ মহাসড়ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৪টি জাতীয় মহাসড়কের পাশে পণ্যবাহী গাড়িচালকদের জন্য পাকিং সুবিধাসহ বিশ্রামাগার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের প্রথম এই প্রকল্প।

এখানে রয়েছে একশ চালকের জন্য দ্বিতল শয়নকক্ষ, বিনোদন পয়েন্ট, ক্যান্টিন, গোসলখানা, নামাজের জায়গা, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা কক্ষ। এ ছাড়াও ৭৬ ফুট প্রশস্ত শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি পাকিংয়ের স্থান, যানবাহন মেরামতের জন্য ওয়ার্কশপ, ওয়াশজোন, আধুনিক ২টি লেক, সবুজায়ন ও নিরাপত্তাপ্রাচীর।

এরই মধ্যে আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মহাসড়কের পাশে সরকারি এমন স্থাপনা নির্মাণে খুশি চালকরা।

সরকারের এমন উদ্যোগের ফলে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করেন সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান।

আধুনিক এই বিশ্রামাগারটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪৩ কোটি টাকা।

এসএইচ-০৩/০৩/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু

চলতি জুন মাসেই মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু হবে৷ এক বছরের মধ্যে পাঠানো হবে দুই লাখ শ্রমিক৷ তবে সিন্ডিকেট না উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর সুযোগ থাকবে তা এখনো নিশ্চিত নয়৷

চার বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার সমঝোতা স্মারক সই করলেও তার কী পদ্ধতিতে নেবে সেটা ঝুলে ছিল৷ গত জানুয়ারি মাসে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নির্বাচিত করে বাংলাদেশকে জানালে বাংলাদেশ তাতে আপত্তি জানায়৷ বাংলাদেশ এভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে না পাঠিয়ে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে শ্রমিক পাঠানোর পক্ষে অবস্থান নেয়৷ আর সেই প্রেক্ষাপটেই মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান ঢাকায় এসে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বৈঠক শেষে বিকেলে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ জানান,”চলতি জুন মাসেই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হবে৷ আগামী পাঁচ বছরে তারা পাঁচ লাখ শ্রমিক নেবে৷ আমরা আশা করছি প্রথম বছরেই আমরা দুই লাখ কর্মী পঠাতে পারব৷”
এদিকে সিন্ডিকেট না উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কর্মী নেয়া হবে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান বলেন,”আমরা মালয়েশিয়া গিয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব৷ আমাদের মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে৷”

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে কাজ করা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার হাতে এক হাজার ৫২০ টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্টের তালিকা দেয়া হয়েছে৷ বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী জানান,”এই তালিকা থেকে মালয়েশিয়া ঠিক করতে কাদের তারা সেখানে জনশক্তি রপ্তানির জন্য অনুমতি দেবে৷”

বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ থেকে মালয়েশিয়া জনশক্তি নেয়৷ কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া আর সব দেশ নিজেরাই রিক্রুটিং এজেন্ট ঠিক করে দেয়৷ বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম কেন? এর জবাবে ইমরান আহমেদ বলেন,” আমাদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার যে এমওইউ হয়েছে তাতে মালয়েশিয়া রিক্রুটিং এজেন্টদের বাছাই করবে বলা আছে৷”

বাংলাদেশের অধিকাংশ রিক্রুটিং এজেন্ট মনে করে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট হলে অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হবে এবং সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সম্মিলিত ফ্রন্ট বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে,”এর মাধ্যমে সিন্ডিকেট ২৫ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেবে৷”

তাদের অভিযোগ,”২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক রপ্তানির ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে৷ তখন শ্রমিক রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল ১৫ লাখ৷ কিন্তু হয়েছে মাত্র দুই লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ জন৷ এতে করে নিশ্চিত চাকরির সুযোগ হারিয়েছে ১২ লাখ ২৫ হাজার কর্মী৷”

সংগঠনের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “অভিবাসন ফি বাবদ নেয়ার কথা ছিল জন প্রতি এক লাখ ৬০ হাজার টাকা৷ কিন্তু নেয়া হয়েছে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা৷ জনপ্রতি অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা করে নেয়া হয়েছে৷ এভাবে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে বিদেশে পাচার করেছে ১০ সদস্যর সিন্ডিকেট৷ আর সেসময়ে ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এক হাজার ২০০ বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি৷”

এখনো অভিবাসন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বৃহস্পতিবার যা বলেছেন তাতে সিন্ডিকেটের আভাসই দেয়া হচ্ছে৷ তবুও মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে তারা তাকিয়ে আছেন৷ তারা আশা করছেন মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা প্রতারকদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে না৷

বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাসার আশঙ্কা করছেন, এবার সিন্ডিকেট হলে ৩০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হবে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট হলে বঞ্চিত হবে প্রায় এক হাজার ৬০০ রিক্রুটিং এজেন্ট৷ তিনি বলেন,” ২০১৮ সালে এই সিন্ডিকেটের কারণেই বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো মালয়েশিয়া৷ তারা তখন কাজ প্রার্থী মানুষের কাছে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়৷ সেই সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলো ১০-১২টি এজেন্সি৷ এখন আগেরগুলোসহ ২৫টি এজেন্সির মাধ্যমে সিন্ডিকেট করা হয়েছে৷ ”

তার কথা,”ওই টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে৷ আর ওই সিন্ডিকেটের জন্যই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করেছিলো মাহাথির মোহাম্মদ৷ সিন্ডিকেটের সাথে ওই দেশের কিছু প্রভাবশালী লোকও জড়িত৷ তারা হাজার হাজার কোটি টাকা এবারো হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে৷”

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অভিবাসন ব্যয় চূড়ান্ত হয়নি৷ তবে বাংলাদেশের মন্ত্রী বলেছেন,”আমরা চেষ্টা করছি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে৷ আমরা চাচ্ছি শূণ্য অভিবাসন ব্যয়৷”

ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন,” ১৯৭৮ সাল থেকে মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়া শুরু করে৷ এরপর বেশ কয়েকবার তারা শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলে৷ ২০১৮ সালেও একই অভিযোগে বন্ধ করা হয়৷ গত ডিসেম্বরে শ্রম বাজার উন্মুক্ত হওয়ার পর কিন্তু সেই মালয়েশিয়ার মন্ত্রী গত জানুয়ারি মাসে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের নাম পাঠায় বাংলাদেশের কাছে৷ তাহলে এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে তারও জড়িত৷ যদি আবার সিন্ডিকেট হয় আর সামনের নির্বাচনে মালয়েশিয়ার এই সরকার ক্ষমতায় না থাকে তাহলে বাংলাদেশ থেকে আবার শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দিতে পারে দেশটি৷”

তিনি বলেন,”সিন্ডিকেট করে অভিবাসন ব্যয় বাড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়৷ আর অভিবাসন ব্যয় বাড়ানো আইএলও কনভেনশন বিরোধী৷ এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ট্রাান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালও কথা বলেছে৷”

মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের বক্তব্যকেও সিন্ডিকেটের পক্ষে বলে মনে করেন তিনি৷ তার কথা, “১৩টি দেশের মধ্যে ১২টি দেশ উন্মুক্ত পদ্ধতিকে লোক পাঠায় মালয়েশিয়ায়৷ বাংলাদেশের ব্যাপারে কেন তারা নির্ধারণ করে দেবে৷”

তিনি মনে করেন,” মালয়েশিয়া বাংলাদেশের ব্যাপারে কোনো নিয়ম নীতি মানছে না৷ বাংলাদেশ সরকারের উচিত শক্ত অবস্থানে যাওয়া৷”

বিএমইটির হিসাব মতে এর আগে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে প্রায় ১১ লাখ বাংলাদেশি কর্মী গেছেন৷

এসএইচ-০২/০৩/২২ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

মে মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে

বাংলাদেশে গত এপ্রিলে ঈদ উল ফিতরের সময় প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্সের পরিমাণ বাড়লেও এরপরই মে মাসে তের শতাংশ কমে গেছে রেমিটেন্স প্রবাহ।

চলতি অর্থবছরের মে মাস জুড়ে রেমিটেন্স এসেছে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় তের কোটি ডলার কম। এপ্রিল মাসে দেশে ২০১ কোটি দশ লাখ ডলার এসেছিলো।

এমনকি গত অর্থবছরে একই সময়ে দেশে এর চেয়ে বেশি অর্থ এসেছিলো। তখন এই রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিলো ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সরকারের রেমিটেন্স অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ছাব্বিশ বিলিয়ন ডলার। তবে প্রথম এগার মাসে অর্জিত হয়েছে মাত্র ১৯দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরই মধ্যে সরকার পাঁচ লাখ টাকার উপর পর্যন্ত প্রবাসী আয়ে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাওয়ার শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতদিন পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় পাঠাতে সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট দিতে হতো বলে অনেকেই বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠাতে পারতেন না। কিন্তু শর্ত শিথিলের কারণে এখন থেকে কোন নথিপত্র ছাড়াই অর্থ পাঠালে প্রণোদনা পাবেন তারা।

চলতি অর্থ বছরে এপ্রিল মাস ছাড়া কার্যত বাকী সময় জুড়েই রেমিটেন্স প্রবাহ ছিলো নেতিবাচক। অনেকেরই ধারণা যে কোভিড পরবর্তী সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলের পরিবর্তে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে অর্থ আসার প্রবণতা বেড়েছে।

বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতি উন্নতির পরপরই দেশে আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়েছিলো অনেক।

এমনকি রপ্তানি ব্যয় ও রেমিটেন্স দিয়ে সে ঘাটতি পূরণ করা যাচ্ছিলো না। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম দ্রুত বাড়তে থাকায় প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কম অর্থ পাঠাচ্ছিলেন।

অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ডঃ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, “নগদ যে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে সেটি যোগ করার পরেও ফরমাল চ্যানেলের সাথে বেশ কিছুটা গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। সেটাই হয়তো বড় কারণ হতে পারে। মে মাসে যে পনের শতাংশ কমে গেছে রেমিটেন্স তার কারণও সেটা হতে পারে”।

অন্যদিকে কোভিড পরিস্থিতির উন্নতির পর গত অক্টোবর থেকেই দেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণ বেড়েছে। লোকজনের আসা যাওয়া বেড়ে যাওয়ায় অনেকে নগদ অর্থ হাতে হাতে পাঠানোর সুযোগ নিতে পারছেন।

মূলত এভাবে আসা অর্থই কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজার থেকে টাকায় রূপান্তর করা হয় এবং সেখানে এখন ডলারের দাম ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে অনেক বেশি।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন এটি আগে থেকেই বলা হচ্ছিলো যে নন ফরমাল চ্যানেলে অর্থ আসা বেড়ে যেতে পারে।

“কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর ৮৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৯তে এনেছে এটা ঠিক। কিন্তু তারপরেও কার্ব মার্কেটে হয়তো মানুষ বেশি টাকা পাচ্ছে। সেজন্য ফরমাল চ্যানেলে টাকা আসা হয়তো কমেছে,” বলছিলেন তিনি।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলছেন রেমিটেন্স কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। তারা আশা করছে প্রবাসী অর্থ আসা শিগগিরই আবার আগের ধারায় চলে আসবে।

“রেমিট্যান্স একই গতিতে আসেনা। ঈদের সময় বেশি আসে। সামনে আবার বেশি আসবে। এটি ব্যতিক্রম কোন ব্যাপার নয়,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয় যে প্রাক্কলন করেছিলো তাতে চলতি অর্থবছরে রেমিটেন্স খাতে বড় প্রবৃদ্ধির আশা করা হয়েছিলো।

করোনা মহামারির সময়েও প্রবাসী আয় বাড়ানো কারণেই সরকার এ আশা করেছিলো যে কোভিড পরবর্তী সময়ে এটি আরও বাড়বে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো ঈদ উল ফিতরের সময়টি ছাড়া বাকী সময়ে এ খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়নি। বরং গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছিলো একুশ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।

এবারের সংশোধিত বাজেটের লক্ষ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছর শেষে মোট ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসার কথা।

অথচ চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিটেন্স প্রবাহ কম দেখা গেছে। বিশেষ করে এপ্রিল ছাড়া সব মাসেই ২ বিলিয়ন ডলারের কম রেমিটেন্স এসেছে।

অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে এসেছে মোট প্রায় সাড়ে সতের বিলিয়ন ডলার। এ কারণেই জুনের শেষ পর্যন্ত বাকী অর্থ আসে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ওদিকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্রবাসী আয় নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ‘অভিবাসন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে চলতি বছর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ মাত্র দুই শতাংশ বাড়তে পারে।

এই প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রেমিটেন্স বৃদ্ধির হারকে অনিশ্চিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বড় উৎস হলো রেমিটেন্স। গত পঁচিশে মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে বর্তমান আমদানির ধারা অনুযায়ী ছয় মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এর মধ্যে গত তেইশে মে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীদের কাছে অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে না।

এসএইচ-০১/০৩/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : বিবিসি)